নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মূলত সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লিখি, যেখানে বিশ্লেষণ ও গভীর চিন্তাভাবনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি, ছোটগল্প লেখা আমার অন্যতম শখ, যেখানে আমি জীবন ও সমাজের নান্দনিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করি।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

লেখালেখির মাধ্যমে আমি নতুন ভাবনা, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সৃজনশীল প্রকাশ খুঁজে পাই। আমার লেখার লক্ষ্য পাঠকদের ভাবতে উদ্বুদ্ধ করা এবং একটি অর্থবহ আলোচনা তৈরি করা।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতি, করিডোর ও কৌশলী সেনাবাহিনী: একটি নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত?

২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন ও জল্পনা কল্পনা তৈরি হয়েছে। গতকাল ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদর থেকে যেভাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরা হলো, তা এসব প্রশ্নেরই উত্তর দেয়ার একটি প্রচেষ্টা বলে মনে হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা এবং কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, সরকার এবং সেনাবাহিনী বিপরীতমুখী নয় বরং একসঙ্গে কাজ করছে।

সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ‘করিডোর’ ইস্যুতে সেনাবাহিনীর অবস্থান ছিল সাংবাদিকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। এ নিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয় এবং এ বিষয়ে সেনাবাহিনী কোনো এমন কার্যক্রমে যুক্ত হবে না, যা দেশের নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি তৈরি করে। তিনি আরও বলেন, করিডোর ইস্যু এবং সীমান্তে আরসা-র উপস্থিতি একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত নয়, বরং ভিন্ন প্রসঙ্গ।

এই সংবাদ সম্মেলন শুধু একটি ব্যাখ্যা নয়, বরং সাম্প্রতিক নানা গুজব, মিডিয়ার আলোচনা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর অবস্থান পুনরায় স্পষ্ট করার চেষ্টা। কারণ, উপদেষ্টা পরিষদের সর্বশেষ বৈঠকে যেভাবে সেনাবাহিনীর নাম না নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ পেয়েছে, তাতে ধারণা করা যায় সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।

তারও আগে গত ৫ আগস্টের পর থেকেই সেনাবাহিনী কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হলো, তারা প্রথমেই জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসে, যেখানে জাতীয় নির্বাচনসহ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বিএনপির সঙ্গে এমন কোনো বৈঠক হয়েছে কিনা—সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য মেলেনি।

যদিও সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে এবং কোনো মতপার্থক্য নেই, তবুও বাস্তবতা কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখায়। সেনাবাহিনী যদি সত্যি একসঙ্গে কাজ করছে, তবে কেন তারা প্রথমে জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে বসল? কেন তারা নিজ উদ্যোগে প্রেস ব্রিফিং শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল, যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি?

এখন থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনী নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং করবে বলে যে ঘোষণা দিয়েছে, তা একদিকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ইঙ্গিত দেয়, অন্যদিকে এটি সেনাবাহিনীর একটি সক্রিয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক বা এমনকি অংশগ্রহণকারীর ভূমিকার সূচনাও হতে পারে—এমন আশঙ্কাও তৈরি করছে।

এই সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছে, সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে যা অস্বীকার করা কঠিন। এই দূরত্ব মেটানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ এখনো চোখে পড়ছে না। আর সেই শূন্যস্থানে সেনাবাহিনী নিজেই নিজের অবস্থান জনগণের সামনে তুলে ধরছে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসছে।

প্রশ্ন হলো—এই আলোচনা কেবল পরিস্থিতি বোঝার জন্য, নাকি কোনো ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখার সম্ভাব্য খসড়া তৈরির প্রক্রিয়া? সময়ই এর উত্তর দেবে। তবে এখন যা দেখা যাচ্ছে, তা হলো—বাংলাদেশের রাজনীতির মঞ্চে সেনাবাহিনী আবারো তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে, তবে তা এই মুহূর্তে সরাসরি নয়, বরং আড়ালের কৌশলে।

