![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিন্দুরা অনেক দেব দেবির পুজা করলেও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে হিন্দুদের কেবল মাত্র এক জন ইশ্বরের উপাসনা করতে বলা হয়েছে॥ বেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তাঁর মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই । আরও আছে “তিনি একজন তাঁরই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)। “একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ তিনি একজন
তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ
১;২;৩) । “এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।
হিন্দু ধর্মে মুর্তি পুজা করতে নিষেধ করা হয়েছে॥ ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ - [ যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে শুধু তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে। ]
ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ -
[ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]
যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ –
[ অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির
পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জি
ত হয়। তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত
হয় শাম মুর্তির পুজা করে । অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন- বাতাস,পানি,আগুন । শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন - চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি ইত্যাদি।]
যেহেতু হিন্দু ধর্ম প্রাচীন ধর্ম, এবং সবার
বেদ,গীতা পড়ার অধিকার ছিল না তাই
সেই সময়কার কিছু ঋষি মুনির কারনে মুর্তি পুজোর উদ্ভব হয়েছে । ডা. চমনলাল গৌতম তাঁর বিষ্ণুরহস্য বই এর ১৪৯ পৃষ্ঠায়
লিখেছেন-‘ঋষিগন মুর্তি পুজার প্রচলন
করেছেন॥ খ্রিষ্টীয় ৭ম শতাব্দী হতে বাংলায় কিছু কিছু অঞ্চলে কালী পূজা শুরু হয়॥১৭৬৮ সালে রচিত কাশীনাথের কালী সপর্যাসবিধি গ্রন্থে দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালীপূজার বিধান পাওয়া যায়। [তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া]
"তান্ত্রিক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশকে বাংলায় কালীমূর্তি ও কালীপূজার প্রবর্তক মনে করা হয়।
( তথ্যসূত্রঃ হিন্দুদের দেবদেবী: উদ্ভব ও
ক্রমবিকাশ, তৃতীয় খণ্ড, হংসনারায়ণ
ভট্টাচার্য,কলকাতা, ২০০৭, পৃ.
২৮৫-৮৭)।"
হিন্দুদের বিদ্যার দেবী সরস্বতী। সরস্বতী শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থে 'সরস্+বতু'
স্ত্রী লিঙ্গে 'ঈ' প্রত্যয় যুক্ত যোগে 'সরস্বতী'।
'সতত রসে সমৃদ্ধা'। 'বীণা-রঞ্জিত পুস্তক
হস্তে' অর্থাৎ এক হাতে বীণা ও অন্য
হাতে পুস্তক। শিক্ষার্থীরা দেবী সরস্বতীর
পূজা বেশি করে। পাঁচ হাজার বছর আগে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো নগরে দেবী সরস্বতীর পূজা হতো। বৌদ্ধ সরস্বতীর তিন মুখ ও ছয় হাত। বৌদ্ধ জগতে বাগ্মীশ্বর মঞ্জুশ্রীর শক্তি সরস্বতী।
