নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোকিত আধারে

আমি নিরপেক্ষ নই সত্যের পক্ষে...................

আলোকিত আধারে › বিস্তারিত পোস্টঃ

মালাউন ও যবন সমাচার

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

মালাউন শব্দটা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। বাংলা একাডেমির ব্যবহারিক বাংলা অভিধানে মালাউন শব্দের অর্থ দেয়া আছে - লানতপ্রাপ্ত; অভিশপ্ত; বিতাড়িত; কাফের; মুসলমান কর্তৃক ভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের লোককে দেয়া গালি বিশেষ। উইকিপিডিয়ায় মালাউন বিষয়ে বলা হয়েছে, The Arabic word "ملعون" (mal'un), literally meaning 'cursed' is derived from the root "لعنة" (la'nat) meaning 'curse'. In Islamic parlance, it means 'deprived of Allah's mercy'. The word has been loaned into languages of non-Arabic Islamic countrieslike Malay and Indonesian.
‘মালাউন’ শব্দটি আরবী শব্দ "ملعون" থেকে উদ্ভূত যার অর্থ ‘অভিশপ্ত’ বা ‘ঈশ্বরের অভিশাপ প্রাপ্ত’। ১৯৪৬ সালে নির্মল কুমার বসু মোহনদাস গান্ধীর সঙ্গে নোয়াখালিতে সেবা কাজ করতে আসেন। তিনি লক্ষ করেন হিন্দুদের মালাউন বলে গালি দেওয়ার রীতি।[নির্মল কুমার বসু । My Days With Gandhi। পৃ: ২৫৯।]
এরপর ১৯৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় 'সালা মালাউন কা বাচ্চা' গালিটি ব্যাপক আকারে ব্যবহার হয় পাক হানাদার বাহিনীর মুখে। এবং তাদের দেখে দেখে দেশীয় রাজাকাররাও হিন্দুদের ‘মালাউন’ গালিটি দিতে শুরু করে। হিন্দুদের মালাউন বলা হলেও শব্দটি আসলে মাল'উন। এটি আরবী শব্দ। কুরআন শরীফে শয়তানকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। এটি এসেছে লানত বা অভিশাপ শব্দটি থেকে। মুসলমান রাজারা যখন ভারতবর্ষে আসেন তখন হিন্দু রাজাদের বিরুদ্ধে তাদের সৈন্যসমূহ তো বটেই,তাদের তান্ত্রিকদের যাদু শক্তির বিরুদ্ধেও মোকাবিলা করতে হয়েছিল যা ইতিহাসে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। ইসলামে শয়তানকে মালউন বা অভিশপ্ত বলা হয়েছে। হিন্দুদের সাথে তান্ত্রিকতা, কালো জাদুর সম্পর্ক খুবই গভীর যা মূলত শয়তানি আচারের সাথে সম্পৃক্ত। সেই সুত্র ধরে অনেক আগে থেকেই ভারতবর্ষে মালাউন শব্দটা ব্যবহার হয় বলে অনেকে ধারণা করেন। অপরদিকে হিন্দুগণ মুসলমানদের যবন বলে ডাকতো।
বেদ বিশ্বাসী ভারতীয়দের কছে বেদ-অবিশ্বাসী বিদেশি মাত্রই ছিল যবন। যবন শব্দটির ব্যুৎপত্তি (যু + অন (যুচ)-ক); অর্থ বৈদেশিক, বর্বর, মুসলমান, গ্রিক প্রভৃতি। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যবন শব্দটির চূড়ান্ত অপব্যবহার ঘটান। যবন বলতে মুলত মুসলমানদের বোঝায়। তবে যবন নিয়ে একটা হাস্যকর গল্প আছে মহাভারতে। "হিন্দু রাজা যবাতি একবার গোমেধ যজ্ঞ করেছিলো। কিন্তু তার অসংযমী পুত্র লোভ করে এক টুকরো গরুর গোশত খেয়ে ফেলে। তখন থেকেই পিতার অভিশাপক্রমে এই আগের ভ্রৃষ্টপুত্র হতেই গো-খাদক ম্লেচ্ছ বংশ আরম্ভ হয়। সাধারণের ধারণা, ওই গো খাদক মুসলমানরাই ওই স্লেচ্ছ বংশীয় যবন।’ (ইতিহাসের ইতিহাস, গোলাম আহমদ মোর্তজা)"
:
মুলতো যবন এবং মালাউন দুটোই গালি বিশেষ ব্যবহার হয়॥

