![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির মাধ্যমে আমি নতুন ভাবনা, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সৃজনশীল প্রকাশ খুঁজে পাই। আমার লেখার লক্ষ্য পাঠকদের ভাবতে উদ্বুদ্ধ করা এবং একটি অর্থবহ আলোচনা তৈরি করা।
লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের বৈঠক বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মোড় নাকি পুরনো কৌশলের পুনরাবৃত্তি? বিশ্লেষণ করুন এই ব্লগে—সমঝোতা, ইতিহাস, এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির সম্ভাব্য চিত্রপট।
বাংলাদেশের রাজনীতি আবারো একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে। ১৩ জুন, ২০২৫ – লন্ডনের ঐতিহাসিক ডরচেস্টার হোটেলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক শেষ হলো। বৈঠকের সময় নির্ধারিত ছিল দুই ঘণ্টা, কিন্তু এর প্রতিধ্বনি অনেক বেশি সময় বাংলাদেশের রাজনীতিতে বয়ে আনবে।
এই বৈঠককে ঘিরে দেশ-বিদেশে কৌতূহলের শেষ ছিল না। কফিশপ, টেলিভিশনের টকশো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সবখানে ছিল শুধু এই আলোচনাই: কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে, এবং এর ফল কী হবে?
যদিও যৌথ বিবৃতি ছিল কূটনৈতিক ভাষায় মোড়া, কিন্তু আমরা যারা রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করি, তারা বুঝতে পারি—জলে কুমির নেই, কিন্তু ঢেউয়ের ধরণ বদলেছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির পক্ষ থেকে আমির খসরু মাহামুদ চৌধুরী, ড. খলিলুর রহমানের মতো সরকারের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরাও, যিনি কিছুদিন আগেও বিএনপির রোষের শিকার ছিলেন। অথচ, আজ তিনিই বিএনপি নেতাদের পাশে বসে সংবাদ সম্মেলন করছেন।
এ দৃশ্য আমাদের একটি বিষয়ই ইঙ্গিত করে—পর্দার আড়ালে এমন কিছু সমঝোতা হয়েছে, যা এখনো প্রকাশ্যে না এলেও আগামী দিনের রাজনৈতিক চিত্রপটে বড় প্রভাব ফেলবে। তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রসঙ্গ, মামলা নিষ্পত্তির ইঙ্গিত, নির্বাচন আয়োজনের সময়—সবকিছু এক সুতোয় গাঁথা মনে হচ্ছে।
২০০৮ সালের ঘটনা কি ভুলে গেছি আমরা? সেবারও একটি সেনা-সমর্থিত সরকার চেষ্টা করেছিল রাজনীতিবিদদের বাদ দিয়ে ‘কিংস পার্টি’ তৈরি করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা বুঝেছিল, জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতি কোনো টেকসই সমাধান নয়। ফলে তারা বাধ্য হয়েছিল মূল রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় যেতে।
এবারও সেই পুরনো স্ক্রিপ্ট নতুন মুখে অভিনীত হচ্ছে। ড. ইউনূসের এনসিপি, জামায়াত এবং তথাকথিত নাগরিক রাজনীতি—সবই এক একটি ব্যর্থ প্রকল্পে পরিণত হয়েছে। তার নিজের গড়া দলই এখন রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয়, দুর্নীতিতে জর্জরিত এবং জনভিত্তিহীন। তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে যতই শক্তিশালী হোন, বাংলাদেশের মাঠের রাজনীতিতে তার শক্তির ভিত্তি ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছিল।
ড. ইউনূস বুঝতে পেরেছেন, তার অবস্থান টেকসই নয়। দেশের প্রধান দুই পাওয়ার সেন্টার—বিএনপি এবং সেনাবাহিনী—যখন তাঁর বিপক্ষে অবস্থান নেয়, তখন তাঁর সামনে একটি মাত্র রাস্তা খোলা থাকে: সমঝোতা। আর এই সমঝোতাই সম্ভবত তাকে পরবর্তী সরকারের প্রতিশোধ ও আইনি ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে, অন্তত আপাতত।
তবে, এখনই বিজয়োল্লাস করার সময় নয়। বিএনপিকে বুঝতে হবে, বর্তমান সমঝোতা একটি কৌশলগত অর্জন মাত্র—চূড়ান্ত বিজয় নয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত একটি গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ততক্ষণ এই চাপ ও আন্দোলন বজায় রাখা জরুরি।