সাধনমালা নামে বৌদ্ধতন্ত্রে মহাসরস্বতী,
বজ্রবীণা সরস্বতী, বজ্রসারদা ও আর্য
সরস্বতীর ধ্যান আছে। এছাড়া জৈন ধর্মের উত্তর সম্প্রদায়ের মন্দিরে সরস্বতী ও অন্যান্য দেবীর মূর্তি আছে। ডক্টর বিনয় তোষ ভট্টাচার্যের মতে, বাংলার এই
জনপ্রিয় দেবী বৌদ্ধতন্ত্রের সৃষ্টি।
" ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে আছে দূর্গা পূজার
প্রথম প্রবর্তক কৃষ্ণ, দ্বিতীয় বার
দূর্গা পূজা করেন স্বয়ং ব্রহ্মা॥ ভাগবত পুরান অনুসারে জানা যায় যে ব্রহ্মার মানস পুত্র মনু ক্ষীরোধ সাগরের তীরে দূর্গার আরাধনা করে বর লাভে সফল
হন। ( তথ্যসূত্রঃ হরিপদ ভৌমিক, নতুন বাংলার মুখ পত্রিকা,অক্টোবর ২০০৭,
পৃ. ১৬৩-৬৪)।"
"মূল বাল্মীকির রামায়ণে দূর্গা পূজার কোন অস্থিত্ব নাই। মোগল যুগের কবি তুলসীদাসের ''রামচিতমানস''।সেখানেও রাম কর্ত্তৃক দুর্গা পূজার কোন উল্লেখ নেই। মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি কৃত্তিবাস ওঝা সংস্কৃত রামায়ণ বাংলা করার সময় মূল রামায়ণের বাইরের তৎলালীন সমাজে প্রচলিত অনেক গল্প
বাংলা রামায়ণে ইচ্ছাকৃত ভাবে ঢুকিয়েছেন। তাঁর এই অনুবাদকৃত রামায়ণ পরিচিত পায় কৃত্তিবাসী রামায়ণ নামে। সেখানে তিনি কালিকা পুরাণের
ঘটনা অনুসরণে ব্রহ্মার পরামর্শে রামের দূর্গা পূজা করার কথা উল্লেখ করেছেন।
( তথ্যসূত্রঃ রামায়ণ কৃত্তিবাস বিরচিত, ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় লিখিত ভূমিকা সম্বলিত, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, ১৯৫৭ সংস্করণ)"
" ১৭৪২ সালে মারাঠা বর্গিরা যখন ভাস্কর পণ্ডিতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ
আক্রমণ করেছিল, তখন তারাও কাটোয়ার কাছে দাইহাটায় দুর্গাপূজা করেছিল। আরেকটি সূত্রে জানা যায় যে,কলকাতায় সাবর্ণ রায় চৌধুরীর পরিবার ১৬১০ সালে সপরিবারে দুর্গা পুজার প্রচলন করেন। [তথ্যসূত্রঃপূজা- বিজ্ঞান, স্বামী প্রমেয়ানন্দ, কলকাতা, ১৯৯৯,পৃষ্ঠা ৪৩-৪৪]"
ঘটা করে দূর্গা পূজার ইতিহাস খুব
বেশি দিন আগের কথা নয়। কখন
থেকে ঘটা করে এই পূজা চালু হলো
তা নিয়ে পরিষ্কার বিশ্বাসযোগ্য
ঐতিহাসিক কোন প্রমান পাওয়া যায়
না। বাংলাদেশের সাতক্ষীরার কলারোয়ার ১৮ শতকের মঠবাড়িয়ার নবরত্ন মন্দিরে (১৭৬৭) দূর্গা পূজা হত বলে লোকমুখে শোনা যায়। [ তথ্যসূত্রঃ দৈনিক পত্রদূত, সাতক্ষীরা। ]
কারো মতে ১৫০০ খ্রীষ্টাব্দের শেষের দিকে দিনাজপুরের জমিদার প্রথম দূর্গা পূজা করেন, আবার কারো মতে প্রথম দূর্গা পূজা আয়োজন করেন তাহেরপুরের রাজা কংস নারায়ন ১৪৮০
খ্রীষ্টাব্দে ৮৮৭ বঙ্গাব্দের শরৎকালে। অনেকে মনে করেন ১৬০৬
নদিয়ার ভবনানন্দ মজুমদার দূর্গা পূজার
প্রবর্তক। রাজা হরিনাথ ১৮৩২ সালে বারোইয়ারের এই পূজা কলকাতায় পরিচিত করান। পরে তাদের
দেখাদেখি আস্তে আস্তে তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে হিন্দু বাঙ্গালী জমিদারদের কাছে।
এই রকম বিভিন্ন ভাবে হিন্দুদের বিভিন্ন
দেব দেবীদের পুজা করার প্রচলন শুরু হয়॥ আল্লাহ তায়ালা যুগে মানব জাতির মাঝে নবী রাসুল পাঠিয়েছেন সঠিক পথে চলার জন্য, কিন্তু মানুষ আল্লাহর সঠিক পথকে ভুলে গিয়ে মানব সৃষ্ট দেব দেবীর পুজা করা শুরু করে॥
