![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মোঃ নাজমুস সাহাদাত। পেশায় মাস্টার। দেশের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলাপাইনদের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল শেখানোর চেষ্টা করছি। নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে মাঝে মাঝে কিছু লেখার চেষ্টা করি। এ আমার পেশা না নেশা। পড়তে ভালবাসি কারণ লেখা ও পড়া কখনো আমাকে ছেড়ে যায় না, আমাকে কখনো ঠকায় না। নানা মানুষের নানারকম সৃষ্টিমূলক চিন্তাভাবনা খুব ভালবাসি এবং বিভিন্নশ্রেনীর মানুষের ভেতর থেকে তাদের এই চিন্তাভাবনাগুলোকে খুজে বের করে নিজে কিছু শেখার ও শেয়ার করার চেষ্টা করি; এইটা উপলব্ধি করতে খুব ভাল লাগে যে সৃষ্টিকর্তা সবার মাঝেই কিছু না কিছু চমৎকার ভাল গুন দিয়ে দিয়েছেন।
১
জামাল এলাকার ছোট ভাই। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি বেশ সাদাসিধে স্বভাবের ছেলে। মাঝে মাঝেই মসজিদে দেখা হতো। নামাজ কালাম পড়ত পাঁচ ওয়াক্ত। পড়ালেখায় বেশ মনযোগী ছিল। আচার আচরণ দেখে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মনে হতো। সে যখন সপ্তম শ্রেনীতে ওঠে তখন তার বাবা মারা যায়। সংসারে টানাপোড়েন শুরু হয়ে যায়। খুব চাপা স্বভাবের ছেলে, নিজের সমস্যার কথা কখনো কাউকে মুখ ফুটে বলতে পারে নাই। মসজিদে মাঝে মাঝেই দেখতাম গজল, উপস্থিত ইসলামী বক্তৃতা, তেলোওয়াত এইসবের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো। যারা ভাল করতো তাদের জন্য বেশ ভাল পুরস্কার দেওয়া হতো। কে বা কারা আয়োজন করছে তা নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা ছিল না। কারণ ওই বয়সে কেই বা ভাবে এইসব কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। মাঝে মাঝেই আছরের নামাজে যেতে যখন দেরি করে ফেলতাম তখন দেখতাম, প্রতিযোগিতা চলছে মসজিদের বারান্দায় নামাজের পরে। দু-একদিন জামালের বক্তৃতাও শুনেছি, ছেলেটা এমনিতে চুপচাপ হলে কি হবে, কথা বেশ গুছিয়ে বলতে পারে। প্রায়ই শুনতাম উপস্থিত বক্তৃতার পুরস্কারটা নাকি জামালই পেত।
২
অনেকদিন পরে একদিন জামালের সাথে দেখা। দেখা হতেই জিজ্ঞাসা করি কি করছো? সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ছে। শুনে ভাল লেগেছে। কারণ এলাকার ছোট ভাই যদি ভাল কিছু করে তবে মনে হয় যে এলাকায় লেখাপড়া জানা ছেলের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। সেদিন আমাকে বলছিল সে লেখাপড়ার পাশাপাশি কি কি করে। আমাদের এলাকার জন্য একটা ফান্ড গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। যে ফান্ড দিয়ে গরিব মেধাবী ছেলেদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। প্রতি বছর পুরো স্কুল থেকে এমন দুজন ছেলেকে নির্বাচন করা হবে যারা কিনা টাকা পয়সার অভাবে পড়ালেখা করতে