![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ দশকে এডুইন হাবেলের আবিস্কার মানুষকে “দ্বীপ জগত” বা Island Universe এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার পরই শুরু হল মহাকাশে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা। বিজ্ঞান আমাদের জানিয়ে দিল যে মহাবিশ্বে নুন্যতম গ্যালাক্সি বা দ্বীপ জগতের সংখ্যা হল এক মহাপদ্ম বা 10 ^ 9, অর্থাৎ ১০০ কোটি। সমস্ত মহাবিশ্বের এই গ্যালাক্সি সমূহ আবার দলগত ভাবে গুচ্ছায়িত(clustered) । প্রতিটি গুচ্ছ কয়েকটি হতে কয়েক সহস্র উপগ্রহ গ্যালাক্সি(Satellite Galaxy) নিয়ে তাদের স্থানীয় গ্যালাক্সি দল(Local Groups) তৈরি করে। প্রতিটি গ্যালাক্সি পরস্পর থেকে গড়ে এক মেগা পারসেক দূরত্বে অবস্থান করে (প্রায় ৩৩ লক্ষ আলোকবর্ষ)। জানা গ্যালাক্সি সমূহের মধ্যে সর্ব বৃহৎ দলের গ্যালাক্সিগুচ্ছ হল Hercules Cluster যার পরিবারের গ্যালাক্সি, উপ-গ্যালাক্সির সংখ্যা হল ১০০০০. আমাদের অবস্থান থেকে এর দূরত্ব ৩০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ। আমাদের গ্যালাক্সি যে গুচ্ছের অধিবাসী, সেই পরিবারের গ্যালাক্সির সংখ্যা হল ২০ টি।
প্রতিটি গ্যালাক্সির গড় ব্যাস ১০০০০০ আলোকবর্ষ। আমাদের ছায়াপথ বা মিল্কিওয়ে এক অতি সাধারণ গ্যালাক্সি, মহাবিশ্বে যার কোন উল্লেখযোগ্য স্থান নেই। জন গ্রেবিন এই ছায়াপথ বা রাতের যে মহাকাশ আমরা অবলোকন করি, তার সম্পর্কে জানিয়েছেন “ Our Milky way is nothing but a modest Galaxy with no special place in the universe.” আমেরিকান মহাকাশ বিজ্ঞানী Herlow Shapely প্রতিষ্ঠিত করেন ১০০০০০ আলোকবর্ষ পরিমাণ ব্যাসের এই গ্যালাক্সির নক্ষত্রের সংখ্যা ১০০০০ হাজার কোটি (১০০০০০০০০০০০)। তারমধ্যে সূর্য অত্যন্ত অনুল্লেখযোগ্য নক্ষত্র যা গ্যালাক্সির কেন্দ্র হতে ৩০০০০ আলোকবর্ষ দূরের কোন সীমায় পড়ে আছে। আর এই সূর্যের একটি ক্ষুদ্র গ্রহ আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী। তাহলে ভাবুন, আমরা এই গ্যালাক্সির তুলনায় কত ক্ষুদ্র। এই মহাবিশ্বের তুলনায় একটি অণুর চেয়েও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আমাদের পৃথিবী। আর এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পৃথিবীতে প্রাণের বসবাসের উপযোগী আবহাওয়া, প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে কোন স্রষ্টার হাত ছাড়া, আপনা আপনি বা দৈবক্রমে এমনটা শুধু বোকা আর পাগলরাই ভাবতে পারে। কিন্তু আমাদের ডারউইনবাদী, বস্তুবাদী, নাস্তিকরা এমন পাগলের প্রলাপেই বিশ্বাস করেন। তাই নাস্তিকদের আমার নিরেট গর্দভ ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না।
এক নাস্তিকের সাথে কথোপকথনের সময় কথা প্রসঙ্গে এটা বলায় সে তো মহাখ্যাপা। আমি বললাম “ আচ্ছা, আপনি আমার একটা প্রশ্নের জবাব দেন দেখি, তাহলে আমি আমার কথা ফিরিয়ে নেব। “ সে বিজ্ঞের মত বলল “ কি প্রশ্ন? জীবনের সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে চাইবেন তো? “। আমি বললাম “ না, আমি জানতে চাইব “জীবন” কি? What “life” is? What do you mean by “Life”? কি সেই বিষয় যার উপস্থিতি একটা বস্তুকে প্রাণযুক্ত বা প্রাণী বলা হচ্ছে? কি সেই পাওয়ার যার অনুপস্থিতিতে জীব জড়বস্তুতে পরিণত হচ্ছে? ব্যাপারটা তো এমন না যে এটা একটা পাওয়ার সাপ্লাই বা ব্যাটারি, যা কার্যক্ষমতা হারালে মেশিন জড় এ পরিণত হচ্ছে আবার সেটা ঠিক করলে বা নতুন পাওয়ার সাপ্লাই যোগ করলে সেটা কার্যক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে। কি সেই জিনিস যার অনুপস্থিতিতে মৃত মানুষকে তার সমস্ত অঙ্গের সবল অঙ্গ দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পরও মানুষটি জীবিত হয় না প্রান ফিরে পায়না একটা মেশিনের মত? কেন হার্ট অকেজো হয়ে যাওয়া কোন ব্যাক্তিকে কৃত্রিম হার্ট লাগিয়ে তার শরীরের রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে হয় যতক্ষন না নতুন হার্ট প্রতিস্থাপন না করা হয়? মৃত্যু কি? কিসের অনুপস্থিতি মৃত্যু? “
আমার প্রশ্নবাণে সে কিছুটা থতমত খেয়ে গেল। দুর্বল ভাবে কিছু উত্তর দিতে চেষ্টা করল। তারপর বলল “এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মত বিজ্ঞান আসলে এতটা উন্নত হয়নি এখনো। ভবিষ্যতে জানা যাবে। “ আমি বললাম “ আপনারা বলেন বর্তমান বিজ্ঞান তার উন্নতির শিখরে আছে তারপরও বিজ্ঞান এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনা? নাকি ইচ্ছে করেই দেয়না? আর আপনার এই বিজ্ঞানের কতিপয় অপ্রমাণিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বলে দিচ্ছেন স্রষ্টা বলে কেউ নেই। যেখানে প্রানের সংজ্ঞাই জানেন না সেখানে প্রাণের স্রষ্টা নেই এই কথা যারা বলে তাদের আমি নিরেট গাধা বলবনা তো কি বলব?”
