![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের অনেক গুলো খবরের কাগজে ছাপা হয়েছে এই খবর।
" ভারতে এবার ধর্ষণ প্রতিরোধে বিশেষ ধরনের ‘অ্যান্টি-রেপ’ জিন্সের প্যান্ট তৈরি করেছেন দুই কলেজ ছাত্রী।এই প্যান্টে ছোট একটি ডিজিটাল ডিভাইস থাকবে, যার বোতামে চাপ দিলে এটি কাছাকাছি থানায় সিগন্যাল পাঠিয়ে দেবে। আর এ সিগন্যাল দেখে পুলিশ বুঝে নেবে যে, কোনো নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরপর তারা সিগন্যাল ট্র্যাক করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে। আর এর ফলে কোনো নারী ধর্ষণের মতো যৌন নির্যাতনের হাত থেকে বেঁচে যাবেন। ভারতে পর্যায়ক্রমে ঘটে যাওয়া পাশবিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর ভারতের বারানসি শহরের ২১ বছর বয়সী দীক্ষা পাঠক ও ২৩ বছর বয়সী অঞ্জলি শ্রীবাস্তব বন্ধুদের সহযোগিতায় এ প্যান্ট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।তারা জানান, প্যান্টটিতে একটি ছোট ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এর বোতাম চাপ দেওয়া মাত্রই যন্ত্রটি নিকটবর্তী থানায় বার্তা পাঠাবে যেন পুলিশ দ্রুত স্থানটি ট্র্যাক করে ভুক্তভোগী নারীকে সহযোগিতা করতে পারে। প্রায় দুইশ থানা এ পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে।পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি সফল হলে আগামী মাসে দেশব্যাপী এই পদ্ধতি চালু করার সুযোগ পাবেন বলেও জানান তারা। প্রতি ২২ মিনিটে ভারতে একজন করে নারী ধর্ষণের শিকার হন। (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৮ জুন ২০১৪)
আসলেই কি এই ধরনের জিন্স প্যান্ট পরলেই ধর্ষণ কমে যাবে ভারতে? হয়তোবা আমাদের দেশেও অনেক মেয়ে ফ্যাশন করে এই ধরনের জিন্স প্যান্ট পড়বে!
ভারতে দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণ মানে জোর করে যৌন সংসর্গ স্থাপন - যদি না, মহিলা সংশ্লিষ্ট পুরুষটির বিবাহিতা স্ত্রী হন! অর্থাৎ
ভারতের আইনে ধর্ষণ মানে স্ত্রী ব্যতীত অন্য নারীর প্রতি বলপূর্বক যৌনসংসর্গ স্থাপন। অর্থাৎ, ভারতের আইনে ধর্ষণ মানেই নারীর প্রতি পুরুষের অপরাধ। ধর্ষণ মানে, নারীর প্রতি পুরুষের অন্যতম অপরাধ নয়। ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধন নিয়ে কেন্দ্র যে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে, তার অন্যতম কিন্তু ৩৭৫-৩৭৬ ধারা। কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব রয়েছে, ধর্ষণকে সর্বার্থেই তার লিঙ্গকেন্দ্রিকতা থেকে বার করে আনা হোক। কেন্দ্রীয় আইন কমিশন (১৭২তম) নিজেই এই প্রস্তাব রেখেছে। ‘ধর্ষণ’ শব্দটাকেই বাতিল করে ‘যৌন নিগ্রহ’ বলার প্রস্তাবও রয়েছে। এসব প্রস্তাব কার্যকর হবে কি না, সে কথা এখনই বলা যাচ্ছে না। কিন্তু তর্কবিতর্ক চালু আছে, থাকবে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর সাম্প্রতিক সমীক্ষায় ভারতে নথিভুক্ত অপরাধের তালিকায় পয়লা নম্বরে ধর্ষণ (২২৮৬৫০টি ঘটনা, ২০১১)। বিষয়টাকে দু’দিক থেকে দেখা যায়। এক, নথিভুক্ত অপরাধ যখন, তা দেশের আইন মেনেই নথিভুক্ত। সুতরাং অপরাধের বাস্তব সংখ্যাটা কত, সেটা আন্দাজ করার চেষ্টা করা যেতে পারে। ধর্ষণের বর্তমান সংজ্ঞা যদি আরও প্রসারিত হয়, তা হলে আরও কত শত যৌন নিপীড়নের ঘটনা যোগ হবে, সেটা ভাবুন। ভারতের বর্তমান আইনি কাঠামোতেই দেখা যাচ্ছে, অবস্থা কতটা ভয়াবহ। এই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং আমাদের সমাজে ধর্ষিতার বাস্তব সংকটের গভীরতার নিরিখে ধর্ষণের সংজ্ঞা বদলে দেওয়া মানে, বলা হচ্ছে, তার গুরুত্ব কমে যাওয়া। অনেকটা মুড়ি মিছরি এক করে ফেলার মতো। বলা হচ্ছে, নারী ধর্ষণের ঘটনার নিরিখে অন্যান্য উদাহরণ নেহাতই আণুবীক্ষণিক। সুতরাং তাই