নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোকিত আধারে

আমি নিরপেক্ষ নই সত্যের পক্ষে...................

আলোকিত আধারে › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় সিরিয়াল এবং আমাদের রুচিবোধ!

১৭ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

আমাদের রুচিবোধ দিন দিন

নিম্ন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এখন আমাদের দেশের মেয়েদের অনেকটা সময় কাটে ভারতীয় বস্তাপচা সিরিয়াল দেখে।

ভারতীয় টিভি চ্যানেলের মধ্যে স্টার

প্লাস, স্টার জলসা, জি বাংলা, মহুয়া বাংলা, জিটিভি, লাইফ ওকে, স্টার ওয়ান, সনি, জি স্মাইল, ইটিভি বাংলায় প্রচারিত সিরিয়ালের অধিপত্যে বাংলা স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। পরিবারের মা, বোন, বৌ, চাচিরা এখন টেলিভিশন বলতে শুধু সিরিয়ালই

বোঝেন। সারা দিন রিমোট হাতে এ

ধরনের ভারতীয় হিন্দি, বাংলা সিরিয়ালে বুঁদ হয়ে থাকেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব চ্যানেলে চলতে থাকে বিভিন্ন

নামের ধারাবাহিক টিভি সিরিয়াল।

কোনো কোনো সিরিয়াল আবার চলছে একটানা চার পাচ বছর যা গাজাখুরি কাহিনী ছাড়া অন্য কিছু নয়॥ আমাদের দেশে হিন্দি সিরিয়ালের যাত্রা শুরু হয় মূলত স্টার প্লাসে সম্প্রচারিত

‘সাসভি কাভি বাহু থি’ সিরিয়ালের

মাধ্যমে। সিরিয়ালটি অল্পদিনেই

জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর ‘কাহানী ঘার ঘার কি’, ‘কাসেটি জিন্দেগী কি’,ইত্যাদি সিরিয়াল গুলো দেশের

বিশেষ করে মহিলাদের নিকট অত্যন্ত

জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মহিলাদের নিকট এসব হিন্দি সিরিয়াল জনপ্রিয় হয়ে ওঠার

কারণ হলো, গৃহবধূদের সময় কাটানোর

একটি চমৎকার উপায়। সন্ধ্যা সাতটা থেকে শুরু হয়ে একটানা রাত বারটা পযর্ন্ত সম্প্রচার করা হয়। এইসব বস্তা পচা সিরিয়ালে উদ্ভট সব কাহিনী দেখানো হয়॥ যদিও হিন্দুধর্মে বিবাহ

বিচ্ছেদ নেই, তবুও হিন্দি সিরিয়ালে দেখানো হয় হিন্দু মেয়েরা কিভাবে পোশাক বদলানোর ন্যায় স্বামী বদলিয়ে থাকে। এক মহিলা প্রথমে একজন স্বামী গ্রহণ করে, তারপর তাকে তালাক দিয়ে অন্য স্বামী গ্রহণ করে, আবার দ্বিতীয় স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রথম যে ছিল তাকে ফের বিয়ে করে। সিরিয়ালে যে সব দৃশ্য সচরাচর দেখতে পাওয়া তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-অসম প্রেম, স্বামী-স্ত্রীর পরকীয়া,পারিবারিক ভাঙ্গন, বহু বিবাহ, বউ- শ্বাশুড়ীর ঝগড়া, সম্পত্তির কারণে ভাই-ভাই ঝগড়া, স্ত্রীর কূটনৈতিক চাল, ভুল বোঝাবুঝি, হিংসা, সন্দেহ, অশ্লীলতা,

