![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের স্বাধীনতা তথা ১৯৭১ নিয়ে কিছু মানুষ ইসলাম ও ইসলাম পন্থীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা এবং কিছু সুশীল সমাজ পরোক্ষ ভাবে বলতে চান, ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছি পাকিস্তানের জুলুমের বিরুদ্ধে নয়, ইসলামের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে এ দেশের লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন ধর্ম নিরপেক্ষবাদ কায়েমের জন্য। তথাকথিত সুশীল নামের কিছু ব্যক্তি যে মিথ্যার ঝুলি সাজিয়েছেন তার কোনো তুলনা হয় না। নবম দশম শ্রেনির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা বইয়ের "সামরিক শাসনও পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ (১৯৭৫-১৯৯০) অধ্যায়ের ২০২ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে "জেনারেল এরশাদ সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম বলে ঘোষণা করেন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে তিনি ইসলামপন্থী দলগুলোর সমর্থন লাভের চেষ্টা করেন। মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এরশাদ এই সংশোধনী আনেন। বলার অপেক্ষা রাখে না ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।"
শুধু তাই নয়, "রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও সংবিধানের প্রথমে বিসমিল্লাহ লেখা হবে এটা জানলে মুক্তিযুদ্ধ করতাম না বলে মন্তব্য করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত। (তথ্যসূত্র: ২৭/১২/২০১৩ দৈনিক আমার দেশ।)"
এই দেশের কিছু সাধারণ মানুষ এবং তথাকথিত সুশীল মনে করে ইসলাম ধর্ম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরস্পর বিরোধী॥ শুধু তাই নয় এই দেশের সিনেমা গুলোতে শুধু দাড়ি টুপি পড়া মানুষদের রাজাকার হিসাবে দেখানো হয়! " আরবী শব্দ রি'দাকার থেকে মূলত রাজাকার / রেজাকার শব্দটির উৎপত্তি। এর
অর্থ স্বেচ্ছাসেবক (স্বেচ্ছায়
যারা কাজ করেন)। [তথ্যসূত্র: ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক, শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী, ২০০২,বাংলা একাডেমী - পৃ: ১০২৯।]
১৯৭১ জামায়াতে ইসলামীর দাড়ি টুপিওয়ালা কিছু লোক মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী তথা রাজাকার ছিল॥ "একাত্তরে পাকিস্তান সরকারের অনুপ্রেরণায়
ইসলামী ছাত্রসংঘ (আইজেটি)
হয়ে ওঠে জামায়াতে ইসলামীর মূল
শক্তি। আর্মির সহায়তায় এরা আলবদর ও আলশামস নামে দুটি প্যারামিলিটারি
ইউনিট গঠন করে বাঙালি গেরিলাদের
সঙ্গে লড়াই করার জন্য। ইসলামী ছাত্রসংঘের তখনকার নাজিম-ই আলা (প্রধান) মতিউর রহমান নিজামী আলবদর ও আলশামস বাহিনী গঠন করেন। (তথ্যসূত্র:আজাদুর রহমান চন্দন, একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, দ্বিতীয় সংস্করণ ২০১১)"
তাছাড়া "রেজাকার বাহিনী কোরআন ছুঁয়ে শপথ নিতেন, "I shall bear true allegiance to the constitution
of Pakistan as framed by law and shall defend Pakistan, if necessary, with my life."