" কোরআনের সূরা ইউনুসের ৪৮
নং আয়াতে বলা আছে “ওয়ালি কুল্লি উম্মাতির রাসুলুন। অর্থ- প্রত্যেক জাতীর জন্যই রয়েছে রাসুল। সূরা ফাতির ২৫
নং আয়াতে বলা আছে “ওয়া ইম্মিল
উম্মাতি ইল্লা খালাফিহা নাজির।
অর্থ- এমন কোন জাতি নেই যার
কাছে সতর্ককারী আগমন করে নাই।
সূরা রাদ ৮ নং আয়াতে বলা আছেঃ ওয়া লিকুল্লে কাওমিন হাদ- অর্থাৎ প্রত্যেক জাতির জন্য হাদী বা পথ প্রদর্শক রয়েছে। তাই এই সব বর্ণনা থেকে জানা যায় যে,
বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন যুগে সতর্ককারী, পথ প্রদর্শক রুপে নবী রাসুল আগমন করেছেন।"
আল্লাহ তায়ালা শুধু মানুষ নয় জ্বিন জাতির মধ্যে ও নবী পাঠিয়েছেন। মানুষের আগে এই পৃথিবীতে জ্বিন জাতি ছিলো এবং এখনো আছে॥ কুরআনের ৭২তম সুরা 'আল জ্বিন' এ শুধু
জ্বিনদের নিয়ে কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া সূরা আন নাস এর শেষ
অংশে জিন জাতির কথা উল্লেখ আছে।
কুরআনে আরো বলা আছে হযরত মুহাম্মদ (সা) কে জ্বিন এবং মানবজাতির
নবী হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
"অবশ্যই আমি মানুষকে ছাঁচে ঢালা শুকনো ঠনঠনে মাটি থেকে পয়দা করেছি, আর (হ্যাঁ,) জ্বিন! তাকে তো আমি আগেই আগুনের উত্তপ্ত শিখা থেকে সৃষ্টি করেছি। (সূরা আল হিজর, আয়াত ২৬-২৭)"
" মানুষ জ্বিনদের নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম।
কেননা এ বিশেষ অলৌকিক
ক্ষমতা কেবল সুলায়মান (আ)-কে প্রদান
করা হয়েছিল। এমতাবস্থায় আছর
বা আকস্মিক ঘটনা ব্যতীত অধিকাংশ সময় জ্বিনদের সঙ্গে যোগাযোগ সাধারণত
ধর্মদ্রোহী ও নিষিদ্ধ কর্মকান্ড সম্পাদনের মাধ্যমে করা হয়।[ তথ্যসূত্রঃ ইবনে তাইমিয়ার রচনা,ঢাকা,তাওহীদ পাবলিকেশন, ১৯৮৯ পৃ. ২১]।"
এবার আমরা খুব সহজেই বুঝলাম জ্বিন জাতি ছিলো এবং একসময় মানুষ পাপি জ্বিনদের পুজা করতো। এই পৃথিবীর অনেক দেব দেবী ছিল পাপি জ্বিন এবং মানুষ তাদেরকে পুজা করতো।
আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারছি যে প্রত্যেক যুগেই মানুষ এবং জ্বিনদের উপর নবী রাসুল এবং কিতাব প্রেরন হয়েছিল॥ কিন্তু যুগে মানুষ সত্য ধর্ম ইসলাম ভুলে দেব দেবীদের পুজা অর্চনা চালু করে।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, "আর তারা বলল,তোমরা কোন
অবস্থাতেই তোমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ কর না, আর ওদ্দা, সূয়া, ইয়াগুছ, ইয়াউক ও নাসরাকে কক্ষনই পরিত্যাগ কর না। আর তারা তো অনেককেই গোমরাহ করেছে। (সূরা নূহ, আয়াত : ২৩ ও ২৪)।"
নূহ (আ) কওমের লোকজন যখন
তারা মৃত্যুমুখে পতিত হন তখন শয়তান
তাদের গোপনে কুমন্ত্রনা দেয় যে তারা যে সমস্ত স্থানে বসত সেখানে তাদের মূর্তি বানিয়ে রাখ, আর ঐ মূর্তিদেরকে তাদের নামেই পরিচিত কর। তখন তারা তাই করল, কিন্তু তখনও তাদের ইবাদত শুরু হয়নি। তারপর যখন ঐ যামানার লোকেরা ও মারা গেল, তখন তাদের পরের যামানার লোকেরা ভূলে গেল যে,
কেন ঐ মূর্তিগুলির সৃষ্টি করা হয়েছিল। তখনই তাদের পুজা শুরু হয়ে গেল। (তথ্যসূত্রঃ ফতহুল বারী - ৬/৭ পৃষ্ঠা)।
এই ঘটনা হতে এটাই বোঝা যায়