আত্মীয়দের ছোট করা, অন্যকে বিপদে ফেলা। ভারতীয় সিরিয়ালে অহরহই

যে বিষয়টি দেখাচ্ছে তা হলো পরকীয়া।

প্রতিটি সিরিয়ালেই পরকীয়া হলো ঘটনার একটি মূল উপাদান। সিরিয়ালের

আরেকটি বাজে প্রভাব হলো এতে দেখানো ননদ-বৌ, কিংবা বৌ-

শ্বাশুড়ীর বিরোধ। বৌ-শ্বাশুড়ীর বিরোধ

আজকাল মহামারী আকার ধারণ

করেছে এদেশের মুসলমান নারীদের মন-

মগজে ভারতীয় সিরিয়ালের কুপ্রভাবের

কারণে। ভারতীয় সিরিয়ালে ভারতের

সংস্কৃতি প্রচার হবে এটাই স্বাভাবিক

তবে যা প্রদর্শিত হয় তার কিছুই

বাংলাদেশের মানুষের সংস্কৃতির

সাথে মেলে না। যেমন সিরিয়ালগুলোতে অতিমাত্রায় পূজা অর্চনা দেখানো হয়, আমার জানা নেই বাস্তবে ভারতের হিন্দুরা এত ধর্মপ্রাণ কীনা? আমাদের দেশে মুসলমানরা সংখ্যা গরিষ্ঠ। ভারতের সংস্কৃতিতে যেমন ধর্মের প্রভাব আছে আমাদের দেশের সংস্কৃতিতেও তাই। কিন্তু আমরা নিজেদের সংস্কৃতি অস্বীকার করে, পায়ে দলিত করে ভারতের সিরিয়ালের সংস্কৃতি নিচ্ছি। একসময় প্রচারিত star plus এ "পৃথ্বীরাজ চৌহান" সিরিয়ালের ভিলেন হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে মুসলিম বীর খোদ শিহাবুদ্দীন ঘোরি কে! “ছত্রপতি শিবাজী” সিরিয়ালে ভিলেন হিসাবে দেখানো হয়েছে বুযূর্গ ওলী এবং গোটা ভারতের বাদশাহ হযরত আলমগীর রহমতুল্লাহি আলাইহিকে। হিন্দুরা তাদের জন্ম থেকে উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে আসছে । এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ভারতের ইতিহাসে বিশেষত মুঘল ভারতের ইতিহাসে শিবাজী একজন ধূর্ত, শঠ, বিশ্বাস ভঙ্গকারী, চতুর সন্ত্রাসী মারাঠা আঞ্চলিক নেতা হিসাবে খ্যাত। তার সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালিত হয়েছিল ন্যায়পরায়ণ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে। প্রথম জীবনে শিবাজী বিজাপুরের অনেক দুর্গ করায়ত্ব করেছিলেন। তখন সুলতান ক্রুদ্ধ হয়ে দশ হাজার সৈন্যের এক বাহিনী প্রেরণ করলেন, সেনাপতি ছিলেন আফজল খাঁ। শিবাজী দেখলেন যে, প্রকাশ্য যুদ্ধে তিনি পারবেন না, তাই তিনি এক মতলব আঁটলেন; সন্ধির প্রস্তাব করে তিনি আফজল খাঁর সাথে সাক্ষাত করতে চাইলেন। দুইজনে সাক্ষাত হল। সাক্ষাতের সময় কোন পক্ষেই বেশী লোকজন ছিল না। সাক্ষাতকালে উভয়ে যখন উভয়কে আলিঙ্গন করছিলেন, সেই সময় শিবাজী তার পোশাকের নীচে লুকায়িত ‘বাঘনাখ’ নামক অস্ত্র দ্বারা হঠাৎ আফজল খাঁকে আক্রমণকরে তাকে হত্যা করলেন। এর ফলে আফজল খাঁর সেনাদল ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লো; তখন শিবাজী তাদেরকে আক্রমণ করে অনায়াসেই পরাজিত করলেন।”

