![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি করার কথা কি করছি, কি লেখার কথা কি লিখছি!
১.
আইডিয়াল স্কুলের বায়োলজীর শিক্ষক ছিলেন শফিক স্যার; অসম্ভব নীতিবান, ভীষন রকমের মুডি আর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন লোক। ছাত্ররা যমের মতো ভয় করত তাঁকে, স্যার শুধু পড়া ধরার জন্য নাম ধরে ডাকলেই অনেকের পড়া হজম হয়ে যেত, মুখ দিয়ে আর কিছু বেরুতনা। অথচ এমন একজন শিক্ষককেই সম্ভবত আইডিয়াল স্কুলের ছাত্ররা সবচেয়ে বেশী মনে রাখবে, সবাই না হলেও অন্তত আমি যে তাই করব সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। কারণ, স্যার আমাকে শিখিয়েছিলেন সত্য বলার সৌন্দর্য।
আহামরি কিছুনা, খুব সাধারণ ঘটনা। আবার এটাও ঠিকনা যে স্যারের কাছ থেকে সত্যবলার সৌন্দর্যটা বোঝার পর আমি আর মিথ্যে বলিনি। তবে তাও, সেই স্মৃতিটুকু রোমন্থন করা আজ খুব জরুরী বলে মনে হলো। দশম শ্রেনীর ঘটনা। শফিক স্যার তখন আমাদের বায়োলজী পড়াতেন, প্রতিদিন ক্লাসে এসে ছবি আঁকাতেন, আর এটা ওটা পড়া ধরতেন। তখন নৈর্ব্যক্তিকের যুগ ছিল, ৫০০ প্রশ্নের ব্যাংক ছিলনা, আমাদেরকে বইয়ের একেকটা চ্যাপটারের যেন টপ-টু-বটম মুখস্থ রাখতে হতো। এমনি একদিন, স্যার উদ্ভিদের শ্বসনের সমীকরণ নিয়ে কি যেন একটা প্রশ্ন ধরলেন, আমার মাথায় বাজ পড়ল! কারণ, (ক), (খ), (গ), (ঘ) সবগুলোই খুব কাছাকাছি সংখ্যা শোনাল, আমি নিশ্চিত না কোনটা ঠিক। এখন পড়া না পারলে ডায়েরীতে শূন্য ঢুকবে, ডায়েরীর নাম্বার রেজাল্টের সাথে যোগ হয়, শূন্য ঢুকলে এভারেজ অনেক কমে যায় -- এসব হ্যানত্যান আর কি। আমি ভীষন উদ্বিগ্ন। এমন সময় পেছন থেকে এক বন্ধু বলে দিল 'খ'। আমি সাথেসাথে বলে ফেললাম, 'খ'। কিন্তু কিভাবে যেন স্যার আঁচ করতে পারলেন কেউ হয়ত বলে দিয়েছে, আবার একইভাবে তিনি পুরো নিশ্চিতওনা। স্যার আমার পেছনের বেঞ্চের কাছে এসে সেখানে বসা তিনজনের ওপর কড়া নজর রেখে বললেন, 'তোরা কেউ কি উত্তরটা বলে দিয়েছিস?' প্রশ্ন করতে করতে স্যার তিনজনের চেহারা চেক করলেন, সম্ভবতঃ ধরতে পারলেননা। এরপর স্যার আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, 'তুই ই বল। পেছন থেকে কেউ কি বলে দিয়েছে?'
আমার কি মনে হলো কে জানে! বললাম, 'জ্বী স্যার। তবে কে বলে দিয়েছে সেটা বলবনা।' বলেই আমি মনে মনে চুড়ান্ত রকমের একটা ধোলাই খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু দেখলাম স্যার আমার ডায়রী নিয়ে একটা '৫' বসিয়ে দিলেন, নিচে ছোট ছোট অক্ষরে লিখলেন 'সত্য বলার জন্য'।
আমার কাছে মনে হলো সত্য প্রচন্ড সুন্দর। শফিক স্যার মারা গেছেন আজ সম্ভবতঃ আট/নয় বৎসর। স্যারের ভাগ্য ভাল স্যারকে এজাতির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মিথ্যেটা শুনে যেতে হয়নি।
২.
