নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দয়াল বাবা কেবলা কাবা আয়নার কারিগর

যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

জ্বিনের বাদশা

কি করার কথা কি করছি, কি লেখার কথা কি লিখছি!

জ্বিনের বাদশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুধু সমালোচনা নয়, আলোচনা হোক : বিষয় -- দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি

১১ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:২১

জিনিসপত্রের দাম রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গত জুলাইতে যখন দেশে গেলাম, শুনলাম জানুয়ারীতে যে চাল ছিল ২৪/২৫ টাকা সেটা তখন ৩০। গুঁড়োদুধের প্যাকেটের দাম আড়াইশ থেকে তিনশ পেরিয়ে গেছে। তেল ৬০, আটা ২৭/২৮, ডালের দাম তখনও আগের মতোই ছিল। এখন নাকি চাল ৪৫, কদিন পর নাকি ৫০ ছাড়িয়ে যাবে, নাকি গেছে? তেলতো ১১০--১২০, আটা ৪৫, গুঁড়োদুধ ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে!! ডাল-পেঁয়াজও নাকি ৫০ এর আশেপাশে!!! মানুষ চলবে কিভাবে? বিশেষ করে গরীব মানুষেরা।



২০০৬ এর ডিসেম্বরে যখন দেশে গেলাম, ছোটআপার বাসায় গেলাম এক দুপুরে। আপা গরুর মাংস রাঁধছিল। হঠাৎ আপার কাজের মহিলাটি একটা বাটি বাড়িয়ে দিয়ে বলেছিল, "আপা, কয়টুকরা মাংস দেন। পুলাটারে মনে হয় এক বছরের বেশী হইছে একটুকরা মাংস খাওয়াইতে পারিনাই।" আপা চোখ ছলছল করে আমাকে বলেছিল, "দেখলি, দেশটা কই যাচ্ছে? চাল-ডাল কিনতেই ওর সব টাকা শেষ!" এখন হয়ত কাজের মহিলারা বাটি বাড়িয়ে মাংস চাইবেনা, ডাল পেলেই বর্তে যাবে।



এখন প্রশ্ন হলো, কেন এই অবস্থা?

সবাই একাধারে বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকারকে দোষ দিচ্ছে, যেন এরা বিদেয় হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে!!



কিন্তু এখনও দেখতে পাচ্ছিনা কোন বিশ্লেষণ, কেন এরকম দেড় দুইগুন বেড়ে যাবে জিনিসপত্রের দাম, মাত্র একবছরে!! প্রশ্ন হলো, দোষ দেয়া যায়, কিন্তু প্রতিকারের কথাটা কিন্তু কেউ বলতে পারছেনা।



কারণ জানতে চাইলে, কেউ বলছে সিন্ডিকেটিং, কেউ বলছে সরকারের সাথে বিশ্বব্যাংকের সখ্যতা, কেউ দুষছে ভারতক কেউ বলে সিডরের ক্ষয়ক্ষতি।



প্রতিকার জানতে চাইলে অধিকাংশ লোকেই চুপ হয়ে যায়, কেউ বলে এই সরকার গিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার আসলেই ঠিক হয়ে যাবে? কেউ বলে ভারতের সাথে ঠিকমতো কূটনীতি করতে পারলেই হবে। কিন্তু কিভাবে? আরেকটু উদাহরণসহ জানতে চাই।



মনে রাখবেন, আমরা যারা এখানে ব্লগিং করি তাদের প্রায় সবারই ইন্টারনেটের মতো বিলাসিতার পেছনে খরচ করার সামর্থ্য আছে, অর্থাৎ, খাবারের দামের এই ঊর্ধগতি আমাদের সেরকম দুশ্চিন্তায় ফেলছেনা। তাই একটু সমালোচনা করে তারপর কফিকাপ হাতে টিভির সুইচ অন করে সহজেই আমরা আত্মতৃপ্তি পেতে পারি। কাউকে বকাঝকা করাটা বেশ আনন্দের, বিশেষ করে সরকারকে।



কিন্তু এতে কোন পরিবর্তনই আসবেনা, অবস্থার উন্নতি হবেনা সামান্যও।



আসুন, আলোচনা করুন, সমাধানের পথ বের করুন।



মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +৬/-২

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩৮

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: সবার মতামত আশা করছি ... কারণ আর সমাধান নিয়ে আপনি কি ভাবছেন, আলোচনা করুন

২| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩৯

কাবিল কৈতর বলেছেন: বেরাদার, এই লাইগাই তো দ্যাশের এই হাল!! সমালোচনা সক্কলে করে মাগার সমাধান কেউ দিতে চায় না।

আপনের একটা পয়েন্ট বাদ গ্যাছে, সেইটা হইলো সিডর...

১১ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪৪

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: কাবিল আপনারে ধন্যবাদ ... সিডর প্রসঙ্গে তো পুরান ব্যাথা মাথা চাড়া দিয়ে উঠল ... এত এত সাহায্যের প্রতিশ্রুতি, তখন পাঁচ হাজার কোটি টাকা আসার কথা ... সেগুলোর কি হইল আসলে?

১১ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: কারণের ঘরে সিডরকেও লিখলাম ... আপনারে ধন্যবাদ

৩| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৫১

মদন বলেছেন: আমরা লোকাল প্রোডাকশানকে গুরুত্ব না দিয়ে আমদানী নির্ভর হয়ে গেছি। কিছু আমদানীকারক লোকাল প্রোডাকশানকে নিরুতসাহিত এমনকি বাধাগ্রস্ত করছে তাদের আমদানী বানিজ্য চাংগা করতে।

মধ্যস্বত্তভোগীরাও মুল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারন। এর কারনেই কোন কোন জায়গাতে কেজির দরে মন খানেক পন্য পাওয়া গেছে। কৃষক যে দামে বেচছে তার দ্বিগুন দাম পাইকারী বাজারে, আবার খুচরা বাজারে তারো দ্বিগুন ।

চাল ডাল আটা ময়দা সুজি চিনি পেয়াজ রসুন আদা সবই আমদানী করা হয় অথচ দেশের কৃষকরা তাদের উতপাদিত পন্যের মুল্য পাচ্ছে না।

পন্য মুল্য বৃদ্ধি রোধ করতে সহজ সমাধান হলো চাহিদা এবং জোগানের সমন্বয়। ঢাকাতে ১০ টাকাতে ৩০টি লেবু পাওয়া গেছে। তার কারন হলো উতপাদন ছিল বেশি কিন্তু চাহিদা ছিল কম।

যে কোন নির্বাচিত সরকারের অন্তত দীর্ঘমেয়াদী সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া পন্যের মুল্যের উর্দ্ধগতি রোধ করা সম্ভব নয়।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৫৭

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: "পন্য মুল্য বৃদ্ধি রোধ করতে সহজ সমাধান হলো চাহিদা এবং জোগানের সমন্বয়। "
যে মূল্যবৃদ্ধির কথা আমরা এখন শুনি এটা কি সারা দেশে নয়? নাকি শউধু ঢাকা শহরে?

"যে কোন নির্বাচিত সরকারের অন্তত দীর্ঘমেয়াদী সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া পন্যের মুল্যের উর্দ্ধগতি রোধ করা সম্ভব নয়।"

এই দীর্ঘমেয়াদী সঠিক পরিকল্পনাগুলো কি কি হতে পারে?

"মধ্যস্বত্তভোগীরাও মুল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারন। " এদের বর্তমান সরকার দমন করতে পারছেনা কেন? কি রলে দমন করতে পারবে?

৪| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭

কাবিল কৈতর বলেছেন: আইছে নাকি? দেকি নাই তো? ৫ হাজার কোটি দিয়া আপনে ২ কোটি রে কয়দিন খাওয়াইবেন?

১১ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৫২

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: ২ কোটিরে তো বসাইয়া বসাইয়া খাওয়ানের কথা না ... আপাততঃ সাইরা ওঠানোর কথা ... মাথাপিছু আড়াইহাজার তো খারাপ না

৫| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৫১

কাবিল কৈতর বলেছেন: আলুচনা করতে ভুইলা গেছিলাম:
এক এক সময় এক এক কথা মনে হয়:
১) লোভী ব্যবসায়ী
২)বৈদেশিক সাহায্য কম
৩) পলিটিক্যাল খেলা

উত্তরনের উপায় একটাই মজুদ আছে নাকি এইটা বাইর করা। তারপর যেই পিচাশগুলা লাভ করতেছে ঐগুলারে ক্রসফায়ার করা। আর কোন উপায় আচে বলে মনে করি না।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৫৩

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: তারমানে আপনি বলছেন মজুদদারীই কারণ ?... এই মজুদকারকদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য বের করা কতটা কঠিন বলে মনে করেন?

