নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোকিত আধারে

আমি নিরপেক্ষ নই সত্যের পক্ষে...................

আলোকিত আধারে › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে নারী এবং পুরুষ সমান হলে, নারীদের পর্দা করতে হবে কেন?

২৫ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

ইসলাম পূর্ব আরবে নারীর অবস্থান ছিল ঘরের অন্যান্য ব্যবহারিক আসবাবপত্রের মতো। অনেক পিতা অসম্মানের হেতু হিসেবে তার শিশু কন্যাকে জীবন্ত কবর

দিত। ইসলাম নারীকে ওপরে উঠিয়েছে।

দিয়েছে তাদেরকে সমতা এবং প্রত্যাশা।

ইসলাম নারীর মর্যাদাকে ওপরে উঠিয়েছে এবং নিশ্চিত করেছে তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে। ইসলাম নারীর মর্যাদাকে সংরক্ষণ করতে চায়। মানুষ সাধারণত পর্দা নিয়ে আলোচনা করে নারীদের ক্ষেত্রে। অথচ আল কুরআনে আল্লাহ তা’আলা নারীর পর্দার আগে পুরুষের পর্দার কথা বলেছেন। সূরা নূরে বলা হয়েছে -

"বলো! বিশ্বাসী পুরুষদেরকে- তারা যেন

তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের

শালীনতা রক্ষা করে। এটা তাদেরকে আরো পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন (মানসিকতার) করে তুলবে, আর আল্লাহ কিন্তু সেই সব কিছুই জানেন যা তোমরা করো।

(২৪:৩০)"



যে মুহুর্তে কোনো পুরুষ একজন নারীর

দিকে তাকাবে- লজ্জাকর অশ্লীল চিন্তা তার মনে এসে যেতে পারে। কাজেই তার দৃষ্টি অবনত রাখাই তার জন্য কল্যাণকর। সূরা নূরের পরবর্তী আয়াতে বলা হয়েছে -"এবং বলো, বিশ্বাসী নারীদেরকে- তারা তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহের সযত্ন সংরক্ষণ করে এবং তাদের দৈহীক সৌন্দর্য ও অলংকারের প্রদর্শনী না করে। তবে অনিবার্য্য ভাবে যা উন্মুক্ত থাকে।

তারা যেন তাদের বক্ষের ওপরে চাদর

ঝুলিয়ে দেয় এবং প্রদর্শন না করে তাদের

সৌন্দর্য, তাদের স্বামী তাদের

পিতা তাদের স্বামীর পিতা (শশুর)

এবং সন্তানদের ছাড়া। (২৪:৩১)"



কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী হিজাব পালনের

ছয়টি শর্ত।



১.প্রথম শর্ত হলো দেহের সীমানা যা যতটুকু-অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে। নারী ও পুরুষের জন্য এটা ভিন্ন ভিন্ন। পুরুষের জন্য ঢেকে রাখার বাধ্যতামূলক পরিসীমা তার দেহের নুন্যতম নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত। নারীর জন্য এই পরিসীমা আরো বিস্তৃত- কব্জী পর্যন্ত হাত এবং মুখমন্ডল ছাড়া বাদবাকি শরীরের সকল অংশ ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক। তারা যদি চায় তাহলে তা-ও আবৃত করে নিতে পারে। ইসলামের বিশেষজ্ঞ আলেমগণের অনেকেই হাত ও মুখমন্ডলকেও বাধ্যতামূলক ঢেকে রাখার অংশ মনে করেন। বাদবাকি পাঁচটি শর্ত নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে একই রকম প্রযোজ্য।



২. পরিধেয় পোষাক ডিলেডালা হতে হবে।

যেন দেহের মূল কাঠামো প্রকাশ না পায়।



৩. পরিধেয় কাপড় এতটা পাতলা ও স্বচ্ছ

হতে পারবেনা যাতে ভেতরটা দেখা যায়।



৪. পোশাক এতটা আকর্ষণীয় জাকজমকপূর্ণ হতে পারবে না যাতে বিপরীত লিঙ্গ আকর্ষিত হয়।



৫. পোশাক এমন হতে পারবে না যা বিপরীত লিঙ্গের পোশাকের মতো বা সমরুপ।



৬. পোশাক এমন হতে পারবে না দেখতে অবিশ্বাসীদের মতো। তাদের এমন কোনো পোশাক পরা উচিৎ নয় যা বিশেষভাবে পরিচিত এবং চিহ্নিত অন্য ধর্মাবলম্বীদের

(যারা মূলত অবিশ্বাসী)।



শুধু তাই নয় আচার-আচারণ ও হিজাবের অন্তর্ভুক্ত ॥ নৈতিক চরিত্র, আচার-আচারণ,অভিব্যক্তি এবং লক্ষ উদ্দেশ্যকেও একিভূত করে। একজন ব্যক্তি সে যদিও শুধু কাপড়- চোপড়ে হিজাব পালন করে তাহলে সে ‘হিজাব’ পালক করলো ন্যূনতম পর্যায়ের। পোশাকের পর্দা পালনের সাথে সাথে চোখের পর্দা, মনের পর্দা ,চিন্তা-ভাবনার

পর্দা এবং লক্ষ্য উদ্দেশ্যের পর্দাও থাকতে হবে। পর্দার সীমার মধ্যে আরো যা পড়ে, তা হলো- ব্যক্তির চলা, কথা বলা এবং তার সার্বিক আচরণ ইত্যাদি।



সূরা অহ্যাবে বলা হয়েছে -

"হে নবী! বলুন আপনার স্ত্রী ও কন্যাদেরকে এবং বিশ্বাসী নারীদেরকে যে,

তারা যেন তাদের বহিরাবরণ পরে থাকে (যখন বাইরে যাবে)। এটা তাদের পরিচিতির অত্যন্ত উপযোগী।