এ ধরনের সময়ে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হলো—জনগণের স্বার্থ ও দেশের স্থিতিশীলতা। সেনাবাহিনী হোক কিংবা সরকার—উভয়ের দিক থেকেই সতর্ক, দায়িত্বশীল ও স্বচ্ছ আচরণই কেবল পরিস্থিতিকে উত্তরণের পথ দেখাতে পারে। এখন দেখার বিষয়, এই উত্তরণ কতটা শান্তিপূর্ণ, নাকি আরেকটি অস্থিরতার অধ্যায় রচিত হচ্ছে আমাদের চোখের সামনেই।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: কিছুই হয়নি। সব ঠিক আছে। যা হবার তা আগেই হয়ে গেছে।
ইউনুস সাহেব ভুল করলে পুরো জাতির ভূগতে হবে।

২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৫

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আসলে এখন যা চলছে, তাকে এক ধরনের ‘মাইন্ড গেম’ বলা যায়। এক পক্ষ অন্য পক্ষের উপর চাপ তৈরি করছে—তা সরাসরি নয়, বরং কৌশলগতভাবে, মনস্তাত্ত্বিকভাবে। ঘটনাগুলোর ওপরে না গিয়ে একটু গভীরে তাকালে বোঝা যায়, এখানে মূল লড়াই শক্তির নয়, বরং মানসিক ধৈর্য ও কৌশলের।

২| ২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:১৮

ফেনিক্স বলেছেন:



সাময়িক সরকার কি নিজের থেকে জন্ম নিয়েছে, নাকি সেনাবাহিনী উহাকে গঠন করেছে? সেনাবাহিনী নিজে স্বাধীনভাবে সরকারকে নিযুক্ত করেছে, নাকি আমেরিকান দুতাবাসের নির্দেশও পালন করতে হয়েছে?

২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫৩

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আমি কিন্তু কোথাও সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার কথা বলিনি। আমি যা বলেছি, তা হলো—সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে কিছু নড়াচড়া, একধরনের অস্বস্তির ইঙ্গিত এবং সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে এক ধরনের দূরত্ব স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এটাকে উপেক্ষা করা যায় না।

আপনি রাজনীতি সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং পর্যবেক্ষক একজন মানুষ। তাই আপনার মূল্যবান বিশ্লেষণ জানতে আগ্রহী। আপনি কী মনে করেন—বর্তমান পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে? আগামী দিনে কী ধরনের রাজনৈতিক মোড় আসতে পারে বলে আপনি ভাবছেন? আমরা আপনার চিন্তাভাবনা থেকে উপকৃত হতে পারি।

৩| ২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯

অল্প বিদ্যা ভয়ংকর বলেছেন: ডঃ ইউনুছ সাহেব দেশের খারাপ করবেন না , এতটুকুন ভরসা ।

২৭ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই—যেকোনো অনির্বাচিত সরকার, তারা যদি শতভাগ সদিচ্ছা নিয়েও আসে, তাহলেও তারা একটি দুর্বল বা বিতর্কিত নির্বাচিত সরকারের চেয়েও দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া গঠিত কোনো ব্যবস্থাকে মানুষ শেষ পর্যন্ত মেনে নেয় না। ইতিহাস বারবার তা প্রমাণ করেছে।

৪| ২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: এই সরকার একটি অবৈধ সরকার।সংবিধান স্থগিত না করে এই সরকার গঠিত হতে পারে না।যত তাড়াতাড়ি বিদায় হয় এই অবৈধ সরকার সেটাই জাতির জন্য মঙ্গল।

২৭ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৪

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: বৈধ বা অবৈধ—এই বিতর্কে না গিয়ে বলবো, বর্তমান সরকার মূলত একটি অনির্বাচিত সরকার। তাদের প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত ছিল একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন নিশ্চিত করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা নানা বিষয় নিয়ে সক্রিয় হলেও, এই মূল দায়িত্ব পালনের কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। বরং তারা এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা ভিন্নমত শুনতেও আগ্রহী নন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

