নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোকিত আধারে

আমি নিরপেক্ষ নই সত্যের পক্ষে...................

আলোকিত আধারে › বিস্তারিত পোস্টঃ

এতো লজ্জা রাখি কোথায়?

০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩২

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রায়

প্রতিদিনই সীমান্তে খুন করে যাচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিকদের। সিমান্তের এপারের আর ওপারের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আছে। সুখ-দুঃখের আদান-প্রদান আছে। উৎসবে খাদ্য সামগ্রির বিনিময় আছে। বৈবাহিক সম্পর্ক আছে। দেশ দু'টি হলেও ভাষার মিল আছে। কিন্তু ভারতীয় সীমান্তরক্ষী ঘাতক বাহিনী বি এস এফ এর কাছে এসবের কোন মূল্য নেই।



"ইন্ডিয়া’স গ্রেট ওয়াল—দ্য ওয়ার্ল্ডস

ডেডলিয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয় ২০০৯ সালের ২৩ জুলাই। চ্যানেল ফোরের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন রাগম্যানের

প্রায় সাড়ে আট মিনিটের এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তিনি দেখিয়েছেন যে,বেশি দুর্ভোগ এবং বিপদের শিকার হচ্ছেন সীমান্ত এলাকার সাধারণ কৃষক এবং তাঁদের পরিবার গুলো। চাষাবাদের কাজ করার সময় বি এস এফের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন অথবা গুলি খেয়ে বেঁচে গেছেন এ রকম বেশ কিছু গ্রামবাসীর সাক্ষাৎকার

রয়েছে ওই প্রতিবেদনে। অভিন্ন নদীর

প্রবাহে সীমান্ত বিভাজন হয়েছে এ

রকম তিস্তার এক অংশে নৌকায়

বাংলাদেশি নারীদের একটি দলকে পাচারের দৃশ্যও তাঁর প্রতিবেদনে রয়েছে।

সীমান্তে যে প্রায় দুই হাজার মাইল জুড়ে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি হচ্ছিল, তার পাশ ধরে লোকজনের চলাচল

এবং সীমান্তরক্ষীদের সতর্ক নজরদারি ওসব জনপদের মানুষের জীবনযাত্রায় যে কী ধরনের ছন্দপতন এবং সমস্যা ঘটিয়েছে, তার প্রতিফলন আছে জোনাথনের প্রতিবেদনে। (তথ্যসূত্র India’s great wall – the world’s

deadliest frontier Thursday 23 Jul 2009)



২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি কুড়িগ্রামের

ফুলবাড়ী সীমান্তে নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় ১৫ বছরের শিশু

ফেলানিকে। শুধু তাই নয় ফেলানির লাশ কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখে ঘাতক বি এস এফ॥



ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী (বিএসএফ)’র

হাতে ২০১২ সালে যশোরের

বেনাপোল সীমান্তে নিহত হয়েছে ৫

বাংলাদেশি। এ সময় তাদের হাতে নির্যাতনে মহিলাসহ ২০ জন আহত

হয়। শতাধিক গরু ব্যবসায়ী মৃত্যুর দুয়ার

থেকে ফিরে এসেছেন। (তথ্যসূত্র: ৩ জানুয়ারি, নিউজ বিডি.নেট)



বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তের

বিপরীতে ভারতের আংরাইল সিমান্তে

ভোর রাতে সিরাজুল ইসলাম নামে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করে বিএসএফ। ( তথ্যসূত্র: ১৯ মে, ২০১৪,ইত্তেফাক )



" According to the report 'Trigger Happy' by Human Rights Watch - এর রিপোর্টে, এই শতকের প্রথম ১০