মহাবিশ্বের সৃষ্টি এবং স্রষ্টার অস্তিত্ব (পর্ব১৩ )
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যেখানে প্রানের সংজ্ঞাই জানেন না সেখানে প্রাণের স্রষ্টা নেই এই কথা যারা বলে তাদের আমি নিরেট গাধা বলবনা তো কি বলব?”
এর বেশি কিছু বইতো নয়
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৭
ম্যাভেরিক বলেছেন: সবাই সবাইকে বুঝতে হবে, বুঝাতে হবে। নাস্তিকদের নিরেট গর্দভ বলা শুধু বিতর্ক আর মনোমালিন্যের জন্ম দিবে। যেমন, উপরে একজন মন্তব্যকারী বললেন, পানিরই রূপান্তরিত রূপ নাকি শ্যাওলা। এরকম হাস্যকর মন্তব্যের উত্তরে তাকে গর্দভ না বলে বুঝাতে হবে যে বিষয়টি ভুল।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: ভাই, উনাদের সাথে আমি এত এত যুক্তিতর্ক করেছি যে আমি এখন বিরক্ত। কারন ওনারা " সালিশ মানি তালগাছ আমার টাইপের" যে জানেনা তাকে জানানো যায়, যে দেখেনা তাকে দেখানো যায়। কিন্তু যে জানতে চায় না বা দেখতে চায় না তাকে হাজার চেষ্টা করেও কিছু দেখানো বা বুঝানো যাবে না। তাই উনাদের পিছে সময় নষ্ট করার মত সময় আসলে আমার নেই। আর আগ্রহও বোধ করিনা। লিখে যাই নিজের মত। তাদের বোধোদয় হলে হবে নাহলে আমার কি।
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৭
ডাক্তার আমি বলেছেন: @পরাজিত
আপনাকে প্রশ্ন করলে আপনি উত্তর না দিয়ে আবার প্রশ্ন করেন ... এটাকে ফাইজলামী না বলে কি বলা যায় ?
৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৫
সাউন্ডবক্স বলেছেন: বোকচোদ
৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: প্রাণের উদ্ভব সম্পর্কিত ধর্মীয় বর্ণনা গাজাখুরি। বিশেষ করে অ্যাডাম এবং ইভের যে কাহিনী তা প্যালেস্টাইন পুরান থেকে নেওয়া। আবার ধর্মগ্রন্থগুলো পুরানকে অস্বীকার করে। আপনার কি মত? আকাশ থেকে আদম হাওয়া নাজিল হয়েছে? এটা হাস্যকর নয় কি?
৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: যেখানে প্রানের সংজ্ঞাই জানেন না সেখানে প্রাণের স্রষ্টা নেই এই কথা যারা বলে তাদের আমি নিরেট গাধা বলবনা তো কি বলব?”