৬| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৫৬

ফ্রুলিংক্স বলেছেন: আন্তর্জাতিক বাজারে সব পন্যেরই দাম বেড়েছে। আমাদের অর্থনীতি আমদানী নির্ভর। ব্যবসায়ীদের উপর কোন সরকারেরই কন্ট্রোল ছিলো না। তারা আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দাম বাড়াবে। কিন্তু বিশ্ববাজারে দাম কমলেও বাংলাদেশে দাম কমবে না। এইটা নিয়ন্ত্রন করতে হবে।

আমার মতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদেরই সনির্ভর হতে হবে। বিশেষ করে যেসব জিনিস আমরা উতপাদন করতে পারি। যেমন-কৃষি। সরকারকে কৃষিতে অবশ্যই অবশ্যই ভুর্তুকি দিতে হবে।

(অর্থনীতি বুঝি কম!!)

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:০১

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কোন হারে বেড়েছে? বাংলাদেশেরটা খুবই বেশী মনে হচ্ছে
যেমন জাপানে, গত চারমাসে দাম বেড়েছে গড়ে ২% এর কম ... সেটা নিয়ে নিয়মিত নিউজওয়ালারা মাতামাতি করছে ... ডিপাঃ স্টোরগুলো অপেক্ষাকৃত কম ব্যবহার্য জিনিস (শখের জিনিস) বেশী দামে বেচে নিত্যপ্রয়োজনীয়গুলোর দাম ধরাছোঁয়ার মধ্যে রাখছে ...

আমিও অর্থনীতি বুঝিনা ... মাথা গরম হয়ে আছে!!

৭| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৫৯

কৌশিক বলেছেন: আসলে ভাবতে হবে কারণগুলো কি। মানে সমস্যাটা কোথায়! সমাধানতো সেখানেই আছে।
আপনার উল্লেখিত বিষয়গুলো তো আছেই - সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটা তা হলো এই অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির সাথে চাহিদা-যোগানের যে দ্রব্যমূল্য স্থিতিতায়নের সূত্র - সেটা কাজ করছে না। সামথিং ইজ গ্রেট রঙ - এ পলিটক্যাল মিসহ্যাপ ইজ দেয়ার!

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:০৩

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আপনার ধারনাটা বলুন কৌশিকদা ... কিরকম পলিটিক্যাল মিসহ্যাপ হতে পারে ... বাংলাদেশে যেহারে দাম বাড়ছে এটা আশ্চর্যজনক!! ...

চাহিদা আর যোগানের ঘাটতিটা কতটুকু, এ নিয়ে ভালো গুছানো কোন রিপোর্ট আছে? ... থাকলে একটু লিংক-টিংক দিয়েন

৮| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:১৯

কৌশিক বলেছেন: প্রথম কারণ হচ্ছে -
১. বাজার নিয়ন্ত্রনকারী গোষ্ঠীর সাথে সরকারের সম্পর্কায়নের অভিজ্ঞতা নেই। (সরকার বলতে কিন্তু গোটা পনের উপদেষ্ঠা আর কিছু জলপাই হাই অফিসিয়াল)
২. এই ব্রুক্রেটিক সরকার সেই বাজার নিয়ণ্ত্রণকারী গোষ্ঠীর সাথে বিরাজমান প্রক্রিয়ায় "ম্যানেজমেন্ট চেঞ্জ" করেছে।
৩. "ম্যানেজমেন্ট চেঞ্জ" একদল ব্যবসায়ীকে বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিয়েছে।
৪. দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী পূর্বতন রাজনীতি+ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর বাজার সরবরাহ ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য নীতি প্রয়োগ করেছে।
৫. এই নীতি দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় প্রয়োগিত এবং এতে পূর্বের দলীয় রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক ব্যবসায়ীরাও সুযোগ পেয়েছে।
৬. লোকাল লেবেলে সরকারী নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়নকারী জনপ্রতিনিধি না থেকে রাষ্ট্রের বেতনভোগী স্টাফ নিযুক্তি বাজার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা - কোন কাজেই আসে নি।
৭. পরিশেষে বাজার এর সাথে সরকারের সব ধরণের রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে।

ক্ষমতাসীন দলের প্রতিটা মহল্লায় জনপ্রতিনিধি থাকে যারা তার সরকারের অনেক এজেন্ডা বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে জানপ্রান দেয়। এ সরকারের জন্য কে দেবে? কেউ এ সরকারকে ওউন করে না।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:২৪

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: ভালো কতগুলো কারণ আসল ... ধন্যবাদ কৌশিক দা ... তারমানে আমরা কি আশা করতে পারি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে আসলে বাজারে দাম আবার কমে আসবে?

আরেকটা প্রশ্ন: জোট সরকারের আমলেও বাজারে জিনিসপত্রের দাম অসহনীয় মাত্রায়ই বাড়ছিলো ... তাদের কি লোকাল লেভেলে পর্যাপ্ত "প্রতিটা মহল্লায় জনপ্রতিনিধি" ছিলনা?

অন্যভাবে বললে, বাজার কি এই রাজনৈতিক "প্রতিটা মহল্লায় জনপ্রতিনিধি"দের হাতে একরকম জিম্মি?

৯| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:১০

মাহবুব সুমন বলেছেন: আলোচনায় আসছি একটু পর।
এ মুহুর্তে ঘনতন্ত্র নিয়ে জরুরী মিটিং চলছে।
লালবাড়ির টেলিফোনটা সেরে নেই।
বিরুই ধানের টন কতো ?
ইউ এস সাব প্রাইম নিয়ে ভাবছি,
কফিটা শেষ হোক।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:২০

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আপনার মতামত জানতে আগ্রহী ... ওকে কফি খান আগে ... আমিও বসুম এককাপ নিয়া

১০| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:২৩

ফারহান দাউদ বলেছেন: "মনে রাখবেন, আমরা যারা এখানে ব্লগিং করি তাদের প্রায় সবারই ইন্টারনেটের মতো বিলাসিতার পেছনে খরচ করার সামর্থ্য আছে, অর্থাৎ, খাবারের দামের এই ঊর্ধগতি আমাদের সেরকম দুশ্চিন্তায় ফেলছেনা।"
বস্ একমত না,ইন্টারনেট রাখতে গিয়া আমার টিউশনির ১টা ভাল অঙ্ক যায়,বাপের ঐ ক্ষমতা নাই,এই বাজারে চলতে গিয়া হিমশিম খাই,কয়দিন ইন্টারনেট রাখতে পারব সন্দেহ,এভাবে চললে সম্ভব না।
মদন প্রায় সবটাই বলে দিয়েছেন। আসল কথা হল ব্যবসায়ী মহলটার কাছে আমরা পুরোপুরি জিম্মি হয়ে গেছি। নির্বাচিত সরকার আসলেও এটার বদল হবে বলে মনে হয়না,কারণ এইসব আমদানীকারকদের চাঁদা দিয়াই পলিটিক্যাল পার্টিগুলা চলে,পার্টির নেতারা যে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সেটা কি হাওয়া থেকে আসে? সমাধানটা আসলেই বুঝতে পারছি না,মনে হয় মজুদদারদের গুদাম লুট করার মত চরমপন্থায় যাওয়া ছাড়া এই দুষ্টচক্র থেকে বের হওয়া যাবে না(মনের দুঃখে বললাম,আসলেই মাথায় কিছু আসছে না,যারা ডেইলি সরকাররে গালি দেন তারা আইসা কিছু ১টা সমাধান দেন)

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:২৮

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: হুমমম ... হিমশিমটা কিছুটা টের পাওয়া যাচ্ছে ... বাসায় ফোন করলেই বুঝি ... আমারও পরিচিত যারা ইদানিং জাপান থেকে দেশে ফিরে গেছেন, সবাই মাথা চাপড়াচ্ছেন ... ইউনিভার্সিটির শিক্ষকও বলছেন ঐদেশে কামলা দেয়া বেটার ছিল ... এরকমটা আগে দেখিনি

কিন্তু তারপরও গরীব মানুষের অবস্থার সাথে তুলনীয় না ... গার্মেন্টস কর্মীরা নাকি বেতন পায় বড়জোর দুই-আড়াই হাজার ... ভাতও তো খাওয়া যাবেনা

সস্তা রেস্টুরেন্ট গুলোতে খাবারের দাম কেমন বেড়েছে? ...

১১| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:২৫

মামু বলেছেন: আলুচনা টা ভাল লাগতাচে, চালাইয়া যান.....

