নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদ্ভুত ছেলেটি

মেহেদী আনোয়ার

জানিনা

মেহেদী আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবিশ্বের সৃষ্টি এবং স্রষ্টার অস্তিত্ব (পর্ব১২)

২৮ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০০

রাত ও দিনের পরিবর্তনে জ্ঞানতত্ত্বের দাবী কোরআনের সর্বত্র চোখে পড়ার মত। এ এক অন্যতম নিদর্শন ও নির্দেশ যা জ্ঞানীদের জন্য আল্লাহ্‌র মহিমা বুঝবার একটি সহজ উপায়।



“নিশ্চয়ই রাত-দিনের পরিবর্তনের মাঝে এবং যা কিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন আসমান ও যমীনে, সবই হল নিদর্শন সেসব লোকের জন্য যারা ভয় করে।“ (১০:০৬
)



পৃথিবীর ২ টি গতির একটি হল বার্ষিক গতি যাতে পৃথিবী ৩৬৫ দিনে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, আরেকটি হল আহ্নিক গতি যাতে পৃথিবী ২৪ ঘণ্টায় একবার নিজ অক্ষের উপর ঘূর্ণন সম্পন্ন করে যার ফলে দিন ও রাতের সৃষ্টি হয়।



এবার আসি সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহগুলোর ব্যাপারে। পৃথিবীর একপাশে রয়েছে শুক্র এবং অন্যপাশে মঙ্গল। শুক্রের একটি আহ্নিক গতির পর্যায়কাল পৃথিবীর হিসেবে ২৪৩ দিন, মঙ্গলে তা ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট। অর্থাৎ শুক্র গ্রহের একটি “দিনের “ পরিমাণ পৃথিবীর হিসেবে ১২১.৫ দিন আর মঙ্গলে ১২ ঘণ্টা ১৮.৫ মিনিট। বুধ এর পূর্ণ আহ্নিক গতি ৫৪ দিন ১৫ ঘণ্টা অর্থাৎ ‘দিনের’ পরিমাণ পৃথিবীর হিসেবে ২৭ দিন ৭.৫ ঘণ্টা। তাপমাত্রার হিসেবে বুধের আলোকিত পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৩৫০ ডিগ্রি সেঃ এবং অন্ধকার পৃষ্ঠের তাপমাত্রা -১৭০ ডিগ্রি সেঃ । শুক্রের আলোকিত পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৪৮০ ডিগ্রি সেঃ এবং অন্ধকার পৃষ্ঠের তাপমাত্রা -৩৩ ডিগ্রি। বুধ শুক্রের চেয়ে সূর্যের নিকটবর্তী হওয়া সত্ত্বেও বুধের আলোকিত পৃষ্ঠের তাপমাত্রা (৩৫০ ডিগ্রি সেঃ) শুক্রের চেয়ে কম (৪৮০ ডিগ্রি সেঃ)। কারণ বুধের আহ্নিক গতি জনিত সৃষ্ট দিনটির ব্যাপ্তিকাল (২৭ দিন ৭.৫ ঘণ্টা।) শুক্রের দিনের চেয়ে (১২১.৫ দিন) অনেক কম। অর্থাৎ শুক্রের দিনের ব্যাপ্তি বুধের চেয়ে সাড়ে চারগুণ বেশী। তাই সাধারণ গাণিতিক হিসেবে কোন একটি গ্রহের তাপমাত্রা পরিস্থিতি তার কোন পৃষ্ঠের উপর আপতিত সূর্য রশ্মির স্থায়িত্বকাল বা আহ্নিক গতির উপর নির্ভর করে। আহ্নিক গতির কারনেই বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল ইত্যাদিতে তাপের তারতম্য হয়ে থাকে। কিন্তু মঙ্গলের আহ্নিক গতি পৃথিবীর সমান হওয়া সত্ত্বেও মঙ্গলে দিনের বেলায় ৩১ ডিগ্রি সেঃ ও রাতের বেলায় -৮৬ ডিগ্রি সেঃ তাপমাত্রা বিরাজ করে যা জীবনধারণের অনুপযুক্ত। প্রশ্ন এসে যায় , একই ধরণের আহ্নিক গতি নিয়েও মঙ্গল জীবনধারণের অনুপযোগী কেন। এই অনুপযুক্ততার কারণ সূর্য থেকে এর দূরত্ব।