(তথ্যসূত্রঃ পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলের পাঠ্য পুস্তক ‘ইতিহাস পরিচয়’-পৃষ্ঠা ১৪৮-৪৯)। সন্ধি বা কোন চুক্তি করার সময় শত্রু পক্ষকে হত্যা করা যুদ্ধের নীতি বিরোধী। কিন্তু শিবাজীর এ রকম বিশ্বাসঘাতকতা ইতিহাসে বিরল।

“ শিবাজির দস্যুতার দাপট ও ক্রুরতার হিংস্র প্রকাশ উপমহাদেশেরই এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলেও কি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল, তার চিত্র মেলে মারঠী বর্গিয় লুণ্ঠন বৃত্তিতে।”( তথ্যসূত্রঃ মধ্যবিত্ত সমাজের বিকাশ সংস্কৃতির রূপান্তর, পৃষ্ঠা ৩৭)॥

অথচ ভারতীয় সিরিয়ালে শিবাজীকে নায়ক হিসাবে আর মুসলমান শাসকদের

ভিলেন হিসাবে দেখিয়েছে। মুসলমানদের ঘরে যেসব শিশুরা আছে, তারা যদি এসব দেখে, শিশুদের কথা বাদই দিলাম, মুসলমানরাই যেখানে ইতিহাস জানে না, সেখানে এসব দেখে তারা কি শিখবে?

এসব ভারতীয় সিরিয়াল দেখার ফলে মানুষের মাঝে এখন

ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে কুসংস্কার

বিশ্বাস,তাছাড়া বাংলাদেশের

ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদির উপরও

সিরিয়ালের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বহু

বিবাহ ধারণা তো আছেই। কেউ কেউ

বলেছেন একমাত্র ভারতীয় সিরিয়ালের

কারণে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।

এমনকি স্কুল কলেজে কিশোর-তরুণীদের

আলোচনার বিষয় হিসেবে প্রাধান্য

পায় এই ভারতীয় সিরিয়াল। ভারতীয় সিরিয়ালগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ইসলামী মূল্যেবোধ পাল্টে দিচ্ছে অথবা তাদের উস্কে দিচ্ছে ইসলামী মূল্যেবোধের

বিপরীতে অবস্থান নিতে।



নাশনাল মিডিয়া সার্ভে সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশে টেলিভিশনের দর্শক ৯

কোটি ১২ লাখের মতো। এসব দর্শকের বয়স ১৫ বছরের ওপরে। যাদের বয়স ১৪ বছরের নিচে তাদের গোনা হয়নি। সে হিসাব নিলে দর্শক সংখ্যা ১১ কোটির

মতো হতে পারে। এ দর্শকেরা তাদের

প্রতি শত মিনিটের মাত্র ২০ মিনিট

বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল দেখেন।

এটি তারা দেখেন মূলত বিকেল

৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে। রাত

৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত

হিন্দি চ্যানেল গুলোর দর্শক বেশি থাকে।

বাকিটা তারা ব্যয় করেন হিন্দি চ্যানেলের পেছনে। এই দেশে ২৮০ টির মতো চ্যানেল দেখা যায॥ এর মধ্যে ৪৫ টির মতো চ্যানেল বাংলাদেশ কিনে দেখায়। এ সব চ্যানেলের প্রায় সবগুলোই ভারতীয়। বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল আমদানি করে থাকে দুইটি প্রধান প্রতিষ্ঠান। একটি মোহাম্মদী গ্রুপ। এর মালিক এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আনিসুল হক। অন্য পরিবেশক

বেঙ্গল গ্রুপ। অথচ বেঙ্গল গ্রুপ দেশীয়

সংস্কৃতি চর্চার কথা বলে ধানমন্ডিতে গড়ে তুলেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। এ দুইটি প্রতিষ্ঠান থেকেই মূলত ক্যাবল

টিভি ব্যবসায়ীরা পে চ্যানেলগুলো কিনে গ্রাহকদের মধ্যে সংযোগ দিয়ে থাকে। এ জন্য পরিবেশকদের গ্রাহক প্রতি চ্যানেলের জন্য আলাদা পেমেন্ট করতে হয়। বাংলাদেশে সব

