![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিভা আর কর্মপ্রচেষ্টা নিয়ে ছোট,বড় বা জ্ঞানী-গুণীজনের অনেক কথা,বাণী আছে। সেগুলো কেউ মানি, আবার কেউ এগুলো নিয়ে মাথায় ঘষে’ বড়োর ভান করি।এ নিয়ে আবার ছিকাছেড়া মানুষগুলো তার পেশা,পদ,পদবীর ভীড়েঢাকা আদম সন্তানদের বেশিরভাগ সময় বাকা ঠোটের হাসি দিয়ে, কিছু বিষকাঠালী জাতের তুচ্ছ মানুষের তালে পরে অজ্ঞ,মুর্খ বলে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে সিড়ি বেয়ে চলে যায় মাটি ছেড়ে ইটের চিলে কোঠায়।এই ধাচের কিছু মানুষ তাদের বলনে-চলনে যেন বুঝায়- আমার প্রতিভা ছিলো বলেই আমার এতো উচুতে বসবাস, আর তোমার নোংরা মাটিতে।আজ কিছু মিথ্যা অহংকারী,স্বঘোষিত জ্ঞানী মানুষ হয়তো জানেই না যে, আমাদের দেশে অবাক করা কত যে প্রতিভা রাস্তায় গড়াগড়ি খায়। ওনারা আসমানের কাছে থাকেন বলেই এ বিষয়টি দেখেন না বা দেখতে চান না। আসলে মানুষ যদি চর্ম চোখে অন্ধ হন,তিনি অনুমান করে অনেক দেখায়ালার চেয়ে অনেক সময় বেশী বুঝতে ও দর্শন করতে পারেন। কিন্ত ক্রমাগতভাবে বুদ্ধির স্তর পরে পরে কেউ যদি আন্ধা হন, তার ধান্ধা করার জন্য নিজের ঢোল পিটিয়ে ফাটিয়ে-ফুটিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করাই হয় তার বড় কাজ। যারা তা করেন না, তাঁরা জ্ঞানের রাজ্যে জীবন-যৌবণ ক্ষুইয়ে শেষে মহান বিজ্ঞানী নিউটনের মতো বলেন--হায়,আজীবন কঠোর শ্রমে জ্ঞান সমুদ্রের তীড় পেলাম। হায়,আফসোস-- আয়ু থাকতে বুঝি জ্ঞান সমুদ্রের জল স্পর্স করার সৌভাগ্য আমার আর হলো না। দৈব কারণে- আমার ছাত্র জীবনে বিদ্যালয়ের পড়া-লেখার সুযোগ নষ্ট হওয়ার পর হতে আমার চারপাশের সবাইকে আমি আমার শিক্ষক মানি এবং আমার চলমান পারিপার্শিকতা আমার বিদ্যালয় হয়ে ওঠে। তাই আমি প্রতিনিয়ত সবার কাছেই ঋণী। এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই আমার এই ব্লগে আসা। এখানে শতভাগ শিখতে এসেছি।এবং মাপতে এসেছি দেশের প্রতিভাবান সভ্য সমাজ হতে আমরা গৈ-গেরামের মানুষ কত নীচে পরে আছি। দেখলাম,দেখছি এবং স্রষ্ঠা বাঁচিয়ে রাখলে এদেখা চলবে,যদি ব্লগকর্তাগণ আমার মতো চাষা-ভূষাকে সুযোগ দেন। জানেন, ব্লগের বিভিন্ন লেখালেখি নিয়ে আমার স্বমগোত্রিয়দের কাছে আমি যখন গল্প করি তখন ওরা প্রাণ ভরে ভীনদেশের কাহিনীর মতো ওগুলো শোনে। তখন ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসের সংসার আগুনে পোড়া নায়ক অপূর্বের মতো নিজেকে দামী মনে হয়। আজ আমি ওদের কথা দিয়ে এসেছি যে,সংক্ষিপ্ত করে হলেও ওনাদের মেঠো প্রতিভার অবাক করা কিছু মানুষদের আপনাদের মাঝে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরবো। আপনাদের কথা যারা আমার মুখে এতো দরদ দিয়ে শোনে,প্লিজ তাদের বিনীত অনুরোধ কষ্ট করে হলেও আপনারা তাঁদের প্রিয় মানুষগওলোর কথা মাঝে-মধ্যে একটু শুনুন। কথা দিলাম,অনেক অনেক দিন পরপর তাদের কথা আপনাদের বলবো এবং আপনাদের কথা আমি নিয়মিতভাবে ব্লগে এসে শুনে ওদের কাছে গিয়ে প্রচার করবো।
তাহলে আজ শুরু হোক :--প্রত্যন্ত এলাকার জটিল-কুটিল-হিংসা বাদে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকলের নিকট বিরল প্রতিভাবান ব্যক্তির কথা। নাম-মো: মোনায়েম হোসেন, পিতা- মৃত আব্দুল জলিল প্রামানিক, মাতা-মোছা: মরিয়ম বেগম, গ্রাম- বিনোদপুর, ডাক-বারুহাস, উপজেল-তাড়াশ,জেলা-সিরাজগঞ্জ।সাংসারিক অভাব-অনটনসহ বহুবিদ কারণে তিনি মেট্রিক পরীক্ষা দিতে পারেন নাই।বর্তমানে তিনি একজন প্রত্যন্ত এলাকার অটোভ্যান চালক।জন্মগত অবস্থান ও পেশাগত কারণে--অটোভ্যান চালানোর আগে হতেই তিনি তাড়াশ উপজেলার সবচেয়ে দূর্গম এলাকার পরিশ্রমি ভ্যানচালক হিসাবে পরিচিত। তার পেশার পোশ্য হলেন- তার মা,স্ত্রী,এক মেয়ে ও এক ছেলে।দু’সন্তানের মধ্যে মেয়েটা নবম শেনীতে এবং ছেলেটি পঞ্চম শ্রেনীতে পড়া-লেখা করে।এই শ্রমজীবি মানুষটি তাড়াশ ও তার পাশ্ববর্তী এলকায় নিয়মিত ভ্যান চালান। তিনি তার ভ্যান চালিয়ে যাওয়া-আসার সময় বা অবসর সময়ে এলাকার কোন প্রত্যন্ত ভ্যানগ্যারেজে বসে সবার মনমাতিয়ে বাঁশের বাঁশিতে সুর তোলেন। এটা তাঁর নেশা,সখ বা আত্মার পেশা।আমরা দেশের গ্রাম-বাংলায় অবশ্যই আর বেশী দিন এই মোনায়েম ভাইয়ের মতো এমন মানুষ খুজে পাবোনা। কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই গৈ-গেরামের সাধারণ মানুষদের পক্ষ হতে আমি অধম,মুর্খ হয়তোবা একজন মানুষ।
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৪১
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: ভাই,আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। আমি দেখেছি-- যা এড়িয়ে যাবার নয়,তা আপনার চোখকে ফাকি দিতে পারেনা।আপনাকে এতো সুন্দর দৃষ্টিশক্তি দেয়ার জন্য স্রষ্টাকে অনেক ধন্যবাদ!!!
