![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা হলো জাতির মেরুদণ্ড। দেশের বার্ষিক বাজেটের সবচেয়ে বড় বরাদ্দ দেয়া হয় এই শিক্ষা খাতেই। সেই শিক্ষা ব্যবস্থার অধঃপতন আজ কতটা ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছেছে, তার সঠিক উপলব্ধি আমরা এখনও করতে পারছি না,জানি না কবে করবো! পাবলিক পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়াটা এ দেশে নতুন নয়,খারাপ কাজে আমাদের মেধা যেভাবে খরচ করি, তাতে এই চর্চা নতুন হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ভাবনার কথা হলো ফাঁসের ঘটনা বাড়ছে। যদিও শিক্ষামন্ত্রী
সংসদে দাড়িয়ে বলেছেন," গত ৫ বছরে কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি।(২৬ জুন, ২০১৪ বাংলা নিউজ ২৪.কম)।" কথাটা কতবড় মিথ্যা এবং হাস্যকর ছিল তা সবারই জানা আছে॥ "আবার গতকাল শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রশ্ন ফাস রোধে- পাবলিক পরীক্ষার মধ্যে ছুটির দিন ছাড়া অন্য কোনো বন্ধ রাখা হবে না॥ (যায়যায় দিন,বৃহস্পতিবার, জুলাই ৩, ২০১৪)"
আসলেই কি বিরতিহীন পরীক্ষা নিলেই প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হবে। এবার একটা কৌতুক শোনা যাক -
"একবার স্বর্গের দেবতারা আর নরকের শয়তানেরা মিলে ক্রিকেট খেলবে বলে ঠিক করল। স্বর্গের দেবতারা খেলায় জিত নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী, কারণ সব ভালো ভালো ক্রিকেটাররা স্বর্গে তাদের সঙ্গেই আছেন। কিন্তু শয়তানদেরও এই নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত দেখা গেল না। তাদের নিশ্চিন্ত ভাবভঙ্গি দেখে এক দেবতা এক শয়তানকে ডেকে বলল, কী ব্যাপার, ভালো ভালো ব্যাটসম্যান তো সব আমাদের এখানে, কিন্তু তোমাদেরকে বিশেষ চিন্তিত মনে হচ্ছে না! শয়তান সঙ্গে সঙ্গে দাঁত বের করে শয়তানি হাসি দিয়ে বলল,তোমাদের যতই ব্যাটসম্যান থাকুক, আম্পায়ারগুলো তো সব আমাদের এখানে॥"
কিছু বোঝা গেলো? শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অসাধু কর্মকর্তা এবং কর্মচারী যারা প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত তাদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত (যদি একদিনে তিনটি পরীক্ষাও নেয়) তবু প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হবে না। অসাধু কর্মকর্তারা প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত॥ অনেক লোকের কাছে এটি লোভনীয় ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র সামাজিক যোগাযোগের নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ব্যবসা নিরপেক্ষ আনন্দের ভাগীদারও হচ্ছেন অনেকে। তো আবার একটা কৌতুক শোনা যাক -
" শিক্ষক তার ছাত্রীকে অংক শেখাচ্ছে। শিক্ষক : মনে কর তোমার কাছে ৫ টা গোলাপ আছে, আমি তোমাকে আরো ৫ টা দিলাম। তাহলে তোমার কাছে মোট গোলাপ থাকবে ১০ টি, এটা হল যোগ। - বুঝেছ? অনেক মজা না?
ছাত্রী : জ্বি ।
শিক্ষক : এবার ধর আমার কাছে ১০ টা চকলেট আছে, আমি তোমাকে ৮ টা দিয়ে দিলাম। আমার কাছে ২ টা থাকবে । এটা হল বিয়োগ।- বুঝেছ? অনেক মজা, তাই না?
ছাত্রী: জ্বি ।
শিক্ষক : এবার মনে কর, তুমি আমায় তিনটা চুমু দিলে, আর আমি তোমায় চুমু দিলাম ১২ বার । তাহলে মোট ৪ গুণ চুমু তুমি বেশি পেলে, এটা হল গুণ। বুঝেছ? অনেক মজা তাই না?
ছাত্রী : জ্বি ।
দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ছাত্রীর বাবা এতক্ষণ সব শুনছিল । ঘরে ঢুকে স্যারের ঘাড় ধরে দাড় করিয়ে দরজার কাছে নিয়ে গেল। তারপর তার পশ্চাদ্দেশে সজোরে লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে বলে, আর এটা হল 'ভাগ'। বুঝছস হারামজাদা!!
তাই যতো নিয়মই করা হোক না কেনো শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পশ্চাদ্দেশে সজোরে লাথি মেরে বিদায় না করলে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হবে না। কিন্তু ওই ফাঁস হওয়ার ব্যাপারটা যে আমাদের শিক্ষা-দর্শনের গলাতেই ফাঁস পরিয়ে এর দফারফা করছে, তা আমরা খেয়াল করছি না। কিন্তু আজ যা সামান্য একটু দমকা বাতাস, কাল যে তা ঝড়ের রূপ নেবে না, তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? সবশেষে একটি কৌতুক দিয়ে শেষ করছি -
"মেডিকেলের প্রশ্ন ফাস হয়েছে! এক ছেলে গেল প্রশ্ন কিনতে। ঘুপচি গলির মধ্যে জায়গাটা রহস্যময়। বিক্রেতা প্রশ্ন ব্যাগ থেকে বের করল।
ছেলে : ভাই প্রশ্ন কত করে?
বিক্রেতা : ৫০ হাজার।
ছেলে : ৫ সাবজেক্ট ৫০ হাজার?? (ছেলেটার মাথায় হাত)
বিক্রেতা : হুম!!
ছেলে : শুধু বায়োলজি সাধারন নলেজ আর ফিজিক্স নিলে ২০ হাজার কম হবেনা?
বিক্রেতা : আচ্ছা যান ৩০ হাজারই দিয়েন!
ছেলে : ভাই বায়োলজি ১০ টা কম নিলে ৪ হাজার কম হবেনা??
বিক্রেতা : উফ! আচ্ছা তাই দেন!(বিরক্ত হয়ে)
ছেলে : ভাই আপনি কি মনে করছেন আমি আমার জন্য প্রশ্ন নিচ্ছি? আমার মাসুম বউ (Girl friend) এইবার মেডিকেলে চান্স পেলে সুইজারল্যান্ড এ হানিমুনে যাবো!!
বিক্রেতা : আচ্ছা ভাই আর দুই হাজার কম দিয়েন।(কাঁদো কাঁদো হয়ে)
ছেলে : ভাই প্রশ্ন যদি সব হাতে লিখে নিয়ে যাই তাহলে আর ৫ হাজার কম হবেনা??
বিক্রেতা : ভাই এই বারের প্রশ্ন নেয়া লাগবেনা! গত বারেরটা নিয়ে যান টাকাও লাগবেনা।"
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২
আলোকিত আধারে বলেছেন: ঢাকাবাসী - সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভারী মজা লাগল। আর হ্যাঁ এত জঘন্য টাইপের পাচাটা মিথ্যুক অদক্ষ অপদার্থ অশিক্ষিত শি.মন্ত্র এই মাটিতে আর আসেনি, গত ৬৭ বছরে আসেনি। বিশ্বাস করুন!