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ইন্টারেস্টিং! দেখি এই বিষয়ে অন্যরা কে কি মতামত জানায়! তবে যবন নিয়ে আরো গল্প মেবি প্রচলিত আছে।

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট! যবন গালিটা একসময় ভারতবর্ষে খুব প্রচলিত ছিল । হিন্দুরা মুসলমানদের দিত । এখন কী অবস্থা জানিনা । তবে মালাউন গালিটা খুব যত্নের সাথে এখনকার হিন্দুদের দেয়া হয়, বিশেষত আমাদের বাংলাদেশে ।

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

উড়ালপক্ষী বলেছেন: হিন্দুদের সাথে তান্ত্রিকতা, কালো জাদুর সম্পর্ক খুবই গভীর যা মূলত শয়তানি আচারের সাথে সম্পৃক্ত। সেই সুত্র ধরে অনেক আগে থেকেই ভারতবর্ষে মালাউন শব্দটা ব্যবহার হয় বলে অনেকে ধারণা করেন....।। খুব ধুত্র তার সাথে আপনি আপনার গােপন সারথ সিদ্ধি করার চেষ্টা করেছেন। আপনার উদ্দেশ্যটা কি একটু বলবেন?

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

আলোকিত আধারে বলেছেন: উড়ালপক্ষী, আমার উদ্দেশ্য খুব খারাপ॥

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

সারোয়ার ইবনে গিয়াস বলেছেন: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যবন শব্দটির চূড়ান্ত অপব্যবহার ঘটান।
কিনতু মালাউন গালি দেয়া কিন্তূ গোনাহ!

৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Click This Link

৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: এও এক সাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস। এই ধরনের শব্দ আমাদের ভাষা থেকেই ঝেটিয়ে বিদায় করে দিতে হবে। জার্মানি হিটলারের ব্যবহৃত শব্দ মুছে ফেলেছে। আমাদেরকেও এমন করতে হবে।

৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২১

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: বাংলাদেশে এ গালিটা বহুল ব্যাবহৃত। তবে ইদানিং এটা একটু কমেছে বলে মনে হয়।

৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:২১

অযুক্তিবাদী বলেছেন: Click This Link

১০| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:২৬

অযুক্তিবাদী বলেছেন: এটা অনেক পুরাতন একটা গালি বা বুলি। বর্তমানে এটা মুধুই গালি। মানুষকে ছোট করার, অপমান করার খুবই উপযুক্ত একটি শব্দ।http://www.somewhereinblog.net/blog/Av/30035761

১১| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

আলোকিত আধারে বলেছেন: কমেছে তবে হারিয়ে যাবে না কোনদিন, ভয়ংকর বিশু

১২| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যবন শব্দটির চূড়ান্ত অপব্যবহার ঘটান। তিনি তার এক লেখায় যবন মারার জন্য হিন্দুদের বলেছিলেন । আমাদের কাজেম আল কোরায়েশি ( কবি কায়কোবাদ ) এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু মারার জন্য বঙ্গীয় মুসলিমদের বলেছিলেন ।

১৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

লেখোয়াড়. বলেছেন:
সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানো হতে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
আপনার বেশ কয়েকটি লেখায় এমন দেখছি। খুটে খুটে অতীত বের করে আনছেন।
বর্তমানে যার কোন মূল্য নেই। এখন সামনে অগ্রসর হওয়ার সময়।
মনে থেকে ওসব ঝেড়ে ফেলুন। মানুষ এখন অনেক উর্ধমুখী।

১৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১৮

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: ইতিহাস ও জানা দরকার

১৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এগুলোর অস্তিত্ব বইয়ের কোন এক কোণায় পড়ে থাকাটাই ভাল, বাস্তবে উঠে না আসুক।

১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২০

ইকবাল হোসাইন সুমন বলেছেন: ভাল লিখেছেন ভাই.। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.