যে এনসিপি ও জামায়াত ব্যর্থ হলেও, তারা এখনো হঠাৎ করে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। আর ইতিহাস সাক্ষী, ড. ইউনূস একজন চতুর খেলোয়াড়। তাই বিএনপির উচিত হবে একদিকে সমঝোতার পথ খোলা রাখা, অন্যদিকে জনমত ও মাঠের সংগঠন দৃঢ় রাখা।
লন্ডনের বৈঠক একটি মোড় ঘোরানো ঘটনা—এ নিয়ে সন্দেহের কোনো জায়গা নেই। কিন্তু এটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সূচনা নাকি একটি নতুন ধোঁয়াশার সূচনা—তা সময়ই বলে দেবে। তবে একটি কথা স্পষ্ট: রাজনীতিবিদদের বাদ দিয়ে রাজনীতি হয় না, ইতিহাসও সেটা বারবার প্রমাণ করেছে।
সামনের দিনগুলো হবে গুরুত্বপূর্ণ—সমঝোতা, চ্যালেঞ্জ, চাপ এবং কৌশলের। আর এই প্রতিটি মুহূর্তে জনগণের চোখ থাকবে—এই আশায়, সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল বাংলাদেশ গঠিত হবে।
১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: NCP এর নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী কি বলেছে দেখেছেন, সেতো তার নেতাকে প্রকারন্তরে বেইমান বলে ফেলেছে।
২| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:১১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফেনিক্স@ট্রাম্পরে একটু manage করে শেখ হাসিনারে ফিরাইয়া আনা যায় না?
১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ভালো প্রস্তাব। গাজী সাহেব এবিষয়ে ভেবে দেখতে পারেন
৩| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:১৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কে কী বলেছিল, কী নিয়ে চুপচাপ সিদ্ধান্ত হয়েছিল—তা এখনো অন্ধকারে ঢাকা। শুধু সময় জানে, বন্ধ দরজার ওপারে ঠিক কী কী কথা হয়েছিল...
১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫৫
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: বিএনপি কে ফেভারে আনা ছাড়া ভালো কোনো অপসন এই মুহূর্তে হাতে নেই
৪| ১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: NCP-এর নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী কী বলেছেন? সেতো কার্যত নিজের নেতাকেই প্রকারান্তরে বেইমান বলে ফেলেছেন!
NCP-কে আমি পছন্দ করি না, তার কারণগুলো খুব স্পষ্ট। এই দলের ভেতরে কোনও সমন্বয় (coordination) নেই। নেতারা একরকম বলেন, কর্মীরা অন্যরকম করেন—একটা বিশৃঙ্খল মিশ্রতা। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, তারা তাদের প্রকৃত আদর্শ কখনো স্পষ্ট করে প্রকাশ করে না। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও অন্তরে তারা ভিন্ন কিছু লালন করে। এই গোপন মনোভাব বা ‘গুপ্ত মানসিকতা’ই তাদের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক।
১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:২২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: এরা রাজনীতিতে নতুন কিছুই করতে পারেনি বরং পিনাকী, ইলিয়াস এবং কনক গ্যাং এর কথা শুনে পথভ্রষ্ট হয়েছে
৫| ১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩৫
আধুনিক চিন্তাবিদ বলেছেন: পড়লাম।
১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:২৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: আপনি সময় করে পড়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। ধন্যবাদ
৬| ১৪ ই জুন, ২০২৫ রাত ২:৩১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দুজনের বৈঠকের মাঝে যদি আমাকে রাখতো তাহলে বুঝতে পারতাম আসলে কি ঘটেছে।
আচ্ছা তারেক জিয়া দেশে আসছে কবে?