যে এইভাবে মূর্তি এবং পরবর্তীতে দেব দেবীর পুজার প্রচলন হয়॥ পুর্বে নবী রাসুলদের উপর নাজিল করা বিভিন্ন কিতাব বিভিন্ন ভাবে মানুষ বিকৃত করেছে॥ আপনারা লেখার শুরুতেই পড়েছেন যে, হিন্দুদের বেদ এবং গীতায় পুজা করতে বারন করা হয়েছে॥ হতে পারে বেদ এবং গীতা একসময় আল্লাহর কিতাব ছিলো যা পরবর্তীতে মানুষ বিকৃত করেছে॥ এই বিষয়ে মাওলানা মহিউদ্দিন খান সম্পাদিত পত্রিকায় বলা হয়েছে,
"সহজেই প্রতীয়মান হয় যে, তৌরাত
ও ইঞ্জিলের মতই গীতা, বেদ ও পুরাণও
আল্লাহ পাকের নাজিল কৃত কিতাব
বা সহীফা ছিল এবং ঐ গুলি ঐ
যামানার নবী ও রাসুলগণের উপর আল্লাহ্ পাকের তরফ থেকেই নাজিল হয়েছিল ( তথ্যসূত্রঃমাসিক মদীনা পত্রিকা ডিসেম্বর ১৯৮৯)।"
"দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মোহাম্মদ কাসেম নানুতবী (র), কৃষ্ণ
এবং রামচন্দ্রকে সত্য নবী বলেছেন॥"
মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান কোরআনের তাফসিরে লিখেছেন,"স্মরণ রাখা উচিত যে, কৃষ্ণ আল্লাহর এক প্রিয় ও সৎপথ প্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন এবং নিজ যুগ ও জাতীর জন্য খোদার পক্ষ থেকে সতর্ককারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন॥ ( তথ্যসূত্রঃতফসীরে ওয়াহিদী)।"
" মাওলানা সোলায়মান নদভী ভারতের রামচন্দ্র, কৃষ্ণ এবং বুদ্ধকে নবীরুপে স্বীকার করেছে (সীরাত মুবারক, ১৯৮২)।"
"বেদের সকল ঋষিই পয়গম্বর॥ (তথ্যসূত্রঃ মুফতি মোহাম্মদ শফি তফসীর
মা’রেফুল কোরআনে, ৩য় খন্ড )।"
এইভাবেই মুলতো সত্য ধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে যুগে যুগে মানুষ বিভিন্ন দেব দেবীর পুজা চালু করে,যা মানব সৃষ্ট।
২| ২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯
আলোকিত আধারে বলেছেন: ধন্যবাদ, কুকরা ।
৩| ২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
তাহের চৌধুরী সুমন বলেছেন: তথ্য গুলো আগে থেকেই আমার কম বেশি জানা ছিলো। ভালো হল রেফারন্স সহ পাওয়ায়, অনেককেই দেওয়া যাবে।
ব্লগটা সংগ্রহে রাখলাম।
ধন্যবাদ।
৪| ২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০
ভারসাম্য বলেছেন: সংগ্রহে রইল। +++
৫| ২৩ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
নেবুলাস বলেছেন: সংগ্রেহ রাখলাম।
৬| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩২
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
++++ পোষ্ট
৭| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:০২
মুদ্দাকির বলেছেন: পড়ব !!
৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
ইমরান আশফাক বলেছেন: হিন্দু ধর্মে পুজার প্রচলন কিভাবে? গীতা, বেদ কি আল্লাহর নাযিল কৃত কিতাব?
জোর সম্ভাবনা আছে তবে আল্লাহৎ পাক ভালো জানেন।
৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৫২
শাহানা বুলবুল বলেছেন: Allah knows all what is right.
১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৭
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: তিনবার কমেন্ট টাইপ করে সেন্ড করার আগেই রিফ্রেশ হয়ে পেইজন নতুন করে আসছে এবং আমার কমেন্ট মুছে যাচ্ছে, এটা কেমন কথা?