(তারা যেন পরিচিত হয়ে বিশ্বাসী-

নারী হিসাবে) তাহলে আর অহেতুক

উৎপিড়ীত হবে না। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল দয়াবান। (৩৩:৫৯)"। কুরআন বলছেঃ নারীকে পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে এই জন্য যে, তারা যেন রুচিশীলা পরিচ্ছন্ন নারী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। এবং এটা তাদেরকে লজ্জাকর উৎপীড়নের হাত থেকে রক্ষা করবে।



ধরা যাক দু’টি মেয়ে, উভয়ই অপূর্ব সুন্দরী,ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তাদের একজন পরেছে ইসলামী হিজাব। অর্থাৎ সম্পূর্ণ দেহ আবৃত। অন্যজন পরেছে পশ্চিমা পোশাক। শরীরের অধিকাংশ খোলা এবং প্রায় অর্ধ-উলঙ্গ। সামনেই এক মোড়ে আড্ডা দিচ্ছে এক দল যুবক। মেয়েদেরকে দেখে হৈ-হল্লা করা,

শীশ দেয়া আর বাগে পেলে উত্ত্যক্ত করাই

তাদের কাজ। এখন এই দুই বোনকে যেতে দেখে তারা কাকে উদ্দেশ্য করে হল্লা করবে ? শীশ দেবে ? যে মেয়েটি নিজেকে ঢেকে রেখেছে তাকে দেখে? না যে মেয়েটি প্রায় উদোম হয়ে আছে তাকে দেখে? খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাদের চোখ

যাবে যে কিনা দেখাতে চায় তার

দিকে। কার্যত এ ধরনের পোশাক বিপরীত

লিঙ্গের প্রতি 'যৌনতার নিরব আমন্ত্রণ'।

যে কারণে বিপরীত লিঙ্গ উত্তেজিত

হতে বাধ্য হয়। কুরআন যথার্থই

বলেছে- ‘হিজাব নারীদের উৎপীড়ন

থেকে রক্ষা করে’।



নারীকে মর্যাদা দেবার

পশ্চিমা সমাজের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।

নারী স্বাধীনতার পশ্চিমা শ্লোগান

একটি প্রকাশ্য প্রতারণা। তার দেহের

সৌন্দর্যকে খুলে খুলে ব্যবসা করার

একটি লোভনীয় ফাঁদ। তার আত্মার

অবমাননা এবং তার সম্মান ও

মর্যাদাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আর

প্রকাশ্য বাস্তবতা হলো তাদেরকে তাদের

সম্মানিত অবস্থান থেকে নামিয়ে উপপত্নী, রক্ষিতা এবং সৌখিন সমাজের

লালসা পূরনের জন্য উড়ন্ত প্রজাপতি বানিয়ে ছেড়েছে। ফলে তারা এখন বিলাসী পুরুষের নাগালের মধ্যে থাকা ভোগের পুতুল আর যৌন কারবারীদের ব্যবসায়ের সস্তা পণ্য। যা আড়াল করা হয়েছে শিল্প ও সংস্কৃতির



"১৯৯০ সালের এফবিআই-এর দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা আমেরিকা জুড়ে প্রতিদিন গড়ে ১৭৫৬ টি নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।"



"Worth magazine এর এক রিপোর্টে দেখা গেছে - আমেরিকায় প্রতি দুই মিনিটে একজন নারী ধর্ষিত হন॥

Every 2 minutes, another American is sexually assaulted.There is an average of 237,868 victims (age 12 or older) of sexual assault each year."



" আমেরিকায় প্রায় প্রতি পাঁচজনে নরীর একজনই জীবনে কোনো না কোনো সময়ে ধর্ষণের শিকার হন। মোটসংখ্যার দিক থেকে এটি প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ। ভুক্তভোগী এই নারীদের প্রায় অর্ধেকই ১৮ বছর বয়সের আগে যৌন নির্যতনের শিকার হন।হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন ভয়াবহ তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে গড়পড়তা সব শ্রেণীর নারী রয়েছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন ও আলাস্কার নারী ২৭ শতাংশ, হিস্পানিক নারী ১৫ শতাংশ, কৃষ্ণাঙ্গ নারী ২২ শতাংশও শ্বেতাঙ্গ নারী ১৯ শতাংশ। নির্যাতনের বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে তরুণ জনগোষ্ঠী। (নতুন বার্তা.কম, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৪)॥"



" ইন্ডিয়ান ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০১১ সালে ২৪,২০৬টি ধর্ষণের ঘটনা থানায় লিপিবদ্ধ করা হয়

(Rape fastest growing crime in India) According to the National Crime Records Bureau (NCRB), the number of rape casesregistered in India increased by a startling873.3 percent, from 2,487 in 1971 to 24,206 in 2011. In comparison, the murder cases increased by 250 percent over an even longer period, six decades, starting from 1953 to 2011."



আসলে এর চেয়ে অনেক বেশী নারী ধর্ষণ হয় এইসব অমুসলিম দেশে। প্রকৃত সংখ্যা কোনোভাবেই জানা সম্ভব নয়॥ একমাত্র ইসলামী অনুশাসন আর হিজাবই পারে নারীদের অসন্মানের হাত থেকে রক্ষা করতে॥ কাজেই ‘হিজাব’ নারীকে অপদস্ত করেনি বরং উপরে তুলে সম্মানের আসন দিয়েছে। আর সংরক্ষণ করেছে তার শালীনতা ও পবিত্রতা।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ধন্যবাদ।

শিরনাম দেখে বিভ্রান্ত হয়ে গিয়াছিলাম।

২| ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:২০

আলোকিত আধারে বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.