![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমকামিতা (Homosexuality) একটি যৌন প্রবৃত্তি, যার দ্বারা সমলিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি যৌন আকর্ষণ বোঝায়। এইরূপ আকর্ষণের কারণে সমলিঙ্গীয় মানুষের মধ্যে প্রেম বা যৌন সম্পর্ক ঘটতে পারে। সমকামিতা আসলে দুই ধরনের (১) Homosexual act (২) Homosexual Lifestyle
.
সমকামীদের কয়েক ভাগে ভাগে বিভক্ত করা যায়। (১) Gay বা পুরুষ সমকামী (২) Lesbian বা নারী সমকামী (৩) Shemale বাহিজড়া (৪) Bisexual বা দ্বৈত যৌন জীবন। বাংলায় 'সমকামিতা' শব্দটি এসেছে বিশেষণ পদ –‘সমকামী’ থেকে। আবার সমকামী শব্দের উৎস নিহিত রয়েছে সংস্কৃত ‘সমকামিন’ শব্দটির মধ্যে। যে ব্যক্তি সমলৈঙ্গিক ব্যক্তির প্রতি যৌন আকর্ষণ বোধ করে তাকে ‘সমকামিন’ বলা হত। সম এবং কাম শব্দের সাথে ইন প্রত্যয় যোগ করে ‘সমকামিন’ (সম + কাম+ ইন্) শব্দটি সৃষ্টি করা হয়েছে। আসলে সমকামিতা অনেক প্রাচিনকাল থেকে প্রচলিত আছে॥ "বহু রোমান সম্রাট - যেমন জুলিয়াস সিজার, হাড্রিয়ান, কমোডাস, এলাগাবালাস, ফিলিপ দ্য এরাবিয়ান সহ অনেক সম্রাটেরই সমকামের প্রতি আসক্তি ছিলো বলে ইতিহাসে উল্লিখিত আছে।[Edward Gibbon. History of the Declineand Fall of the Roman Empire. Vol. 1, London. 1898, p. 313]" ভারতীয় সংস্কৃতিতেও সমকামিতার উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন বিষ্ণুর মোহিনী অবতাররূপে ধরাধামে এসে শিবকে আকর্ষিত করার কাহিনী এর একটি দৃষ্টান্ত। বিষ্ণু (হরি) এবং শিবের (হর) মিলনের ফসল অয়াপ্পানকে হরিহর পুত্র নামেও সম্বোধন করা হয়। এ ছাড়া অষ্টাবক্র, শিখন্ডী এবং বৃহন্নলার উদাহরণ গুলো সমকামিতা এবং রূপান্তর কামিতার দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রাচীন ভারতীয়সাহিত্যে উঠে এসেছে। নেদারল্যান্ডস হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম দেশ যেখানে সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ে বৈধ ঘোষণা করা হয় ৷ ২০০১ সালের এপ্রিল থেকে সেদেশে এটি কার্যকর আছে ৷ ২০০৩ সালের জুন মাসে নেদারল্যান্ডসের প্রতিবেশী দেশ বেলজিয়ামে সমলিঙ্গের মধ্যে বিবাহ বৈধ করা হয়। ২০০১ সাল থেকে সমলিঙ্গ যুগলের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন বৈধ করেছে জার্মানি। এইতো কিছুদিন আগে আমেরিকা সমলিঙ্গ বিবাহের অনুমোদন দিয়েছে॥ ২০১৩ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশে দুই তরুণীর মধ্যে মালা বদল নিয়ে সৃষ্টিহয় ব্যাপক বিতর্ক॥ ২১ বছর বয়সি শিক্ষিকা সানজিদা আর তাঁর ছাত্রী, ১৬ বছর বয়সি শ্রাবন্তী রায়ের মধ্যকার প্রেমের সম্পর্ক মোটেই স্বাভাবিক ভাবে নেয়নি সমাজ ৷ এমনকি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েও রেহাই পাননি তারা৷
.