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৪৪
রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: ভালো লাগলো। আপনি দেখছি আমার পাশের এলাকার!
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৪৮
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: প্রতিবেশী মনে করায় ধন্যবাদ।রানা ভাই, আপনার কোন পাশে আছি বললে যে খুব ভালোলাগতো!!
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১১
সুমন কর বলেছেন: মোনায়েম হোসেনের কথা জেনে ভালো লাগল। এরকম অনেক মোনায়েম হোসেন বাংলার মাটিতে লুকিয়ে আছে। ....
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: সবাই মাটির নীচে লুকিয়ে গেলে বাংলা মা কেমনে বাচবে ভাই!!
৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৪
বিজন রয় বলেছেন: ভাল লেখা।
++++
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: দু:খজনক লেখা ভাইরে। এ দৃশ্যগুলো হয়তো বেশীদিন আমাদের চোখে পরবেনা।
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: আপনি গ্রামের এসব মানুষের জীবন কাহিনী তুলে ধরলে অনেক অজানা কথা জানা হবে। এ ধরনের পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৪
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। কিন্ত জেনে কি হবে বলুনতো একবার!!
৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৫
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: ভালো একটা পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ
আপনাকে।
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৮
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: ভালো থাকুন এবং ভালো কিছু করার জন্য সবাই এগিয়ে আসুন।।
৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৩
আমিই মিসির আলী বলেছেন: +
+
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৭
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: ওরা বাংলার বিলুপ্ত প্রাণীর মতো হারিয়ে যাবে অচিরেই।++++ একদিন------হয়ে, আমাদের শুধু কাঁদাবে!!!!
৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৩
আমিই মিসির আলী বলেছেন: হারিয়ে যাওয়ার দেশে বাস করছে।
হারাবে না তো কি হবে!
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৮
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: ভাইজান,দোয়া করেন-- এ হার যেন গলার হার হয়ে ওঠে।
১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৯
আমিই মিসির আলী বলেছেন:
১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সাধুবাদ জানাই , চালিয়ে যান।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৫৩
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: চালিয়ে তো যাবো রে ভাই,কিন্ত গাড়ী যে আর চলে না।
১২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১২
রোদেলা বলেছেন: এমন অজানা গল্প ছড়িয়ে আছে আমাদের আশেপাশে।ভালো লাগলো।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: ভালোলাগার জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮
আরজু পনি বলেছেন:
তালুকদার...খুব ভালো পোস্ট দিয়েছেন কিন্তু...আমি দেখেছি আগেই...
একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে, অনেকের লেখাতেই যাবো শিগগীরই।
চালিয়ে যান...পাশেই পাবেন আশা করি ।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: আশায় বুক বেঁধে রাখলাম।
১৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৩
সায়ান তানভি বলেছেন: ধন্যবাদ চমৎকার কনসেপ্ট। ব্লগে গতানুগতিক লেখার অত্যাচারে এ ধরনের পোস্ট একটু স্বস্তিদায়ক। আর বাঁশি আমার প্রিয়, ওনার বাশির সুরে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: হারিয়ে গেলে হারাদের বাচাবেন কেমনে??!!
১৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সিরাজগঞ্জের দিকে গিয়েছিলাম ২০১০ সালে । রাজশাহী যাওয়ার পথে কোন একটা বাজারে যাত্রাবিরতি দিয়েছিলো । ওখানে একটা মাগুর মাছের ফিশারি ছিলো ।
০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: সিরাজগঞ্জ কে সাধু ভাই??
১৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সে এক বিশাল কাহিনী!
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:২৮
কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন।
ধন্যবাদ তালুকদার সাহেব।