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৩

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আপনিও মতামত দিন

১২| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৪

মাহবুব সুমন বলেছেন: প্রথমেই খাদ্যদ্রব্যের কথায় আসে, মুলত দেশীয় বাজারে উদপাদিত পন্যের ব্যপারে।

উৎপাদক/ চাষি পর্যায়েঃ

১) সেচ যন্ত্রের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ডিজেলের মুল্য বৃদ্ধি।

২) তড়িৎচালিত সেচযন্ত্রের উপর নির্ভর করা যাচ্ছে নামম কারন পর্যাপ্ত সরবারহের অভাব বা একেবারেই বন্ধ। উদাহরনঃ বরেন্দ্র সেচ প্রকল্পের ব্যর্থতা।

৩) সবচাইতে বড় সমস্যাঃ রাসায়নিক সারের সরবরাহে অপ্রতুলতা যার খবর খবরের কাগজগুলোতে নিয়মিত আসতে "চেস্টা" করেছে।

৪) বীজ সরবরাহে বিএডিসির অবর্তমানে বেসরকারী বীজ সরবরাহ কারীর অসৎ ও প্রতারনামুলক দৌরত্ব। উদঃ চিটা ধান

৫) পাওয়ার টিলার এর জ্বালানী ডিজেলের সল্পতা।

৬) দ্রব্যমুল্যের বৃদ্ধিজনিত কারনে শ্রমিকের শ্রমমুল্য বৃদ্ধি।

৭) প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর পর দুটো বন্যা ও উপকুল অন্চলে সিডর।

৮)সরকারি পর্যায়ে সহায়তার অভাব।

এসব কারনে উতপাদনে মুল্যবৃদ্ধি ঘটছে উৎপাদক/ চাষি পর্য়ায়ে। যার সুফল চাষিরা পাচ্ছে না কোনোভাবেই ও বাজারে এর প্রভাব পড়ছে।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৩

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: সুমন কি বলতে চাচ্ছেন এই সমস্যাগুলো এবছর ভয়াবহভাবে দেখা দিয়েছে? এক সিডরেই দেড়গুন বেড়ে যাবে শস্যের দাম?

নাকি বহুদিন ধরে এই সমস্যাগুলোর আফটার ইফেক্ট পুঞ্জীভূত হতে হতে এখন হঠাৎ করে বার্স্ট করেছে?

১৩| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৩২

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: কাবিল, কৌশিকদা, মদন আর ফারহানের কথায় বোঝা গেল মজুদদারীরা সিন্ডিকেটিং করে দাম বাড়াচ্ছে ... এবং কৌশিকদার পয়েন্টমতো রাজনৈতিক দলগুলোর লোকাল লেভেলের জনপ্রতিনিধিদের এটা দমন করার ক্ষমতা আছে

প্রশ্ন হলো:
১. এই জনপ্রতিনিধিরা কি এখন ইচ্ছে করে এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছেনা, না তাদের করার সুযোগ নেই?

২. উল্টো, জনপ্রতিনিধিদের কি এখানে কোন ম্যানিপুলেশনের কথা ভাবা যায়? তাহলেশয়ত সরকার নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষনা করলে বাজার ঠান্ডা হবে

৩. সাংবাদিকরা কেন এসব মজুদদারদের তথ্য দিতে পারছেননা? ... অক্ষমতা, নাকি অনিচ্ছা?

১৪| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৪

কৌশিক বলেছেন: জ্বিনের বাদশ, আমাদের চূড়ান্ত ও একমাত্র সমস্যা হচ্ছে আমরা রাজনীতি মানেই নেগেটিভ দেখে থাকি। এই দেখার কারণে বিশেষত শক্তিশালী মধ্যবিত্তের বেশীরভাগ এমন ভাবার কারণেই রাজনীতিমুক্ত সরকার গঠিত হয়েছে।

একটা রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায়নে অন্যদলগুলো আসলে ছায়া সরকারের মত কাজ করে। প্রতিনিয়ত সমালোচনা করে, হরতাল করে। এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সরকার বাধার সম্মুখীন হয়। বিরোধী পক্ষ বলে শোনাতে না পারলে, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট সে সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে বা বা দিতে সরকারকে বাধ্য করে। দলগুলো এসব করে নিজেদের স্বার্থেই তবে সেখানে জনগণের এমন কিছু চটকদার ইস্যুকে গচ্ছিত রেখে।

দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি হয়েছে রাজনৈতিক সরাকারের সময় - কিন্তু তা সহনীয় ছিল। রাজনৈতিক সরকার এখনও থাকলে নিশ্চিতভাবে বলা যায় দামের এই বৃদ্ধি এত কঠিন হতো না বা জনগণের লাগতো না। কারণ

১. সরকার বিভিন্ন ট্যাক্স-ট্যারিফ কমাতো
২. ভর্তুকি দিতো
৩. বেতনভাতাদি বাড়াতো
৪. বাজারে মানি সার্কুলেশন বাড়ে এমন কিছু কাজ করতো ব্যাকডোরে যেমন অবৈধটাকার মালিকেরা বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি করতো বা ব্যবসা বাণিজ্যে আরো প্রসার ঘটাতো।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সরকারের নীতি বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকে, বিশেষত এমন ক্রাইসিস মুহূর্তে তাদের সরকার ব্যবহার করতে সক্ষম হয়। একটা ট্রায়াল এন্ড এরর মেথডে কিছু নিয়ন্ত্রণকারী ফোর্স একটিভ থাকে।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৯

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: রাজনীতি কে নেগেটিভলি দেখছিনা ... বলছি, পার্থক্যটা কোথায় সেটা তো চিহ্নিত করতে হবে

আপনার এখনকার মন্তব্যে আমি আবার কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি যে এরকম অসম্ভব মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কি মজুদদারদের ম্যানিপুলেশন আছে, নাকি অগণতান্ত্রিক সরকারের ন্যাচারাল ইফেক্ট

রাজনৈতিক সরকার থাকলে যেসব করত বলেছেন
১. সরকার বিভিন্ন ট্যাক্স-ট্যারিফ কমাতো
২. ভর্তুকি দিতো
এদুটো যতদূর জানি এসরকারও দিচ্ছে ... এবার কি খাদ্যশস্যের আমদানীর উপর ট্যাক্সট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে? মনে তো হয়না ...

৩. বেতনভাতাদি বাড়াতো
এটা শুধু সরকারী কিছু কর্মচারীকে সুবিধা দেবে ... গরীবের কি হবে?... আর বেতন-ভাতা বাড়ানোর আপার লিমিটটা কোথায়?

৪ নম্বর পয়েন্ট টা একটা কারণ হতে পারে ... তবে এর আফটার ইফেক্ট হিসেবে ম্যানিপুলেটেড সিন্ডিকেটিংও চিন্তা করা যায়
এখন প্রশ্ন হলো, এই ম্যানিপুলেটেড সিন্ডিকেটিংটা আসলেই হচ্ছে কিনা? হলে, সরকার সেটা কোথায় হচ্ছে বের করতে পারছেনা কেন? ... সাংবাদিকরাই বা কেন পারছেনা?

১৫| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৫

মো: খায়রুল বাসার বলেছেন: এভাবে মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার আমাদের স্লোপয়জিং করছে । ভবিষ্যতে যেন প্রতিবাদ করার ক্ষমতা না থাকে ।
"হিরক রাজার দেশে" - আমরা বসবাস করছি ।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:০০

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আপনি বলতে চাচ্ছেন, সরকার চাইলেই দাম কমাতে পারে?

১৬| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৬

মাহবুব সুমন বলেছেন: এর পরের পর্যায়ে আসে সাপ্লাই চেইন পর্যায়ে।

ঊৎপাদক হতে ভোক্তা হতে আসা পর্যন্ত বেশ কটা ধাপ পেরুতে হয়, যেগুলো হচ্ছে---

১) চাষি
২) ফড়িয়া
৩) পাইকার
৪) আড়তদার/পাইকারী বিক্রেতা
৫) খুচরা বিক্রেতা
৬) ক্রেতা

এর প্রতিটি ধাপে মুল্যবৃদ্ধি ঘটে। যার প্রভাব পরে ভোক্তা শ্রেনীতে।

যে মরিচের দাম ১০ টাকা মন হয় কিশোরগন্জের হাটে সেই মরিচ ঢাকার বাজারে কিনতে হয় ১০ টাকা কেজিতে ( উদাহরন সরুপ বলা হলো)

এই চেইনে মুল্য বৃদ্ধির কিছু কারন দেয়া যাক---

১) ট্রাকের ভাড়া বৃদ্ধি ( তেলের ডাম বৃদ্ধি)
২) পরিবহন ব্যবসায় সিন্ডিকেশন ও চাঁদাবাজি।
৩) পথে চাঁদাবাজি ( এখন পর্দার আড়ালে )
৪) পুলিশের চাঁদাবাজি
৫) সরাকারি পর্যায়ে চাঁদাবাজি ( যমুনা সেতু বা সিটি কর্পোরেশনের বাজার পরিদর্শক )
৬) খাদ্য অধিদপ্তরের ঘুষ ( মিলারদের কাছ হতে চাল-কম কেনার সময় )
৭) প্রশাসনের ঘুষ।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:০২