বিষয়টিকে ভালভাবে ব্যাখ্যা করতে আমরা চাঁদকে আলোচনায় টেনে আনতে পারি। দূরত্বের হিসাবে চাঁদ ও পৃথিবী সূর্যের কাছে একই তলের অধিবাসী। কিন্তু চাঁদের সূর্য পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ১১৭ ডিগ্রি সেঃ এবং আঁধার পৃষ্টের তাপমাত্রা -১৬৩ ডিগ্রি সেঃ জীবন ধারনের জন্য অসম্ভব। একই তল, একই দূরত্ব, একই মহাজাগতিক পরিবেশ , একই সূর্য তেজ হওয়া সত্ত্বেও আপনি যেমন পৃথিবীতে বসে চাঁদের সৌন্দর্য দেখছেন কিন্তু চাঁদ থেকে পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখার মত কেউ নেই। চাঁদের পৃষ্ঠের দুটি বিপরীতমুখী অসম তাপমাত্রা আমাদের জানিয়ে দেয় যে, স্রস্টার পক্ষ থেকে নির্ধারিত মাত্রার আহ্নিক গতি এবং সূর্য থেকে নির্ধারিত দূরত্বের তারতম্য হলে পৃথিবী জীবন ধারণের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ত। যারা স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করেনা এবং বিগ ব্যাং এবং মহাবিশ্বের সৃষ্টিকে কাঁকতলিয়, নিয়ন্ত্রনহিন, নিজে নিজে সৃষ্ট ইত্যাদি বলে তাদের কাছে প্রশ্ন রাখা যায় এই পৃথিবীর যেসব বিষয় জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় (নির্দিষ্ট আহ্নিক গতি, নিদিষ্ট দূরত্ব, নিখুত পরিমাপ ইত্যাদি ) তা কিভাবে পাওয়া সম্ভব যদি তাদের বক্তব্য অনুযায়ী বিগ ব্যাং একটি অনিয়ন্ত্রিত ঘটনা হয়ে থাকে? যদি মহাবিশ্ব কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয় কিভাবে এতটা নিখুত পরিমাপের উপর ছায়াপথ, সৌরজগৎ, পৃথিবী সৃষ্টি হল?



চাঁদ, মঙ্গল, বুধ, শুক্র এরা সবাই সম্মিলিত ভাবে সাক্ষ্য দিচ্ছে



“ আল্লাহ, পৃথিবীকে করেছেন তোমাদের জন্যে বাসস্থান, আকাশকে করেছেন ছাদ এবং তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতি সুন্দর করেছেন এবং তিনি তোমাদেরকে দান করেছেন পরিচ্ছন্ন রিযিক। তিনি আল্লাহ, তোমাদের পালনকর্তা। বিশ্বজগতের পালনকর্তা, আল্লাহ বরকতময়। “ ( ৪০:৬৪)



“ তিনিই রাত ও দিনকে পরস্পরের স্থলাভিষিক্ত করেছেন এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে শিক্ষা গ্রহণ করতে অথবা কৃতজ্ঞ হতে চায়৷” (২৫:৬২)



মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৩

"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: ভালো লিখেছেন| কিন্তু খোজা যাদের মূদ্রাদোষ তারা খুজবেই|