মিলিয়ে বছরে অন্তত এক হাজার

কোটি টাকা এ খাত থেকে ভারত

চলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট

ব্যবসায়ীরা। ইদানীং প্রাণ সহ অনেক কোম্পানিই ভারতের চ্যানেল গুলোতে

বিজ্ঞাপন প্রচার করছে॥ শুধু ভারতীয় সিরিয়াল নয় ভারতীয় হিন্দি কার্টুন ও আমাদের দেশের জন্য ভাইরাস॥

বাচ্চারা কিছুদিন আগেও ডোরেমন দেখত!

খুবই মনোযোগ দিয়ে খাওয়া-দাওয়া বাদ

দিয়ে শুধু ডোরেমন দেখত।এক সময়

দেখতে দেখতে অবস্থা এমন

যে বাচ্চারা সব হিন্দি এক্সপার্ট

হয়ে গেল! এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৬৯ সালে জাপানে তৈরি হয় ‘ডরিমন'। বিদেশে জাপানি সংস্কৃতি প্রচারের লক্ষ্যে এটাকে ‘কার্টুনদূত’ ঘোষণা করেছে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমাদের সংস্কৃতি প্রচারের জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ আছে কী? চার থেকে ১০ বছরের শিশুরা পুরো দস্তুর হিন্দিতে কথা বলতে পারে। এটি হয়েছে তাদের প্রিয় কার্টুন ডোরেমন দেখে।

আমার ছোট খালার ঢাকার গুলশানের বাসায় গত বছর গিয়েছিলাম। অবাক করা বিষয় হলো আমার ছোট খালাতো বোন যে ক্লাস ওয়ানে পড়ে সে বাংলায় কথা বলতে পারে না। কথা বলে হিন্দি এবং ইংরেজিতে। শুনলাম ঢাকা শহরের অনেক বাচ্চারা নাকি বাংলা বলতে পারেনা, অতিরিক্ত হিন্দি এবং ইংরেজি কার্টুন দেখার ফলে। আর এইসব বাচ্চাদের ডোরেমনীয়

অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে শুরু হয়ে গেল বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ব্যবসা। ডোরেমন নামের চকলেট, স্কুল ব্যাগ, খেলনা এখনো বাজারে পাওয়া যায়॥

শেষ পর্যন্ত এমন ডোরেমনময় অবস্থায় সংসদ ও সরকার একটু নড়েচড়ে উঠলো। অবশেষে সরকারের হস্তক্ষেপে থামলো ডোরেমন আসক্তি।



ভারতীয় সিরিয়াল নিয়ে খবরের কাগজ গুলোতে অনেক লেখালেখি হয়েছে॥ যেমন -

[ ভারতীয়

সিরিয়ালগুলো ভাঁড়ামি পুর্ন

প্রথম আলো, ২৪ অক্টোবর,২০১৩]



[ভারতীয় সিরিয়াল ধ্বংস

করে দিচ্ছে আপনার জীবন।

এইমাত্র.কম ১৫ জানুয়ারী ২০১৪]



[ ভারতীয় সিরিয়াল: এক

বিশেষ বিস্ময়কর দৃশ্য দেখে বলছি। সময়ের কন্ঠস্মর ২৮/০৪/২০১৪]



[ভারতীয় নাটকের সিরিয়াল দেখে শিশুদের নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া যাবে না। কক্সবাজার সময়, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪]



[ভারতীয় সিরিয়ালের যে সূক্ষ চালে ধ্বংস হচ্ছে আপনার জীবন! নতুন খবর, ২৮ জানুয়ারি ২০১৪।]



[ভারতীয় সিরিয়াল এর প্রভাব। সময় নিউজ ২৪. কম ১৯ মার্চ, ২০১৩।]



