![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের (ফকরুদ্দিন) আমলে দেশের বিভিন্ন দলের মন্ত্রী মিনিষ্টারদের শত শত কোটি টাকার দুর্নীতির তত্ব খুজে পাওয়া গেল, কিন্তু অনুবীক্ষণ দুরবীক্ষণ মাইক্রোসকপ যন্ত্র দিয়ে খুজেও, জামায়াতে ইসলামীর মন্ত্রীদের একটি পয়সার দূর্নীতি-স্বজন প্রীতিও কি খুজে পেয়েছিল? না, পায় নাই! জামায়াতের নিজামী, মুজাহিদ, সাইদি তো রাজাকার ছিলো না। ১৯৭১ এ তারা দেশ বিরোধী ( লুট, হত্যা, ধর্ষণ ) এই জাতীয় কোনো কাজ করেনি।
হ্যাঁ, এই ধরনের কথাই শোনা যায় বর্তমান শিবিরের ছেলেদের কাছ থেকে॥
" মে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন নিজামীসহ আরো কয়েকজন রাজনীতিবিদের নামে গেটকো দুর্নীতি মামলা করেন, এতে বলা হয় তিনিসহ অন্যরা অবৈধ ভাবে স্থানীয় গেটকো ফার্মের সাথে কন্টেইনার ডিপো সংক্রান্ত একটি চুক্তি করেছিলেন। নিজামীসহ আরো ১২ জনের নামে এই মামলায় ২০০৮ সালে ১৫ই মে গ্রেফতারি পরোয়ানা জাড়ি করেন আদালত। নিজামীসহ অন্যদের বিরোদ্ধে অভিযোগ ছিল কোম্পানিটি শর্ত না পূরণ করা সত্ত্বেও আসামীরা তাদের টেন্ডার গ্রহণ করেছিলেন। আর এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশ সরকারের ১০০ মিলিয়ন টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছিল। এই মামলায় দুই মাস জেল খাটার পর জামিনে বের হয় নিজামী।[ The Daily Independent,Bangladesh, 16 May2008 / BBC News, May 19, 2008 ]"
যাই হোক নিজামী কি এতোবড় দুর্নীতি করতে পারে? যে ব্যক্তি ১৯৭১ এ রাজাকার ছিলো তার এর চেয়ে আরো বড় দুর্নীতি করাও অসম্ভব নয় এই কথাটা বুঝতে নিশ্চয়ই অনেক জ্ঞানের প্রয়োজন হয়না। আর নিজামী যে রাজাকার ছিলো তা বিদেশী লেখকদের লেখাতেও উঠে এসেছে।
" নিজামী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় 'আল বদর' নামের আধা-সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী বাহিনীর হত্যাকাণ্ডে আল-বদর সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে, এবং ১৪ই ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পেছনেও তাদের প্রধান ভূমিকা ছিল। [ Karlekar, Hiranmay (2005)-Bangladesh: The Next Afghanistan? - Sage Publications Inc - পৃ: 152]"
এই নিজামীকেই শিবিরেরা নিজের বাবার চেয়ে বেশী ভালোবাসে। অথচ- "২০১০ সালের ১৭ই মার্চ একটি জনসভায় ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলাম নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে নিজামীর জীবনকে নবী মুহাম্মদ (স)-এর সাথে তুলনা করেন। ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভূতিতে আঘাত করেছে, এমন অভিযোগে ২১শে মার্চ বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন [উইকিপিডিয়া ও ডেইলি স্টার ]
অথচ শিবির এসব নিয়ে কোনোদিন কোনো প্রতিবাদ করেনি। কারণ তাদের মগজ ধোলাই করা॥ জামায়াতে ইসলামের হাতে যে বেহেস্তের টিকেট। জামায়াত কে ভোট দিলেও বেহেস্ত পাওয়া যায়। আপনার শিবিরের ওয়েব সাইটে ঢুকলে দেখবেন যে শহীদের তালিকা দেওয়া আছে॥ শিবির মরলে শহীদ বাচলে গাজী। হাদিসে বলা আছে - " আবু হুরায়রা থেকে বর্নিত - কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বিচার করা হবে কপট শহীদদের। আল্লাহ তাকে দুনিয়ায় প্রদত্ত নিয়ামতের কথা স্মরন করিয়ে দিবেন এবং বলবেন ঐসব নেয়ামতের বিনিময়ে তুমি কি করেছ? সে বলবে আমি তোমার সন্তুষ্টির জন্যে লড়াই করেছি ও অবশেষে শহীদ হয়েছি॥ তখন আল্লাহ বলবেন তুমি মিথ্যা বলছ বরং তুমি এজন্যে যুদ্ধ করেছিলে যে তোমাকে বীর বলা হয় আর তোমাকে তা বলা হয়েছে অতপর তাকে উপুরমুখী করে টানতে টানতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে॥ [মুসলিম হা/১৯০৫ ‘নেতৃত্ব’অধ্যায়, অনুচেছদ-৪৩; মিশকাত-আলবানী হা/২০৫, ‘ইলম’অধ্যায় ]"
আসলে জামায়াতে আকিদাটাই ইসলাম বিরোধী॥ জামায়াতের গুরু হলো মওদুদি। ২০১০ সালে বাংলাদেশে মওদুদীর লেখা সকল বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু নিষিদ্ধ হয়নি সাঈদীর দেশ বিরোধী ওয়াজের ক্যাসেট, গোলাম আযমের বই।
"সাইদি তাবলীগি কর্মকান্ডের আড়ালে বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্য প্রদান করতেন। [Genocide 1971, An Account Of The Killers And Collaborators Genocide’71, published by Muktijuddha Chetana Bikash Kendra, p. 100.]"