'বিজ্ঞানী ফ্রয়েডের মতে সমকামিতা হলো অবিশুদ্ধ যৌনতার প্রকার।' অধিকাংশ সমাজ বর্তমানে মেনে নেয় যে সমকামিতা একটি অস্বাভিবিক যৌনতার অনুশনীল। যদিও বাইবেলে বলা হয়েছে যে, সমকামিতা এক রকমের পাপ॥ (আদি পুস্তক ১৯:১-১৩; লেবীয় ১৮:২২;রোমীয় ১:২৬-২৭; ১ করিন্থীয় ৬:৯)। তারপরও অনেক খ্রিস্টান দেশ সমকামিতাকে বৈধতা দিয়েছে॥ ইসলাম ধর্মে সমকামিতা চরিত্র ও স্বভাব ধ্বংসকারী এক জঘন্যতম মস্ত বড় অপরাধ। এর শাস্তি যিনার শাস্তির চেয়েও কঠিন। এটি মারাত্মক এক ব্যতিক্রমি যৌনচর্চা যার ফলে জটিল মানসিক ও দৈহিক রোগের জন্ম নেয়। মুহাম্মদ (স) বলেছেন, "আমার উম্মতের মধ্যে যখন পাঁচটি জিনিস আরম্ভ হবে তখন তাদেরকে নানা প্রকার রোগ ব্যাধি ও আযাবের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেয়া হবে। তন্মধ্যে একটি হল নর নারীর মধ্যে সমমৈথুন প্রচলিত হওয়া। (মুসনদে আহমদ)।"
.
সমকামিতা (Homosexuality) একটি মানসিক রোগ । সমকামীরা মানসিক রোগী , তাদের জন্য স্বীকৃতি বা অধিকার নয় – প্রয়োজন যথাযথ চিকিৎসার । Sexual perversion বা Psycho-sexual disorder গুলোর মধ্যে আছে- sadism (আরেকজনের ওপর টর্চার করে যৌনতৃপ্তি লাভ) , masochism (নিজেকে কষ্ট দিয়ে) , pedophilia (শিশুদের প্রতি যৌন আসক্তি ) , fetishism (বস্তুর প্রতি যৌন আসক্তি ) , transsexualism (নিজেকে ভিন্ন লিঙ্গের মনে করা ) , transvestism (বিপরীত লিঙ্গের পোষাক পড়া ) , exhibitionism (নিজের যৌনাঙ্গ প্রকাশ্যে প্রদর্শনের প্রবণতা) , zoophilia (পশুর প্রতি যৌন আসক্তি ) , voyeurism (অন্যের যৌনাঙ্গ দেখার আসক্তি ) এবং Homosexuality (সমলিঙ্গের প্রতি আসক্তি) ইত্যাদি । এগুলো মানসিক রোগ এবং এসব থেকে সামাজিক অপরাধ পর্যন্ত ঘটে থাকে । যেমন স্যাডিজম প্রবণতা থেকে ধর্ষণ ও খুন হয়ে থাকে । বর্তমান বিশ্বের প্রতি আমরা যদি নজর দেই তাহলে দেখতে পাই যে, আমেরিকা, ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে মাত্র কয়েক বছর পূর্বে এমন রোগ দেখা দিয়েছে এবং তারপর তা বিভিন্ন দেশে দ্রুত প্রসার লাভ করে অল্প সময়ে হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই ভয়ঙ্কর রোগটির সংক্ষিপ্ত নাম (AIDS) ইংরেজীতে AIDS এর পুরা বাক্য হচ্ছে Accrued Immune Deficiency Syndrome. অর্থঃ শরীরের অর্জন করা সুরক্ষিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অব্যহতি বা বিলুপ্ত হওয়া। বর্তমান বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টিকারী মরণ ব্যাধি এই এইডস, যার পরিণাম নিশ্চিত মৃত্যু। ১৯৮১ সালের দিকে বিজ্ঞানীরা এ রোগের খবর পেলেন। বিজ্ঞানীরা এ রোগের কারণ নির্ণয় করতে গিয়ে বলেন যে, এটি একটি বদমায়েশী রোগ যা শুধু মাত্র বদমায়েশদেরকে আক্রমণ করে। ডাঃ রবার্ট রেডিফিল্ড বলেন,AIDS is a sexully transmitted disease. অর্থাৎ এইডস হচ্ছে যৌন অনাচার থেকে সৃষ্ট রোগ। সারা বিশ্বের সমাজ বিজ্ঞানীসহ বিশ্বের বড় বড় ডাক্তারেরা ঐ সমস্ত ভয়াবহ যৌন সংক্রামক ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়া এবং তা দ্রুত ছড়াবার প্রধান কারণ হিসাবে সমকামিতা, বহুগামিতা এবং অবাধ যৌনচারকে চিহ্নিত করেছেন। যৌন সংক্রামক রোগগুলি যেমন এইডস, সিফিসিল, গনোরিয়া, শ্যাংক্রয়েড, লিম্ফোগ্র্যানুলোমা, ভেনেরিয়াম, ডানোভেনোসিস ও অন্যান্য। এর মধ্যে এইডস সবচেয়ে ভয়াবহ। এই রোগগুলিতে আক্রান্ত রোগীর সাথে মেলামেশা বা যৌন মিলনের মাধ্যমে সুস্থ লোক আক্রান্ত হয়। অত্যন্ত আতঙ্ক ও হতাশা সৃষ্টিকারী মরণ ব্যাধি এইডস আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে ১৯৭৯ইং সালে সমকামী এক ব্যক্তির কাছে প্রকাশ পায়। তারপর এই ভয়াবহ রোগে যারা আক্রান্ত হতে থাকে তাদের অধিকাংশ লোকই সমকামী। শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ সমকামী এবং বহুগামী পুরুষ ও মহিলাদের মাধ্যমে এইডস সমগ্র বিশ্বে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে এবংদিন দিন এইচ, আই, ভি/ এইডস এ আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। "ন্যাশনাল এলজিবিটিআই হেলথ এলিয়ানস অস্ট্রেলিয়া" এর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ অয়েলেস (সিডনি অন্তর্ভুক্ত) ও ভিক্টোরিয়া (মেলবোর্ন অন্তর্ভুক্ত) স্টেটে সাম্প্রতিক কালে সিফিলিস, গনোরিয়ার মত যৌনরোগ (গে) দের মাঝে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষনায় দেখা গেছে যে, তরুণ অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে যৌনবাহিত রোগ বিপরীত কামীদের তুলনায় সমকামীদের মধ্যে পাঁচগুণ বেশি। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়াতে এইডস রোগ ২০০০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই সমকামি। ১৯৮৫ সালের ইংরেজী অপর এক পরিসংখানে বলা হয়েছে : ১৪,৭৩৯ জন এইডস রোগে আক্রান্ত রুগীর মধ্যে ১০৬৫৩ জন রুগীই পুরুষ সমকামী অর্থাৎ লূত আঃ এর সম্প্রদায় যে ব্যভিচার করেছিল, মহিলা বাদ দিয়ে পুরুষে-পুরুষে অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিল। সে সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,"আমি লূতকে প্রেরণ করেছি, যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ যা তোমাদের পূর্বে বিশ্বের কেউ করেনি। তোমরা তো নারীদের ছেড়ে কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন কর। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ। (সূরা আরাফ, ৭ : ৮০-৮১ আয়াত)। এমনি ভাবে অন্যান্য আয়াতে তাদের সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তারা বর্বর সম্প্রদায়, সীমা অতিক্রমকারী, পাপিষ্ঠ ও অত্যাচারী সম্প্রদায়। এগুলোর যে কোন একটি বৈশিষ্ট্যই একটি সমাজ ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। আমেরিকার মত উচ্চ শিক্ষিত সুসভ্য এবং সর্বদিক থেকে শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার হয়ে সমকামিতার মত নিকৃষ্ট ঘৃণিত মানবতা বিরোধী অশ্লীলতাকে যদি আইন করে বৈধ করে তাহলে কি ভাবে সম্ভব অশ্লীলতাসহ মানব সভ্যতা ধ্বংসের সকল ধরণের কর্মকান্ড গুলো প্রতিরোধ প্রতিহত করে বিশ্ব সমাজে মানব সভ্যতা পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা? কাম প্রবৃত্তি ও লোভ-লালসার জালে আবদ্ধ হয়ে লজ্জা-শরম ও ভাল-মন্দের স্বভাবজাত পার্থক্য বিসর্জন দিয়ে পার্লামেন্টে সমকামিতা বিল পাশ করে রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রকাশ্যে বৈধ ঘোষণা করেছে। ব্যভিচার যখন পার্লামেন্টে বৈধ ঘোষণা করা হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই তা সমাজে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। আর তখনই সেই সমাজ আল্লাহর গজবের উপযুক্ত হয়ে যায়। তারা এমন প্রকৃতির বিরুদ্ধে নির্লজ্জতায় লিপ্ত হয় যা হারাম ও গোনাহ তো বটেই, সুস্থ স্বভাবের কাছে ঘৃণ্য হওয়ার কারণে সাধারণ জন্তু জানোয়ার ও এর নিকটবর্তী হয় না। আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে বলেছেন,"যারা নিকৃষ্ট বস্তু অর্জন করেছে তার বদলাও সেই পরিমাণ নিকৃষ্ট এবং অপমান তাদের চেহারাকে আবৃত করে ফেলবে। তাদেরকে আল্লাহর হাত থেকে বাঁচাতে পারবে এমন কেউ নেই। (সূরা ইউনুস, ১০ : ২৭ আয়াত)। "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এইডস প্রতিরোধে ধর্মীয় অনুশাসনের গুরুত্ব অনুধাবন করতে বাধ্য হয়েছে। তাই WHO এ মর্মে ঘোষণা করেছে :Nothing can be more helful in this preventive effort than religious teachings and the adoption of proper and decent behavior as advocated and urged by all divine religions (The role of Religion and ethics in the prevention and control of AIDS. ( Page 3, Para 9, Published by WHO) অর্থঃ “এইডস প্রতিরোধ প্রচেষ্টায় ধর্মীয় শিক্ষাদান এবং যথাযথ নির্মল আচরণ প্রবর্তনের চেয়ে আর কোন কিছুই অধিক সহায়ক হতে পারে না যার প্রতি সকল ঐশ্বরিক ধর্মে সমর্থন প্রদান ও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।"
.