নিয়ে কথা বলা মানে মূল সমস্যা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়া। এখন প্রশ্ন হল, ধর্ষণের সংজ্ঞা সম্প্রসারিত হওয়া মানে ধর্ষণে শাস্তির পরিমাণ কমে যাওয়া তো নয়। তা হলে গুরুত্ব কমে যাওয়া বা নজর সরানোর কথা উঠছে কেন? কেন ধর্ষণকে আমরা আলাদা বন্ধনীতে না রেখে পারি না? কারণ আমাদের হাড়ে-মজ্জায় মিশে আছে একটাই ‘সত্য’ নারীর ‘ইজ্জত’ তার যোনিতে থাকে, পৌরুষের ‘ইজ্জত’ লিঙ্গে। এবং এই ধারণা থেকেই জিন্স প্যান্ট তৈরি। বিশ্বাস করি, নারীর ‘ইজ্জত’-এর ঠিকাদারি পুরুষের হাতে। কোনো পুরুষ যদি নারীর ‘ইজ্জত’ রক্ষা না করে উল্টো ধর্ষণ করে, তা হলে সেই কাপুরুষের হাতে‘চুড়ি’ পরিয়ে ফাসি দেওয়া উচিত! কিন্তু বাস্তবিক ভারতীয় সমাজ গোপনে ধর্ষণের আগ্রহ তৈরি করে দেয় ভারতীয় এবং বাংলাদেশের যুব সমাজের মধ্যে॥ বাস্তবিক ভারত হলো এই দুনিয়ার ধর্ষক তৈরির সবচেয়ে বড় কারখানা। তারা মেয়েদের শেখায় কিভাবে যৌন উত্তেকজক শরীর তৈরি করতে হয়, আর ঐ শরীর দিয়ে কিভাবে ছেলেদের আকৃষ্ট করতে হয়। তারা শিলা, চিকনি চামেলি, মুন্নিদের দেখিয়ে তাঁদের মেয়েদের বলে দেখ,দেখ শেখ কিভাবে বুক খোলা রাখতে হয়, ... দুলাইতে হয়,উলঙ্গ হতে হয়। আর ছেলেরা এইসব শিলা,পাগলু, লুংগি ড্যানস্,মুন্নি ও চামাক চাল্লু এইসব দেখে দেখে ক্ষুধার্ত হয়, এক সময় সহ্য করতে না পেরে মেয়েদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। ভারতে কত রকমের প্রতিযোগিতা হয়। এইসব প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শেখানো হচ্ছে কিভাবে বুক খোলা রাখতে হয়,পাছা কিভাবে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে দুলাইতে হয়? আরে আধুনিক হতে গেলেতো এইসব শিখতে হয়! বেহায়াপনা না শিখলে কি আধুনিক হওয়া যায়? এইসব দেখে দেখে শুধু ভারত নয় আমাদের মাঝেও বিকৃত মানসিকতা সৃষ্টি হয়॥
ধর্ষণ যারা করে তাদের অধিকাংশই বিকৃত মানসিকতার অধিকারি। আর ভারতে এমন সব বিকৃত ধর্ষণ হয় যা পশু পাখিকেও হার মানায়। (ছেলের হাতে মা ধর্ষণ - স্টারবিডিনিউজ২৪.কম, ২৪ জুন ২০১৪)। তাছাড়া বাবার হাতে মেয়ে আর ভাইয়ের হাতে বোন ধর্ষণের ঘটনা ভারতে অনেকবার ঘটেছে। এইসব ধর্ষণের খবর আমরা খবরের কাগজের মাধ্যমে জানতে পারি আবার খবরের কাগজ গুলো আমাদের ধর্ষণের ব্যাপারে সচেতন করে॥ আসলে কি তাই? আজকের (বাংলাদেশ প্রতিদিন) পত্রিকায় ৮ নম্বর পেজে 'সানি লিওনের' যে অশালীন ছবি ছেপেছে তা দেখলে যেকোনো মানুষের মাঝে ধর্ষণের চিন্তা মাথা চারাদিয়ে উঠবে। এইসব অশালীন ছবি ছাপিয়ে খবরের কাগজগুলো আমাদের কি শেখাতে চায়?
এইসব খবরের কাগজ কি শুধুই ব্যবসার উদ্দেশ্যে? এইসব পত্রিকার সম্পাদকরা আবার মাঝরাতে চ্যানেলে চ্যানেলে টকশো করে নিতিবাক্য ঝাড়েন। শুধু প্রযুক্তির জিন্স প্যান্ট দিয়ে কখনোই ধর্ষণের হার কমবে না - ধর্ষণ কমাতে কঠোর আইন এবং ধর্মীয় অনুশাসন প্রয়োজন।
২| ২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫০
পাগলাগরু বলেছেন: ধর্ষণ নিয়া টেনশনে আপনের দেখি ঘুম হইতাছেনা। চুলকায় নাকি?
৩| ২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
আলোকিত আধারে বলেছেন: পাগলা গরু!!!!!!! আপনিতো মানুষ না গরু!!!
আর গরু কি বোঝে ধর্ষণ??????
৪| ২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬
নতুন বলেছেন: আজকের (বাংলাদেশ প্রতিদিন) পত্রিকায় ৮ নম্বর পেজে 'সানি লিওনের' যে অশালীন ছবি ছেপেছে তা দেখলে যেকোনো মানুষের মাঝে ধর্ষণের চিন্তা মাথা চারাদিয়ে উঠবে।
এই ছবি দেইখা যদি ধষ`নের চিন্তা মাথা চারা দিয়ে উঠে তাইলে তো সমস্যা....
৫| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
আলোকিত আধারে বলেছেন: সমস্যা তো অবশ্যই ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩০
মাথা ঠান্ডা বলেছেন: সহমত।