এই ঘটনাটা নিয়ে একটা গল্প লিখে পত্রিকায় পাঠিয়েছিলাম, সম্ভবতঃ লেখার মান খারাপ ছিল, তাই ছাপা হয়নি। কারণ গল্পের কাহিনীটা মোটেও খারাপ ছিলনা। পরে সময় পেলে গল্পটা লিখব ব্লগে, শিরোনাম 'ওয়াগ্গাছড়ার গল্প'। এক যুগ আগে ওয়াগ্গাছড়ার এক পাহাড় বেয়ে উঠছিলাম আমরা তিনবন্ধু, এক সুন্দর আলো ঝলমলে সকালে। আমি বেশ মোটাসোটা ছিলাম তখনই, অর্ধেকটা পাহাড় উঠতেই ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। পাহাড়ের মাঝমাঝি অবস্থিত পুলিশের একটা ছাউনি টাইপের জায়গায় আশ্রয় নিলাম বিশ্রামের জন্য। সেখানে এক বৃদ্ধের সাথে দেখা, যিনি পুলিশ বাহিনীতে লম্বাসময় ধরে চাকুরীরত। তখন সংসার ছেড়ে স্বেচ্ছায় রাঙামাটিতে বদলি নিয়ে ওয়াগ্গাছড়ার ঐ পাহাড়ে পড়েছিলেন, সংসারের সব কষ্ট যন্ত্রণা থেকে পালিয়ে বেড়াতে। তার বড় ছেলেটা ছাত্ররাজনীতি করে তখন লুটপাটের দায়ে জেলে ছিল, ছোট ছেলেটা মাদকাসক্ত। বড় মেয়ে একসন্তান নিয়ে বাবার বাড়ীতে তখন এক বৎসর, স্বামী মারধোর করে, মেয়ে ফিরে যেতে চায়না। আর বাকী দুসন্তানের খবরও লোকটা রাখতে চায়না যেন, সে শুধু পালিয়ে থাকতে চায়।
ওয়াগ্গাছড়ার পাহাড়ের মাঝামাঝি তৈরী করা বাঁশের কঞ্চির তৈরী ছাউনিতে বসে চা-মোল্লা খেতে খেতে বুড়ো আমাকে তার পারিবারিক হতাশার কথা বললেন। আমি ক্লান্ত শরীরে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে রইলাম, ভাবছিলাম কেন লোকটা এসব কথা আমাকে বলছেন।
খানিকবাদে লোকটা আমার দিকে ঝুঁকে এসে চাপা স্বরে বলতে লাগলেন, 'সবই আল্লাতালার বিচার, বুঝলেন চাচা, বিচার বড় শক্ত। সারাজীবন কি করছি জানেন? ৭১ সালে নিজদেশের সাথে বেঈমানী করছি, তারপর সারাজীবন ঘুষঘাষ খাইয়া আসছি। আইজকা আল্লায় সব ফল দিতাছে।'
আমার ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া বেড়েই চলল। তাকে শুধু বললাম, 'আপনার এসব কুকর্মের কথা কি আপনার ছেলে-মেয়েরা জানেন?'
বুড়ো বললেন, 'সবাই জানে। আমিও স্বীকার যাই, হুদাহুদি লুকাইয়া লাভ আছেনি?'
৩.