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: এই চেইনে মুল্য বৃদ্ধির কিছু কারন দেয়া যাক---

১) ট্রাকের ভাড়া বৃদ্ধি ( তেলের ডাম বৃদ্ধি)
২) পরিবহন ব্যবসায় সিন্ডিকেশন ও চাঁদাবাজি।
৩) পথে চাঁদাবাজি ( এখন পর্দার আড়ালে )
৪) পুলিশের চাঁদাবাজি
৫) সরাকারি পর্যায়ে চাঁদাবাজি ( যমুনা সেতু বা সিটি কর্পোরেশনের বাজার পরিদর্শক )
৬) খাদ্য অধিদপ্তরের ঘুষ ( মিলারদের কাছ হতে চাল-কম কেনার সময় )
৭) প্রশাসনের ঘুষ

****************************

সুমন, তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে ঠিক আছে ... সরকার তেলের উপর বেশ ভালোমানের ভর্তুকি দিচ্ছে ... কিন্তু অন্যান্য কারণ গুলো কি এখন খুব প্রকট? ... তারমানে কি এই সরকার আসার পর উলটে এই চাঁদাবাজি/ঘুষ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে?

১৭| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৬

প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব বলেছেন: একটা প্রশ্নের উত্তর কি কেউ দিবেন?

আমদানি করা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ২টাকা মুনাফা করেও ৪৩ টাকা করে ভারতে কিভাবে বিক্রি করলো মেঘনা অয়েল?

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:০৪

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: প্রত্যুদা, সম্ভবতঃ আপনার কাছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে ... মেঘনা অয়েলের এই কাহিনী প্রতঃম শুনলাম ... আরো শেয়ার করুন

অথবা, কারণটা আপনিই বলে দিন ... আলোচনা জমুক

১৮| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৫০

মাহবুব সুমন বলেছেন: আমদানি পর্যায়ের কথা বলা যাক---

১) আন্তর্জাতিক বাজারে মুল্যবৃদ্ধি।
২) সিন্ডিকেশন
৩) পরিবহন ব্যায় বৃদ্ধি
৪) ডলারের সাথে টাকার অবমুল্যায়ন ও ইউরোর কাছে ডলারের মুল্যহ্রাস
৫) সরকারী পর্যায় হতে ( উদাঃ সামরিক ছাগল ও দুদক ) আক্রান্ত হয়ে অনেক আমদানিকারকের হাত গুটিয়ে বসে থাকা।
৬)

১৯| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৬

মাহবুব সুমন বলেছেন: সমস্যা সব সময়ই ছিলো তবে রাজনৈতিক সরকারগুলো সেগুলো হাতের নাগালে রাখতে পেরেছিলো যা এই জারজ সরকার করতে সক্ষম হয়নি , যার বহিঃপ্রকাশ দেখতে পাচ্ছি একই সাথে।

মুদ্রাস্ফীতির হার এর জন্য দায়ী বলে মনে করছি।/
ব্যবসায়ীরা লাভ করবেই তবে সেটা অতিলাভের দিকে গেলেই সমস্যা।

সরকারের ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখছি।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:০৬

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আসল কালপ্রিট কে তাহলে?

মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা? রাজনৈতিক সরকার এদের একটা লেভেল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, কিন্তু এই গর্দভ সামরিক সরকার পারছেনা -- তাইতো?

মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তথ্যের অভাব আছে বলে কি মনে করেন?

২০| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৩

প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব বলেছেন: বস... জলপাই এর প্রথম আগমনের সময় খাতুনগঞ্জের আমদানি কারকদের একটা দৌড়ানি দেয়া হয়েছিল... যেটা আর সামলানো যায়নি। ব্যবসায়ীদের বলতে শোনা গেছে "দেখি সরকার কতদুর যেতে পারে"।

এর পর যেটা ঘটছে... আমাদের আমদানি কারকগন চিন/ডাল/তেল কিনে জাহাজ বোঝাই করে পেরু/ভিয়েতনাম সহ আফ্রিকার কিছু বাজারে বিক্রি করতেছে। বাংলাদেশে আনতেছে না।

ব্যবসায়ীদের সাথে সরকারের একটা গুড রিলেশন জরুরী.. একটা মনিটরিং সেল জরুরী। যেটা বার্গেইন করবে... টেকনিকেলি নিয়ন্ত্রণ করবে কিন্তু ব্যবসায়ীদের জন্য ভয়ের কারণ হবে না। আপনি যখন ব্যবসায়ী তখন নিশ্চয় আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থ ঝুকির মধ্যে ফেলবেন না।

নিজের দেশে তেল বিক্রি না করে ভারতের বাজারে তেল রফতানী করতেছে। যেখানে বাংলাদেশে এখন ১০৮ টাকা লিটার। এখানে কিন্তু দ্বিগুন মুনাফার বিষয়টা জিইয়ে রাখতেছে।

আজকের পত্রিকা দেখেন... RAB খাতুন গঞ্জে একটা কাজে গিয়েছিলো ... ব্যবসায়ীগন ভয়ে সাব জিনিষপত্রের দাম কমিয়ে বাজারে বিক্রি করেছে। কেউ কিন্তু লসে মার্কেটে মাল ছাড়েনি। আসলে লাভের পরিমান অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পরেছে।

এখন যদি বলেন রাজনৈতিক সরকার আসলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে আমি এর সাথে দ্বিমত পোষন করছি। এক আব্দুল আউয়াল মিন্টু সব দলকেই চাদা প্রদান করেছে। সো সে এই চাদার টাকা নিশ্চয় কোন না কোন খাত থেকে তুলবে... তাই নয়কি? এরম আরো ভুরি ভুরি কথা আছে...


সরি... আমার ব্যক্তিগত মত প্রকাশ... কারো সাথে দ্বিমত থাকতেই পারে...

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৫২

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: "ব্যবসায়ীদের সাথে সরকারের একটা গুড রিলেশন জরুরী.. একটা মনিটরিং সেল জরুরী। " -- এটা সম্ভবতঃ খুব জরুরী দরকার ...

প্রত্যুদা, একটা জিনিস ক্লিয়ার করতে চাই,
এই যে আমদানীকারকরা দেশে না এনে পেরু/আফ্রিকাতে বিক্রী করে দিচ্ছে, এটা কেন? দেশে বিক্রী করলে তাদের লাভ কম হবে বলে? নাকি লস হবে বলে?


"নিজের দেশে তেল বিক্রি না করে ভারতের বাজারে তেল রফতানী করতেছে। যেখানে বাংলাদেশে এখন ১০৮ টাকা লিটার। এখানে কিন্তু দ্বিগুন মুনাফার বিষয়টা জিইয়ে রাখতেছে।"
এটা কেন করছে? ভারতে বেশী দামে বিক্রী করা যায়?

২১| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:২০

মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন:
লিখতে খারাপ লাগছে।
বাট দুর্ভিক্ষ অত্যাসন্ন।

শুধু একটা পুশ দরকার এবার।

আমার মতে মিলিটারী বাজেট কমানো উচিত।
আধেকে নামিয়ে ফেলা উচিত।

ঘোড়ার মিলিটারী দরকার নাই।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৩০

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: মিলিটারী বাজেট কমালে সমস্যা সমাধান হবে?

২২| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৫

মাহবুব সুমন বলেছেন: ঘুষের কথা যদি বলা হয় তবে সেটার প্রকোপ কমে নাই বলে মনে করছি, হয়তো যেটা আগে প্রকাশ্যেই হতো সেটা আড়ালে হয়।

সরকারকে দায়ী করছি মুলত। সরকারের কাজ হলো অর্থনীতিকে সুষম ব্যবস্থাপনা করা, যেটা করতে তার সক্ষম হচ্ছে বলে মনে করছি না।
মুনাফালোভি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙার কোনো উদাহরন এরা দাঁড়া করাতে পারেনি, প্রথম অবস্থায় কাগজে-কলমে বা বাক্যে কিছু একটা করার চেস্টা দেখা গেলেও পরবর্তিতে সেটা তার প্রয়োগ করেনি।

বিডিআর দ্বারা বাজার নিয়ন্ত্রনের মতো বালসুলভ আচরন তার করেছে যেটা কাজে না এসে মুলত এদের লুঙি খুলে নগ্ন করে এদের সক্ষমতাকেই হাস্যকর করেছে।

উৎপাদক/ চাষি পর্যায়ে যে সুযোগ সুবিধা দেয়া উচিৎ সেটাও তারা করে নি। সার সরবরাহ, জ্বালানি তেলের সরবরাহ এর দিকে লক্ষ্য করলে ব্যপারটা স্পস্ট হয়।

সরকার তাদের অর্থনীতি নীতিমালা কি ধরনের হবে সেটা প্রকাশ করেনি, আদতে সেটা আছে কি না সন্দেহ। অথচ বর্তমান পৃথিবীতে অর্থনীতি নীতিমালা সবার আগে প্রকাশ করে থাকে ও সেটার প্রয়োগ করে।

দেশের খাদ্য ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের অবস্থান আনাড়ি। খাদ্য দ্রব্যের মজুদ কি পরিমান থাকা উচিত সেটা তারা ভুলে গিয়েছিলো মনে হয়। এর জন্য সংকটের সময় তাদের আমদানির দিকে নজর দিতে হয়েছে যেখানে বর্তমান পৃথিবীতে ফুড গ্রেইনের মুল্য বাড়তির দিকে।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৭

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: "মুনাফালোভি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙার কোনো উদাহরন এরা দাঁড়া করাতে পারেনি" -- এটাই তাঃলে সমাধানের মূল উপায়?

