নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোকিত আধারে

আমি নিরপেক্ষ নই সত্যের পক্ষে...................

আলোকিত আধারে › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি,এবার আপনার পালা

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯

শিশু শ্রম আইনগত নিষিদ্ধ! বাহ! খুব সুন্দর কথা॥ ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা কাজ করবে কেনো তারা লেখা পড়া করবে। খুব ভালো কথা। আপনার টাকার অভাব নাই তাই আপনার সন্তানের খাবার আর পোশাকের অভাব নাই। তাই আপনি শিশু শ্রম নিয়ে খুব ভাষণ দিয়ে চলেছেন। ব্লগে পথশিশু নিয়ে লিখে বহুত নাম কামাচ্ছেন আর ফেসবুকে লাইকের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। রাস্তার অনাথ এতিম, বাবা মা'র অর্থ অনটনে পথে ফেলা রাখা শিশুরা (রাস্তায় দাড়িয়ে যখন বেনসন খান) আপনার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে চরম ক্ষুধার তাড়নায় ২ টা টাকা চায় তখন তো পকেট থেকে মাত্র ২ টাকা (একটা রুটির দামও না) আপনার পকেট থেকে বের হয় না মশাই! আবার এই আপনিই ভিক্ষুক বলে তাদের দুর দুর করে তাড়িয়ে দেন। এই না হলে মানবতা! বিশ্বকাপ খেলার কারণে আমি আপনি প্রিয় দলের পতাকা বানিয়েছি ১০০ হাত তারপরও ঘুম হচ্ছে না কারণ বিপক্ষ দল বানিয়েছে ১৫০ হাত। ভিনদেশের ১০০ হাত পতাকা বানানোর আগে কি আপনার একবারও মনে পরেনি রাস্তার পাশে খালি গায়ে দাড়িয়ে থাকা পথ শিশুদের কথা॥ জনৈক কোটিপতির ছেলে সুন্দরী বান্ধবিকে না পেয়ে ইয়াবা/মদ খেয়ে মাতাল হতে পারে আর এতে দোষ না হয় আর রাস্তার এই শিশু গুলো মানুষের প্রতিদিনকার অবহেলা অত্যাচার আর অর্থের অভাবে নেশাগ্রস্থ হয়ে যাওয়াটা আপনার কাছে বিরাট অপরাধ!

বড় লোকের ছেলে -নেশা করতে হয় একটু আধটু - না হলে সমাজে মান সন্মান থাকে॥ সোনালী ব্যাংক,ডেসটিনি,পদ্মা সেতুর দুই চার হাজার কোটি টাকা আমাদের কাছে কিছুইনা। উপজেলা চেয়ারম্যানেরা ৩০ লক্ষ টাকা দামের গাড়িতে চড়ে তাতেও আমাদের কিছুই যায় আসেনা। উপজেলা চেয়ারম্যান মানে হলো যে মফস্বল গ্রামের নির্বাচিত প্রতিনিধি। প্রশ্ন হলো গ্রামের প্রতিনিধির জন্য পাজেরো জিপ লাগে কেন? এইটা কি? এইটা নিয়া কেউ প্রশ্নই তুলে না। একটা পাজেরোর দাম কম করে হলেও ৩০ লক্ষ্য টাকা! প্রত্যেকে দায়ী সমাজকে আজ এই অবস্থায় নিয়ে যেতে। আজ পথের শিশুরা নিঃস্ব কাল আপনার সন্তান বা ভাইও ওদের মত পথের মানুষ হয়ে যেতে পারে। হাত টি বাড়ান। পথ শিশুদের সাহায্য করুন। আপনি কলেজে ভার্সিটিতে পড়ে দলবাজি করে মানুষকে পিটাতে পারেন, চাদাবাজি করতে পারেন, ত্রাস সৃষ্টি করতে পারেন শিক্ষিত হয়েও,আর ঐ সব পথ শিশুরা তো অশিক্ষিত, নোংরা পরিবেশে পড়ে থাকে সারাক্ষণ॥ তাদেরকে যদি আমি আপনি না শেখাই বা না সাহায্য করি তবে কিভাবে আমরা তাদেরকে ভালো করে গড়ে তুলব?চোর হয়ে, নেশাখোর হয়ে তো ওরা জন্ম নেয়নি। বরং আমাদের অবহেলা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য আর পরিবেশ তাদেরকে এমন করেছে। আমাদের উপর তাদের হক আল্লাহ লিখে রেখেছেন। আমাদের উচিত সেই হক আদায়ে সচেষ্ট হওয়া। যে বয়সে শিশুর স্কুলে যাওয়া , বিভিন্ন খেলা করে হাসি আনন্দে বেড়ে ওঠার কথা সেই বয়স থেকে ঐ সব শিশুকে ধরতে হচ্ছে সংসারের হাল। মোটর, রিকশা, সাইকেল নির্মাণ, বিদ্যুৎ, ইটভাটা ,চা ষ্টল, হোটেল, রেষ্টুরেন্টে, রাজমিস্ত্রীর সাহায্যকারী , ওয়েলডিং কারখানায় , গার্মেন্টস, জুটমিল - বিভিন্ন কাজে শিশুরা জীবন জীবিকার পথ খোঁজে। অভাবের তাড়নায় বিভিন্ন ঝুকিপূর্ন কাজ করছে শিশুরা।