ওয়াগ্গাছড়ার সেই বুড়োর নাম ভুলে গেছি। তবে তিনি হয়ত শান্তিতেই আছেন। কারণ তাঁর ছেলেমেয়েরা জানেন যে তাদের বাবা অপরাধ করেছেন, সেই অপরাধের জন্য তিনি অনুতপ্ত। সারাজীবনের ব্যর্থতা, সন্তানদের যাবতীয় কষ্ট, সবকিছুকে তিনি নিজের অপকর্মের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে মেনে নিয়েছেন।
তাকে আলী আহসান মুজাহিদদের মতো রাতে দুঃস্বপ্নের মতো ভাবতে হয়না, 'এই বুঝি আমার অপকর্ম ধরা পড়ে যাবে।' তাঁকে আলী আহসান মুজাহিদদের মতো সন্তানের দৃষ্টি দেখে ভয় পেতে হয়না এই ভেবে যে, 'ছেলেটা কি আসলেই জেনে গেল আমি কি কুকাজ করেছি?'
তাঁকে আলী আহসান মুজাহিদদের মতো নামাজে দাঁড়িয়ে ভাবতে হয়না যে পেছনে বসে পান খেতে খেতে তার স্ত্রী ভাবছেন 'হারাজাদা, কত মেয়েমানুষের ইজ্জত খাইছস, এখন আবার নামাজ দেখাস, না?'
আমি ভাবি, আলী আহসান মুজাহিদগংরা কি সত্যগুলো স্বীকার না করার কারণে একটা মুহূর্ত শান্তিতে থাকতে পারে? তাদের কি সারাক্ষণ মনে হয়না তাদের সন্তানেরা আসলে জানে তাদের বাবারা একেকটা খুনী, ধর্ষক, যুদ্ধাপরাধী এবং একই সাথে ভয়াবহ রকমের মিথ্যুক।
আচ্ছা? আলী আহসান মুজাহিদদের সন্তানদের দিন কাটে কিভাবে? তাদের কি লজ্জা লাগেনা এই ভেবে যে তাদের বাবারা একেকটা খুনী, ধর্ষক, যুদ্ধাপরাধী এবং একই সাথে ভয়াবহ রকমের মিথ্যুক!
এই প্রজন্মের কাছে এই প্রশ্নটা রেখেই শেষ করছি।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৩৫
বিহঙ্গ বলেছেন: আপনি এতোদিন কোথায় ছিলেন।
অনেকদিন পর লিখা পড়ে ভালো লাগলো।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৩৬
অচেনা বাঙালি বলেছেন: "
আচ্ছা? আলী আহসান মুজাহিদদের সন্তানদের দিন
কাটে কিভাবে? তাদের কি লজ্জা লাগেনা এই ভেবে যে তাদের বাবারা একেকটা খুনী, ধর্ষক, যুদ্ধাপরাধী এবং একই সাথে ভয়াবহ রকমের মিথ্যুক!
"
খুব ভালভাবেই কাটে। এই ব্লগে রাজাকার পূত্রদের কথা বার্তায়ই বোঝা যায়।
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৪০
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: Boss , অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন । অবাক হই একটা ব্যাপারে , আমিও হুবুহু আপনার মত করেই গতকাল ৩ নম্বর পয়েন্ট টা আমার বন্ধুকে বললাম । আমি কোন হিসাব মেলাতে পারি না ।
"টাইগার" শফিক স্যারের কথাও মনে করিয়ে দিলেন । উনার কথা মনে হলে মাথাটা নিচু হয়ে আসে । ১৯৯৯ এর ২৬ অক্টবর(সম্ভবত) উনি ইন্তেকাল করেন
৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৪২
জেনারেল বলেছেন: খুব ভালভাবেই কাটে। এই ব্লগে রাজাকার পূত্রদের কথা বার্তায়ই বোঝা যায়
উপরে একজন নব্য রাজাকারকে দেখতে পাচ্ছি
৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৪৩
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: বিহংগ, ধন্যবাদ। অসুস্থ ছিলাম গত কয়েকদিন ... লেখাটা মাথায় ঘুরছিল ... দিতে পারছিলামনা
৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৪৩
জেনারেল বলেছেন: বাদশা ভাই, আপনি না কিন্তু !!
যারে কইছি সে ঠিকই বুঝবো
৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৪৫
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: অচেনা, জেনারেল ... কষ্টটা অনুভব করতে পারি ... তবে জোর গলায় মিথ্যা তাদেরই বলতে হয়, যারা সত্যের মুখোমুখি হইতে কাঁপতে থাকে ... সেইটাই মুজাহিদ হারামী করছে ...