লেখক সাব বোধ হয় বিরাট পণ্ডিত। শুনুন, বিজ্ঞান অনেক কিছুর ব্যাখ্যা দিতে পারে না। এর মানে এটাও প্রমাণ হয় না যে, সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব রয়েছে। বিজ্ঞান জানার চেষ্টা করছে এবং সারাজীবন তাই করে যাবে। বিজ্ঞান সব সময় একটা জায়গায় গিয়ে থমকে যাবে আবার আগামি দিনের বিজ্ঞানীরা তা বের করবে। এটাই প্রগতি।
বিজ্ঞান এখনও ব্যাখ্যা পায়নি বিগ ব্যাং কেন হলো। এর মানে যদি বিজ্ঞানীরা ধরে নেন যে, এর পেছনে সৃষ্টিকর্তা রয়েছেন তখনই বিজ্ঞান থমকে যাবে। ফালতু সব কথাবার্তাকে বিরাট যুক্তি মনে করেন আপনার মতো ছাগলেরাই।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: হা হা হা.।.। সাধেই কি আর আমি গর্দভ বলেছি। আমার ব্লগ এবং এখানে হোরাস, অনু রয়, অভিজিৎ ইত্যাদি ইত্যাদি দের সাথে কম তর্ক হয় নি। আপনারা সবসময় আটকে গেলে অন্য প্রসঙ্গে যেয়ে তেনা পেচাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি সেটা হতে দেইনা, আগে আমি যেটা বলব তা কাউন্টার করতে হবে নাহয় মেনে নিতে হবে তারপর আরেক প্রসঙ্গে যাব। কিন্তু উনারা এই শর্তে কখনোই রাজি নন। কারন আপনারা নিজেরাই জানেন আপনাদের বিশ্বাসের কোন ভিত্তি নেই। আসলে আপনাদের নিজেদের কোন বিশ্বাস ই নেই। অন্যের বিশ্বাস কে কটাক্ষ করে নিজের বিশ্বাস গরতে চান। তাই আমি আপনাদের সাথে তর্ক করতে আর উৎসাহ বোধ করিনা। কারন যে জানেনা তাকে জানানো যায়, যে দেখেনা তাকে দেখানো যায়। কিন্তু যে জানতে চায় না বা দেখতে চায় না তাকে হাজার চেষ্টা করেও কিছু দেখানো বা বুঝানো যাবে না। তাই আপনাদের পিছে সময় নষ্ট করার মত সময় আসলে আমার নেই। সো সরি।
আপনি বললেন " বিজ্ঞান অনেক কিছুর ব্যাখ্যা দিতে পারে না। এর মানে এটাও প্রমাণ হয় না যে, সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব রয়েছে। " তাহলে আপনি বলুন এর মানে কি এটা বুঝায় যে সৃষ্টি কর্তার অস্তিত্ব নেই?? আপনারা তো বিজ্ঞান যা প্রমান করতে পারে নি তার উপর ভিত্তি করে বলে দিচ্ছেন সৃষ্টিকর্তা নেই আর ধার্মিক দের বলেন অন্ধ বিশ্বাসী। আপনারা কি অন্ধ বিশ্বাসী নন?? বিজ্ঞানের পরীক্ষা কিভাবে হয়? কোন কিছুর অস্তিত্ব আছে ধরে নিয়ে সত্যতা যাচাই করে নাকি নেই ধরে? কোন বস্তুতে কার্বন আছে কি নেই তা পরীক্ষা করা হয় কার্বন থাকলে বস্তুটি যেই বৈশিষ্ট দেখানোর কথা বা যেরুপ আচরণ করার কথা বা বিক্রিয়া করার কথা বস্তুটি সেরুপ করছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। তার মানে প্রথমে ধরে নেয়া হয় কার্বন আছে, তারপর কার্বন টেস্ট করে সত্যতা যাচাই করা হয়। পরীক্ষা কখনো কার্বন নেই ধরে করা হয়না। তাহলে আপনারা বলুন আপনারা কি? আপনারা নিজেদের বিজ্ঞান্মনস্ক দাবী করেন কোন যুক্তিতে? আমি কেন আপনাদের গাধা বলব না?
৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আচুদা কথা মনে হলো আমার কাছে।
কার্বন তো জাগতিক পদার্থ।
ঈশ্বর রয়েছেন, বিজ্ঞান এটা ধরে রিসার্চ করবে কেন?
প্রথমত, দুনিয়াতে জীবনধারনের জন্য ঈশ্বর চিন্তা অপরিহার্য নয়। ঈশ্বর থেকে থাকলেও মানুষের সঙ্গে তার প্রত্যক্ষভাবে জাগতিক কোনো কাজেই সম্পর্ক নেই। এটাতো পরিস্কার। ঈশ্বরকে প্রকল্প ধরাইতো অবান্তর হাস্যকর।
৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনার বক্তব্যের শেষ অংশ
“এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মত বিজ্ঞান আসলে এতটা উন্নত হয়নি এখনো। ভবিষ্যতে জানা যাবে। “ আমি বললাম “ আপনারা বলেন বর্তমান বিজ্ঞান তার উন্নতির শিখরে আছে তারপরও বিজ্ঞান এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনা? নাকি ইচ্ছে করেই দেয়না? আর আপনার এই বিজ্ঞানের কতিপয় অপ্রমাণিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বলে দিচ্ছেন স্রষ্টা বলে কেউ নেই। যেখানে প্রানের সংজ্ঞাই জানেন না সেখানে প্রাণের স্রষ্টা নেই এই কথা যারা বলে তাদের আমি নিরেট গাধা বলবনা তো কি বলব?”
ঠিকই তো বিজ্ঞান বহু কিছুর ব্যাখ্যা জানে না। এর মানে ঈশ্বর রয়েছেন এই কল্পণা শুধু অবান্তরই নয়, গাজাখুরি এবং হাস্যকর। ফালতু কথা।
তারপরও ধরে নিন আমি আপনার কথাই মানলাম ঈশ্বর রয়েছেন,। এখন কি করতে হবে ??