মানুষের শারিরীক গঠনের দিকে তাকালেও এটা স্পষ্ট যে, সমকামিতা কখনোই স্বাভাবিক আচরণ নয়,এটি একটি মানসিক রোগ । এ কারণে এ ধরনের অন্যায় আচরণ সব সমাজের ওপরই ভয়ানক প্রভাব ফেলতে পারে। এর মধ্যে পরিবার ব্যবস্থা ভেঙে পড়া অন্যতম। শরীরের গঠনতত্ত্ব অনুযায়ী সমকামিতা একেবারেই অস্বাভাবিক। মানুষের শরীরের গঠনটাও এমন যে, একজন পুরুষ ও একজন নারীই কেবল সুষ্ঠ যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে।
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সমকামীতা রোগ কুন বিজ্ঞানী কইলো?
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রেফারেন্স বা অনুমতি ছাড়া কারো লেখা নিজের নামে চালায়া দেয়াও একটা রোগ যার নাম চোরা রোগ
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৫
লেখোয়াড়. বলেছেন:
বিভিন্ন উৎস হতে তথ্য নিয়ে সুন্দর করে লিখে পোস্ট করেছেন। সেজন্য ধন্যবাদ ও প্লাস।
সমকামিতা কোন সুস্থ যৌনকর্ম হতে পারে না। আমি এর ঘোর বিরোধী।
৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
লেখোয়াড়. বলেছেন:
তবে এটা মানসিক রোগ কিনা বলতে পারবো না।
৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১৭
আলোকিত আধারে বলেছেন: ঢাকাবাসি, আমার লেখা। উদাসী স্বপ্ন, প্রমাণ দেখান।
৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
আলোকিত আধারে বলেছেন: প্রমাণ দেখান, উদাসী স্বপ্ন । উল্টো পাল্টা মন্তব্য করেন কেন????
৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৬
মুদ্দাকির বলেছেন:
নিচের তথ্যটার প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। বিশেষ করে তাদের, যারা সমকামিতাকে অসুস্থতা হিসাবে মানেন না।
( In 1973, the American Psychiatric Association declassified homosexuality as a mental disorder. The American Psychological Association Council of Representatives followed in 1975. Thereafter other major mental health organizations followed, including the World Health Organization in 1990. )
মানে ১৯৭৩ বা ১৯৭৫ এর আগেও এটা মোটামুটি সর্বজন স্বীকৃত অসুস্থতাই ছিল। ১৯৭৫ সালের পরে আমেরিকায় অফিসিয়াললি এটা আর অসুখ না। আর WHO এটাকে স্বাভাবিকতা হিসাবে স্বীকৃতি দেয় মাত্র ১৯৯০ সালে। কিন্তু সত্যি বলতে পুথি গত বিদ্যার বই গুলো এখনো কনফিডেন্টলি এই ব্যাপারে কোন আপডেট দেয় নাই!!!! মানে টেক্সট হিসাবে এটা এখনো অসুস্থতা। সারা দুনিয়ার ডাক্তাররা বিশেষ করে সাইক্রিটিস্তরা এই ব্যাপারে এখনো কনফিউসড। আমার নিজের শেষ দেখামতেও এই ধরনের কেইসে বাঙ্গলাদেশী সাইক্রিয়াটিস্টদের এটাকে রোগ হিসাবে চিকিৎসা করতে দেখেছি। তবে আমি জানি না এই ব্যাপারে বাংলাদেশী ডাক্তার বা সাইক্রিয়াটিস্টদের কোন কনসেনসাস আছে কিনা?? খুব সম্ভবত নাই। এবং তাই এখনো তারা ত্রান্সভেস্টাইজম , টমবয়, গে ইত্যাদি কেস গুলো ক্লাসে অসুস্থতা হিসাবেই পড়ান। জানি এই ব্লগে সাইক্রিয়াটিশট আছেন, উনারা কেউ আমাদের আলোকিত করলে ভালো হয়।
ব্লগে এই ব্যাপারে তর্ক বিতর্ক আর ক্যাচাল ভালো লাগে না। আর পায়ু সঙ্গমের ব্যাপারে ব্লগে যে প্রচার গুলো করা হয়, তা আসলে স্বামী স্ত্রীর মিউচুয়াল পায়ু সঙ্গমের ক্ষেত্রেও প্রযজ্য, এবং সত্যি বলতে একটা বিরাট সংখ্যক মানুষ এই কাজ খুশি মনেই করে যাচ্ছে। তাই শুধু ঐ যুক্তি গুলো সমকামিতাকে বিরোধিতার জন্য এ্যনাফ না।
মূল ব্যাপারটা হচ্ছে সমলিঙ্গের প্রতি যৌনতার টান সুস্থ কি না!!!!
৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪৪
নতুন বলেছেন: দুনিয়ার সব কিছুরই বিপরীত বিষয় আছে। দুনিয়ার ৯৫% মানুষ ডান হাতেই কাজ করে কিন্তু ৫% কিন্তু বা হাতে করে!!
দুনিয়ায় সবচেয়ে লম্বা মানুষ 8 ft 3 in
দুনিয়ার সবচেয়ে খাটো মানুষ 21.5 ইন্চি মাত্র।
দুনিয়ায় সাদা এবং কালো এবং মাঝের আমরা শ্যামলা বনের মানুষ আছে।
[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/neoblog/neoblog-1436556866-
আমার পয়েন্ট হইলো আমাদের পাশেই আমরা উপরের উদাহরন গুলি পাই। তার অথ হইলো দুনিয়ার মানুষও ১০০% বিপরীত কামী না ও হইতে পারে।
সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেসনে এক পাশে থাবে ৮৫% পুরাই স্ট্রেইট ---১০% বাইসেক্সুয়াল--৫% গে/লেসবিয়ান হতেই পারে। এবং এটা সাভাবিক।
দুনিয়ায় সাদা এবং কালো এবং মাঝের আমরা শ্যামলা বনের মানুষ আছে।
আমার পয়েন্ট হইলো আমাদের পাশেই আমরা উপরের উদাহরন গুলি পাই। তার অথ হইলো দুনিয়ার মানুষও ১০০% বিপরীত কামী না ও হইতে পারে।
সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেসনে এক পাশে থাবে ৮৫% পুরাই স্ট্রেইট ---১০% বাইসেক্সুয়াল--৫% গে/লেসবিয়ান হতেই পারে। এবং এটা সাভাবিক। দুনিয়ার সব কিছুরই বিপরীত বিষয় আছে।
আর বতমানে বিশ্বের প্রায় সব সাইক্রিয়েটিক সংস্হাই সমকামীতাকে মানুষিক অসুখের লিস্ট থেকে বাদ দিয়েছে।
১০| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২৫
ভয়ংকর বিশু বলেছেন: সমকামিতা কোনো রোগ নাকি তা জানি না, তবে সমকামিতা ও সমকামী মানুষ নিয়ে চিন্তা করা এক ধরনের মানষিক রোগ।
১১| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
混沌 বলেছেন: অনেকেই অনেক মন্তব্য করবে, সবাই হয়ত আপনার সাথে একমত হবে না, অনেকে হয়ত আপনাকে আক্রমণ করেও লিখবে, তবু আপনি লিখে যান। ধন্যবাদ আপনাকে তথ্যবহুল এই লেখার জন্য।
১২| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭
আলোকিত আধারে বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, 混沌
১৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
প্রিন্সর বলেছেন: সমকামিতা কারো জন্মগত দোষ নয়! কেউই রেপিস্ট, মাদকাসক্ত, সিরিয়াল কিলার কিংবা বিখ্যাত অখ্যাত কুখ্যাত ইত্যাদি হয়ে জন্মগ্রহণ করেনা । কিন্তু হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে, একটা রিসার্চ বা জরীপের উপর ভিত্তি করেই আমরা সেটাকে সঠিক বলে গণ্য করি । আর সমকামিতাকে কেন মানসিক রোগের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হইছে তা এইখানে গেলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে । তারপরও কারো আপত্তি থাকলে আমি বলব সমকামিতা একটি সামাজিক ব্যাধি । এর উপরে আর কোন কথা থাকতে পারে না ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: লেখাটি ভাল তবে আপনার নয়, তাইনা? সেক্ষেত্রে লিংক দিতে হয়। ধন্যবাদ।