পারে না। শুনে ভালই লেগেছে। কিছু টাকা তাকে দিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম, “ভাল উদ্যোগ, চালিয়ে যাও। আসলে আমরা নিজের এলাকার প্রতি এত অমনযোগী যে কে গরিব কে টাকার অভাবে পড়ালেখা করতে পারছেনা তা খুঁজে বের করার সময় এবং সুযোগ দুটো জিনিসেরই বড় অভাব। তোমাদের মত ছাত্ররা যদি এইসবের খোঁজ খবর রাখে তাহলে অনেক ভাল হয়। সাথে বলেছিলাম যদি কোন সাহায্য লাগে আমাকে অবশ্যই জানাবে”।
৩
সেদিন আমার এক বন্ধু বলছিল যে, জানিস আমাদের ছোট ভাই জামাল, সে নাকি শিবিরের সাথী। শুনেই হতবাক হয়ে গেলাম। ভাবতেই অবাক লাগছিল যে কিভাবে তা সম্ভব। তাকে ফোন দিয়েছিলাম। অনেকক্ষন কথা বলেছিলাম তার সাথে। সে আমাকে বলেছিল, ওই এলাকার বড় ভাই যারা মসজিদে প্রতিযোগিতার আয়োজন করতো তারা ছিল শিবিরের ছেলে। যখন তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা অনেক খারাপ ছিল তখন ওরা জামালকে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করে, পড়ালেখার জন্যও টাকা পয়সা দিয়েছিল। সে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যায় তখন তার জন্য আলাদা মেসের ব্যবস্থা করা হয় শিবিরের পক্ষ থেকে। সেখানে থাকা, খাওয়া থেকে শুরু করে মোবাইল পর্যন্ত দেওয়া হয় শিবিরের পক্ষ থেকে। তাকে শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং এ ক্লাস নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আমি তাকে বলেছিলাম, “তুমি কি জানো এরা কারা”! তখন সে আমাকে বলেছিল ভাই ওদেরকে যতটা খারাপ মনে করছেন ওরা ততটা খারাপ না আসলে! আমি অনেক অবাক হলাম। সে আমাকে আরো বলল, শিবিরের ছেলেদের স্বভাব অনেক ভাল, নামাজ পড়ে, সমাজের জন্য অনেক কাজ করছে, ইসলামের পথে চলছে, এমন অনেক কিছু। সে আমাকে বলেছিল, ভাই আমার পরিবারের কি অবস্থা ছিল তা আসলে কখনো আপনাদেরকে মুখ ফুটে বলতে পারিনাই। আমার যখন পড়ালেখা করার টাকা ছিল না তখন ওরা আমাকে সাহায্য করেছে, শুধু তাই না আমাকে আল্লাহ্র পথে রাখতে সাহায্য করেছে। আমি কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলাম, মনে মনে চিন্তা করছিলাম ছোটবেলা থেকে যে ছেলেটার মাথায় এইসব প্রোগ্রাম করা তাকে শিবির মানেই যে ইসলাম না, এইটা বুঝানো খুব একটা সহজ হবে না।
৪
জামায়াতে ইসলামীকে যখন রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়, তখন তারা রাজনীতিকে কিভাবে মানুষের মন জয় করিয়ে করা যাবে তার যত কৌশল আছে, তা আয়ত্ত করেই মাঠে নামে। ১৯৭৮ সাল থেকে একটু একটু করে ছোট ছোট ধাপে এগিয়ে আসে তারা। ছাত্রশিবির নামে এই ছাত্র সংগঠনকে উপযুক্ত ব্রেইন ওয়াশ করে মাঠে নামিয়ে দেয় তারা। বাংলাদেশের শতকরা নব্বই ভাগ মানুষের ধর্ম ইসলাম। যারা ঠিকমত মসজিদে নামাজে যায় না তাদেরও অগাধ আস্থা ও সম্মান আছে এই ধর্মের প্রতি, এই দুর্বল দিককে সবল ও সহজতম রাস্তা হিসেবে বেছে নেয় তারা। ধর্মভীরু পরিবারের ছেলেমেয়েদের ধর্মের নাম দিয়ে কিভাবে নিজেদের দলের অন্তর্ভুক্ত করানো যাবে তার জন্য তাদের রয়েছে সুগঠিত পরিকল্পনা। শুধু তাই না গ্রামে-শহরে গৃহকর্মী মহিলাদের পর্যন্ত কিভাবে দলীয়করণ করা যাবে তার জন্য তারা মহিলা ইসলামী বৈঠক চালু করে। মেয়েদের জন্য ছাত্রীসংস্থা নামক সংগঠন রয়েছে তাদের। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এদের বৈঠকে কখনো বলা হয় না যে আপনি জামায়াতে ইসলামী করুন। শুধু কোরআন তেলোয়াত, হাদিস পাঠ এইসব করানো হয়। আসলে আমাদের দেশের সাদাসিধে মানুষদের ধর্মের নাম দিয়ে এইভাবে দলীয়করনের চেয়ে সহজ রাস্তা আর কি হতে পারে! শুধু তাই নয়, দলটি আর্থিকভাবে কতটা স্বচ্ছল তা বলাই বাহুল্য। নিজেদের ব্যাংক রয়েছে যেখানে এখন সারা বাংলাদেশের ধর্ম নির্বিশেষে বেশিরভাগ মানুষেরই একাউন্ট রয়েছে। তাদের নিজস্ব কোচিং সেন্টার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, টেলিভিশন চ্যানেল থেকে শুরু সকল ব্যবসায়ে কোন না কোনভাবে এই দলের অংশ রয়েছে। তাই যেসব ছেলেমেয়েরা জামায়াত করে তাদের চাকুরীর জন্য চিন্তা করতে হয় না। একবার জামায়াতের খাতায় নাম লেখানো হলে সারাটি জীবন নির্ভাবনায় কেটে যায়। ভাবতেই অবাক লাগে কি ছোট ছোট সুসংগঠিত উপায়ে এরা এগুচ্ছে। আমাদের চারপাশকে আস্তে আস্তে গ্রাস করছে কখনো ভাল মানুষের বেশে, কখনো ধর্মীয় দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে।
৫
এখন প্রশ্ন হলো আমাদের মহান রাজনীতিবিদরা কি জানতেন না জামায়াতে ইসলামীর শেকড় কোথায়! জানতেন না যে এই জামায়াত, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ঘোর বিরোধী ছিল! তারা কি জানতেন না যে রাজাকার, আলবদর বাহিনীর নেতৃত্বে কারা দিয়েছিল! আজ ৪২ বছর পরে কেন আমাদের নতুন প্রজন্মকে ফাঁসি চাই দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। শাহবাগে অনেক বড় বড় রাজনৈতিক নেতা দেখেছি যারা কিনা ফাঁসি চাই দাবি নিয়ে শাহবাগে এসেছেন, গত ৪২ বছরে কাউকে তো দেখিনি এই বিচারের কথা এভাবে বলতে। এই ৪২ বছরে সবাই ক্ষমতায় এসেছে, গত নির্বাচনের আগে পর্যন্ত সবাই বৃদ্ধাঙ্গুলি মুখে দিয়ে জামায়াতের রাজনীতিকে কেন বসে বসে দেখেছেন!! আমার মনে হয় না এ প্রশ্নের জবাব কোন রাজনীতিবিদ অথবা আমাদের প্রবীন সমাজ দিতে পারবেন।
৬
নতুন প্রজন্ম আজ মাঠে নেমেছে। শাহবাগে আন্দোলন করেছে, মানুষকে জানিয়ে দিয়েছে, “জামায়াতের শেকড় কোথায়”। জামায়াতকে দমন করার জন্য সকল প্রচেষ্টা তারা চালিয়ে যাবে আমি জানি। কিন্তু জামায়াতের এই সুসংগঠিত ভিত্তিগুলোকে ভাঙ্গতে হলে আমাদের ওদের চেয়েও বেশি সুসংগঠিত হতে হবে। আমাদের আশেপাশের মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে জামালের মত পরিনতি যেন কোন ছেলের জীবনে না আসে। আমাদের আশেপাশের