টাইপ করতে কষ্ট হয়, কর্তপক্ষ কি সেটা জানেনা? ছোট খাটো কমেন্ট করা যায় কিন্তু দীর্ঘ কমেন্ট করতে গেলে পেইজ আপনা আপনি রিফ্রেশ হয়ে লেখা মুছে যাচ্ছে/
১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৩
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: সকল ধর্মে কিছু ব্যাবসায়ী ধার্মিক আছেন,যারা ধর্মকে নিজেদের অাওতাধীন করে রাখতে ভালোবাসেন যেন তা সাধারণ ধার্মিকের বোধের বাইরে থাকে ,তাতে তারা ধর্মকে নিজেদের মত ব্যখ্যা করে বিশেষ সুবিধা নিয়ে থাকেন এবং ধর্মীয় যে কোন জিজ্ঞাসায় সাধারণরা যেন তাদের দ্বারস্থ হন এইভাবেই ধর্রমের পন্ডিৎরা যুগ যুগ ধরে সমাজের নিজেদের ধর্মীয় ভাবে প্রয়োজনীয় করে রাখতেই এমন করে থাকেন। এটা সকল ধর্মেই বিদ্যমান। এইভাবেই ধর্মের মুল গ্রন্থ্য গুলো যুগ যুগ ধরে মানুষ থেকে দুরেই রয়ে গেছে। হিন্দু ধর্মের ভগবত গীতা এমনিই একটা ধর্ম গ্রন্থ্য যা এই ধর্মের বিশেষ ব্যক্তি বর্গ ব্যতিত অন্য কেই পাঠ বা ব্যখ্যা করতে পারেননা বা দেয়া হয়না।বলা হয়ে থাকে একটা বিশেষ বর্ণ গোত্র কিংবা পন্ডিৎ ব্যতিত ইহা স্পর্শ পাঠ পাপ টেনে আনবে।
এমন বিষয় গুলো আমাদের ইসলাম ধর্মে ব্যপক ভাবেই ঘটছে, আমরাই ছোট কালে এবং কি এখনও শুনে থাকি কথিক মাওলানা মৌলভীদের মুখে যে আপনারা কোরাণ শরীফের অর্থ সহ পড়ে লাভ নেই আপনারা বুঝবেনা বরং নিজের অজ্ঞতার কারনে যদি একটু ভুল ব্যখা বা ভুল পাঠ করে আর্থের ভিন্নতা প্রকাশ পায় তাহলে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে।সুতরাং কোরাণএর অর্থ সহ পড়ে পাপের ভাগী না হয়ে শুধু মুখস্ত পড়ে খতম করে দোজাহানের কামিয়াবী হাসিল করুন। মনে রাখবেন আল্লাহ বলছে প্রতি হরফ (আরবী অক্ষর) নেকি দিবেন,বাংলা অক্ষরের কথা বলেনি, এইভাবে অনেক সোয়াবের মালিক হবেন বেহেস্তে হুর পরি নাচা নাচি দেখবেন ,ইত্যাদি ইত্যাদি।
আসলে কি তাই?
সুরা ইউসুফের ২ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন- আমি ইহাকে আরবী ভাষায় অবতির্ণ করেছি যেন তোমরা (আরব বাসীরা) বুঝতে পারো,
একই কথা আল্লাহ কোরাণ শরীফে আরো এক সুরায় বলেছেন, সুতরাং এটা ষ্পষ্ট যে কোরান শরীফ বুঝার বিষয়,কখনোৈ ইহাকে মুখস্ত তেলাওয়াতএ সীমাবদ্ধ হতে পারেনা।আমার মাথায় আসেনা কিভাবে কোরাণের মত একটা মানব জীবন সংবিধান অন্য ভাষায় মুখস্ত পড়ে মানুষ শুধু মাত্র সওয়াবের কথা ভাবে। এই কোরাণ শরীফ শত শত বছর ধরে আমাদের মত ভিন্ন ভাষার মানুষ গুলো থেকে বহু দুরে দুর্বোধ্য হয়েই থেকেছিলো, কোন মাওলানা মৌলভী ইহাকে ভাষান্তর বা অনুবাদের বিশেষ জোর দেননি, শেষ পর্যন্ত অন্য ধর্মের মানুষ এসে ইহাকে বাংলা অনুবাদ করেন এবং আমরা অনেক অজানা জানতে পারছি,ধর্মীয় নেতারা এটা কি মুসলিম সমাজে নিজেদের প্রয়জনীয়তা গুরুত্ব অব্যহত রাখতেই করেনী? আমার মনে প্রশ্ন জাগে।
আজকে যদি সবাই সকল ধর্ম গ্রন্থ গুলো নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করতো নিজেদের ভাষায় পড়তে পারতো আগ থেকেই তাহলে নিঃসন্দেহে ধর্মে ধর্মে দুরত্ব কমে আসতো,কারণ সকল ধর্মেই ভালো দিক আছে, আছে সকল ধর্ম গ্রন্থের স্বাদৃশ্যাতা।কারণ ধর্ম গ্রন্থ গুলো আল্লাহ কর্তৃক সৃষ্ট যা শয়তান রূপী মানুষ গুলোৈ নিজেদের প্রয়জনে ভুল ব্যখা করে তার বিকৃতি করেন।