৫| ২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪৪

রাসেল বলেছেন: বাংলার ইতিহাসে বহিঃশক্তির দালাল ছিল, আছে এবং থাকবে। করিডোরের পক্ষে এবং বিপক্ষে যারা কথা বলতেছে, প্রায় সকলেই বহিঃশক্তির স্বার্থ বিবেচনা করেই বলতেছে, দেশের স্বার্থ নয়। ভারতকে ট্রান্সশিপমেন্ট দেবার ক্ষেত্রে দেশপ্রেমিকরা কথা বলেনি কেন?

২৭ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণে ইতিহাসের বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়েছে, এতে সন্দেহ নেই। বহিঃশক্তির স্বার্থে রাজনীতি আমাদের ভূগোল ও কূটনীতির একটা দুর্ভাগ্যজনক দিক। তবে করিডোর বা ট্রান্সশিপমেন্ট ইস্যুতে সবাই যে একচোখা দৃষ্টিতে শুধু বাইরের শক্তির স্বার্থ দেখছে, তা বলা কঠিন। কেউ কেউ হয়তো প্রকৃতপক্ষে জাতীয় স্বার্থ থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। প্রশ্ন হলো—কে কোন স্বার্থে কথা বলছে, সেটির গভীরে যাওয়ার প্রয়োজন আছে। ভারতকে ট্রান্সশিপমেন্ট দেওয়ার সময় প্রকৃত দেশপ্রেমিকরা কেন নীরব ছিলেন—এই প্রশ্নটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভবত তখন জাতীয় স্বার্থের পক্ষে সাহস করে দাঁড়ানোর মতো পর্যাপ্ত গণমাধ্যমের জায়গা বা রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল না। কিন্তু এখন সময় এসেছে, যাতে আমাদের প্রশ্ন ও প্রতিরোধ—উভয়ই আরও সুসংগঠিত এবং তথ্যভিত্তিক হয়।

৬| ২৭ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩৯

রাসেল বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আমরা খালি চোখে ঠিকই ভাল আর মন্দ বুঝি, কিন্তু বিবেক জাগ্রত করি না, আত্ম নিয়ন্ত্রণ করি না। মৃত্যুর মাধ্যমে আমাদের অর্জিত অর্থ সম্পদ রেখে যেতে হবে, তাহলে কেন এই অন্যায় করি।

২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:২২

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বোঝার এবং সেই মোতাবেক কাজ করার সুযোগ দিন। আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৭| ২৮ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:০০