তবে আসলেই কি ভাল কাটে? বাবাকে সন্দেহ করে ছেলের জীবন ভাল কাটতে পারেনা ... সেজন্যই এটাওটা নিয়া ফালফালি করে কাটাতে চায় ...
৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৪৬
অরুনাভ বলেছেন: ৫
১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৪৮
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: মেহরাব, আপনি আইডিয়ালের?
আসলেই শফিক স্যার এক অসাধারন মানুষ ছিলেন...
আমি কিন্তু হিসাব মিলাতে পেরেছি ... জামাতী রাজাকারগুলা আপাদমস্তক মিথ্যুক ... এইজন্যই বড় গলায় বলতে হয়, 'আমি কলা খাইনা।'
১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৪৮
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: অরুণাভ, ধন্যবাদ
১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৫২
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: জ্বিনের বাদশা , আমি আইডিয়ালের ২০০০ ব্যাচ।
আমার বন্ধুর মতামত ছিল , বাংলাদেশের মানুষ বিস্মৃত হয় খুব তাড়াতাড়ি , জামাতের ধারণা ৩০ বছর পর সবাই ভুলে যাবে , তাই তারা একদম অস্বীকার করার স্ট্রাটেজি নিয়েছে
১৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:২৩
মুকুল বলেছেন: *****
১৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:৩০
অচেনা বাঙালি বলেছেন: জ্বিনের বাদশা,
আমি কিন্তু আইডিয়ালের।
নুহ নবীর আমলের
১৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:৩৮
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: মেহরাব, আপনার বন্ধুর ভাবনাটা সত্য হতে পারে ... কয়েকদিন আগে ব্লগে এক জামাতের সাপোর্টার বলেছিল, আর কিছু দিন গেলে এমনেই সবাই ভুলে যাবে ...
তবে বেচারাদের জন্য দুঃখের কথা হইল, মানুষ ভুলবেনা... সেটা মুজাহিদ আগুনে একটু লাকড়ির ঠো দিয়াই বুঝতে পেরেছে ... চামেচিকনে দেশে যুদ্ধাপরাধী নেই বলে সেরে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু প্রতিবাদের ঝড়টা দেখতে পেরেছে
ওহ, আমি অনেক পুরানা .. ৯২ ব্যাচ
১৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:৩৮
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: মুকুল, ধন্যবাদ
১৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:৩৯
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: অচেনা বাঙালী, তাই নাকি? অনেক আইডিয়াল দেখি!
নুহ নবীর আমলটা কোন আমল? ...
১৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:৫৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: বস্,আগে একটু মূল কথা থেকে সরে যাই,পুরানো কথা মনে করায়া দিলেন বইলা। আমিও আইডিয়াল,২০০০ ব্যাচ,টাইগার স্যারের কথা অনেকদিন ভুলে ছিলাম,অসম্ভব ভয় পেতাম,কিন্তু একিরকম শ্রদ্ধা করতাম। মারা গেছেন আমরা স্কুলে থাকতেই,এমন শিক্ষক কমই দেখা যায়।
