নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকসংস্কৃতি রক্ষা করি (লোরক) সোসাইটি

এবার হবেই! লোরকের পাশে এবার আপনিও >> ০১৮৩৬৫৫৫৬৪০

লোরক

হৃদয়ে লোক ও লোকসংস্কৃতি ধারন করে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর একদল তরুণ-তরুণী লোরক নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা চাই আমাদের হারিয়ে যেতে বসা লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করে তা প্রচার করতে। বিশ্বের দরবারে আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতিকে পরিচয় করে দিতে চাই। এবার হবেই, রবির কাস্টমার কেয়ার/বিকাশ পয়েন্টে গিয়ে রিচার্জ এর মাধ্যমে আপনিও লোরকের বিভিন্ন কাজে পাশে থাকতে পারেন ০১৮৩৬৫৫৫৬৪০

লোরক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষিদ্ধ খেলা মার্বেল বা কড়ি সম্পর্কে কিছু কথা

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৮



ছোট বেলায় নিষিদ্ধ খেলার মধ্যে ছিল মার্বেল খেলা, ভিডিও গেইমস খেলা। আমাদের স্কুল এর আমিনুল স্যার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন যদি ক্লাস এর কেউ মার্বেল, ভিডিও গেমস খেলে তা ধরিয়ে যদি কেউ দিতে পারি। আমি ছোটবেলা থেকে ভালো ছেলে। যেহেতু নিষিদ্ধ খেলা তাই এই খেলা কখনো খেলা হয়ে উঠেনি। এই খেলায় মার্বেল প্রাপ্তি ও নিষিদ্ধ ছিল বলে অনেকের এই খেলার প্রতি ঝোক ছিল। কড়ি বা মার্বেল দিয়ে এই খেলা হত বলে এর নাম মার্বেল বা কড়ি খেলা নামে পরিচিত।



‘একটি রয়েল গুলি কিনতে পারিনি কখনো

লাঠি লজেন্স দেখিয়ে চুষেছে লস্কর বাড়ির ছেলেরা …।’




ওপার বাংলার খ্যাতিমান সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যেন শুধু তার ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ করেছেন তাই নয়, দুই বাংলার শিশু-কিশোরদের মনের কথা বলেছেন এই কবিতাংশে। দারিদ্র্যের কশাঘাতে শিশু-কিশোররা দুর্বার আকর্ষণের মার্বেল কেনার সামর্থ্য না থাকায় কতটা যে কষ্ট পেত তারই চিত্র যেন এই কবিতার লাইনগুলো। কোলকাতায় মার্বেলের অপর নাম রয়েলগুলো।



কালের পরিক্রমায় এই খেলা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এই খেলার সাথে বিদেশী গলফ খেলার অনেক মিল আছে। আমাদের সরকার ভিনদেশী গলফ খেলার জন্য গলফ ক্লাব খুলেছে কিন্তু আমাদের শৈশবের মজার এই মার্বেল খেলার জন্য কোন কিছুই করেনি। পূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্দ্যানের একটা বড় অংশ ঢাকা ক্লাবকে দেয়া হয়েছে গলফ খেলার জন্য। আমি আজ পযর্ন্ত কোন লক্ষণ দেখলাম না যে আমাদের গলফ খেলায় কোন ভবিষ্যত আছে। আমাদের দেশে অনেক গলফ মাঠ অযথা পরে আছে, সেগুলো সবই সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য তৈরি। অনেকবার সেসবের পাশ দিয়ে গেছি, কখনো মনে পড়েনা কাউকে খেলতে দেখেছি। মাঝে মাঝে টিভিতে দেখি টুর্নামেন্ট হয়। তাতে যাদের খেলতে দেখি মনে হয়না তারা কোনদিন একটা লাঠি হাতে কোন বলে বাড়ি মেরেছেন, গলফ খেলাতো অনেক দূরের কথা। উপরন্তু যারা বল বয়, তারাই দেখাযায় সপ্তাহে একদিন খেলার সুযোগ পেয়েও দেশের জন্য ছোট খাট টুর্নামেন্ট থেকে কিছু নিয়ে আসেন। একজন ব্লগার প্রস্তাব করেছিলেন এই রকম –

“তাই আমার প্রস্তাব হল আমাদের দেশের এই সব বাবুগিরি বন্ধ করে আসল কাজ করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য গল্ফ ক্লাব বানানোর কোনই দরকার নেই। কারণ তারা খেলতেই পারেনা। বরঞ্চ তাদের জন্য গল্ফ ক্লাবের বদলে মার্বেল খেলার ক্লাব বানানো যেতে পারে, এতে জায়াগা তেমন অপচয় হবে না! যদি তারা মার্বেলও ঠিকমত না খেলতে পারে তাহলে কি হবে জানি না!”