২৮ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

২| ২৮ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৭

প্রথম বাংলা বলেছেন:
((আপনি যদি মঙ্গল গ্রহে যান এবং সেখানে হাটতে হাটতে হঠাত মঙ্গরে লাল পথোরে মাটিতে একটি নিকন কেমেরা ১৮মেঘা পিক্সেল পেয়ে গেলেন, তখন আপনি কি ভাবেন? এটি প্রকৃতির তৈরি। না কি কোন চেতনাশীল কারিগরের সুনিপুণ কর্ম পরিকল্পনার ফল? আমি মনে করি অবশ্যই এটির এটি স্রষ্টা থাকতে হবে। আমি কখনুই মনে করিনা যে হঠাত করেই কিছু পরমাণু জমাট বদ্ধ হতে থাকল এবং এক সময় তারা একটি আকার পেয়ে গেল, আর তারা বুঝে নিল তাদের টিকে থাকতে হবে, এবং তারা একটি গোলাপ হাতেনিয়ে বলবে বাহ কিদারুণ সুবাস। আমি মনে করি মহা বিশ্বের সৃষ্টি একটি অতি চেতনার সু চিন্তার সফল ফলাফল। সেই ঈশ্বর বা আল্লা।))
*************হুমায়ূন আহমে

২৮ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল বলেছেন উনি। :) ফ্রান্সিস বেকনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলতে হয় “ সামান্য জ্ঞান মানুষকে নাস্তিকতার দিকে নিয়ে যায়, আর গভীর জ্ঞান দর্শন জ্ঞান মানুষকে ধর্মের দিকে টেনে আনে”

৩| ২৮ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:০২

রিওমারে বলেছেন: স্রস্টা হল মহা বিজ্ঞানী। অজ্ঞরাই বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের সংঘাত বাধায়। আল্লাহ মহা বিজ্ঞান্ ময় । কিন্তু মোল্লারা বিজ্ঞানকে অস্বীকার করে কারন --তাদের কে আল্লাহ্ ও নবীর টুপি আর দাড়ি ছাড়া আর কিছু বোঝার জ্ঞান দান করেন নাই।

২৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫

মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: হুম। এক্ষেত্রে আমার একটা প্রিয় কথা আছে " If i try, I can make believe who doesn't believe but i cannot make believe who doesn't want to believe."

৪| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১২

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: “নিশ্চয়ই রাত-দিনের পরিবর্তনের মাঝে এবং যা কিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন আসমান ও যমীনে, সবই হল নিদর্শন সেসব লোকের জন্য যারা ভয় করে।“
আমি ভয়ের বিষয়টা ঠিক বুঝলাম না। ভয় করলে তো ভালবাসা হয় না।
আর একটা বিষয়, সষ্টিকতার স্বরুপ কেমন? তার কি মানবিক অনুভূতি রয়েছে?
একটি পোস্টে আমি এ নিয়ে কিছু পশ্ন রেখেছি। উত্তর পাইনি এখনো। পড়ার আহবান জানাই , পাশাপাশি কেও উত্তর জানলে জানাবেন।

Click This Link

২৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: এখানে ভয় বলতে বুঝানো হয়েছে " আল্লাহ্‌ ভীতি" বা "তাকওয়া" কে। এই ভয় যে আল্লাহ্‌ আমার সব কিছু দেখছেন, সবকিছু জানেন আমি কি করছি, কি ভাবছি কি বলছি, প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে।

এখন আপনার প্রতিটি কথার আমি উত্তর দিতে পারি কিন্তু তার আগে আপনাকে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, তা হচ্ছে, আপনি কি স্রস্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন? বিশ্বাস করেন আল্লাহ্‌ সৃষ্টিকর্তা এবং সকল ক্ষমতার অধিকারী? এই দুটি প্রশ্নের উত্তর দিন আপনার হৃদয় থেকে। যদি উত্তর হ্যা হয় তাহলে আমি আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেব। কিন্তু যদি " না" হয় সেক্ষেত্রে আপনার তো দরকার নেই আল্লাহ্‌ কেমন, কি অনুভূতির, ধর্মে কি আছে ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে গবেষণার, তাই না? আপনি যদি আল্লাহ্‌র অস্তিত্বেই বিশ্বাস না করেন তাহলে বাকি সব কিছু তে যাওয়ার মানে কি? ব্যাপারটা কি এমন না যে আপনি ক্লাস ১,২,৩,৪, এ না পড়ে সরাসরি ৫ থেকে পরা শুরু করছেন যেখানে ১,২,৩,৪, এ কি আছে তা আপনি জানেন না বাসেই জ্ঞান নেই?