প্রতি বছর আমাদের মাঝে ঈদ আসে আবার ঈদ চলে যায়। আমরা আমাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে ঘটা করে আনন্দ-উল্লাস করি। সুন্দর সুন্দর পোশাক পরিধান করি। ভালো ভালো খাবারের সুঘ্রাণে আশপাশ ভরে যায়। বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শুধু বড়লোকের বাড়ির খাবারে একটু ঘ্রাণ নিয়েই গরিব-দুঃখীদের সুখ অনুভব করতে হয়। এর নাম কি মুসলমান? সমাজ বা দেশের কিছু লোককে আল্লাহ তায়ালা সম্পদশালী করেছেন, অন্যদের করেননি। এজন্যই করেননি আল্লাহ তায়ালা দেখবেন ধনী তার পাড়া-প্রতিবেশী, অসহায়-গরিবদের মুখে হাসি ফোটায় কিনা। দুঃখী মানুষের বিপদে সে সাহায্যের হাত প্রসারিত করে কিনা। সাহায্য করতে না পারলেও একটু সহানুভূতি প্রকাশের জন্য তার পাশে দাঁড়ায় কিনা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় আমাদের সমাজে এটা অনেকাংশেই অনুপস্থিত। ধনী আরও ধনী হচ্ছে, বৈধ ও অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়ছে। কিন্তু গরিব-দুঃখীদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। গরিবদের দিকে বিত্তশালীরা দৃষ্টিপাত করছে না। এবং তার প্রয়োজনও অনুভব করছে না। এটা ইসলামের শিক্ষা নয়। ঈদ আসে আবার ঈদ চলে যায়। কিন্তু গরিব-দুঃখী পথশিশুরা ঈদ উদযাপন করতে পারে না। বড়লোকের ঈদের দৃশ্য দেখে নীরবে-নির্জনে বসে মনের দুঃখে চোখের পানি ফেলে তারা কাঁদে। আর শুধু আফসোস করে বলে, হে আল্লাহ! আপনি আমাদের কেন গরিব করে দুনিয়ায় প্রেরণ করলেন? গরিবদের চোখের পানি দূর করার জন্য যেহেতু আমরা কোনো চেষ্টাই করছি না সেহেতু শান্তির জন্য সবকিছু বিসর্জন দিলেও প্রকৃত শান্তি আর মিলছে না। আসুন আমরা যে যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি। আসুন শপথ করি অন্তত প্রতি ঈদে যার যতটা সামর্থ্য সেই সামর্থ্য অনুযায়ী আশেপাশের পথশিশু আর অসহায় মানুষকে সাহায্য করবো। আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের (বেকার) সন্তান হিসাবে যতটুকু পারি পথ শিশুদের সাহায্য করবো। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি,এবার আপনার পালা।





মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

সোহানী বলেছেন: সহমত.... চেস্টা করি ... ও চেস্টা করবো....

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

গাধা গরু বলেছেন: আমি কেন হেল্প করবো? তাহলে সরকারের কাজটা কি?

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১২

আলোকিত আধারে বলেছেন: ধন্যবাদ, সোহানী ।

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

আলোকিত আধারে বলেছেন: গাধা গরু ''

ছোট ছোট বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল
গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.