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন:
বললামই তো যে আপনাদের সাথে কথা বলা মানে সময় নষ্ট করা। আপনাদের মাথায় আসলে যুক্তি ঢুকে না। তাই উদাহরণ কোণটা কোথায় খাটে তা আপনাদের মাথায় ঢুকবে না জানি।
আসুন আপনার কথা যে আপনাকেই কন্ট্রাডিক্ট করে তা বুঝিয়ে দেই।
" কার্বন তো জাগতিক পদার্থ" তার মানে আপনি কি বুঝাতে চাইছেন? ঈশ্বর বিজাগতিক? আপনারা যেখানে বলছেন ঈশ্বর নেই সেখানে কার্বন জাগতিক ঈশ্বর বিজাগতিক এসব কথার মানেটা কি বুঝাবেন?
"ঈশ্বর রয়েছেন, বিজ্ঞান এটা ধরে রিসার্চ করবে কেন?" --- বিজ্ঞান তো রিসার্চ করছে না। করছে আপনাদের মত কিছু গর্দভ। বিজ্ঞানের অপ্রমাণিত কিছু তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে আপনারাই বলছেন সৃষ্টিকর্তা নেই। আমি বিজ্ঞানকে গাধা বলি নি। আপনাদের বলেছি, এটা কি আপনি বুঝেন্নি?
" জীবনধারনের জন্য ঈশ্বর চিন্তা অপরিহার্য নয়। ঈশ্বর থেকে থাকলেও মানুষের সঙ্গে তার প্রত্যক্ষভাবে জাগতিক কোনো কাজেই সম্পর্ক নেই।" ---- এটা আপনার ধারণা কারন আপনি পরকালে বিশ্বাস করেন না, আপনি বিশ্বাস করেন না বেহেস্ত দোজখ, আপনি বিশ্বাস করেন না সৃষ্টিকর্তা সব দেখেন এবং শুনেন।আপনার বিশ্বাস যৌক্তিক কি অযৌক্তিক সেটা আরেকটা বিষয়, অন্য প্রসঙ্গ। আপনার না লাগ্লে যে আর কারও লাগবে না তাতো নয়। আপনাকে দিয়ে তো সবাইকে বিচার করতে পারেন না।
"মহাবিশ্বে শক্তি রয়েছে। শক্তি পদার্থে এবং পদার্থ শক্তিতে পরিণত হয়। এই শক্তিকেই স্রষ্টা ভাবতে সমস্যা কোথায়? " ---- সমস্যা আছে। শক্তির উৎস কি? কিভাবে শক্তি থেকে ভর সময় সৃষ্টি হল? কোন পদ্ধতিতে? যদি আপনি বলেন আইনেস্টাইন ল ইত্যাদি ইত্যাদি তাহলে বলতে হবে কে এর নিয়ন্ত্রক? কারন ওসব নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা ছাড়া সম্ভব নয়। বলতে হবে এত সুক্ষ পরিমাপ, মাপজোখ ইত্যাদি কিভাবে হল যদি বিগ ব্যাং নিজে নিজেই হয়ে থাকে। এত নিয়ন্ত্রিত হল কিভাবে বিগ ব্যাং? আর এখানে স্রস্টার কথা এসে যায়? যদি বলেন বিজ্ঞান এসবের উত্তর এখনো পায় নি। তাহলে যারা স্রস্টার অস্তিত্বের কথা বলে তাদের আপনি ভুল বলতে পারেন না। বিজ্ঞান ই আপনাকে তা বলতে দিবে না। কিন্তু আপনারা সেটা বলেন। তাইতো আপনাদের গাধা বললাম আমি। বুঝেছেন নিশ্চয়ই?