৫| ২৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আমি তো কিছুই পড়ছি না।

আমার মনে কোনো পশ্ন থাকলে আমি বলবো না?
১ম বেহেশতের লোভ আর দোযখের ভয় আমার নেই। আমি মনে করি ভয় আর লোভ দুটোই মানবজাতির জন্ন খারাপ। লোভ আর ভয় থেকে কখনোই মহৎ কিছু আসে না। সষ্টিকতার সাথে আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই।

ভয় হলো সমস্ত নিষ্ঠুরতার জনক-জননী----------------বাড়াটারান্ড রাসেল

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: হম.,. আপনি যখন আল্লাহ এবং আখিরাতে বিশ্বাস করেন না তাহলে আপনার মনে আলাহর রুপ অনুভূতি নিয়ে প্রশ্ন আসবে কেন। আপনি যখন নিশ্চিত আল্লাহ্‌ বলে কেউ নেই, আখিরাত বলে কিছু নেই তাহলে আল্লাহ্‌ কে নিয়ে, বেহেশত দোযখ নিয়ে প্রশ্ন তো আপনার মাথায় আসার কথা না। যদি এসে থাকে তার মানে আপনি নিশ্চিত নন। তাই নয় কি? আর আপনি যখন ঈশ্বর/ খোদায় বিশ্বাস করেন না যা সব ধর্মের প্রথম এবং প্রধানতম বিশ্বাস। তাহলে আপনি যখন ঈশ্বরে বিশ্বাসই করেন না, বিশ্বাস করেন যে ঈশ্বর বলে কিছু নেই তাহলে আপনি ধর্মের অন্যান্যবিষয় নিয়ে কেন বলতে যান? কেন সমালোচনায় যান যখন মূল কথাটাই নাকচ করে দিয়েছেন। একটা বস্তু যা অন্যেরা বলছে গাড়ি তাকে আপনি যখন বলছেন এটা গাড়িই নয় তখন আপনি কেন আবার এর পার্টস দেখতে যাবেন?সেটা কি যৌক্তিক হবে? তেমনি যখন আপনি বলছেন ঈশ্বর বলে কিছু নেই তখন ধর্মে কি আছে, বেহেশত, দোযখ, ইত্যাদি নিয়ে কেন গবেষণায় যাবেন, কেন সমালোচনায় যাবেন?তার মানে কি আপনি নিজেই নিশ্চিতনন ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতা নিয়ে? নাহয় তো আপনার যাওয়ারকোন দরকার নেই। যদি নিশ্চিত না হন তাহলে আপনার উচিত আগে আরও ভাল করে জেনে নিশ্চিত হওয়া।আপনি সিঁড়ির প্রথমধাপ ছেড়ে অন্যগুলোতে কেন যাবেন? আপনি যে বিশ্বাসে আছেন সেটার ভেতর থেকে অন্যের বিশ্বাস বিচার করতে পারেননা। আমি বাংলাদেশী হয়ে চীনের সংস্কৃতি নিয়ে সমালোচনা করবো না যদি আমার মাথায় একটুও বুদ্ধি থাকে। কারণ আমি চীনের অধিবাসী নই। কোন কারনে আমি চীনে বসবাস করলেও তাদের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলাতাম না। কারণ আমি তাদের কেউ নই, আমি চীনে জন্ম নেই নি। তাদের সংস্কৃতি আবেগ চিন্তাভাবনা কখনোই আমার মত হবে না। এই সহজ বিষয়গুলো আপনাদের অতি জ্ঞানী মাথায় প্রবেশ করে না কখনো। তাই আপনাদের সাথে তর্ক করেও লাভ নেই।