আসুন জেনে নেই মার্বেল খেলা কিভাবে খেলতে হয়ঃ

এই খেলাটি তিন, চার, পাঁচ, বা সাতজন বন্ধু মিলে খেলা যায়। কমপক্ষে দুইজন খেলোয়াড় হতেই হবে। পরিষ্কার সমতল ভুমি এই খেলার জন্য উপযোগি। প্রথমে দুইটি একটি রেখা টানতে হবে। রেখা থেকে চার-পাঁচ হাত দূরে একটি গর্ত করতে হবে যেন একটি মার্বেল সেই গর্তে বসতে পারে। আঞ্চলিক ভাষায় রেখাটিকে ‘জল্লা’(কোথাও ‘জই’ নামে পরিচিত) এবং গর্তটিকে ‘কেপ’ বলে। জল্লার বাইরে পা রেখে প্রত্যেকে একটি করে মার্বেল কেপ এ ফেলার চেষ্টা করে। যার মার্বেল কেপ এ পড়ে বা সবচেয়ে কাছে যায় সে প্রথম দান পায়। সবাই প্রথম যে দান পায় তার হাতে ২/৩/৪টি করে মার্বেল জমা দেয়।

সে মার্বেলগুলো ছকের বাইরে বসে সামনের দিকে ওই গর্তের আশপাশে আলতো করে ছড়িয়ে দেয়। এরপর অন্য খেলোয়াড়রা একটা নির্দিষ্ট মার্বেলকে বলে ‘বাদ’। অর্থাৎ ওই মার্বেল ছাড়া বাকি যে কোন একটি মার্বেলকে অন্য একটি মার্বেল ছেড়ে দিয়ে স্পর্শ করতে হবে। যদি এমনটা পারে তাহলে ওই দান সে জিতে যায়। আর না পারলে পরবর্তী জন একইভাবে খেলার সুযোগ পায়। তবে ‘বাদ’ দেয়া মার্বেল কিংবা অন্য একাধিক মার্বেলকে ছুড়ে দেয়া মার্বেল স্পর্শ করলে ওই খেলোয়াড়কে ফাইন দিতে হয় এবং দান জেতার জন্য পরবর্তী খেলোয়াড় ফাইন হওয়া মার্বেলসহ সেগুলো ছড়িয়ে দিয়ে খেলতে থাকে। যে কেউ দান জিতলে আবার পুনরায় খেলা শুরু হয়। এভাবেই চলতে থাকে যতক্ষণ না প্রতিপক্ষ আত্মসমর্পণ করে কিংবা তার কাছের মার্বেল শেষ না হয়ে যায়। কোন কোন অঞ্চলে অবশ্য মার্বেল খেলাকে বিঘত খেলাও বলে। রাখাল বালক থেকে শুরু করে স্কুলপড়ুয়া শিশু-কিশোর অন্তত ঈদের দিন মার্বেল না খেলে থাকতে পারত না। এই খেলার প্রতি টানের কারণে দেখা গেছে অনেকেই স্কুল ব্যাগের ভেতর কিংবা হাফপ্যান্টের পকেটে মার্বেল নিয়ে স্কুলেও চলে যেত। আর এজন্য অভিভাবক কিংবা শিক্ষকের হাতে কানমলা খায়নি এমন কিশোর এক সময় খুঁজে পাওয়া মুশকিলই ছিল। স্কুলে টিফিনের ফাঁকে সামান্য দূরে শিক্ষকদের চোখের আড়ালে গিয়েও শিশু-কিশোররা মার্বেল খেলায় মেতে উঠত।