কৌশিকদা অবশ্য ভালো একটা যুক্তি দিয়েছেন ... এই সরকার কোন ব্যবসায়ী সংগঠনকে ঔন করেনা ... কিন্তু রাজনৈতিক সরকারগুলো করে ... তারা তাই ঐসব ব্যবসায়ী সংগঠনকে বাজারের মূল নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করে দামবৃদ্ধিকে সহনীয় রাখে ...

এখন স্বল্প সময়ে সরকারের করণীয় কি?

২৩| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:২৭

কৌশিক বলেছেন: মজুতদার শব্দটা ভুলে যান। এটা কোন সমস্যা নয়। সমস্যা হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে একই পন্য চড়া দামে। যোগান ঠিক আছে, চাহিদা ঠিক আছে - আনুষঙ্গিক কস্ট ইনফ্লেশন অনুযায়ী বেড়েছে - খুব বাড়াবাড়ী রকমের কিছু নয়। কিন্তু চাল, ডাল, আটার দাম বৃদ্ধি কেন ঘটেছে লাগাম ছাড়া? ব্যবসায়ীরা কেন দাম বাড়াচ্ছে! ব্যবসা করার জন্যই বাড়াচ্ছে; নো ম্যানুপুলেশন। হ্যা ন্যাচারাল ইফেক্ট বলা যায়।

আমি এটা বলার চেষ্টা করেছি যে সরকার আইনশৃংখলা, কুটনীতি, রাজনীতি যেভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারে ব্যবসা বা শিল্পকেও কি সেভাবে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখে !

সুশীলরা বলে এসেছে, রাজনীতি ক্ষমতার খেলা। রাজনীতিবিদরা নিজেদের স্বার্থের জন্য, অর্থ কামাবার জন্য রাজনীতি করেন। সুতরাং বলা যায় বাংলাদেশে ব্যবসা, বাণিজ্য, শিল্প অর্থাৎ যার সাথে জনগনের ভাগ্য জড়িত তার সাথে রাজনীতির ওতপ্রোত সম্পর্ক। এখন রাজনীতিতে যারা এসেছে তারা এই প্রচলিত ধারার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন। সুতরাং একটা অচলাবস্থা যে তৈরী হবে সেটা ভেবে রাজনীতিবিদরা আগেই মুখ টিপে হেসেছিলেন। এদেশের জনগণ রাজনৈতিকভাবেই অভ্যস্ত - দূর্ণীতি, তদবীর, মূল্যবৃদ্ধি, সরকারের নিয়ণ্ত্রণ ও আইন অমান্যের সাথে। সরকার যখন কোন নিয়ম করে সেটা দীর্ঘসূত্রিতায় বাস্তবায়ন হওয়া বা কখনও একেবারেই না হওয়া এখানের ধরণ। এই সরকার ট্যাক্স/ট্যারিফ বাড়ায় নি বা সেটা ধর্তব্য নয়, কিন্তু ব্যবসায়ীদের শৃংখলিত করেছে প্রতিনিয়ত।

সরকারকে কোন ব্যবসায়ী সংগঠন ওইন করে না। তারা নিজেদের স্ফীত করার এমন সুযোগ ছাড়বে কেন? এটা বের করার কিছু নেই, এটাই দৃশ্যমান। আপনি বললেন না, যাদের পেটের চিন্তা নাই, তাদের এ নিয়ে তো মাথাব্যাথাও নেই। রাজনীতি একটিভ থাকলে কিছু মানুষ নিজের ক্ষমতায়নের জন্য এসব ইস্যু নিয়ে সোচ্চার হতো - কিছু দরিদ্রকে দলে নিয়ে শক্তি বৃদ্ধি করতো। এখন তো আর কোন দায় নেই, না সরকারের, না মিডিয়ার, না এই সুশীল ব্লগের!

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৪১

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: "কিন্তু চাল, ডাল, আটার দাম বৃদ্ধি কেন ঘটেছে লাগাম ছাড়া? ব্যবসায়ীরা কেন দাম বাড়াচ্ছে! ব্যবসা করার জন্যই বাড়াচ্ছে; নো ম্যানুপুলেশন। হ্যা ন্যাচারাল ইফেক্ট বলা যায়। " -- এটা কিন্তু অর্থনীতির মূলনীতি মানেনা ... বাজারের সব বিক্রেতার কাছে পণ্য ভালোভাবে আসার সুযোগ থাকলে কেউ ধাম করে দেড়গুন দাম বাড়িয়ে দেবেনা ... এখানে কনফার্ম সিন্ডিকেটিং হচ্ছে ...

উদাহরণ দিয়ে বলি, ধরুন কাফরুল বাজারে দশজন চাল বিক্রেতা আছে ... এখন ধরুন এরা কাওরান বাজার থেকে চাল কিনে আনে ... এখন কাওরান বাজারের একজন পাইকারী ব্যবসায়ী যদি দাম ধাপ করে বাড়িয়ে দেয়, তাহলে কাফরুলের ব্যবসায়ীরা কাওরান বাজারের অন্য পাইকারী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিনবে ... কিন্তু ব্যাপারটা যদি এমন হয় যে কাওরান বাজারে একজনই পাইকারী ব্যবসায়ী আছে, তাহলে সে ইচ্ছেমতো দাম বাড়াতে পারে ...

এখন কথা হলো, চালের ক্ষেত্রে বলুন, দুধের ক্ষেত্রে বলুন --- এরকম একটা সেন্ট্রালাইজেশন কোথাও না কোথাও হচ্ছে ... তা না হলে পণ্য যথেষ্ট থাকলে দাম বাড়ার কথা না ... আনুসঙ্গিক ইনফ্রা কস্টের বৃদ্ধির কারণে কিছুটা বাড়তে পারে এরকম না

তাই, এই উদাহরণে কেউ একজন পণ্যের যোগানের কলকাঠি নাড়ছে

এটাইতো মজুতদারী ... বাজারের সব মাল আমি কিনে ফেলে এখন সেটার ওপর যাচ্ছেতাই দাম চড়াব

এছাড়া কিন্তু এরকম দাম বাড়ার ক্থা না


কাজেই ন্যাচারাল বলে মানতে পারছিনা ... ম্যানিপুলেশন দেখতে পাচ্ছি
****************************************************

এখন সমস্যা হলো সরকার এই ম্যানিপুলেশন দমন করছেনা কেন?

**************************************************

আপনার কি মনে হয়? রাজনৈতিক সরকার কিভাবে এই ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা অর্জনকে দমন করত ... তাদের নিজেদের ঔন করা ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর হাতে নিয়ন্ত্রণ দিয়ে?

***************************************************

তাহলে কি আমরা বলবনা আমরা রাজনীতিবিদদের মদদপুষ্ট এসব ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি? ... এটা কি ফেয়ার গেম?

********************************************************

এসব প্রশ্ন থাকছেই?

তারপরও, সবার চেয়ে বড় প্রশ্ন,
এখনকার এই বেকুব সরকারের কি করণীয় কিছু আছে? সেটাও আলোচনা করুন

২৪| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: গল্পটা স্পষ্টত আন্তর্জাতিক বাজার রাজনীতির, যেটার সাথে স্থানীয় সামরিক রাজনীতিকে পৃথক করে না দেখাই উত্তম।
কৌশিকের, সরকারকে কোন ব্যবসায়ী সংগঠন ওউন করে না মানছি, কিন্তু এই সরকারও তো দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলের অংশ। আমার মতে স্থানীয় সমস্যার সাথে বৈদেশিক পরিস্থিতর যোগাযোগকে বিযুক্ত করে দেখার কোন মানে নাই।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৪

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: শরৎ, পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই কি মূল্যবৃদ্ধির এরকম বেহাল অবস্থা? ... বাংলাদেশে যেটা ভয়াবহ, তা হলো, মিনিমাম প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর দাম অত্যধিক বেড়ে যাচ্ছে


এটার আফটার ইফেক্ট দেখুন ... চারদলীয় জোট মজা লুটবে ... বলবে আমাদের সময় আর এই সরকারের সময় তুলনা করো ... মনে আছে কিনা, চারদলীয় জোটের বিরুদ্ধে মানুষ মূলতঃ ক্ষিপ্ত ছিল এই দ্রব্যমূল্য নিয়েই

২৫| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৪১

মামু বলেছেন: আমদানী পন্যের দাম যে এত বাড়চে, আসলেই কি আন্তজাতিক বাজারে দ্বিগুন হইচে?
যে কারনে দেশের ভিতারেও দ্বিগুন হইচে?