এখন আসি আপনি যেটা বললেন যে " ধরে নিন আমি আপনার কথাই মানলাম ঈশ্বর রয়েছেন,। এখন কি করতে হবে?" আপনাকে মেনে নিতে তো আমি বলিনি। আমার কাছে মানা না মানায় কিছু আসে যায়না। আপনি অন্তর থেকে মানেন কিনা সেটা হল আসল বিষয়। সেটা মানার পরই আমি আপনাকে সাহাজ্য করতে পারব স্রস্টা আমাদের কি করতে বলেছে, পরকাল কি, আমাদের পৃথিবীতে আসার কারন, এর পড় আসবে বিভিন্ন ধর্ম, তাদের মধ্যে মিল অমিল, কোনটা বেশি গ্রহণযোগ্য, কোনটা নির্ভুল ইত্যাদি ইত্যাদি। সেটা তো পরের জিনিষ। আগে আপনাকে সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস আনতে হবে। তারপর পরের ধাপ। একধাপ শেষ না করে পরের ধাপে কেন যেতে বলছেন? আপনি নাস্তিক। তার মানে আপনি ঈশ্বর/ খোদায় বিশ্বাস করেন না যা সব ধর্মের প্রথম এবং প্রধানতম বিশ্বাস। তাহলে আপনি যখন ঈশ্বরে বিশ্বাসই করেন না, বিশ্বাস করেন যে ঈশ্বর বলে কিছু নেই তাহলে আপনি ধর্মের অন্যান্য বিষয় নিয়ে কেন বলতে যান? কেন সমালোচনায় যান যখন মূল কথাটাই নাকচ করে দিয়েছেন। একটা বস্তু যা অন্যেরা বলছে গাড়ি তাকে আপনি যখন বলছেন এটা গাড়িই নয় তখন আপনি কেন আবার এর পার্টস দেখতে যাবেন? সেটা কি যৌক্তিক হবে? তেমনি যখন আপনি বলছেন ঈশ্বর বলে কিছু নেই তখন ধর্মে কি আছে তা নিয়ে কেন গবেষণায় যাবেন, কেন সমালোচনায় যাবেন? তার মানে কি আপনি নিজেই নিশ্চিত নন ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতা নিয়ে? নাহয় তো আপনার যাওয়ার কোন দরকার নেই। যদি নিশ্চিত না হন তাহলে আপনার উচিত আগে আরও ভাল করে জেনে নিশ্চিত হওয়া।আপনি সিঁড়ির প্রথম ধাপ ছেড়ে অন্যগুলোতে কেন যাবেন? আপনি যে বিশ্বাসে আছেন সেটার ভেতর থেকে অন্যের বিশ্বাস বিচার করতে পারেননা। আমি বাংলাদেশী হয়ে চীনের সংস্কৃতি নিয়ে সমালোচনা করবো না যদি আমার মাথায় একটুও বুদ্ধি থাকে। কারণ আমি চীনের অধিবাসী নই। কোন কারনে আমি চীনে বসবাস করলেও তাদের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলাতাম না। কারণ আমি তাদের কেউ নই, আমি চীনে জন্ম নেই নি। তাদের সংস্কৃতি আবেগ চিন্তা ভাবনা কখনোই আমার মত হবে না। এই সহজ বিষয়গুলো আপনাদের অতি জ্ঞানী মাথায় প্রবেশ করে না কখনো। তাই আপনাদের সাথে তর্ক করেও লাভ নেই।
১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১
বিচছু বলেছেন: পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: প্রাণের উদ্ভব সম্পর্কিত ধর্মীয় বর্ণনা গাজাখুরি। বিশেষ করে অ্যাডাম এবং ইভের যে কাহিনী তা প্যালেস্টাইন পুরান থেকে নেওয়া। আবার ধর্মগ্রন্থগুলো পুরানকে অস্বীকার করে। আপনার কি মত? আকাশ থেকে আদম হাওয়া নাজিল হয়েছে? এটা হাস্যকর নয় কি? ......
আকাশ থেকে আদম হাওয়া নাজিল হয়েছে কারন ডাইনোসরের যুগের পর আল্লাহ মানব জাতিরে পৃথিবীতে বসবাসের উপযোগি করার পর আদম(আঃ) কে পৃথিবীতে পাঠানো হইসিল
১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
বিচছু বলেছেন: পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন:আবাল কোহান কার আল্লাহ নাই এটা প্রমান কইরা দেখাস না
১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বিচ্ছু আবাল, ঈশ্বর আছে সেটা প্রমাণ করতে যাওয়াটাইতো অর্থহীন। তাই নয় কি? নাই এটা প্রমাণ করা লাগে না। নাই, কারন আমরা জন্মসূত্রে শুনে আসছি তিনি আছেন। কিন্তু জীবনেও কেও দেখে নাই। নাই এটা প্রমাণ করা লাগে না।
আমি মনে করি নাস্তিক দর্শন পুরোপুরি ভুয়া। কারন আস্তিকতার মতো ফালতু বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এই দর্শন গড়ে উঠেছে। দুটোই ভুয়া। এবং এই দুটোর কোনোটিই মানুষের জীবনের সঙ্গে তথা বস্তজগতের সঙ্গে জড়িত নয়। বেঁচে থাকার জন্য ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন আছে লোভী মানুষের জন্য , যারা আজীবন বাচতে চায় হুরপরী চায় তাদের জন্য। ভালো মানুষ হতে হলেও ঈশ্বরকে প্রয়োজন নেই।