লোরক সোসাইটি ইতমধ্যে আমাদের দেশীয় খেলার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। ধীরে ধীরে সেই খেলার সাথে আপনাদের পরিচয় করে দেয়া হবে। সেই সাথে সে খেলা গুলোর নিয়ম। আমাদের পরিকল্পনা আছে এই দেশীয় খেলা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। আমরা চাই বহিবিশ্ব আমাদের চিনুক আমাদের সংস্কৃতির মাধ্যমে। আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। লোরক সোসাইটি যেন টিকে থাকে এবং তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে তার জন্য সবার সহযোগিতা (আর্থিক/শারীরিক) চাই। এই সহযোগিতা যেন শুধু মুখেই বলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। আসুন দেশকে ভালোবাসি, দেশের সংস্কৃতিকে ভালোবাসি।

আমাদের ফেইসবুক ফ্যান পেইজঃ

http://www.facebook.com/lorokbd

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৪

বিলুপ্ত বৃশ্চিক বলেছেন: সুপার্ব.......প্রিয়তে :)

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৮

জিসান শা ইকরাম বলেছেন: দারুণ পোস্ট। মার্বেল খেলার কথাটায় ছোট বেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৭

মোহাইমিনুল ইসলাম বাঁধন বলেছেন: জটিল জিনিস, আমি ভাই এই খেলা অনেক দেখছি, কিন্তু কখনো খেলি নাই। বুঝতেও পারতাম না। " ধুয়া-পুরা " নামে আরেকটা খেলা আছে, সেটাও মার্বেল দিয়ে খেলা হয়।

গলফের ব্যাপারে আমাদের " সিদ্দিকুর " ভাইরে মনে রাইখেন !

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৩

অণুজীব বলেছেন: ছোট বেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৮

ব্রেথ অব ফেট বলেছেন: +

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৯

লোরক বলেছেন: মন্তব্যটি করেছে আবু সাইফ ভাই (সোনার বাংলাদেশ ব্লগ থেকে নেয়া)

মার্বেল খেলা কেন নিষিদ্ধ/ মার্বেল খেলার সঠিক নিয়ম

দান হারতে হারতে 'ফতুর' (ফকির) হয়ে গেলে তো আর খেলা যায়না! তখন নতুনভাবে মার্বেল কিনতে পয়সা লাগে। দোকানে নতুন মার্বেল কেনার চেয়ে যে অনেক মার্বেল জিতে নিয়েছে তার কাছে কম দামে কেনা যায়! এভাবে যে বেশী জিততে পারে তার টু-পাইস কামাই হয়, আর যারা নিয়মিত হারতে থাকে তাদের টিফিনের পয়সাও চলে যায়- এমনকি বাপের পকেট মায়ের ব্যাগে হাত দেয়ার অভ্যাস তৈরী হয়ে যায়! আর একটু বড় হলে- যখন আর মার্বেল খেলার বয়স আর থাকেনা তখন শুরু হয় লুকিয়ে তাস খেলা। সেখানে তো আর মার্বেলের মত কার্ড জিতা নেয়া যায়না, তাই 'বোর্ড ফী' দিয়ে খেলার চর্চা শুরু হয়... এভাবে জুয়া খেলার অভ্যাস গড়ে ওঠে। আর এটার শুরু হয় শৈশবের মার্বেল খেলা দিয়ে!

যে কোনো ক্ষতিকর জিনিসকে অংকুরেই বিনষ্ট করতে হয়। বাড়ির কার্ণিশে বটগাছের চারা গজালে তা সৌন্দর্য দেয় মনে করে কিছুদিন রেখে দিলে, পরে যখন বড় হতে থাকে তখন হাজার বা উপড়ে ফেললেও সেটা নির্মূল হয়না যতক্ষণ ভবনের ঐ অংশ ভেংগে শিকড় তুলে ফেলে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই/প্লাস্টার না করা হয়। এমনকি শিকড় ঠিকমত তুলতে না পারলে ঐ সিমেন্ট প্লাস্টার/ঢালাই ফাটিয়ে আবার চারা গজায়! তেমনি শৈশবের মার্বেল খেলার মাধ্যমে জুয়া খেলার প্রশিক্ষণ দিয়ে পূর্ণবয়সে জুয়া খেলতে নিষেধ করা বা জুয়াখেলাকে মন্দ মনে করা চরম আত্মপ্রবঞ্চনা এবং স্ববিরোধিতা!


তবে কি এ খেলাটি একেবারেই নিষিদ্ধ????