[ভারতীয় সিরিয়াল দেখতে না দেওয়ায় কিশোরীর আত্মহত্যা। প্রিয়. কম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩।]



[অশান্তির ভাইরাস 'হিন্দি সিরিয়াল' - আমার দেশ, ৯ জানুয়ারী ২০১৪।]



এতো লেখালেখির পরেও সরকারের এইসব সিরিয়ালের চ্যানেল বন্ধ করতে কোনো ভুমিকা নেই॥ যদিও ভারতে আমাদের দেশিও চ্যানেল চলতে দেয়না।

ভারতে স্যাটেলাইট

টিভি দেখাতে হলে প্রথমে তথ্য

কমিশনে আবেদন করতে হয়। এরপর সেখানে অফিস ও প্রতিনিধি দেখাতে হয়। প্রতিনিধির কাছে অন্তত ১ কোটি রুপির সম্পত্তি দেখাতে হয়। এরপর কেবল অপারেটরকে টাকা দিয়ে চ্যানেল

দেখাতে হয়।

বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশন

সম্প্রচার নীতিমালা ১৯৯৮ নামে একটি আইন থাকলেও সে আইনটি নতুন

করে সংশোধনের কথা চলছে দীর্ঘদিন

ধরে। ২০১১ সালের মার্চ মাসে এই

সংক্রান্ত একটি খসড়া তৈরি করা হয়

এবং তা শিগগিরই আইনে পরিণত

করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি আইনে পরিণত হয়নি।



কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে , এসব ভারতীয় চ্যানেল

দেখে আমাদের পরিবার ও

ছেলেমেয়েরা প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা নিচ্ছে? আমাদের ধর্মীয় মুল্যবোধ , ভাষা,

সংস্কৃতি, পোষাক পরিচ্ছদ ইত্যাদি এসব চ্যানেলের অনুষ্ঠানের প্রভাবে হুমকীর মুখে। ভারতীয় টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান

দেখতে দেখতে ছোট ছোট ছেলে-

মেয়েরা পর্যন্ত হিন্দী ভাষা রব্দ

করে ফেলেছে, আগ্রহ বাড়ছে বিদেশী কাপচোপড় ও পণ্য ব্যবহারের প্রতি। বাংলাদেশে এসব হিন্দি সিরিয়ালের বিস্ময়কর সাফল্য দেখে বেশ কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু সুযোগ সন্ধানী নাট্য পরিচলক বৃন্দ হুবহু এসব সিরিয়ালে কপি-পেস্টের একটি মহা উৎসবে মেতে উঠেছে। সিরিয়ালের গল্প,সংলাপ,ক্যামেরার কাজ,অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিব্যক্তি,মেকআপ,সেট ডিজাইন,কস্টিউম মোট কথা ভারতীয় সিরিয়ালের হুবহু নকল করে,এসব সুযোগ সন্ধানী পরিচালকবৃন্দ এদেশে কিছু সিরিয়াল নির্মাণ করেছে। [ যেমন বাংলা ভিশনে প্রচারিত, গুলশান এভিনিউ ] এইসব সিরিয়াল ছোট ছোট গল্পকে অযথা টেনে টেনে দীর্ঘ করে তোলার এক অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছু না। খামোখা কারণে পরিবারে কোন স্থুলো জটিলতা সৃষ্টি দিয়ে কাহিনী শুরু করে সেই জটিলতাকে টেনে নিয়ে যাওয়া। খামোখা কারণে অকারণে একই অভিব্যক্তির ওপর বার বার একই শটের ক্লান্তিকর বিন্যাস।

এখনই আমাদের সচেতন হতে হবে এবং এইসব সিরিয়ালের চ্যানেল গুলো বয়কট করতে হবে, না হলে বাংলাদেশি মুসলিম জাতি হিসাবে একদিন আমাদের এর জন্য চরম মুল্য দিতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.