এবার লেখককে বলছি:
লালন ঈশ্বরকে খুঁজেছেন, প্রমাণ পান নি বা দেন নি। রবীন্দ্রনাথের ঈশ্বরও গোজামিলে ভরপুর। এ থেকেও সুনির্দিষ্টভাবে ঈশ্বরের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। আর আমি বলতে চেয়েছি, জীবের একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। এ প্রক্রিয়ার বাইরে আধ্যাত্মিক কোনো সত্ত্বার হস্তক্ষেপের বিষয়টি প্রমানিত নয়।
এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় যদি কখনো ঈশ্বরকে খুঁজে পাওয়া যায় তখন তো মানতেই হবে। ভাইরাস ব্যক্টেরিয়াসহ অনেক কিছুরই অস্তিত্ব আমরা অনুভব করি না। তাই বলে এটাও কোনো যুক্তি হতে পারে না যে, অনুভব করি না কিন্তু আছে এমন কিছুর মতোই ঈশ্বর রয়েছেন। যেহেতু অনুভব করি না। সেহেতু বিশ্বাস না করাটাই অনেক বেশি যৌক্তিক। ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়া আমাদের প্রয়োজনেই আবিস্কার হয়েছে। কিন্তু বেঁচে থাকতে হলে ঈশ্বরকে আবিস্কার করার কোনো প্রয়োজন নেই। আর যদি কেউ আবিস্কার করেন এবং প্রমাণ করেন এবং যদি তা 'ল' তে পরিনত হয় তাহলে তো আর তাকে বিশ্বাসের কিছু নেই। কারন প্রমানিত কোনো জিনিসে বিশ্বাস করা লাগে না।
ঈশ্বরকে কোনোভাবেই প্রকল্প চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। কারন বেঁচে থাকার কোনো পর্যায়েই তাঁর দরকার নেই। তাহলে কেন তাকে আগাম বিশ্বাস করে তা প্রমাণের চেষ্টা করবো।? এখনও পর্যন্ত কেও পারে নি। বরং তিনি নেই, এটাই বেশি যৌক্তিক এখনও পর্যন্ত।
১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: লেখককে বলছি,
আপনি তো প্রথমেই ভুল করে বসে আছেন। ঈশ্বরকে প্রকল্প হিসেবে নিয়ে তা প্রমাণ করতে যাওয়াই অবৈজ্ঞানিক এবং নির্বুদ্ধিতা।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৯
মেহেদী আনোয়ার বলেছেন: " আমি আপনার কথাই মানলাম ঈশ্বর রয়েছেন,। এখন কি করতে হবে ?"
আপনি যদি স্রস্টা আছে স্বীকার করেন তারপড় আমি আসব পরকালের উপর বিশ্বাস এ। বেহেস্ত দোজখ, যেখানে আমরা দুনিয়ায় কৃতকাজের পুরস্কার বা শাস্তি পাব। আপনি যদি বলেন তাতে আপনি বিশ্বাস করেন না, যদি কোন পরকাল নেই, নেই বেহেস্ত দোজখ। তারমানে “ you are your own God”, কোন বিধি,নিষেধ,সীমা নেই, নিজের যা ইচ্ছে তাই কর।একজন কে খুন কর আর ১০০ জন কে খুন কর কিন্তু ফাঁসি হবে একবারই, আর তারপর মাটির সাথে মিশে যাব, সব শেষ, “নো হেভেন নো হেল। লাইফ হেজ নো বেইল। “ আমি তখন প্রশ্ন করব আমাদের পৃথিবীতে পাঠানোর কারন কি? কেন পাঠিয়েছেন (যেহেতু আপনি বলেছেন ধরে নিচ্ছেন ইসবর আছেন)।
তারপর যদি আমি প্রশ্ন করব “কেন আমি ভাল কাজ করব?”
- আপনি উত্তরে বলবেন “ সমাজের, রাষ্ট্রের আইন মেনে চলতে হবে, আইনের বিপক্ষে গেলে শাস্তি পেতে হবে। আইন যদি ভাল কাজ করতে বাধ্য করে তাহলে করবে। “
- রাষ্ট্রের আইন তো কোন মানুষের সৃষ্টি এবং কিছু মানুষ দ্বারা পরিচালিত। তাহলে তারা যদি তাদের নিজেদের তৈরি আইন মেনে না চলে তখন কি হবে? বা তারা যদি তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী অন্যায় করে তার কি হবে? কে তাদের বাধা দেবে? খারাপ কিছু করলেও তো তার কোন সমস্যা নেই। শাস্তি তো আর পাচ্ছে না। আমি অপরাধ করেও তো পার পেয়ে যেতে পারি যদি উপযুক্ত জায়গায় লবিং করতে পারি। তখন কি হবে? কেন আমি ভাল থাকব, সৎ থাকব? যখন দেখব অসৎ হয়ে অনেক আয়েশে জীবন যাপন করা যায়। বা একজন মাফিয়া ডন, রাষ্ট্রের আইন তার পকেটে, সে সবসময় নিরাপত্তা বলয়ে থাকে। সে স্মাগ্লিং, খুন ইত্যাদি ইত্যাদি অপরাধ পরিচালনা করে। আপনি কিভাবে তাকে বুঝাবেন যে সে যেটা করছে তা খারাপ? সে তো আয়েশে জীবন যাপন করে পরিশেষে মাটীতে মিশে যাবে। তার অপকর্মের কোন শাস্তিই সে পাবে না। তাহলে কিভাবে আরেকজন কে আইন মেনে চলতে বলবেন? কিভাবে সৎ থাকতে বলবেন?