অর্থাৎ, "আমি আইনের
মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের
সংবিধানের প্রতি সত্যিকার আনুগত্য
প্রদর্শন করব এবং জীবন দিয়ে হলেও
পাকিস্তানকে রক্ষা করব।"
( তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
ইতিহাস - ড: মোহাম্মদ হান্নান)॥"
তাই সহজেই বোঝা যায় ১৯৭১ এ জামায়াতের কিছু দাড়ি টুপি পড়া মানুষ ইসলামের অপব্যাখা করে রাজাকার বাহিনী গঠন করেছিলো। কিছু দাড়ি টুপি পড়া মানুষ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ছিল তার মানে কিন্তু এই নয় যে দেশের সব মুসলিম মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ছিল। ১৯৭১ এ যদি অধিকাংশ মুসলিম মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী থাকতো তাহলে এই দেশ কোনোদিন স্বাধীন হতো না। ১৯৭১ এ মুক্তিযোদ্ধারা রণাঙ্গণে যাবার আগে আল্লাহর কাছে সালাত আদায়ান্তে মুনাজাত করে রওনা হয়েছেন। সাংবাদিক শাকের হোসাইন শিবলি সহস্রাধিক পৃষ্ঠার একটি বই লিখেছেন। বহুল প্রশংসিত সেই বইটির নাম ‘আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে’। এ বইয়ের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াইয়ের ইতিহাস। এ চেতনায় শত শত আলেমের অস্ত্র তুলে নেবার রোমাঞ্চকর ইতিবৃত্ত। বইটির প্রকাশনা উৎসবে আমন্ত্রিত দেশের প্রবীণ সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধারা সেদিন স্পষ্ট বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ইসলামের কোনো বিরোধ নেই। ঢালাও ভাবে আলেমদের কিংবা টুপি-দাড়ি দেখলেই রাজাকার বলা স্বাধীনতার চেতনা নয়। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ এ ৭ মার্চ যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে তাঁর শেষ উক্তি ছিল, ‘এদেশের মানুষকে মুক্ত করেই ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।’ এই ‘ইনশাআল্লাহ’ শব্দের মধ্যেও তাঁর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও ভরসার চেতনা ফুটে ওঠে। তাঁর বক্তব্য থেকেই বুঝা যায় মুক্তিযুদ্ধ কখনোই ইসলামের বিপক্ষের যুদ্ধ নয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় আওয়ামীলিগের অনেক নেতা বলে দাড়ি টুপি পড়া লোক মানেই রাজাকার। বিশ্বের শীর্ষ আলিমগণও ১৯৭১ এর যুদ্ধকে জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের বৈধ ও উচিত লড়াই বলে আখ্যায়িত করেছেন। পাকিস্তানের বিশ্বখ্যাত আলেম সাবেক বিচারপতি মুফতি তাকী উসমানীর বিশ্বভ্রমণ কাহিনীর বই ‘জাহানে দীদাহ’–এর বাংলাদেশ ভ্রমণ অংশে এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামিক স্কলার ড. ইউসুফ আল-কার যাবীর ভ্রমণ কাহিনীর বাংলাদেশ অধ্যায়েও এ সত্যের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে। তাঁরা সবাই মুক্তিযুদ্ধকে জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ বলেই আখ্যায়িত করেছেন।
১৯৭১ এ যুদ্ধ ছিল মুসলিম চেতনার স্বাধীনতার যুদ্ধ। শুধু ইসলামকে ভালোবেসে ১৯৭১ হাজার হাজার আলেম ওলামা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন এবং শহীদ হয়েছেন। জামায়াতের কিছু কুলাংগারের জন্য সব দাড়ি টুপিওয়ালাদের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বলাটা কোনো ভাবেই উচিত নয়॥
২| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
আলোকিত আধারে বলেছেন: পংবাড়ি, নাস্তিক্যবাদ বেজন্মাদের ভুল ধারণার ট্রেডিশন।
৩| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০৩
পংবাড়ী বলেছেন: বেজন্মা কাকে বলে ডোডো?
শালার মোল্লারা রাজাকার হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা হয়নি, ঠিক আছে মগজ হীন!
৪| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৫
রাহাত লতিফ তৌসিফ বলেছেন: পংবাড়ি সম্ভবত হিন্দু।
ছ্যার ছ্যার করে লেদায় বেরানো হাম্বাগুলার কাজ ।
৫| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:০৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: "১৯৭১ এ যুদ্ধ ছিল মুসলিম চেতনার স্বাধীনতার যুদ্ধ" - মাথা ঠিক আছে?
৬| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৭
পংবাড়ী বলেছেন:
@রাহাত লতিফ তৌসিফ ,
আমি হিন্দু নই; হিন্দুত্ব হলো ভারতের মানুষদের 'ভুল ট্রেডিশন' ইসলাম হলো 'আরবদের ভুল ট্রেডিশন'; আপনার যেটা ভালো লাগে সেটা করুন।
৭| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
রানার ব্লগ বলেছেন: উত্তিজিত কিছু আবাংগাল !!! আরব আর পাকি দের পেছেন চেটে জারা অভস্ত তারা এর থেকে বেশি কি বলবে।
৮| ০৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
আলোকিত আধারে বলেছেন: ১৯৭১ এ কতজন হিন্দু মুক্তিযুদ্ধ করেছিল জানতে চাই॥
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
পংবাড়ী বলেছেন: মুক্তিযু্দ্ধে আমি একজন মাদ্রাসার ছাত্র দেখেছিলাম ১ নং সেক্ররে, ২২ হাজারে একজন।
ইসলাম আরবদের ভুল ধারণার ট্রেডিশন।