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৮

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আলোচনায় যেটা মনে হচ্ছে ... আমদানীকৃত দ্রব্যের দাম বাড়ার চেয়েও দেশের ভেতরের সমস্যা ...

২৬| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৩

কৌশিক বলেছেন: শরৎ - সবই কাউন্টেড - কিন্তু বাজার নিয়ণ্ত্রণের মত সরকারের হাত পা বিস্তারিত না। এ সরকারের পক্ষে এটা সম্ভব না। দরকার অসংখ্য ক্ষমতার টোপ, জনপ্রতিনিধি, মতপথ, বিতর্কসহ স্থাপিত একটা গনতান্ত্রিক সরকার - প্রতিটা পদক্ষেপ যেখানে আনচ্যালেঞ্জড যেতে দেয়া হয় না। সালাউদ্দিনের মত দৌড় কোন উপদেষ্টাকে দেওয়ানো যায় না!

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৩

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: হুমমম, সরকারের হাত-পা বিস্তৃত না ... ভালো বলেছেন

আচ্ছা কৌশিকদা, এই যে যারা অনিয়ন্ত্রিতভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে, এরা পত্রিকার শিরোনামে আসছেনা কেন? ... এরা আসলে কারা?... আওয়ামী লীগ/বিএনপি কি এদের ঔন করে?

২৭| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৯

মাহবুব সুমন বলেছেন: সিন্ডিকেশনের কথা যদি বলা হয় তবে সেটা ভালো ভাবেই আছে।
দেশে অপরিশোধিত তেল, দুধ,গম বা অন্যান্য ভোগ্য পন্য চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন বাজারের কিছু আমদানিকারকের কাছে বাঁধা। এরা বিশাল গ্রুপ অফ কোম্পানিজের মাধ্যমে আমদানি করে দলবেঁধে, দাম বাড়ায়, আমদানি বন্ধ করে বা কম আমদানি করে। দেশের পত্রিকাগুলোতে এদের নাম পরিস্কার করেই বলা হয়েছে, তবে এদের বিরুদ্ধে কোনোই ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
চাল আমদানিতেও সিন্ডিকেশন রয়েছে। মুলত এই সব সিন্ডিকেশন, সরকারের ব্যর্থতা, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদনে সমস্যাগুলো মিলিয়ে দাম বেড়েই চলছে।
এর সাথে যুক্ত হয়েছে অন্যান্য ক্ষেত্রে দাম/খরচের বৃদ্ধি ; যেমন বাড়ী ভাড়া !
মধ্যবিত্ত-নিম্ন বিত্তদের অবস্থা কঠিন, এদের অংশ হিসেবে সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি।

মুল্যবৃদ্ধির কারন বুঝতে রকেট সায়েন্স বোঝার দরকার নেই। এর জন্য পলিটিক্যাল সায়েন্স বা ইকোনোমিকস এর কঠিন সুত্রও বোঝার দরকার তেমন নেই। কাজের কাজ কিছুই হয় না এসবে।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৬

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: তারমানে সরকার জানে কারা সিন্ডিকেশন করছে। কিন্তু ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কেন? নেয়ার ক্ষমতা নাই, নাকি ইচ্ছা নাই।

কৌশিকদার মত হলো, নেয়ার ক্ষমতা নাই।
আপনিও কি তাই ভাবেন?

২৮| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আন্তর্জাতিক বাজারকে এত অবধারিত মনে করার কিছু নাই। এটা স্থানীয়দের জন্য অবধারিত হয়ে ওঠে স্থানীয় ক্ষমতা বলয়ের যোগশাজশের উপর ভিত্তি করে। এক দুর্নীতির গল্প দিয়া পাবলিক ভুলানের দিন শেষ।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৪

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: বুঝলামনা ... আরেকটু বিস্তারিত বলেন

২৯| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৫১

নাভদ বলেছেন:

কৃষক আর খুচরা ক্রেতা এই দুই প্রান্তের মাঝে যারা আছে ....

( ফড়িয়া,পাইকার,আড়তদার/পাইকারী বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা)

...তাদের লাভের মার্জিন অনেক ...

আমি ১৯৯৮ সালে সিরাজগন্জ গিয়েছিলাম...বাজারে গিয়ে দেখা গেল ঢেড়স এর কেজি (খুচরা) ৫০ পয়সা। আমি একদিন পরে ঢাকায় গিয়ে দেখি সেখানে কেজি (খুচরা) ১৪ টাকা.....

লাভের হার কত হল?

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৯

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: এজন্য একটা উপায় হলো পণ্যের পরিবহনকে মিনিমাইজ করা ... তাহলে কম হাত বদল হবে... পণ্যের পরিবহনকে মিনিমাইজ করার জন্য মূল উপায় হলো সব অঞ্চলে মোটামুটি ব্যালান্স রেখে পণ্য উৎপাদন ... ভৌগলিক দিক দিয়ে বাংলাদেশে এটা কমবেশী সম্ভব ... সেটা কতটুকু হয় জানিনা ... সেখানে সরকারের একটা বড় দায়িত্ব আছে ...

আরেকটা সমস্যা অবশ্য আছে ... জনসংখ্যার ঘনত্বের পার্থক্য ... যেখানে ঘনত্ব বেশী সেখানে দাম বাড়বে ... কইছু করার নেই

তবে এই কারনগুলোর জন্য এমন ধাঁইধাঁই করে দাম বাড়বে?

৩০| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৫

মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন:
ঘোড়ার মিলিটারীর বাজেট না কমাইলে কোন কাজ হবে না।

নাহলে সব মিলিটারীকে র‌্যাব বানানো উচিত।
তাদের রেশনিং বন্ধ করা উচিত।

না হলে সবার রেশনিং বন্ধ করা উচিত।

দেশে দরকার পুলিশ। শিক্ষিত পুলিশ।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:০১

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আপনার বক্তব্য বুঝলামনা ... শিক্ষিত পুলিশ তো আর চাইলেই তৈরী করা যাবেনা ... আমাদের ইমিডিয়েট এ্যাকশন দরকার

৩১| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৬

মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন: *না হলে সবার রেশনিং বন্ধ করা উচিত।=না হলে সবার রেশনিং চালু করা উচিত।

৩২| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:০৫

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: মোটামুটি যেটা বোঝা গেল,

একদল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটিংয়ের মাধ্যমে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে সরকারের তাদের উপর হাত নেই, কারণ সরকার হস্তক্ষেপ করতে গেলে তারা মজুদকরা পণ্য অন্যান্য দেশে রপ্তানী করে দেশে পণ্যের যোগানসংকট তৈরী করবে।
তাছাড়া, সরকারের সাথে এসব ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট পরিমাণ সুসম্পর্ক বা যোগাযোগ তৈরী না হওয়ায়, সরকার এদেরকে নীতিগতভাবে প্রভাবিত করতেও পারছেনা।

এখন অর্থনীতিবিদ ফখরুদ্দিন সাহেবের চিন্তা করার ব্যাপার তারা কি করবেন?

সবাইকে ধন্যবাদ।

৩৩| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:০৭

প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব বলেছেন: প্রত্যুদা, একটা জিনিস ক্লিয়ার করতে চাই,
এই যে আমদানীকারকরা দেশে না এনে পেরু/আফ্রিকাতে বিক্রী করে দিচ্ছে, এটা কেন? দেশে বিক্রী করলে তাদের লাভ কম হবে বলে? নাকি লস হবে বলে?

আরে বস... সোনার হাস তো কেউ মাইরা ফেলতে চায় না... এটারে যাস্ট ধইরা রাখা... "বাজার অস্থিতিশীল থাকুক... ভবিষ্যতে আরো বেশী লাভ হইবো.." এরম একটা বিষয়

আর ব্যবসাটা এখন গ্লোবাল... অফিস শেষ বস.. যাইগা... আলোচনাটা ভালো হৈছে... ধন্যবাদ আপনাকে...