-- দেখুন সৎ থাকা, সৎ কাজ করা ইত্যাদির প্রশান্তি বা অনুভূতি মানুষের মনের মাঝেই থাকে, মানবিকতা থেকে সে সৎ কাজে আকৃষ্ট হয়, ভাল কাজে আকৃষ্ট হয়, মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকতে চায়।
--- খুব ভাল কথা। তাহলে ২ টা প্রশ্ন এসে যায়। ১)আমাকে বলুন আপনি এই যে মানবিকতা, মানুষের নিজের ভেতরের মানুষ ইত্যাদি বিষয়গুলো বললেন তা মানুষের ভেতর আসলো কিভাবে? কোন বিবর্তনের ফলে তার সৃষ্টি? কোন সে জিনিষ যা মানুষের ভেতর ভাল খারাপের পার্থক্য বুঝিয়ে দেয়। যার ফলে ভাল খারাপ আলাদা করতে পারে? কিভবে এর সৃষ্টি? অন্য কোন প্রাণীর মধ্যে তো এই জিনিষ নেই। তারা তো ভাল মন্দ বিচার করতে সক্ষম নয়। মানুষের মাঝে কিভাবে আসলো এটা যদি বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের উৎপত্তি হয়? আর ২য় প্রশ্ন হচ্ছে আমি যদি ঐসব “মানবিকতা “ (যার ব্যাখ্যা আপনারা জানেন না, যা দেখেন না কিন্তু বিশ্বাস করেন এবং তা অন্ধ বিশ্বাস বলে মেনে নিতে রাজি নন ) বাদ দিয়ে আমি যদি যা আমার জন্য সুবিধা তাই করি তাহলে আপনি কি আমাকে দোষ দিতে পারেন? কি বলে আমাকে ফেরাবেন? ঐ সব প্রয়োগ করে তো আমি কোন লাভ দেখছি না, উলটো অনেক লস। (প্লিজ আমাকে অনুভূতি, প্রশান্তি এসবের কথা বলবেন না কারন আপনাদের তথাকথিত বিবর্তনবাদ এসব ব্যাপার সমর্থন করেনা। এসব ব্যাপার হওয়া সম্ভব নয় আপনাদের তত্ত্ব অনুযায়ী)
---- ( কিছুক্ষণ ইতস্তত করে) আসলে মানুষ যখন আরও জ্ঞান অর্জন করবে, আরও পড়াশুনা করবে তখন তারা বুঝতে পারবে এসব গুণাবলী চর্চার মাহাত্ম্য এবং সুবিধা। মেনে চললে ই হয় , না চললে কি হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। *আর মানুষের মধ্যে কিভাবে এর সৃষ্টি তা জানতে হলে আরও অপেক্ষা করতে হবে। বিজ্ঞান যত উন্নত হবে তত বিষয়গুলো পরিস্কার হবে, তত জানতে পারবে এসব প্রশ্নের উত্তর।
-- তার মানে এসব কেন করব বা মেনে চলার জন্য আমাকে আগে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে হবে? আচ্ছা তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নি কিন্তু পৃথিবীর কয়জন মানুষ এত উচ্চ জ্ঞানসম্পন্ন হয়? আর সব লোক যাবে কই? পৃথিবী শুধু কি ঐ উচ্চ শিক্ষিত দের জন্য হবে? আর সবাই কে কিভাবে বুঝাবেন?
* তারমানে আপনি বলতে চাইছেন বিজ্ঞান এখনো এত উন্নত নয় যে এসব প্রশ্নের উত্তর দেবে, তাইতো? আপনারা বলেন বর্তমান বিজ্ঞান তার উন্নতির শিখরে আছে তারপরও বিজ্ঞান এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনা? নাকি ইচ্ছে করেই দেয়না? আর আপনার এই বিজ্ঞানের কতিপয় অপ্রমাণিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বলে দিচ্ছেন স্রষ্টা বলে কেউ নেই। যে বিষয় প্রমান হয়নি তা বিশ্বাস করা কি অন্ধ বিশ্বাস নয়?
এরপর শুরু হবে আপনার কথা ঘুরানো, পেঁচানো, অন্য বিষয়ে যাওয়ার চেষ্টা ইত্যাদি ইত্যাদি এবং সবশেষে সালিশ মানি তালগাছ আমার। আপনাদের মত আপনাদের চেয়ে বড় বড় তথাকথিত শিক্ষিত নাস্তিকদের সাথে আমার কম তর্ক হয়নি। জানি কোথায় এসে আপনারা কথা পেঁচানো শুরু করবেন।
এসব কথার পরও যদি না বুঝেন তো থাকুন আপনি আপনার ধারণা নিয়ে। আমি আর সময় নষ্ট করতে রাজি নই কোন গাধার পিছে। বাই বাই । শুভরাত্রি
১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫
বিচছু বলেছেন: পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছে@আরে আবাল তোরে কইসি আল্লাহ নাই এটা প্রমান কইরা দেখা তুই আইছস আল্লাহ আছে এটা প্রমান করার কতা কইতে
দর্শন আমার কাসে টানবি না তোর থেইক্যা মেলা ঞ্জানী মনীষী আল্লাহ আছে কি নাই তা নিয়া তর্ক করতে করতে বইএর বাহার করসে............