বছরে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের

নির্বিচার গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছেন

এক হাজারের মতো বাংলাদেশি,

তার মানে গড়ে প্রতি বছর ১০০ জন

অর্থাৎ প্রতি সাড়ে তিন দিনে একজন

করে বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।



বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তেই ২০০৭

থেকে ২০১০ পর্যন্ত বি,এস,এফ এর

গুলিতে মারা যায় ৩১৫ জন

বাংলাদেশী। (তথ্যসূত্র: হিউম্যান

রাইটস ওয়াচ)।



এই না হলে আমাদের বন্ধু দেশ ভারত॥ ভারতের কারণে আমাদের যুব সমাজ আজ হুমকির মুখে।

" ভারতের সীমান্ত এলাকায় ৩৯৬টি ফেনসিডিলের কারখানা রয়েছে। (তথ্যসূত্র: ৩০ সেপ্টেম্বর,২০১৩,প্রথম আলো)।

বছরে ৩ কোটি বোতল ভারতীয়

ফেনসিডিল বাংলাদেশে ঢুকছে।

মাদকের আন্ডারওয়ার্ল্ডে এর বাজার

মূল্য প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা।

তবে প্রকৃতপক্ষে এ বিপুল পরিমাণ

ফেনসিডিল চোরাচালানে অন্তত

১৫০০ কোটি টাকা লেনদেন

হচ্ছে কালোবাজারে।



বিজিবির সদর দফতরের হিসাব

অনুযায়ী বিগত ২০১৩ সালে বিজিবি কর্তৃক উদ্ধারকৃত অবৈধ নেশা জাতীয় দ্রব্যের মধ্যে ভারত থেকে পাচার

হয়ে আসা ৫,৩২,১৪১টি ফেন্সিডিল বোতল,মিয়ানমার থেকে আসা ১০,৮২,৫৪৮টি ইয়াবা ট্যাবলেট,

১,৮৩,৪৪২ বোতল বিদেশি মদ, ৬,৪৮৭ লিটার দেশীয় মদ, ১৩,৮১৩ ক্যান বিয়ার, ৫,৪৩৮ কেজি গাঁজা এবং ৩৪.৭৮১ কেজি হেরোইন রয়েছে। ভারতের পাশাপাশি আমাদের আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার ও আমাদের ভালোভাবে বাশ দিচ্ছে।



মায়ানমার থেকে প্রতিদিন কেবল

বাংলাদেশেই প্রায় ৩০ লাখ পিস

ইয়াবা পাচার হয়। আর এজন্য মায়ানমার- বাংলাদেশ সীমান্তে মায়ানমারের আটটি সংগঠন

গড়ে তুলেছে ৩৭টি ইয়াবা কারখানা।( তথ্যসূত্র: ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ বাংলা নিউজ ২৪)।

মুখোশধারী চোরাচালানীদের হাত

দিয়ে এসব মাদক পৌঁছে যাচ্ছে দেশের

অলিতে গলিতে। ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। অত্যাচারের এখানেই শেষ নয়॥ গত ২৮ মে সকালে বিজিবির সদস্যরা বাংলাদেশ সীমান্তের নাইয়াংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের ৫২ নম্বর পিলারের কাছে পাইনছড়ি এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় মিয়ানমারের ১ নম্বর সেক্টরের

ভেন্ডুলা বিজিপি (বর্ডার গার্ড পুলিশ) ফাঁড়ির সীমান্তরীরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ করে গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবি সদস্য নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন। সে অবস্থায়ই মিয়ানমার সীমান্ত বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায়।

গত শনিবার বিকেলে মিজানুরের লাশ

ফেরত দেয় মিয়ানমার। তাছাড়া মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনী মাঝে মাঝেই বাংলাদেশি জেলেদের আপহরণ করে॥

:



মিয়ানমারের মতে দেশও আমাদের গুনে না। এতো লজ্জা রাখি কোথায়?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪০

মাইরালা বলেছেন: তাহলে যে হাম্বারা বলে ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ?
হাম্বারা কি ভুল বলে?
:D :D :D :P :P :P

২| ০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৬

নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: একে বারে মনের কথা বলেছেন।


প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ

৩| ০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

আলোকিত আধারে বলেছেন: ভারত আমাদের বাশ দেওয়া বন্ধু ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.