আর যদি বেহেশত, দোযখ বলে কিছু না থাকে তাহলে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন দেখি

১। যদি পরকাল বলে কিছু না থাকে যেখানে আমাদের ভাল কাজের পুরস্কার এবং মন্দ কাজের শাস্তি দেয়া হবে তাহলে মৃত্যুর পর হিটলার, মাদার তেরেসা এবং একটা কুকুরের মধ্যে পার্থক্য কথায়? কেন আমি ভাল কাজ করব ভাল থাকব যেখানে খারাপ কাজ অথবা অসাদুপায় অবলম্বন করে বেশী অর্থ উপার্জন এবং আয়েশি জীবন যাপন করতে পারি?

২। একজন স্মাগ্লার অথবা সন্ত্রাসিকে কিভাবে আপনি বুঝাবেন যে সে যা করছে তা খারাপ এবং এতে তার ক্ষতি হতে পারে? (ধরুন আইন সে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে এবং সে বডি গার্ড দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে, যেটা সচরাচর ঘটছে এখন)

৩। একজন লোক ১০০ টি খুন করে ফাসির শাস্তি পেল র আরেক এক ই শাস্তি পেল ১ টি খুন করে। এটা কি গ্রহণযোগ্য আপনার কাছে? কারন আমি বিশ্বাস করি একমাত্র আল্লাহই পারেন তাকে পরকালে যতবার প্রয়োজন ততবার জীবিত করে মৃত্যু যন্ত্রনা ভোগ করাতে। এটাই আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়।

৬| ২৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

কায়সার আহমেদ কায়েস বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৭| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: একটা বিষয়, আমি কি বিশ্বাস করি বা না করি সেটা মুখ্য বিষয় নয়। আমি নিজেও বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ পাঠ করেছি। কাজেই আমার মধ্যে প্রশ্ন আসবে না?
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের আলোকে আমি সৃষ্টিকর্তার স্বরুপ জানতে চেয়েছি। আপনি জবাব থাকলে জবাব দিবেন। আপনি বলছেন, আমি নিশ্চিত নয়। মানলাম। আপনি কি নিশ্চিত??


একটা বিষয় পরিস্কার, একজন ধার্মিকের মধ্যে বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস দুই-ই বিদ্যমান। তাঁদের অবচেতন মনে অবিশ্বাসটাও কাজ করে সাঙ্ঘাতিকভাবে। যে কারনে তারা জাগতিক ব্যাখ্যা না খুঁজে অযৌক্তিক-যুক্তি খুঁজে সৃষ্টিকর্তাকে প্রমাণ করতে যান। তারা একটা বিষয় বোঝে না যে, সৃষ্টিকর্তাকে প্রমাণ করতে চাওয়া মানেই তাঁর মধ্যে অবিশ্বাস রয়েছে। আপনার কথা আপনাকেই ফেরত দিলাম।
আর আপনি যে প্রশ্নগুলো করছেন সেগুলো নিতান্তই অবান্তর মনে হচ্ছে আমার কাছে। দুনিয়াতে আপনি অবিচার পেয়েছেন, এর মানে আখিরাত রয়েছে এরকম অবান্তর যুক্তি কেন?? যুক্তি আর বিশ্বাস আলাদা জিনিস।
তবে বৈজ্ঞানিক প্রকল্প কিন্তু বিশ্বাস নয়।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: এড়িয়ে গেলেন তো প্রশ্নগুলো। এড়িয়ে যে যাবেন তা জানতাম। আজ পর্যন্ত আপনাদের দলের যাদেরই আমি প্রশ্ন গুলো করেছি তারাই এড়িয়ে গেছে আপনার মত। কারণ এসবের উত্তর আপনাদের জানা নেই বা জানতে চান না। দুনিয়াতে অবিচার পেয়েছেন, এর মানে আখিরাত রয়েছে . এমন যুক্তি তো আমি দেই নি।