সুরা ইমরানের ৬৪ নাম্বার আয়াতেই আল্লাহ নবী কে বলতে বলেছেন বিধর্মিদেরকে - " বলুন ঃ হে আহলে কিতাব গন,একটি বিষয়ের দিকে আস-যা আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সমান- যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদত করবোনা,তার সাথে কোন শরীক সাব্যস্ত করবোনা,এবং এক মাত্র আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে পালনকর্তা বানাবোনা,তারপর যদি তারা স্বীকার না করে তাহলে বলে দাও যে, সাক্ষী থাক আমরাতো অনুগত"
এইভাবে সকল ধর্ম গ্রন্থ্যের ভালো দিক গুলো নিয়ে আল্লাহ নিজেই সমঝতা করতে বলেছেন একে অন্যের সাথে যা আমরা জানিনা কোন ধর্মে কোন দিক গুলো মিল আছে।আর এভাবেই আজকে পৃথিবীতে ধর্মের বোৈষম্যতা দিন দিন বেড়েই চলছে।
আল্লাহ সবাইকে ধর্ম গ্রন্থ্য গুলো নিজ নিজ পড়ে বুঝার তোৈফিক দান করুন
১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২০
বিজন শররমা বলেছেন: মোলভী সাহেবেরা যে বলে থাকেন, "কোরাণ শরীফের অর্থ সহ পড়ে লাভ নেই আপনারা বুঝবেনা বরং নিজের অজ্ঞতার কারনে যদি একটু ভুল ব্যখা বা ভুল পাঠ করে আর্থের ভিন্নতা প্রকাশ পায় তাহলে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে।সুতরাং কোরাণএর অর্থ সহ পড়ে পাপের ভাগী না হয়ে শুধু মুখস্ত পড়ে খতম করে দোজাহানের কামিয়াবী হাসিল করুন।" এটাই ঠিক কথা । বাংলা না পড়ে যদি মারমাডুকে পিকথল এর মতন মানুষের করা ইংরেজী অনুবাদ পড়েন তাহলে সহজেই সব বুঝবেন, তবে আপনার বিরাট পরিবর্তন হবে । এই পরিবর্তনই বিশাসী মানুষকে আলী সিনা বা আবুল কাসেম বানায় । তাই মৌলভী সাহেবরা ঠিকই বলতেন ।
১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮
রায়হান কাবীর রাফি বলেছেন: আমি বলতে চাই যে, যারা ধর্ম গ্রন্থ গুলকে বিকৃত করছে তারা, অন্য দের কে ভুল পথ ধরে হাটতে বাধ্য করছেন এবং মানুষ না জেনেই অনেক ভুল কাজ ও ভুল পথে এ চলে গেছে,
তাতে কি আল্লাহ্ কিছুই করছেন না, কেনই বা তিনি এর জন্য তাদেরকে শাস্তি দিবেনন না।
আল্লাহতালা বলেছেন যে,"তিনি নিজে তার ধর্ম গ্রন্থের রক্ষক। "
তবে কিভাবে অন্য ধর্ম গ্রন্থ গুল বিকৃত হল, যদি তা আল্লাহ্ এর পেরনকৃতই গ্রন্থ হয়,
এবং এও বলা হল যে,
,
"দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মোহাম্মদ কাসেম নানুতবী (র), কৃষ্ণ
এবং রামচন্দ্রকে সত্য নবী বলেছেন॥"
,
মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান কোরআনের তাফসিরে লিখেছেন,"স্মরণ রাখা উচিত যে, কৃষ্ণ আল্লাহর এক প্রিয় ও সৎপথ প্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন এবং নিজ যুগ ও জাতীর জন্য খোদার পক্ষ থেকে সতর্ককারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন॥ ( তথ্যসূত্রঃতফসীরে ওয়াহিদী)।"
,
" মাওলানা সোলায়মান নদভী ভারতের রামচন্দ্র, কৃষ্ণ এবং বুদ্ধকে নবীরুপে স্বীকার করেছে (সীরাত মুবারক, ১৯৮২)।"
"বেদের সকল ঋষিই পয়গম্বর॥ (তথ্যসূত্রঃ মুফতি মোহাম্মদ শফি তফসীর
মা’রেফুল কোরআনে, ৩য় খন্ড )।"
,
তবে কেন আল্লাহতালা হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ ও অন্য গ্রন্থ গুলার হেফাজত করছেন না।।।।।।
,
উত্তর চাই,,,,,।।।।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫১
কুকরা বলেছেন: সংগ্রহে রাখার মত পোষ্ট