![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ দেশের মাটির বুকে বাংলার মুক্তিপাগল মুক্তিযোদ্ধারা যখন পাক সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত তখন আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে সারা বিশ্বের সামনে বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে চিৎকার করে ওঠেন যে মানুষটি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র সেই মানুষটির নাম জর্জ হ্যারিসন।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বর্বরতার বিরুদ্ধে সারা বিশ্বকে সচেতন করে দেওয়া এবং ভারতে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশি রিফিউজিদের ত্রানের ফান্ডের জন্য তিনি ও ভারতের সঙ্গীতজ্ঞ রবিশংকর যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করে একটি কনসার্টের।ঐতিহাসিক সেই কনসার্টের নাম ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’।১লা আগষ্ট, ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এক দিনে সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেয় বাংলাদেশের নাম।সেই ঐতিহাসিক কালের সাক্ষী হতে কনসার্টে উপস্থিত হয়েছিলেন ৪০,০০০ দর্শক।জর্জ হ্যারিসন, রবি শংকর, বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, বিলি প্রিস্টন, লিওন রাসেল, ব্যান্ড ব্যাডফিঙ্গার এর মতো বিখ্যাত গায়ক ও ব্যান্ড গান পরিবেশন করেন এই কনসার্টে।জর্জ হ্যারিসন পরিবেশন করেন তার বিখ্যাত গান ‘বাংলাদেশ’।
‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর সরাসরি গানগুলো নিয়ে ১৯৭১ সালেই একটি বেস্টসেলিং লাইভ অ্যালবাম মুক্তি পায়।এই কনসার্টকে ভিত্তি করে ১৯৭২ সালের বসন্তে মুক্তি পায় একটি কনসার্ট ফিল্ম।এই বেনিফিট কনসার্টের মাধ্যমে আয় করা হয় ২৪৩,৪১৮.৫১ মার্কিন ডলার যা ইউনিসেফের মাধ্যমে বাংলাদেশে ত্রানকার্যে ব্যবহার করা হয়।হয়।১৯৭১ সালে জর্জ হ্যারিসনকে কেন তার মেধা এবং সময় ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর জন্য ব্যায় করলেন এই প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দেন, “আমার এক বন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো আমি সাহায্য করতে পারবো কিনা।”
মজার ব্যাপার হচ্ছে একাত্তর বা বাহাত্তরেই শেষ হয়ে যায়নি ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর প্রভাব।।ঐতিহাসিক এই কনসার্টের ৪০ বছর পর ২৬শে জুলাই, ২০১১ সালে আই টিউনসের ব্যানারে ‘বাংলাদেশ’ গানটি সহ এই কনসার্টের অন্যান্য গানগুলো নিয়ে একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।উক্ত অ্যালবামে আরও সংযোজিত হয় ‘বাংলাদেশ’ গানটির একক স্টুডিও রেকর্ড।৩০শে জুলাই থেকে ১লা আগষ্ট পর্যন্ত ৭২ ঘন্টা ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর একটি ফিচার ফিল্ম দুইটি ওয়েবসাইট http://www.georgeharrison.com এবং http://www.theconcertforbangladesh.com এ প্রচার করা হয়।‘জর্জ হ্যারিসন ফান্ড ফর ইউনিসেফ’ উক্ত অ্যালবাম এবং ফিচার ফিল্মের প্রকাশনা উপলক্ষ্যে একটি ‘মান্থ অফ গিভিং’ অনুদান প্রচারনার আয়োজন করে যেই ফান্ড দিয়ে আফ্রিকার দুর্গত অঞ্চলে জরুরী ত্রানকার্য পরিচালনা করা হয়।
এই মহান সঙ্গীতশিল্পী ১৯৪৩ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারী ইংল্যান্ডের লিভারপুলে জন্মগ্রহন করেন।তিনি একাধারে গায়ক, সঙ্গীত পরিচালক, লেখক, অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলেন।তিনি গিটার, ইউক্যালিলি, হারমনিকা, ম্যান্ডলিন, কি-বোর্ড, বেহালা ও সেতারে পারদর্শী ছিলেন।১৯৫৮ সালে মিডিয়া জগতে তার বিচরন শুরু। দ্যা বিটলস, দ্যা কোয়ারিম্যান, ট্রাভেলিং উইলবারিস, ধানি হ্যারিসন, রবি শংকর ও এরিক ক্ল্যা্পটন এর মতো বিখ্যাত ব্যান্ড ও গায়কের সাথে তিনি কাজ করেন।দ্যা বিটলস ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেন।বিটলসের বিখ্যাত গান ‘হিয়ার কামস দা সান’, ‘সামথিং’ ও ‘হোয়াইল মাই গিটার জেন্টলি হুইপ্স’ তিনি পরিচালনা করেন।১৯৬০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের মরমিবাদ তাকে প্রচন্ড আকর্ষন করে।দ্যা বিটলস এর মাধ্যমে পুরো পশ্চিমা বিশ্বকে তিনি ভারতের বাদ্যযন্ত্র সেতারের সাথে পরিচিত করেন।দ্যা বিটলস ব্যান্ড ভেঙে যাবার পরে তিনি একজন সফল একক গায়ক হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেন এবং পরবর্তিতে ব্যান্ড ট্রাভেলিং উইলবারিস এর সদস্য হন।রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ১০০ গিটারিস্টের তালিকায় তার অবস্থান ১১ নাম্বারে। তার প্রথম স্ত্রী মডেল প্যাটি বয়েড এবং দ্বিতীয় স্ত্রী রেকর্ড কোম্পানী্র সেক্রেটারী অলিভিয়া ত্রিনিদাদ এরিয়াস যার গর্ভে জন্মগ্রহন করেন তার একমাত্র পুত্র সন্তান ধানি হ্যারিসন।১৯৮০ সালে তাঁর আত্নজীবনী ‘মি মাইন’ প্রকাশিত হয়।পৃথিবীর অমর মানুষদের তালিকায় স্বগর্বে নিজের নাম লিখিয়ে নিয়ে ২০০১ সালে এই মহান স্বপ্নদ্রষ্টা দুরারোগ্য লাংস ক্যান্সারে মৃত্যুবরন করেন।
তথ্যঃ http://www.wikipedia.org, http://www.jeorgeharrison.com এবং http://www.theconcertforbangladesh.com
২| ১২ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৭
গোঁফওয়ালা বলেছেন: এই লিজেন্ডকে কি করে ভুলি? শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা।
ভালো লাগছে আপনার লেখাটা ।
৩| ১২ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: জর্জ হ্যারিসন চির জীবন রইবেন আমাদের শ্রদ্ধা এবং ভালবাসায়।
৪| ১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৪
এহসান সাবির বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
প্রেমিক চিরন্তন বলেছেন: লাখো সালাম