![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাথা ঘোরা একটা সাধারণ সমস্যা। হঠাৎ মাথা ঘুরলে সামলে নেয়া যায় বটে, তবে বেশিণ ঘুরলেই মুশকিল। অনেকেই জানেন না, কোন ইন্দ্রিয় শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে। মাথা ঘোরাটা মোটেই স্বস্তিকর নয়, আর একটু বেশি সময় ধরে মাথা ঘুরতে থাকলে তো কথাই নেই। দেহের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রতিটি ইন্দ্রিয় প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এসব ইন্দ্রিয় পরস্পরবিরোধী তথ্য মস্তিষ্কে পাঠালেই মাথা ঘুরে যায়। রোলার কোস্টারে ওঠে কেউ কেউ হয়তো খুব মজা পান, কিন্তু অনেকের তো তা দেখলেই মাথায় চক্কর দিয়ে ওঠে। বিশেষ করে বয়স্করা এ ধরনের কাজে তেমন উৎসাহ পান না। কেননা ২০ বছর বয়স থেকেই শরীরের ভারসাম্যের অনুভূতিটা ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। জার্মান বিজ্ঞানী অধ্যাপক মার্টিন ভেস্টহোফেন বলেন, এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যখনই মস্তিষ্কে পরস্পরবিরোধী তথ্য পাঠায়, তখনই মাথা ঘুরে যায়। তার মতে, ‘তিনটি ইন্দ্রিয়ের মধ্যে কোনো একটি অতিরিক্ত চাপে পড়লে, কিংবা উত্তেজিত হয়ে পড়লে এটা ঘটতে পারে।’ বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের মাথা ঘোরার কথা বলেন। যেমন এক দিকে রয়েছে পাক খাওয়া ঘোরা, অন্য দিকে রয়েছে দোল খাওয়ার মতো ঘোরা। যে অবস্থায় মনে হয় যেন সব কিছু টলতে থাকে। আরেকটি হলো উচ্চতায় মাথা ঘোরা। যেমন লিফটে করে ওপরে ওঠার সময় মাথা ঘোরা। মানুষ এক জায়গায় অনেকণ ধরে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ থেমে গেলে মাথায় চক্কর দিয়ে উঠতে পারে। তখন কানের ভেতরে ভারসাম্য বোধটা ওলটপালট হয়ে যায়। অন্তঃকর্ণের পেছনের অংশ ‘ভেসটিবিউল’ মাথার মধ্যে ভারসাম্য বোধকে নিয়ন্ত্রণ করে। ধনুকের মতো দেখতে তিনটি অংশ আছে, যাতে তরল ভরা। তার মধ্যে আছে ছোট্ট চুল বা রোমের মতো কোষ। নড়াচড়া করলেই সেই তরল হেলে পডলে রোমগুলোকেও টলিয়ে দেয়। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ করে থেমে গেলে, সেই তরল পদার্থ চলকে ওঠে এবং তখন মাথা ঘুরে ওঠে। অনেকে এই মাথাঘোরার অবস্থাটা সহ্য করতে পারেন, অনেকে আবার আতঙ্কিত হয়ে যান। উঁচুতে ওঠে মাথা ঘুরলে পেছনে একটু হেলান দিন এবং দূরের কোনো বিন্দুতে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকুন। এরপর দেখুন, পায়ের নিচে শক্ত মাটি পাওয়া যায় কি না।
©somewhere in net ltd.