![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের মাঝে অনেক প্রতিভাবান ব্যক্তি রয়েছে। তারা যেন বিশ্বের সব কিছু জানেন। তারা খুশী, তারা বুদ্ধিমান, তাদের জীবন সবসময় আকর্ষণীয়। কীভাবে তাদের মতো নিজেকে উন্নত করতে পারবো? একমাত্র উত্তর, তা হলো বই পড়া। বেশিরভাগ মানুষই বলে যে, ওহ ! প্রতিদিন এতো বেশি কাজ করতে হয় ! বাড়ি ফিরে ঘুমতে চাই... বই পড়ার কি সময় আছে ?...হ্যাঁ হ্যাঁ আমিও বই পড়তে চাই কিন্তু......হাজার হাজার কারণ, অথবা অজুহাত! কোনোভাবেই বই পড়ার সময় বের হয় না।
"A reader lives a thousand lives before he dies, said Jojen. The man who never reads lives only one."
——George R.R. Martin
আসালে প্রতি সপ্তাহে একটি বই পড়া উচিত। এ সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তা পালন করা উচিত। কোনো অজুহাতেই তা বাদ দেয়া উচিত নয়। এভাবে ধীরে ধীরে অনেক কিছু জানতে পারবেন, যা নিজেকে চিনতে সাহায্য করবে।
প্রতি সপ্তাহে একটি বই ! এ ধারণা শুনে অনেক মানুষ আশ্চর্য হয়ে যায়। কিন্তু এ নিয়ম পালন করে তাকে অভ্যাসে পরিণত করুন, দেখবেন তা পালন করা কত সহজ।
এভাবে ধীরে ধীরে আপনার মাথায় অনেক মজার ধারণা তৈরি হবে। চিন্তার পদ্ধতিতেও বিপুল পরিবর্তন আসবে। তাহলে কেউ হয়তো জিজ্ঞেস করবেন, বই পড়লে সামাজিক যোগাযোগ ব্যহত হতে পারে। এটা একদমই ভুল ধারণা। কারণ আপনি প্রতিদিন বিকেলে বা সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন, প্রতিদিন অনেকগুলো সময় ফেসবুক, টুইটারে সময় দেন। তাতে কিন্তু আপনার সামাজিক জীবনে কোনো প্রভাব পড়ে না। তাই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুললেও তাতে কোনো বাড়তি ক্ষতি হবে না। অনেকে আবার ভয়ও পান। এক সপ্তাহে কি একটি বই পড়ে শেষ করা সম্ভব ? আসলে প্রতিদিন ৪০ পৃষ্ঠা করে পড়তে পারলে তা মোটেও কঠিন নয়। বড় বড় বই এক সপ্তাহে ঠিকই শেষ হয়ে যাবে। বাড়ি থেকে কাজে যাবার পথে, আপনি ২০ মিনিট সময় বই পড়ুন। কাজ শেষের পর বাড়ি ফেরার পথেও বই পড়তে পারে। ঘুমানোর আগে ২০ মিনিট বই পড়ে নিন। প্রতিদিনের নাস্তার মত বই পড়া একটি অভ্যাসে পরিণত হবে। যদিও ছুটির দিন ছাড়া আপনাকে অনেক বেশি কাজ করতে হয়, তারপরও প্রতিদিন ৪০ পৃষ্ঠা পড়ার বিষয়টি নেশায় পরিণত করলে তা আপনার জন্য অনেক সহজ হবে। চিন্তা করবেন না, আপনার হাতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনও অনেক সময় আছে। সকালে একটি সুন্দর শান্তিপূর্ণ কফি শপে বসে, এক কাপ কফি খেতে খেতে বই পড়ুন, আপনার জীবনে সুন্দর সময়গুলোকে উপভোগ করুন। বইয়ের মাধ্যমে হারিয়ে যান অন্য এক জগতে।
বেশি বই পড়লে মানুষ বুদ্ধিমান হয়। তার চিন্তাশক্তি খুলে যায়, মন
অনেক বড় হয়। আর বুদ্ধিমান মানুষ তার বুদ্ধি ও মেধা দিয়ে অর্থ- বিত্ত তৈরি করতে পারে। তাই
না? প্রতিদিন বই পড়ার শ্রেষ্ঠ সময় হলো সকাল! অনেক গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, সকালে মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সবচেয়ে ভালো থাকে। যদি সকালে সারা দিনের পরিকল্পনা করা, বই পড়ার কাজ শেষ করা, কিংবা অন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ করতে পারে, তাহলে সারা দিনের জন্যই তা বেশ সহায়ক হয়।
কখনো কখনো আমাদের মন বিরক্ত হয়ে ওঠে। কারণ যে বইটি আমরা পড়ছি তা খুবই কঠিন। ৪০ পৃষ্ঠা অনেক দূরহ বিষয় হয়ে ওঠে। এসব ক্ষেত্রে নিজের ওপর কোন চাপ নিবেন না। সাময়িকভাবে বইটি বন্ধ করুন। যখন মন ভাল হয়ে উঠবে তখন বইটি বের করুন, আবার কিছুটা পড়ুন। বন্ধুরা নিশ্চয়ই বিশ্বাস করেন যে, সুন্দর সুন্দর বই পড়ে আপনি হারিয়ে যেতে পারেন অন্য একটি জগতে। বই হলো মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। আপনি বিভিন্ন বিষয়ে বই পড়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারেন। নিজের মেধাকে শানিত করতে পারেন। নিজের মনোবল, বুদ্ধি, বিবেচনা শক্তি বাড়াতে পারেন। আপনি নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন, দেখবেন আপনি নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন দেখতে পারবেন, যা আগে থেকে কোনোভাবেই বোঝা সম্ভব না। বই আপনাকে বন্ধুর মতো পাশে থেকে আত্মবিশ্বাস ও শক্তি যোগাবে।
এক বছর, দুই বছর, এভাবে পাঁচ বছর পর, আপনি জানতে পারবেন যে, জ্ঞানশক্তিতে আপনি কতোটা বলীয়ান হয়ে উঠেছেন।
"A book is a dream that you hold in your hand."
——Neil Gaiman
©somewhere in net ltd.