গহীনে রক্তক্ষরণ বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের আধিপাত্য এবং আমাদের দেশের রাজনীবিদদের স্বার্থপরতা, দেশপ্রেমহীনতা গত ৫৪ বছরে দেশটার অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলা হয়েছে । রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের যদি দেশ প্রেম বলে কিছু কারো মধ্যে অবশিষ্ট থাকে তাহলে এখন বাংলাদেশকে ভারতের আধিপাত্যবাদ থেকে মুক্ত রাখার প্রশ্নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরী। সেনাপ্রধানের প্রাকাশ্য কিছু ভাষণ, ভারতের সেনাপ্রধানের সাথে তার যোগাযোগের প্রমাণ, ভারত থেকে প্রচারিত সেনাপ্রধানের বিশেষ গুন “প্রো-ইন্ডিয়ান আর্মী চীফ” ইত্যাদি প্রকাশ্যে চলে আসার পর এবং সবশেষ জনগনের বেতনভুক কর্মচারি হিসেবে তার যে ঔদ্ধত্ব প্রকাশ হয়ে পড়েছে, তা সেনাপ্রধানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট । এতসব প্রমাণ থাকার পরও তাকে সহ তার দোষর ৪৭ জেনারেলদের না সরানো দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে জনগন মনে করছে । এ জন্য সরকারের ভেতরে কয়েকজন চিহ্নিত প্রমাণিত গাদ্দার(ভারতের র’এর এজেন্ট) বিশেষ ভুমিকা পালন করছে বলেও জনগন মনে করে । কেননা এরা ইউনুস সাহবকে প্রকৃত ক্ষমতা এক্সারসাইজ করতে বাধা সৃষ্টি করছে । তারা নানা রকম অভিনয় করে দেশ প্রেমিক সরকারের অংশ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করে জোড়া তালি দিয়ে একপ্রকার সময় ক্ষ্যাপন নীতির মাধ্যমে এগুতে তৎপর বলে অধিকাংশ মানুষ মনে করে । বি এনপির মধ্যে শক্তিশালী ভারতের দালাল গ্রুপ দলটাকে সম্পূর্ণ কব্জা করে ফেলেছে এবং তাদেরকে জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে । এর কারণে তাদের চরিত্র ফ্যাসিবাদের ডুপ্লিকেট হিসেবে ইতমধ্যে জনগনের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে । মানে সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী হলে তারা জনগনের ভোট পাবে না । এটা তাদের দেশ প্রেমিক গ্রুপের নেতারা বুঝতে পারলেও ভারতীয় দালালচক্রটির শক্তির কাছে তারা পরাজিত । এ জন্য ভারত চায় ইউনুসকে অকর্যকর করে হাসিনার আমলের মতই আমলা নির্ভর নির্বাচন ব্যবস্থা বহাল রেখে এই অপদার্থ দলকে ক্ষমতায় বসিয়ে আওয়ামীলীগকে সেই ২০০৬ সালের মত শক্তিশালী লগি-বৈঠা নির্ভর বিরোধী দলে বসিয়ে আবারো পুরণ খেলা সফল করতে । এই হিসাবটা দেশের সাধারণ চায়ের দোকানদারও বোঝে । অথচ আমাদের সরকার যারা চালাচ্ছে , সেনা বাহিনীর মধ্যে হাসিনার গৃহপালিত চাকরগুলো যারা সবগুলো পাওয়াফুল পদে বসে আছে, তারা নাটক করছে, দেশের স্বার্থে তারা কাজ করছেন বলে জনগনের সামনে ভান করছেন । এই অবস্থায় ছাত্র-জনতা তথা সকল সচেতন মানুষের উচিৎ ঐক্যবদ্ধ থাকা যেমনটি ৫ই আগষ্ট ২৪ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ ছিলো । আর এভাবে ক্যালকুলেশন করব সবাই মিলেমিশে ।
১ নং সমীকরণ: বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে ভারতের অখুশী = বাংলাদেশের সরকার সঠিক কাজ করছে ।
২। ইলেকশন নিয়ে ভারতের চাওয়া = ওয়াকারের চাওয়া = বি এনপির চাওয়া । পরস্পর সমান প্রমাণিত হয়েছে ।
৩। বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা = মাইনাস (-)[ ওয়াকার+তার দোষর অন্য ৪৭জন জেনারেল+উপদেষ্টা ৬থেকে৭জন+ভারত+বিএনপি এর ভারতের দালাল গ্রুপ+আলু-ষ্টার সহ সবগুলো ভারতীয় দালাল প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া+ কয়েকজন বিচারক+ ৫ থেকে ৬শত সিনিয়র বেসামরিক আমলা ]

এই ৩ টা সমীকরণ বুঝে আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, পৃথিবীর কোন শক্তি নেই আমাদের নিয়ে আর কেউ খেলতে সাহস করবে ।

২৮ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:০২

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ভারত পন্থী, পাকিস্তান পন্থী এগুলো সবসময় ছিল, আছে এবং থাকবে। আমাদের সকলকে বাংলাদেশ পন্থী হতে হবে। যতক্ষণ এটা না হতে পারবো ততক্ষন পর্যন্ত আমরা একে অপরকে এভাবে দোষারোপ করতে থাকবো

৮| ২৮ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২৮ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:০৩

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনাকে আবারো স্বাগতম। আমার পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.