আবার কইতাসি আল্লাহ নাই এটা প্রমান কইরা দেখা কোন ত্যানা না প্যাচাইয়া
১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আবোল তাবোল কথা বলে কি বোঝাতে চাইছেন??
সহজ কথা
যা আছে তাতে বিশ্বাসের দরকার নেই। আপনিই বা ইশ্বর রয়েছেন সেই প্রমাণে যাচ্ছেন ।
বিশ্বাস শব্দটাই ফালতু একটা শব্দ। বিশ্বাস মানেই যেখানে অবিশ্বাসের বিষয় আছে। একজন আস্তিকের মধ্যেও সর্বদা অবিশ্বাস কাজ করে। আপনি কখনোই বলেন না যে, আপনি বিদু্তে বিশ্বাস করেন। যা আছে তার সঙ্গে বিশ্বাস শব্দটা অবান্তর।
দুই নম্বর
আমি মনে করি নাস্তিক দর্শন ভুয়া। কারন এর ভিত্তি হলো আস্তিক দর্শন। উভয় দর্শনই জীবনের জন্য কোনো প্রয়োজন নেই।
আর আমি বলতে চেয়েছি, জীবের একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। এ প্রক্রিয়ার বাইরে আধ্যাত্মিক কোনো সত্ত্বার হস্তক্ষেপের বিষয়টি প্রমানিত নয়।
আর ভালো খারাপের সঙ্গে ঈশ্বর বিশ্বাসের কোনো সম্পর্ক নেই।
এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় যদি কখনো ঈশ্বরকে খুঁজে পাওয়া যায় তখন তো মানতেই হবে। ভাইরাস ব্যক্টেরিয়াসহ অনেক কিছুরই অস্তিত্ব আমরা অনুভব করি না। তাই বলে এটাও কোনো যুক্তি হতে পারে না যে, অনুভব করি না কিন্তু আছে এমন কিছুর মতোই ঈশ্বর রয়েছেন। যেহেতু অনুভব করি না। সেহেতু বিশ্বাস না করাটাই অনেক বেশি যৌক্তিক। ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়া আমাদের প্রয়োজনেই আবিস্কার হয়েছে। কিন্তু বেঁচে থাকতে হলে ঈশ্বরকে আবিস্কার করার কোনো প্রয়োজন নেই। আর যদি কেউ আবিস্কার করেন এবং প্রমাণ করেন এবং যদি তা 'ল' তে পরিনত হয় তাহলে তো আর তাকে বিশ্বাসের কিছু নেই। কারন প্রমানিত কোনো জিনিসে বিশ্বাস করা লাগে না।
ঈশ্বরকে কোনোভাবেই প্রকল্প চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। কারন বেঁচে থাকার কোনো পর্যায়েই তাঁর দরকার নেই। তাহলে কেন তাকে আগাম বিশ্বাস করে তা প্রমাণের চেষ্টা করবো।? এখনও পর্যন্ত কেও পারে নি। বরং তিনি নেই, এটাই বেশি যৌক্তিক এখনও পর্যন্ত। তাই নয় কি??
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনার কাছে প্রশ্ন: বুঝলাম স্রষ্টা রয়েছেন। এখন কি করতে হবে ? তাঁকে কি কোনো ধর্মগ্রন্থের নিচে গিয়ে মানতে হবে ? এবং দিবানিশি পুজো করতে হবে? মানুষের মতো ওই স্রষ্টারও চাওয়া পাওয়া রয়েছে?
প্রাণের উদ্ভব সম্পর্কিত ধর্মীয় বর্ণনা গাজাখুরি। বিশেষ করে অ্যাডাম এবং ইভের যে কাহিনী তা প্যালেস্টাইন পুরান থেকে নেওয়া। আবার ধর্মগ্রন্থগুলো পুরানকে অস্বীকার করে। আপনার কি মত? আকাশ থেকে আদম হাওয়া নাজিল হয়েছে? এটা হাস্যকর নয় কি?
মহাবিশ্বে শক্তি রয়েছে। শক্তি পদার্থে এবং পদার্থ শক্তিতে পরিণত হয়। এই শক্তিকেই স্রষ্টা ভাবতে সমস্যা কোথায়? পানি স্যাতস্যাতে পরিবেশে রাখলে শ্যাওলা জন্মে। এই শ্যাওলা ওপর থেকে নাজিল হয় না। পানিরই রুপান্তরিত রুপ। অর্থাৎ শক্তির রুপান্তর চলছে প্রতিনিয়ত যা অবিনশ্বর । যার কোনো আকার আকৃতি নেই।
আপনি যদি শক্তিরও স্রষ্টা আনেন তবে তাঁর স্রষ্টা কে সে প্রশ্ন আসাও খুব স্বাভাবিক। আর একটা সত্ত্বা সম্বলিত স্রষ্টা তো আরও হাস্যকর।
সৃষ্টিকর্তা কি ছোটোলোক শিরোনামে আমার একটি গদ্য রয়েছে। আপনাকে পড়ার আহবান জানাই
Click This Link