না, কখ্‌খনোই তা নয়!


এবারে দেখুন নির্দোষভাবে খেলার নিয়ম- যেমনটা আমরা খেলেছি:-

আমাদের শৈশবে সে সময় ১০০টি মার্বেলের এক প্যাকেট কিনতে পাওয়া যেতো (হয়তো এখনো তাই)। কয়েকজনে মিলে, কিম্বা ক্লাবের পক্ষ থেকে মার্বেলের সেট কেনা হতো (আমাদের ক্লাবের ছোটদের বিভাগে ৫/৬সেট ছিল)। যারা খেলতে ইচ্ছুক তাদের মাঝে ওগুলো সমান সংখ্যায় ভাগ করে নেয়া হয়! এরপর দুটো প্রক্রিয়া ছিল- (১)দলগত ও (২)একক। খেলতে খেলতে একদলের সবাই ফতুর হয়ে গেলে অপর পক্ষ বিজয়ী, এবং এককভাবে একজন সবগুলো জিতে নিলে সে বিজয়ী হতো! এক গেম ওভার হলে দ্বিতীয় গেম! বেশী সংখ্যায় খেলোয়াড় হাজির থাকলে আলাদাভাবে খেলা হতো- এখানে এক গ্রুপ, ওখানে আরেক গ্রুপ! তবে সাধারণতঃ এক খেলায় খেলোয়াড় ৫/৬ জন হলে অনেক সময় খেলার চূড়ান্ত অবস্থায় যাবার আগেই ঐদিনের সময় শেষ হয়ে যেতো! পরদিন আবার আগের দিনের অবস্থা থেকে শুরু করা হতো! কিন্তু খেলার সময় পেরিয়ে গেলে আর খেলার অনুমতি ছিলনা! ক্লাবের বড়ভাইয়েরা যেমন এ ব্যাপারে খুব সজাগ ছিলেন, তেমনি অভিভাবকদেরও শাসন ছিল!

এলাকাভেদে বা ক্লাবের বেঁধে দেয়া নিয়মের কারণেও সামান্য কিছু পদ্ধতিগত পার্থক্য ছিলনা তা নয়! তবে যা বর্ণনা করা হয়েছে মোটামুটি সেটাই কমন!

এভাবে আমার খুব প্রিয় একটা খেলা ছিল মার্বেল। আমার নিজেরও একটা ছোট গ্রুপ ছিল পাড়ার কয়েকজনকে নিয়ে; আবার আমরা ভাইবোনেরা নিজেদের বাড়িতেই একসেট মার্বেল নিয়ে খেলতাম, যতদূর মনে পড়ে প্রথম সেটটি কোনো চাচা বা বড় চাচাতো ভাই কিনে দেয়াছিলেন কোনো এক ঈদের আগের দিন! আমিও আমার সন্তানদের মার্বেল কিনে দিয়েছেলাম- কিন্তু একটু বড় হতেই তারা ব্যাডমিন্টনে আগ্রহী হয়ে মার্বেল ছেড়েছে, আরো পরে ক্রিকেট জোয়ারে ব্যাডমিন্টনও ভেসে গেছে!

তাই লোরক এর কাছে বিনীত আবেদন- সকল দেশী খেলার সংরক্ষণ হোক নির্দোষ নিয়মে খেলার প্রশিক্ষণ গাইডসহ, এটা খুবই কাম্য- কিন্তু অবশ্যই সেটা যেন জুয়াখেলার শিশু-শিক্ষণের পাঠশালা না হয়!

দেশীয় সংস্কৃতি সংরক্ষণের নামে আমরা মূর্তিপূজারীদের চেয়েও বেশী পূজারী হয়ে পড়েছি এবং আমাদের নিজস্ব মুসলিম সংস্ক্ৃতিকে বিজাতীয় সংস্ক্ৃতির বেদীতে বলি দিয়ে চলেছি! সর্বনাশের এ পথ থেকে যত শীঘ্র আমরা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ফেরাতে পারি ততই মঙ্গল!

৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৫১

আশীষ কুমার বলেছেন: মার্বেল নিয়ে আরেকটা পোস্ট

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫২

লোরক বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। লোরক এর সাথে থাকুন এই ধরনের খেলা সম্পর্কে আরো জানতে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.