যেসব ছেলেমেয়েরা শিবির অথবা ছাত্রীসংস্থা করে তাদেরকে বোঝাতে হবে যে জামায়াতের আসল উদ্দেশ্য কি এবং তাদের নেতারা কি পরিমানে হিংস্র। তাদের বোঝাতে হবে যে ইসলামী জঙ্গিবাদের সাথে জামায়াতে ইসলামীও জড়িত। রগকাটা, জবাই করা এবং সন্ত্রাসবাদ ইসলামের নাম দিয়ে যে জামায়াতে ইসলামী করে তাদের সেগুলো বুঝাতে হবে। মরলে শহীদ, বাঁচলে গাযী মনে নিয়ে, নাড়ে তাকবীর আল্লাহ্ আকবর বলে যারা জিহাদের নাম দিয়ে ইসলামকে কলুষিত করছে তাদের আসল পরিচয় সামনে তুলে ধরতে হবে।
আমার মনে হয়, আমাদের আশেপাশের যারা জামায়াতের সাথে জড়িত তাদেরকে ছাগু বলে অথবা ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিষ্ট থেকে ডিলিট করে দিয়ে আসলে আমাদের সঠিক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিচ্ছি না। আমার মতে আমাদের আসেপাশের মানুষ যেন ভুল পথে না যায় তাকে সঠিক পথে আনার দায়িত্ব আমাদের সকলের। যারা শিবির পন্থী ছবি বা লেখা শেয়ার করছে তাদেরকে গালি না দিয়ে আমাদের বোঝানো উচিৎ। ওদের গালি দিয়ে আলাদা করে দিলে ওরাই হবে এক সময়ে নতুন প্রজন্মের গোলাম আযম, কাদের মোল্লা অথবা সাঈদী।
যেহেতু আমাদের জাগরনের দিন শুরু হয়েছে সেহেতু আমাদের পদক্ষেপ হওয়া উচিৎ অত্যন্ত সুচিন্তিত এবং সুসংগঠিত। আমাদের আজকের পদক্ষেপগুলোর উপরই নির্ভর করছে আমাদের আগামী প্রজন্ম কেমন হবে। যারা নতুন প্রজন্মের, যারা জামায়াতের সাথে জড়িত, তাদেরকে আমরা ফাঁসিও দিতে পারবনা, আবার পাকিস্তানেও পাঠাতে পারবনা কিন্তু নিজেদের দেশপ্রেম, মানবতা ও সততা দেখিয়ে ওদের ফিরিয়ে আনতে পারব সঠিক পথে। নতুন প্রজন্ম যদি মাঠে নেমে আন্দোলন করতে জানে, তাহলে জামায়াত মুক্ত বাংলাদেশও গঠন করতে পারবে তাদের সুসংগঠিত পদক্ষেপের মাধ্যমে।
পরিশেষে একটি কথায় বলতে চাই “জয় হোক নতুন প্রজন্মের, গড়ে উঠুক জামায়াতমুক্ত বাংলাদেশ। জয় বাংলা”।
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
ভোলার ডাইরী বলেছেন: সুন্দর লেখনি,
জামায়াত ছাড়া অন্যান্য দলগুলোর বিক্ষোবে পুলশের গুলিতে ৫ জন মারা গেল।
এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই যে হয়েছে এতে কোন দ্বিধা নেই। স্বশস্ত্র বাহিনীগুলোকে এভাবে বেপোরোয়া করে তুললে এরা ভংয়কর হয়ে উঠবে, পরে আর সরকারের লাগামের মধ্যে থাকবেনা।
যেমনটা ঘটেছিল শেখ মুজিবের সাথে, ৭৫ এ।
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১১
ব্লগার ইমরান৪৭ বলেছেন: নতুন প্রজন্ম আজ মাঠে নেমেছে। শাহবাগে আন্দোলন করেছে, মানুষকে জানিয়ে দিয়েছে, “জামায়াতের শেকড় কোথায়”। জামায়াতকে দমন করার জন্য সকল প্রচেষ্টা তারা চালিয়ে যাবে আমি জানি। কিন্তু জামায়াতের এই সুসংগঠিত ভিত্তিগুলোকে ভাঙ্গতে হলে আমাদের ওদের চেয়েও বেশি সুসংগঠিত হতে হবে।
তাই কথা হচ্ছে গলা ফাটিয়ে লাভ পাওয়ার আশা করলেও বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করা যেতে পারে।