যদি আপনি ঈশ্বরের অস্তিত্বেই বিশ্বাস না করেন তাহলে তার স্বরূপ জানতে চাইছেন কেন? এই প্রশ্নটার উত্তর কিন্তু আপনি দেন্নি। আমার মধ্যে আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সন্দেহটা আপনাদের মধ্যেই আছে। কারণ আপনাদের নিজস্ব কোন বিশ্বাস নেই। ধর্মের বিপরিতে থেকে নিজের বিশ্বাস গরতে সচেষ্ট আপনারা। আর আপনাদের সাথে তর্ক অনেক করেছি অনেক কথা হয়েছে। এখন একঘেয়ে লাগে, বিরক্ত লাগে আপনাদের সাথে যুক্তি তর্কে যেতে। কারণ আপনারা কোন যুক্তি গ্রহন না করে এবং তার পাল্টা কোন যুক্তি না দিয়ে এবং কেন গ্রহন করছেন না তা না ব্যখ্যা করে আরেকটা বিষয়ে চলে যান। আপনাদের অনেক ভাল করে চেনে হয়ে গেছে আমার। :) তাই আমি বলি " If i try, I can make believe who doesn't believe but i cannot make believe who doesn't want to believe." তাই চোখ বন্ধ করেই থাকুন এবং অন্ধের মত ডারউইন বাদ , বাড়াটারান্ড রাসেল, আলি সিনা এদের ফলো করতে থাকুন। কিন্তু দয়া করে আল্লাহ্‌র অস্তিত্বে বিশ্বাস করার আগে ধর্ম গ্রন্থের ভুল ধরতে আসবেন না। আল্লাহ্‌র অস্তিত্বে যখন বিশ্বাস করছেন না তার মানে আপনাদের কাছে ধর্মেরও কোন মূল্য নেই, ধর্ম গ্রন্থেরও নেই। তাহলে কেন শুধু শুধু ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামান আপনারা আমি বুঝি না। আপনাদের উদ্দেশ্য টা কি বলুন শুনি? আপনারা কি আপনাদের মতবাদ প্রচার করতে চান? তাহলে ধর্মের ভুল ধরার তো দরকার নেই। আপনাদের বক্তব্য, আপনাদের বিশ্বাসের মূল কথা তুলে ধরুন। লোকে যেটা ভাল মনে করবে সেটা গ্রহন করবে। টা না করে আপনারা ধর্ম, ধর্ম গ্রন্থ নিয়ে কেন লাগেন? এর কারণ হিসেবে আমার একটা কথাই মাথায় আসে টা হল আপনাদের নিজেদের কোন বক্তব্য নেই, নিজেদের কোন বিশ্বাস নেই যা মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারেন। আর তাই ধর্মের পিছে লাগেন। :)

৮| ৩০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনি ঈশ্বর মানেন। কাজেই আপনার কাছে আমি জানতে চাইতে পারি ঈশ্বরের স্বরুপ কেমন? তার কি মানবিক অনুভূতি রয়েছে? কথা না পেচিয়ে বলুন যে, আপনার জানা নেই।

আর আপনার সঙ্গে তর্ক যাওয়া নিতান্তই অর্থহীন ।

৩০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: দেখুন, আপনার বিশ্বাস আর আমার বিশ্বাস এক নয়। এখন আমি যদি বলি, " মানুষকে আল্লাহ্‌ সৃষ্টি করেছেন ত্রিমাত্রিক জগতে। তাই আমার আপনার চিন্তা ভাবনা এই জগতের মধ্যেই সিমাবদ্ধ। আল্লাহ্‌ হচ্ছেন এই ত্রিমাত্রিক জগতের উরধে। তাই তাঁর আকার কেমন, রুপ কেমন, অনুভূতি কেমন তা আমি আপনি কখনো চিন্তা বা অনুমান করতে পারবোনা। এটা আমাদের চিন্তা ভাবনার সীমার বাহীরে। তাই আল্লাহ্‌র রুপ কেমন তা জানতে চাওয়া বোকামি ছাড়া আর কিছু না। " ্‌্‌্‌ আপনি কি গ্রহন করবেন এই উত্তর? গ্রহন না করলে কেন গ্রহন করছেন না তা কি বলবেন? পাল্টা যুক্তি কি দেবেন?

