![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ বলেন,আমি আমার বান্দাদেরকে ‘হানীফ’ অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ রূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর শয়তান তার পিছে লেগে তাকে আল্লাহর পথ থেকে দূরে নিয়ে যায়।( মুসলিম হা/২৮৬৫ ‘জান্নাতের বিবরণ’ অধ্যায়; আহমাদ হা/১৬৮৩৭)"
"রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন - ‘যে ব্যক্তি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলে ‘বিসমিল্লা-হি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লা-হি ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ’ তখন তার জন্য বলা হয়, তোমার জন্য যথেষ্ট হয়েছে, তুমি রক্ষা পেয়েছ এবং শয়তান তার থেকে দূরে সরে যায়’। (আবূদাঊদ হা/৫০৯৫; তিরমিযী হা/৩৪২৬ ‘দো‘আ’ অধ্যায়; ইবনু হিববান হা/২৩৭০; মিশকাত হা/২৪৪৩)"
অপর একটি হাদীছে এসেছ -
" শয়তানের কুমন্ত্রণা যদি তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে তুমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর,শয়তান যখনই মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করবে তখন আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘শয়তানের কুমন্ত্রণা যদি তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে তুমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ’ (আ‘রাফ ৭/২০০; ফুছছিলাত ৪১/৩৬)। শয়তান থেকে সব সময় আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে।
মানুষকে পথভ্রষ্ট করার জন্য শয়তান আল্লাহর সাথে চ্যালেঞ্জ করেছে। তাই সর্বদা সে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। সে তার প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পথ-পন্থা ও কৌশল অবলম্বন করে। শয়তান মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে। শয়তান ইসলামের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ও আল্লাহ সম্পর্কে মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে। আবু হুরায়রা (রা) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,‘ছাহাবাদের একদল লোক রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল যে, আমরা আমাদের অন্তরে কখনো এমন বিষয় অনুভব করি, যা মুখে উচ্চারণ করা আমাদের কাছে খুব কঠিন ঠেকে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, সত্যিই কি তোমরা এ রকম পেয়ে থাক? তারা বললেন, হ্যাঁ, আমরা এ রকম অনুভব করে থাকি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, এটি ঈমানের প্রকাশ্য প্রমাণ’। ( মুসলিম, ‘ঈমান‘ অধ্যায়)।
"রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেন,তোমাদের একজনের কাছে শয়তান এসে বলে,কে এটি সৃষ্টি করেছে? কে ঐটি সৃষ্টি করেছে? এক পর্যায়ে সে বলে, কে তোমার প্রতিপালককে সৃষ্টি করেছে? তোমাদের কারও অবস্থা এ রকম হ’লে সে যেনো শয়তানের কুমন্ত্রণা হ’তে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায় এবং এ রকম চিন্তা-ভাবনা করা হ’তে বিরত থাকে’। (বুখারী, ‘সৃষ্টির সূচনা’ অধ্যায়, ‘ইবলীস ও তার সৈন্যদের আলোচনা‘ অনুচ্ছেদ - হা/৩২৭৬; মুসলিম হা/১৩৪; মিশকাত হা/৬৫।)"
"অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘শয়তান আদম সন্তানের রক্তনালীতেও চলাচল করতে পারে। আমার আশংকা হ’ল, হয়তো শয়তান চলাচল করে তোমাদের মনে খারাপ ধারণা সৃষ্টি করে দেবে’। (বুখারী হা/২০৩৫ ‘ই‘তিক্বাদ’ অধ্যায়; মুসলিম হা/২১৭৫)"
আল্লাহর স্মরণ থেকে মানুষ যখন দূরে চলে যায়, তখন শয়তান তাদের বন্ধু হয়। ইসলাম মুসলিম জাতিকে জামা‘আত বদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কারণ একাকী থাকা শয়তানের কাজ। জামা‘আতে ছালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,যে গ্রামে বা প্রান্তরে তিনজন লোকও অবস্থান করে অথচ তারা জামা‘আত কায়েম করে ছালাত আদায় করে না, তাদের উপর শয়তান সওয়ার হয়ে যায়। কাজেই জামা‘আতের সাথে ছালাত পড়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য। কারণ দলত্যাগী বকরীকে বাঘে ধরে খায়। (আবূদাঊদ হা/৫৪৭;রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১০৭০;মিশকাত হা/১০৬৭)
সফর অবস্থায় জামা‘আতের সাথে থাকার কথা উল্লেখ করে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,"একজন সওয়ার হচ্ছে একটি শয়তান (শয়তানের মত), দু’জন সওয়ার দু’টি শয়তান, আর তিনজন সওয়ার হচ্ছে কাফেলা। (আবূদাঊদ হা/২৬০৭;তিরমিযী হা/১৬৭৪;মিশকাত হা/৯৫৯;রিয়াযুছ ছালেহীনহা/৩৯১০)"
"জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘রাত যখন আচ্ছন্ন হয় তখন তোমাদের শিশু-কিশোরদের ঘরে আটকে রাখবে। কারণ শয়তান এ সময়ে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর রাতের কিছু সময় পার হয়ে গেলে তাদেরকে ছেড়ে দিবে এবং দরজা বন্ধ করে আল্লাহর নাম নেবে। বাতি নিভিয়ে দিবে ও আল্লাহর নাম উচ্চারণ করবে। পান পাত্রের মুখ বেঁধে রাখবে ও আল্লাহর নাম উচ্চারণ করবে এবং পাত্র ঢেকে রাখবে ও আল্লাহর নাম উচ্চারণ করবে। তার উপর কিছু একটা ফেলে রেখে হ’লেও তা করবে’। (বুখারী, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, অনুঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ১মখন্ড, পৃঃ ১৫৭)"
পরিশেষে বলা যায়,শয়তান মানুষের আজন্ম শত্রু। তার কবল থেকে মুক্তি লাভের জন্য সকাল-সন্ধ্যা কুরআন তেলওয়াত করতে হবে এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বেশি বেশি আল্লাহর নাম নিতে হবে নিষ্ঠার সাথে। শয়তানের ধোকা থেকে বাচতে ঈমান আনার সাথে সাথে সৎকাজ করতে হবে এবং আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে, তাহ’লে শয়তানের অনিষ্ট থেকে মুক্ত থাকা যাবে। "আল্লাহ বলেন, ‘তার (শয়তানের) কোন আধিপত্য নেই তাদের উপর যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকের উপরই নির্ভর করে’ (সুরা নাহল ৯৯)।"।
আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে পরিত্রাণ লাভের তাওফীক্ব দিন-আমীন!
২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮
আলোকিত আধারে বলেছেন: আমীন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
মুদ্দাকির বলেছেন: আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে পরিত্রাণ লাভের তাওফীক্ব দিন-আমীন!