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করার কারণে দেশের সকল লাইব্রেরি ও মসজিদ থেকে মওদুদীর বই সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বায়তুল মোকাররম সংলগ্ন ফুটপাথে অনেক ধর্মীয় বইয়ের সঙ্গে এখনও মওদুদীর বই পাওয়া যায়। কাঁটাবন সহ অনেক ধর্মীয় লাইব্রেরি গুলোতেও মওদুদীর বই পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠন গুলোর ওয়েবসাইটে মওদুদীর বিভিন্ন লেখার সংকলিত রয়েছে। এই সব সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে।
শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক বাঙলা ভাষায় অনূদিত বোখারী শরীফের
সপ্তম খন্ডের পরিশিষ্টে বলেন, "আবুল আ’লা মওদূদী ও তাঁর দল জামায়াতে ইসলামীকে খারেজীদের অনুরূপ একটি ফেরকা হিসেবে দেখা যায়।"
আল্লামা আহমদ শফী সাহেবের ফতওয়াঃ"মওদূদীপন্থী জামাতে ইসলামী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত বহির্ভূত একটি গোমরাহ্ফিরকা। এ গোমরাহ্ ফিরকায় যোগদান করা ,সর্ব প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করা ও সমর্থন করা এবং ইমাম নিযুক্ত করা ,এদের সাথে আত্মীয়তা করা এদেরকে ইসলামের নামে ভোট দেয়া বা ভোট দেয়ার সমর্থনে কথা বলা শরীয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নাজায়িজ ।(উলামা-মাশায়েখের আহবানঃ মওদূদীপন্থী জামাত-শিবির ফিতনা থেকে সতর্ক থাকুন ,পূষ্ঠাঃ ৩৭-৩৯,প্রকাশকালঃ জানুয়ারী ১৯৯৬ ,প্রকাশকঃ আল্লামা শামসুদ্দকাসিমী ও মাওলানা নূর হুসাইন কাসিমী )
ইসলামকে বিভ্রান্ত করতে জামায়াত কোনো তুলনা নেই॥ ১৯৯৪ সালের ৩ আগস্ট আজকের কাগজ পত্রিকায় শিরোনাম ছিল (গোলাম আজমের খোদার উপর খোদাগিরি)
গোলাম আজম বলেছিলেন, সুরা আল বাকারার প্রথম চার আয়াত শেষে দিলে ভালো হতো। আবার ১৯৯৪ সালের মার্চের ১৩ তারিখের দৈনিক ‘সংবাদ’ পত্রিকায় দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর উক্তি ছিল - "ইসলামে শব-ই বরাতের কোনো অস্তিত্ব নেই। ইহা সম্পূর্ণ বিদআত। শরিয়তে শব-ই বরাতের কোনো গুরুত্ব ও জায়গা নেই।" অথচ, কুরআন-হাদীসে আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শব-ই বরাত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। কুরআনে একে ‘লাইলাতুল মুবারক’ তথা বরকতময় রাত নামে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত নবী করিম (সা.) এর বাণী, ‘যখন শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাতের (শব-ইবরাতের) আগমন হয়, তখন তোমরা ঐ রাত্রিতে জাগ্রত থেকে ইবাদত কর এবং দিনের বেলায় রোজা রাখ।’ (ইবনে মাজাহ)
কিন্তু দুঃখের বিসয় সঠিক ইতিহাস না জানার কারণে এবং ইসলাম ধর্মের ভুল ব্যাখা শুনিয়ে সাধারণ তরুণদের জামায়াত শিবিরে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তাদেরকে বোঝানো হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী করলেই পাওয়া যাবে বেহেস্ত। জামায়াতের নেতাদের কাছেই আছে বেহেস্তের টিকিট॥
সবশেষে একটা কথাই বলতে চাই -
আমরা এই দেশের গাঞ্জাখোর, মদখোর, ইয়াবাখোর,পকেটমার,ভিখারী, দূর্নীতিবাজ,পতিতা,মুসলমান,হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, আদিবাসী সহ সবাই সকল রাজকারদের ফাঁসি চাই॥ জামায়াত শিবিরের রাজনীতি কিয়ামত পর্যন্ত নিষিদ্ধ চাই। আর এতো কিছুর পরেও যদি কেউ বলে জামায়াত যুদ্ধ অপরাধীদের সংগঠন না, তাহলে বুঝতে হবে সে আর ভালো হবার নয় - কারণ পাকিস্তানি বীর্যে তার জন্ম।
২| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৩
আলোকিত আধারে বলেছেন: নিকষ - একমত ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩
নিকষ বলেছেন: জামাতি দেখলেই কওয়া উচিত, তুই মউদুদির উম্মত - মুহাম্মদের (স) না। দূরে যা।