আপনি কি বলতে পারবেন চতুরমাত্রিক জগতে কোন বস্তুর আকার কেমন হতে পারে? বলতে পারবেন আলোর চেয়ে অনেক বেশী দ্রুতিতে চলা কোন বস্তুর আকার আকৃতি এবং বস্তুটির কাছে সময় টা কেমন হবে? আশা করি আমি আমার দিক থেকে আল্লাহ্‌র রুপ কেমন তা বুঝাতে পেরেছি। আপনি এখন আমার প্রশ্নের উত্তর গুলো দিন দেখি যদি আপনি সৎ হয়ে থাকেন এবং আপনার দলের অন্যান্য দের মত পিছলানো স্বভাবের না হন। :)

৯| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: খামাখা প্যাচাল পেড়ে এতোক্ষণ পর লাইনে আইছেন।
আপনি বলছেন, ‌‌''আল্লাহ্‌ হচ্ছেন এই ত্রিমাত্রিক জগতের উরধে। তাই তাঁর আকার কেমন, রুপ কেমন, অনুভূতি কেমন তা আমি আপনি কখনো চিন্তা বা অনুমান করতে পারবোনা। এটা আমাদের চিন্তা ভাবনার সীমার বাহীরে। ''

আমিও কিন্তু একই কথা বলেছি অন্যভাবে।
''সৃষ্টিকর্তার পরিবর্তে আমরা বলতে পারি সর্ব শক্তিমান কোনো ‘জিনিস’ বা ‘কিছু’।
এবং এখানেই আমাদের থেমে যেতে হবে। ওই ‘জিনিস’ সম্পর্কে আর কিছু বলা যাবে না। কারন সর্ব শক্তিমান কেনো ‘জিনিস’ বা ‘কিছু’ সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। মানুষ সর্ব শক্তিমান নয়। আর ওখানেই না থেমে যদি ওই ‌'জিনিস' সম্পর্কে আর কিছু বলা হয়, সেটা মানবিক পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়।
মজার ব্যাপার হলো প্রতিষ্ঠিত কোনো ধর্মই এখানে থেমে যায়নি। সর্ব শক্তিমান ‘জিনিস’ বা ‘কিছুকে’ প্রতিটা ধর্মই মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। জিনিসটার সব কর্মকাণ্ডই মানুষের মতো।''


খেয়াল করুন
আমি বলেছি
এখানেই আমাদের থেমে যেতে হবে। ওই ‘জিনিস’ সম্পর্কে আর কিছু বলা যাবে না। কারন সর্ব শক্তিমান কেনো ‘জিনিস’ বা ‘কিছু’ সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই।

কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠিত ধর্মই থেমে যায়নি। তারা ব্যাখ্যা করেছে নিজেদের মতো করেই।


৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: " মজার ব্যাপার হলো প্রতিষ্ঠিত কোনো ধর্মই এখানে থেমে যায়নি। সর্ব শক্তিমান ‘জিনিস’ বা ‘কিছুকে’ প্রতিটা ধর্মই মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। জিনিসটার সব কর্মকাণ্ডই মানুষের মতো।''সর্ব শক্তিমান ‘জিনিস’ বা ‘কিছুকে’ প্রতিটা ধর্মই মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। জিনিসটার সব কর্মকাণ্ডই মানুষের মতো।''" ....