এবার মূল কথায় আসি। প্রথমেই অকারণ একটা ঝগড়া শুরু করি,জেনারেলের জন্য,যাকে-তাকে নব্য রাজাকার উপাধি দিয়ে নাম কামানোর বদভ্যাসটা কমাও। কে রাজাকার আর কে না,ঐটা তোমার মত নব্য দেশপ্রেমিকের কাছ থেকে কারো শেখা লাগবে না। আর বেশি সন্দেহ থাকলে,এখনো ভার্সিটিতে আছি,এসে দেখা করে জেনে যাও কে কোন পক্ষে,তোমাদের মত নোংরা মানসিকতার লোক কথা বলে বলেই রাজাকাররা এখনো ভাত পায়।(জ্বিনের বাদশা বস্ দুঃখিত,অকারণ বাড়াবাড়ি দেখলে মেজাজ খারাপ হয়,মুক্তিযুদ্ধ কারো ইজারা নেয়া জিনিস না,কেউ কেউ ঐটাকে ইজারা নিয়ে নিসে কিনা,তাই ২-১টা কথা বলা লাগলো,এই ব্যাপারে আমি আর ঝগড়ায় যাবো না)
১৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:০১
ফারহান দাউদ বলেছেন: এইবার জামাতের কথায় আসি। না,জামাতিরা কখনোই মাফ চাইবেনা,স্বীকারও করবে না '৭১ এ ওদের কোন ভুল আছে,কারণ স্বীকার গেলেই তো যুদ্ধাপরাধ স্বীকার করা হয়। ওরা তালে আছে আরো কিছুদিন যাক,ব্রাইট,তরুণ ১টা জামাতি প্রজন্ম দিয়ে নতুন প্রজন্মকে ওরা দ্বিধায় ফেলে দেবে '৭১ নিয়ে। আর দালালদের ছেলেমেয়েদের দিন কেমন কাটে? ভালোই কাটে,ওরা মনে হয়না নিজের বাপের কৃতকর্মের জন্য বিশেষ লজ্জিত,ঘুষখোরের পোলাপানরাও তো ঘুষের টাকায় ফুটানি করে বেড়ায়,চোর মন্ত্রীদের পোলাপান কি বাপের কাজের জন্য লজ্জা পাইসে? কঠিন বিচারই দালাল আর রাজাকারদের নির্মূলের একমাত্র উপায়,শয়তান মানুষ হয়না বস্,এটা আপনেও জানেন।
২০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ২:৫৪
রাশেদ বলেছেন: ভালো লাগল।
ব্লগেই তো দেখতেছি তাদের ছেলে পেলে কেমন দিন কাটাইতেছে।
২১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৬:৪১
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: ফারহান, ধন্যবাদ সুচিন্তিত মতামতের জন্য।
আপনিও আইডিয়ালের? ওরেব্বাবা ...অনেকেই তো দেখছি!
হুমমম, লেখাটার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে যে অনেকেই এভাবে নিচ্ছেন যে রাজাকাররা তো এমনেই অনেক অশান্তিতে আছে ... না, যতই থাকুক, বিচার হতেই হবে ... নাহলে আমরা পরের প্রজন্মকে কি দিয়ে যাব? ... আমাদের আগের প্রজন্মের ব্যর্থতা আমাদের ঢাকতেই হবে ...
আমি যাস্ট মুজাহিদের সেই 'দেশে যুদ্ধাপরাধী নেই' টাইপের মিথ্যা শুনে এতই অবাক হলাম যে মনে হলো ওয়াগ্গাছড়ার পাহাড়ের সেই বুড়ো যদি এত প্রায়শ্চিত্ত করে থকে, তাহলে মুজাহিদের কি সামান্য সংশয়ও জাগেনা তার সন্তানেরা বাপ সম্পর্কে কি ধারনা করে? ... জামাতী রাজাকারগুলার সন্তানদের বেলায়ও এটা ভেবে আমি অবাক হয়ে যাই ...
২২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৬:৪৩
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: রাশেদ, ধন্যবাদ... আমি ভাবি, এদের কি আসলেই কোন বোধশক্তিই নেই? ... অবশ্য যেলোক প্রকাশ্যে জনসমক্ষে এরকম মিথ্যা বলে, সে তো তার সন্তানকে মিথ্যে দিয়ে মুড়েই রেখেছে ...
২৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:১৬
ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: মনযোগ দিয়ে পড়লাম।
অসুস্থ ছিলেন ? এখন কেমন আছেন ?
২৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:৪৭
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: খাইছে! ... এত লম্বা লেখা পইড়া ফালাইছেন!! ... এখন ভাল হয়ে গেছি। দেখেননা, ব্লগাচ্ছি
২৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪১
ফারহান দাউদ বলেছেন: নতুন লেখা নাই?
২৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:১২
ফারহান দাউদ বলেছেন: অনেকদিন তো অদৃশ্য ছিলেন বস,এইবার ঝোলা থেকে কিছু ছাড়েন।
২৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:২০
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: বেশ ব্যস্ত যাচ্ছে ইদানিং ... লিখব কি, ব্লগ পড়ারই সময় পাইনা ... যদিও লগড ইন থাকি সারাদিন ... উইন্ডো খোলা হয়না ...@ফারহান
২৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৩০
জুবাঈর_সাঈদ বলেছেন: অনেকদিন পর (টাইগার) শফিক স্যারের কথা মনে করিয়ে দিলেন - এজন্য ধন্যবাদ। আমার স্কুল জীবনে দেখা তিনি-ই ছিলেন সবচাইতে ব্যক্তিত্ববান পুরুষ। ভাইয়া, আমি আইডিয়াল ২০০১ ব্যাচের...।
পরবর্তী অংশের সাথে সহমত, উদাহরণগুলো সুন্দর হয়েছে।
২৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:০১
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: ...
তাঁকে আলী আহসান মুজাহিদদের মতো নামাজে দাঁড়িয়ে ভাবতে হয়না যে পেছনে বসে পান খেতে খেতে তার স্ত্রী ভাবছেন 'হারাজাদা, কত মেয়েমানুষের ইজ্জত খাইছস, এখন আবার নামাজ দেখাস, না?'
৫।
৩০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:৩৪
মাথামোটা বলেছেন: ৫
যেখানেই দেখিবে রাজাকার
সেখানেই খুলিবে জামা তার
পারলে দেবে জুতার বাড়ি
না হয় টেনে ধরবে দাড়ি।
লাঠি যদি থাকে হাতে
মাথায় দিও সাথে সাথে
মারতে যদি নাই চাও
গুহ্যদ্বারে ঢুকিয়ে দাও।
৩১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:৩৬
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: ...
মারতে যদি নাই চাও
গুহ্যদ্বারে ঢুকিয়ে দাও।
৩২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:৪৬
এস্কিমো বলেছেন: ৩ নং আইডিয়া।
বিষয়টা অনেক সহজ। একজন ঘুষখোর কর্মকর্তা যখন ছেলেকে বড় করে..ছেলে যদিও জানে তার বাবা একজন ঘুষখোর..কিন্তু তখন বাবার চেয়ে নিজের সুখ-সুবিধা আর বাবার জমানো সম্পদই বড় হয়ে যায়। সুতরাং সহজ আত্নসমর্পন।
আমরা দেখি এখানেই অনেকে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে আবার চিহ্নিত রাজাকারী মানসিকতার লেখায় সানন্দে ৫ দিয়ে যায়।
এখানেই সমস্যা। এরা গাছেটাও খেতে চায় আর তলায়ও পাহারা বসায়। এরা আসলে সুবিধাবাদী। আর এই সুবিধাবাদীরাই - যখন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কথা উঠে - দুরে দাড়িয়ে দেখে বা কবিতা লেখে। আবার একটা পোস্ট দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকে। এটা হলো ট্রিপিক্যাল সুবিধাবাদী শ্রেনী। এদের একহাত রাজাকারের দিকে বাড়ানো...অন্যহাত সুবিধামতো ব্যবহার করে।
---
ধন্যবাদ জ্বীনের বাদশা,
আমি কিন্তু আইডিয়াল নই।
৩৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:৪৭
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: জুবাঈর সাঈদ, আমরা আসলেই ভাগ্যবান এমন একজন শিক্ষক ছিলেন।
মাথামোটা, সেইরম হইছে
এস্কিমো, হুমম। সর্ষের ভুত সবখানেই আছে। এদের বেলায় হইছে, যখনই দেখবেন ভুতগিরি করতেছে, সাথে সাথে ধরবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৩১
আনন্দময় বলেছেন: ওদের লজ্জা শরম কিছু নেইতো ওরা যে বিম্ব বেহায়া।