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১২

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আপনাকে বরং ধন্যবাদ ... ভালো পয়েন্ট তুলে ধরেছেন

৩৪| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:০৯

মাহবুব সুমন বলেছেন: সরকারের সিন্ডিকেটে বিপক্ষে কোনো কিছু স্বীদ্ধান্ত নেয়ার আইন ও শাষনগত ক্ষমতা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। এই সব সিন্ডিকেটের সাথে যুক্তরা অনেক ক্ষমতাশালী ও কোনো না কোনো ভাবে সরকার-প্রশাষনের সাথে যুক্ত। এদের একেবারে নিশ্চন্ন করে দেয়া সম্ভব নয় ও বাস্তবসম্মত নয়, যতক্ষন না পর্যন্ত এদের কোনো বিকল্প তৈড়ি করা যা যায়। বিকল্প তৈড়ি হলে তারা নিজেদের মাঝে যুদ্ধ করবে ও একসময় এ ধরনের সিন্ডিকেট দুর্বল হয়ে যাবে, সবশেষে ভেঙে যাবে।
তবে এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে সমস্যা দূর হবে না।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১৪

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: কঠিন রাজনীতি দেখা যায়? ... বিকল্প তৈরী করার সময় কি মইন মিয়ার আছে? ... দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে?

৩৫| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: জ্বিনের বাদশা: আমেরিকা সম্ভবত কৃষি খাতে সর্বাধিক ভর্তূকি দেয়া দেশগুলোর একটি। কিউবা ও ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশ এখন দ্রবমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টিকে ওয়াল্ড ব্যাংক বা আইএমএফ এর নির্দেশনা ফর্দের মত দেখেনা। তারা উৎপাদন ও বেসিক ভোগ্যখাতে ভর্তূকি দেয়। কোন একটা বিশেষ কালপ্রিট খুঁইজা এইটারে বিনাশ করার দিন শেষ এখন। প্রতিদিন নতুন নতুন কালপ্রিট তৈরী হইতাসে। ইতিহাস বলে যে সামরিক সরকারের আমলেই ওয়াল্ড ব্যাংক বা আইএমএফ এর নির্দেশনা ও ঋণগল্প সবচেয়ে বেশি অনুমোদিত হয়। চালের ক্রাইসিসে আমার কাছে আশু উপায় মনে হইছিল ভারতের কাছ থেইকা কম দামে চাল আনন । কিন্তু এখন সেটা ভারত দেবেনা বলেই মনে হয় কারণ এই সরকারের সাথে বনিবনা ভালো না। নয়া রাষ্ট্র ব্যবস্থার গল্পে এই খেলা সবাই খেলবে যতক্ষণ না বাংলাদেশ রাষ্ট্রযন্ত্র নিজেদের ভিত্তি=স্বাবলম্বীতা তৈরীতে মনোযোগী না হবে।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:২২

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: "কোন একটা বিশেষ কালপ্রিট খুঁইজা এইটারে বিনাশ করার দিন শেষ এখন। প্রতিদিন নতুন নতুন কালপ্রিট তৈরী হইতাসে। " -- এটাতো চিন্তার কথা!!!!
তারমানে আশু সমাধান নেই!!!

চাল আমদানীর ক্ষেত্রে কি ভারত ছাড়া আর অপশন নেই? ...

৩৬| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১০

মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন:
ইমেডিয়েটলি আর্মিপিপলদের ১/৩ অংশকে র‌্যাবে নেয়া উচিত।
তাদের ফিল্ডে এস সুন এস পাঠানো উচিত।
তাইলেই সব ঠিক।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১৫

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: লাঠিপেটা করে কয়দিন দমাবেন?
প্রত্যুদার কথামতো তো লাঠিপেটার কারণেই উল্টো সরকার নিজের সতীন বানিয়েছে :)

৩৭| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:২৪

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আপাততঃ আমি অফ গেলাম ... বাকীরা আলোচনা চালান

৩৮| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:২৯

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: নিশ্চই আছে। কিন্তু সেই অপশনগুলো নেবার জায়গায় আমাদের সরকার যাবেন কিনা সেটাই প্রশ্ন। চীন, কম্বোডিয়াও হইতে পারে।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: সরকার ভারতের সাথে দরাদরির আলোচনা কইরা যে সময় নষ্ট করল, তাতে তো ভিয়েতনাম কম্বোডিয়ায় কয়েকদফা জাহাজ আসা-যাওয়া করতে পারত মনে হয় :(

এখন তাড়াতাড়ি সবচেয়ে ইকনমিক সিদ্ধান্ত নিলেই হয় ... ভারত তো মনে হয় নিজেদের চাল জোগাতেই ব্যতিব্যস্ত

৩৯| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১২

মিরাজ বলেছেন: চমৎকার আলোচনা চলছে । জ্বিনের বাদশাকে ধন্যবাদ এরকম একটি পোষ্টের জন্য ।

ব্যস্ত আছি... ঘন্টা দুয়েক পরে আলোচনায় অংশ নেবো ।

শুধু একটা কথা বলি...

আমি বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে একটা দক্ষ কিন্তু কিছুটা দূর্নীতিগ্রস্থ সরকারকে একটি অদক্ষ দূর্নীতিমুক্ত সরকার অপেক্ষা উত্তম মনে করি ।

দক্ষ এবং দূর্নীতিমুক্ত সরকার এখনো আমাদের ধরা ছোয়ার বাইরে ।

১১ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: হুমমম ... এটা বাস্তব সমস্যা ...পরে আপনার মতামত আরো বিস্তারিতভাবে দিন

৪০| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: মিরাজ ভাইয়ের কথার সাথে একমত।

১. একটি নির্বাচিত সরকার দেশে আসলে আমার মনে হয় অনেকটা স্থিতিশীলতা আসবে।
২. এই সরকার যেভাবে ধরপাকড় শুরু করেছে তাতে সকল ব্যবসায়ীরা ভীত, অনেক আগের মত বিনিয়োগ করছেনা যার কারনে যোগান কমে গেছে। আগের সরকারি আমলে দূর্নীতি হলেও ব্যবসায়ীদের সাথে ভালো বোঝাপড়া ছিল যেটা এখন নেই। বাংলাদেশের মানুষ এমনিতেই সেনাবাহিনী দেখলে ভয় পায়। ইন ফ্যাক্ট এরা (বর্তমান সরকার) যা করেছে তাতে ভয় পাওয়ারই কথা।
৩. এরা তিনমাসের মেয়াদে এসে নানা টালবাহানা শুরু করেছে যার কারণে কেউ সঠিক করে বলতে পারছেনা নির্বাচনটা কবে হবে।

১২ ই মার্চ, ২০০৮ ভোর ৬:৪৪

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: ধন্যবাদ, ইমন ... আপনার দ্বিতীয় পয়েন্টটার বিষয়ে আলোচনায় অন্যদের মতামত কিন্তু ভিন্ন ... অধিকাংশই ধারনা করছেন যে পণ্যের যোগান যথেষ্ট আছে, কিন্তু বন্টনটা ব্যবসায়ীরা বেশী লাভের আশায় আটকে রেখেছে ... আর সরকারের সমস্যা হচ্ছে সরকার ব্যবসায়ীদেরকে এই প্রক্রিয়া থেকে বিরত রাখতে পারছেনা ... সেখানে মূল কারণ বলা হচ্ছে সরকারের সাথে ব্যবসায়ীদের সুসম্পর্ক নেই

৪১| ১১ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:১৬

রাশেদ বলেছেন: সরি, ভুলে মাইনাস দিছি। সরি। :|

১২ ই মার্চ, ২০০৮ ভোর ৬:৪৬

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: :(
হে হে হে ... ব্যাপারস না
এখন তাড়াতাড়ি তোমার মতামত দিয়া দাও ... কি করলে কি হইবেক?