যেহেতু আমি মুসলিম, এবং আমি কোরআন এবং হাদিস কে আমার ধর্মের নিদেসিকা মানি তাই আপনি কোরআন এবং হাদিস থেকে রেফারেন্স দিয়ে আপনার কথার সত্যতা প্রমাণ করুন দেখি। আবার বলছি, অন্য কোন ধর্মের কথা আনবেন না। আমি নির্দিষ্ট করে দিয়েছি।

১০| ০৩ রা জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ৯৯টা গুণ, আমলাতান্ত্রিক সিস্টেম (ফেরেশতা) , চাওয়া পাওয়ার সম্পর্ক এগুলো কি আপনি পড়েননি?

আপনি বোধ হয় আমার লেখাটা পুরো পড়েননি । পুরোটা ভালোভাবে পড়ার আহবান জানাই আপনাকে। উত্তর দিবেন আপনি। কারন ওই পোস্টে আমি প্রশ্ন রেখেছি।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: :) :) :) আপনি আমার প্রশ্ন কেন এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমি বলেছি কোরআন এবং হাদিস থেকে রেফারেন্স দিয়ে এখানে আপনার কথার প্রমান দিতে। আমি কি শুনেছি কি শুনিনি তাতো এখানে আলচনার বিসয় না। অন্য পোস্টের কথা আনবেন না। আমি আপনাকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছি > কোরআন এবং হাদিস রেফারেন্স। কোন বইয়ে কি লিখা আছে, কোন হুজুর কি বলেছে, কোথায় কি শুনেছি তাতো বলতে বলি নি। যদি পারেন কোরআন এবং হাদিস থেকে বলুন। আমি তো ঐ পোস্টের প্রসঙ্গ টেনে আনিনি। আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে যাব কেন। আমি এই পোস্টের ব্যাপারে বলছি। আপনি পারলে আমি যেটা চেয়েছি সেটার ব্যাপারে বলুন না হয় শুধু শুধু ত্যানা পেচাবেন না।

১১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৭

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: কি আজব ব্যাপার। ৯৯টা গুণ, ফেরেশতা বা আমলা এগুলো কি মিথ্যা? হাদিস কালামে নাই? এগুলোরও রেফারেন্স লাগবে?

০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: ৯৯ টা গুন, ফেরেসতা , এই দুটো দিয়ে আপনি কি বুঝাতে চাইছেন তাতো ব্যাখ্যা করবেন। এই দুটো দ্বারা কিভাবে আল্লাহর মানুষের পরিচয় ফুটে উঠে? আপনার জ্ঞানের বহর যাচাই করার জন্যই আমি রেফারেন্স চেয়েছিলাম। দেখতে চেয়েছিলাম আপনি নিজে কি ইসলাম সম্পর্কে জানার জন্য কোরআন আর হাদিস পড়েছেন নাকি অন্যে যা বলে তা বিশ্বাস করে লাফান। আপনি বার বার এটাই এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাই আমি বলেছি ইসলাম সম্পর্কে কিছু যদি বলেন তাহলে কোরআন এবং হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে বলবেন। আমি কি জানি জানিনা সেটাতো আপনার মাথাব্যাথার দরকার নেই। আমি যখনি আপনাদের মত নাস্তিক দের কোরআন এবং হাদিস থেকে রেফারেন্স দিয়ে তার কথার সত্যাতা দেখাতে বলি তখনি তারা তা এড়িয়ে যায় এবং আপনারই মত বলে " আপনি জানেন না? ইত্যাদি ইত্যাদি" তাই আমি বলেছি আপনাদের সাথে তর্কে যাও্যা মানে সময় নষ্ট। কারন যে বিষয়ে আপনারা আতকে যান সে বিষয় এড়িয়ে যেতে চান ত্যানা পেচিয়ে। :)

১২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৯:২৩

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বুঝেও না বোঝার ভান করেন নাকি??
ওকে তালগাছ আপনার। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.