১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:২৯
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন প্রেস সচিব জনাব শফিক সাহেবের সাথে আগে যোগাযোগ করলে তিনি হয়তো আপনাকে একটা ব্যবস্থা করে দিতে পারতেন।
জনাব তারেক রহমান সাহেবের দেশে ফেরার বিষয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন এটা জনাব রহমানের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে এটুকু বলা যায় সকল আইনী এবং নিরাপত্তা জটিলতা না কাটা পর্যন্ত তিনি দেশে ফিরবেন না। ওনার দ্বিতীয় এরশাদ হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।
৭| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:২২
ফেনিক্স বলেছেন:
@সৈয়দ কুতুব ,
ট্রাম্প কোন বাংগালী, কোন মুসলমানকে বিশ্বাস করে না, পছন্দ করে না; ট্রাম্প এশিয়া ও আফ্রিকার মানুষদের 'এসহোল জাতি' বলে সম্বোধন করে; ফলে, সে শেখ হাসিনার ফ্যান নয়, সে ড: ইউনুসকেও "এসহোল" ডাকবে।
১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৩৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ট্রাম্পের কাছে ভালো থাকতে পারে কে বলুনতো। ক্ষমতায় বসার সময় দেখলাম ইলন মাস্কের সাথে বিশাল বন্ধুত্ব আবার কিছুদিন আগে দেখলাম ইলন মাস্কের সাথে সেই দূরত্ব পারলে দেশ থেকে বের করে দেয় আরকি। রাশিয়া তো তাকে আগেভাগেই রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে দিয়েছে।
৮| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:২৭
ফেনিক্স বলেছেন:
রাজনীতি বুঝে, এবং জাতির ৩০ ভাগ মানুষের শ্রদ্ধা পাবে, সেই রকম কোন মানুষ বিএনপি'তে আছে? তারেক ক্রিমিনাল, তাকে আদৌ দেশে আসতে দেয়া ঠিক হবে কিনা?
১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: দেশে যারা বিএনপি সাপোর্ট করেন তারা তারেক রহমানকে দলের নেতা এবং দেশের ভবিষ্যত নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছে। তারেক রহমানের দেশে ফেরা এখনো আইনী এবং সেনাবাহিনীর ক্লিয়ারেন্স এর উপর নির্ভরশীল
৯| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪৮
কামাল১৮ বলেছেন: বিএনপি হলো জিয়া পরিবারের টাকা কামানোর ক্লাব।এই ক্লাব করে তারা আজ কোটি কোটি টাকার মালিক।
১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: উপমহাদেশের কালচার টাই এমন যে পরিবারের বাইরে আমরা কিছু ভাবতে পারিনা। যেমন ইন্ডিয়াতে কংগ্রেস পার্টি সেই ঘুরেফিরে গান্ধী পরিবারের সদস্যদের ছাড়া চলেনা। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা নেই দল ও নেই। ভবিষ্যতে যদি আওয়ামী লীগকে সচল করতে হয় তাহলে শখ পরিবারের কোনো সদস্যের সামনে আসতে হবে। একই কথা বিএনপির ক্ষেত্রে জিয়া পরিবারের বাইরে কোনো বিকল্প নেই। এই অবস্থায় শুধু বিএনপি এবং জিয়া পরিবারকে দোষারোপ করে লাভ নেই। শেখ পরিবারের সদস্যদের দূর্নীতি এবং কালো টাকা পাচারের ঘটনায় মিডিয়া সয়লাব হয়ে গেছে। বৃটেনে একজন শেখ পরিবারের সদস্যদের চাকরি চলে গেছে দূর্নীতির অভিযোগে।
১০| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: তারেক জিয়া প্রধানমন্ত্রী আর ইউনুস রাষ্ট্রপতি??
১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:২২
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: তাদের দুজনের মাঝে কি গোপন কথা হয়েছে তা তারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে কিছু একটা সমঝোতা দুজনের মাঝে হয়েছে তা নাহলে তারেক রহমান সাহেব নিশ্চয়ই ড. ইউনূস এর সাথে শুধু মাত্র ছবি তোলা আর কুশল বিনিময়ের জন্য সেখানে যাননি।
১১| ১৫ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৪৭
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: Please visit my You Tube channel Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:৫০
ফেনিক্স বলেছেন:
হাওয়া ভবন ও ৪০ ডাকতের কাহিনী শিক্ষিত বাংলাগালীরা জানে, আমেরিকান দুতাবাসও জানে!
দুতাবাস চাচ্ছে, ট্রাম্প ব্যস্ত থাকা অবস্হায় দেশ বাংগালীদের হাতে দিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে। ফলে, তারা তারেক আসুক বা বেগম জিয়া আসুক, ওদের চিন্তার সময় নেই; তবে, এবারের ক্যু'এর ফলে জাতি দেউলিয়া হয়ে গেছে।