দেখুন না, তারা যেসব কোচিং চালু রেখেছে সেখানে জামাত বিরোধীরা ও ভর্তি হয়। খোজ নিলে জানা যাবে। কারণ তারা সেগুলোকে মান সম্মত ও করেছে। তাই আমাদের উচিত হবে সেরকম পরিপূরক প্রতিষ্টান দাড করানো যাতে মানুষ সেখান থেকে ফিরে আসার সুযোগ পায়। পাশাপাশি নৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে থাকতে হবে । তাহলে আমার বিশ্বাস সে সব গোষ্টি নির্মূল হবে।
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
মোনতাসির মামুন বলেছেন: ভাইয়া ঠিক বলেছেন। তবে আমার অভিজ্ঞতা অনকে তিক্ত। আমি সাধারন মধ্যবিত্ত পরিবারের এক ছেলে।বাপ বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক।রিটায়ার করেছে ৩ বছর হলো। এ জন্য তাকে পিপার স্প্রে খাওয়া লাগননি।এককালীন যে টাকাটা পায় সেটা এখনও পুরোটা পায়নি। গনিতের শিক্ষক।এখনও প্রাইভেট পড়ান।আমি তার এক মাত্র ছেলে। এক পাবলিক ইউনির্ভাসিটিতে পড়তাম।বিজ্ঞানের ছাত্র।সরকারি অনেক জায়গায় টিকলাম।সর্বশেষ তিক্ত অভিজ্ঞতা জনতা ব্যাংকে। টিকলাম কিন্তু চাকুরি হলোনা।মানলাম আমি লিখিত পরিক্ষায় খারাপ করেছি। কিন্তু আমিতো জানি ওটার প্রশ্ন আউট হয়েছে।।এন,বি,আর এ ও একই অবস্থা।বোধহয় আমি গাধা।শুনেছি কিছু টাকা দিয়ে যোগাযোগ করলে জগন্নাথ হল থেকে প্রশ্ন পাওয়া যায়।এখন আমার প্রশ্ন- ইসলামি ব্যাংকে পরক্ষিা দিয়েছি।যদি হয়, আমার কি চাকুরিটা করা উচিত?
আপনাকে এত কিছু বলার দরকার ছিল না তবু কেন জানি লিখতে ইচ্ছা করলো।
রবীদ্রনাথ আমার সবচেয়ে প্রিয় কবি।এখন আর পড়তে ইচ্ছা করেনা।
বুলেট আর মিছিলে বিপ্লব আসে।
মধ্যবিত্তের দ্রোহের আগুনে যেদিন রাজপথ পুড়বে নিশ্চিত জেনে রেখেন শুধু সেদিনই বিপ্লব আসবে।
তার আগে না।
আর আমি কান পেতে রই............
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০১
ব্লগার ইমরান৪৭ বলেছেন: এখন দাড়ি- টুপি ওয়ালা লোকদের সন্দেহ করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অনেক সময় হয় কি নির্দোষ কিছু লোক ও থাকে যারা আবার গরীব। তারা ত উকিল দেয়া ত দূরের কথা দেখা করার ও সামর্থ্য রাখেনা। পরে জামাতিরা সুযোগ নে যা হবার হয়। এভাবে মানুষ কি গণজাগরণ থেকে বিচ্ছন্ন হচ্ছেনা????
৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৭
অশান্ত পৃথিবী বলেছেন: মধ্যবিত্তের দ্রোহের আগুনে যেদিন রাজপথ পুড়বে নিশ্চিত জেনে রেখেন শুধু সেদিনই বিপ্লব আসবে।
তার আগে না।
৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
পথহারা সৈকত বলেছেন: অশান্ত পৃথিবী বলেছেন: মধ্যবিত্তের দ্রোহের আগুনে যেদিন রাজপথ পুড়বে নিশ্চিত জেনে রেখেন শুধু সেদিনই বিপ্লব আসবে।
তার আগে না। ++++++++++++++++++্
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩১
মিশনারী বলেছেন: জয় বাংলা ।