৪২| ১২ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ৭:০০

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: দুই নাম্বার পয়েন্টে যে কথাটি বলেছি সেটা আমার আব্বুর কথার উপর ভিত্তি করে বলেছি। আমার মনে হয়না ব্যবসায়ীরা মজুদ করে রেখেছে। আমাদের ডিপার্টমেন্ট স্টোর আছে তাই আব্বুর সাথে চট্টগ্রামের খাতুনগন্জ, চাক্তাই এর সব ব্যবসায়ীদের সাথে ভালো পরিচয় আছে। যোগান আছে যারা বলেছেন তারা কিসের ভিত্তিতে বলেছেন জানিনা। তবে এই সরকার আসার পরে দূর্নীতি দমনের নামে যে হারে ধর পাকড় শুরু করেছে তাতে সৎ/অসৎ সকল ব্যবসায়ীরাই আতন্কিত ও ভীত। কারণ নিজের টাকা দিয়ে ব্যবসা করে অনেক ঝামেলায় যেতে চাইবেনা। তারা এখন বিনিয়োগ না করে বসে আছে। আরেকটা বিষয় যেটা শুনেছি সেটা হচ্ছে এই সরকার আসার পরে যারা আমদানীকারক তাদের যে এফ সি এ্যকাউন্ট না কি যেন দরকার হয় সেটার প্রসেসিংটা অনেক জটিল করে ফেলেছে এবং রেসট্রিকশন দিয়ে দিয়েছে যে কারণে তারা নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
একটা কথা বলে রাখি যারা আমদানীকারক কিংবা বড় ব্যবসায়ী তারা বছরখানেক ব্যবসা না করলেও কিন্তু তাদের সমস্যা হবেনা। এজন্য এখন রিস্ক নিতে কেউ চাচ্ছেনা।
আগের সরকারের আমলে তারা ঘুষ দিয়ে হলেও ব্যবসা করেছে কিন্তু এখন তারা কনফিউস্‌ড। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষা করছে।

১২ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ৭:৩৩

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আপনার দেয়া এই কারণটাও যুক্তিযংগত মনে হচ্ছে ...

এখানে যেটা প্রশ্ন থাকে, যদি বিনয়োগকারী কমে যায়, তাহলে দেশী পণ্য আর আমদানীকৃত পণ্যের বেলা দুটো ভিন্ন ঘটনা ঘটলেও ফলাফল অভিন্নই

যেমন, আমদানীকৃত পণ্যের বেলা যথারীতি আমদানী কমে যাবে ... ফলে খাদ্যঘাটতি দেখা দেবে ... যে অল্প সংখ্যক লোক আমদানী করবে তারা ইচ্ছে মতো দাম রাখতে পারবে ... সেখানে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকা উচিত

দেশের ভেতরের উৎপাদিত পণ্যের ক্ষেত্রে যেহেতু বাজারে বিনিয়োগ কম, চাষীদের কমদামে জিনিস ছেড়ে দিতে হবে ... বিনিয়োগ কম মানে বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীও কম, তাইনা? ... তারমানে এই অল্পকিছু মধ্যস্বত্বভোগী সব পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দাম বাড়িয়ে দেবে

ঘুরেফিরে কি কারো নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারটি চলে আসেনা?

আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করুন, দাম বাড়ছে শুধু সেসব জিনিসেরই যেগুলো লম্বা সময় মজুদ করে রাখলেও নষ্ট হবেনা ... চাল, তেল, গম, দুধ, ডাল, চিনি ... আমি যতদূর শুনেছি তরিতরকারী/মাছমাংসের দাম সেহারে বাড়েনি ... সেখানেও মজুদের ব্যাপারটাকে সন্দেহ করা যায়, তাই না?

৪৩| ১২ ই মার্চ, ২০০৮ ভোর ৬:৫২

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: অধিকাংশই ধারনা করছেন যে পণ্যের যোগান যথেষ্ট আছে, কিন্তু বন্টনটা ব্যবসায়ীরা বেশী লাভের আশায় আটকে রেখেছে ... আর সরকারের সমস্যা হচ্ছে সরকার ব্যবসায়ীদেরকে এই প্রক্রিয়া থেকে বিরত রাখতে পারছেনা ... সেখানে মূল কারণ বলা হচ্ছে সরকারের সাথে ব্যবসায়ীদের সুসম্পর্ক নেই


এখানে আমি কিছু প্রশ্ন তুলে ধরতে চাই:

১. সরকার যেভাবে রাজনীতিবিদ বা কিছু সরকারী আমলার উপর সাঁড়াশী আক্রমণ চালিয়েছে, সেরকমভাবে কিন্তু ব্যবসায়ীদের ওপর চালায়নি ... এমনকি মিন্টুর মতো কালপ্রিটও জামিনে ছাড়া পেয়ে গেছে ... যেখানে খালেদা-হাসিনা জামিন পায়না, সেকাহনে মিন্টুর জামিন পাওয়াটা কিছুটা হলেও এটাই নির্দেশ করে যে মিন্টুর সাথে সরকারের একটা বোঝাপড়া হয়েছে ...
এট সুবিধা দেয়ার পরও ব্যবসায়ীরা সরকারের সাথে অসহযোগিতা করছে কেন? ... শুধুই কি সাময়িক "বিশাল লাভে"র লোভে?

২. এই পরিস্থিতিতে ফার্স্ট অর্ডার কালপ্রিট কে? সরকার, নাকি মজুদদারী/সিন্ডিকেটপাপী ব্যবসায়ীরা? যদি ভাবেন ব্যবসায়ীরা, তাহলে এদের বিরুদ্ধে সেভাবে লেখালেখি হচ্ছেনা কেন? এদের সবাইকে কি চিহ্নিত করা যায়না? ... পত্রিকাগুলোতে কি এদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা যায়না?


যেমন, এই বাকস্বাধীনতাহিনতার দিনেও কিন্তু ঢাবি/রাবি শিক্ষকদের উপর যে সরকারী অনাচার শুরু হয়েছিল, সেটা মুখ থুবড়ে পড়েছে জনমতের চাপেই ... এবং এজন্য দেশের পত্রিকাগুলোকে সাধুবাধ জানাতেই হবে তাদের ভুমিকার জন্য

একই ভুমিকা কি এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নেয়া যায় না?

আলোচনা চলুক

৪৪| ১২ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ৭:০১

রাশেদ বলেছেন: এই ব্যাপারে আমি পাঠক। পড়তেছি, কে কি বলতেছেন জানতেছি। :)

১২ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ৭:৩৪

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: ওকি দকি

৪৫| ১২ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ৭:৪৭

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: ব্যবসায়ীরা একেবারেই মজুদ করছেনা সেটা বলব না। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সবসময় এটা করে থাকে। এটাকে আপনি দুই মাসে ঠিক করতে পারবেননা। একটা সময় তো লাগবে। এখন যে বিষয়টা দরকার বলে আমি মনে করি সেটা হচ্ছে ব্যবসায়ী/আমদানীকারকদের সাথে সরকারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনা করা উচিত। তাদের সাথে বসে অভয় দিয়ে সমস্যার সমাধান করা উচিত এতে তারা উৎসাহিত হবে। একটা ব্যাপার দেখতে হবে যে, বর্তমান সরকার কিন্তু দেশ পরিচালনায় দক্ষ কিংবা অনভিগ্গ। তাই তাদের উচিত ব্যবসায়ীদের দোষারোপ না করে তাদের সাথে বৈঠক করা।

১২ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ৮:২০

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: হুমমম, আজকের খবরে আসল ... মেঘনা, টিকে, আর সিটি নামে তিনটা তেল আমদানীকারক কোম্পানী ঝামেলা পাকাইছে ... এগুলার লাইসেন্স বাতিল করা উচিত

৪৬| ১২ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ৮:০৯

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আজকে মিরাজ ভাইয়ের একটা পোষ্ট পড়লাম।
লেখকের সাথে আমি পুরোপুরি একমত।

মিরাজ ভাই লিখেছেন:
''ফখরুদ্দীনের সরকার গঠিত হয়েছে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেনীর প্রতিনিধির সমন্বয়ে। তাদের পক্ষে দেশের সিংহভাগ নিম্নবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত জনগণের অবস্থা বোঝাটা কঠিন''।

এটা শতভাগ সত্য এবং বাস্তব কথা।
সেনাবাহিনীরা কিন্তু সবসময় আন্তর্জাতিক একটা স্ট্যান্ডার্ডে বেতন পান এবং ইনফ্লেশন হোক কিংবা না হোক তাদের সুযোগ সুবিধা কিন্তু সমানই থাকে। সো এখনকার সরকার যেহেতু সেনাবাহিনীর সরকার তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ে এতটা চিন্তিত না যতটুকু চিন্তা একটা নির্বাচিত সরকার করে থাকে।
কেন করে সেটাও বলি....
একটা নির্বাচিত সরকার যতই দূর্নীতি করুক পরেরবার ক্ষমতায় আসার লোভে নিম্নভিত্ত কিংবা দ্ররিদ্র গোষ্ঠির কথা মাথায় রাখে কেননা তাদের ভোটেই জয় পরাজয় ঠিক হয়।
মিরাজ ভাইয়ের পোষ্ট এখানে: Click This Link

১২ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ৮:২২

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: হুমমম ... দায়টা অবশ্যই নির্বাচিত সরকার বেশী বোধ করে সেনাসরকারের তুলনায় ... কোনসন্দেহ নেই

কিন্তু প্রশ্ন হলো, সেনা সরকার আছে বলে কি ব্যবসায়ীদের এই অমানবিক অরাজকতাকে আমরা মেনে নেব? বলব, যেহেতু সেনাসরকার, ব্যবসায়ীরা তো করবেই! ... এখানে আমার আপত্তি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.