নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটু একটু আলোর সাথে অনেক অন্ধকার

....

মহাবিশ্ব

একটু একটু অমৃত আর অনেকখানি বিষ, দুটোই মিশে বুকের নদী বইছে অহর্নিশ [email protected] www.flickr.com/photos/mahabiswa

মহাবিশ্ব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল মাঝে

১২ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪০





Who are we? We find that we live on an insignificant planet of a humdrum star lost in a galaxy tucked away in some forgotten corner of a universe in which there are far more galaxies than people.

-Carl Sagan




সেই মহা বিস্ফোরণের পর থেকে সময়ের পথ চলা... শক্তি থেকে ক্রমশঃ জন্ম নেওয়া পদার্থ সমূহ... গড়ে ওঠা মহাবিশ্ব... গ্যাস, তরল থেকে আস্তে আস্তে কঠিন অবস্থা... ভূমিষ্ঠ (শুন্যস্থ?) হতে থাকা অজস্র শিশু তারাদের অগ্নি কান্না! তারা থেকে গ্রহ... গ্রহ থেকে উপগ্রহ... অণু পরমাণুদের উৎসব লেগে গেল যেন... সৃষ্টি সুখের উল্লাস অনন্ত মহাশুন্য জুড়ে... নক্ষত্রপুঞ্জ, ব্ল্যাক হোল, কোয়াসার, পালসার, নোভা, সুপার নোভা, ধুমকেতু, গ্রহাণুপুঞ্জ...

মিল্কি ওয়ে ছায়াপথের এক নিঃসীম কোণে এক নিরালা সূর্যের চারিপাশে ঘুরতে থাকে কিছু গ্রহ...

ঐ সূর্যের নীলাভ তৃতীয় গ্রহের উত্তাল সমুদ্রে কোন খেয়ালে জন্ম নেয় একরত্তি প্রোটিনের...

...

প্রাণ...

...

হয়তো কোন নিয়ম না মেনেই...

হয়তো নিয়ম মেনেই...

শুরু হয় মহাবিশ্বের এক বিস্ময়কর পাগলামি! প্রাণের বিবর্তন...

প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালে মাটির উপর পা ফেলে দাঁড়ায় মানুষ...

তৈরি হয় মন... এক জটিল জৈব অর্গানিজম যা ভাবনা চিন্তা করতে পারে...

যা হয়তো সারা মহাবিশ্বে এক এবং অদ্বিতীয়...

হয়তো অতীতে কোথাও হয়নি, আর ভবিষ্যতেও হবে না...

...

ভেসে যাওয়া শুন্যের সমুদ্রে... এক অনন্তের উদ্যেশ্যে... তোমার আমার মধ্যের শূন্যটা পাল্টে যাচ্ছে অহরহ... যা ফিরে আসে না কখনো...

প্রতিনিয়ত স্নান করা মহাজাগতিক রশ্মিদের ঝর্নায়... দূর দূরান্ত থেকে ভেসে আসা এক্স রশ্মি, গামা রশ্মি... ভেসে আসা আলোর তরঙ্গ... যার উৎস হয়তো বহুদিন আগেই ধংস হয়ে গেছে...

এ এক অনন্ত যাত্রা...

...

এই রহস্যময় নীল গ্রহের এক ভূমিখন্ডে রাত গভীর হয়... আকাশের দিকে মুখ তুলে চাই... অজস্র তারারা মিটমিট করে কত কথা বলতে চায়, তরঙ্গ সংকেত পাঠিয়ে চলে বিভিন্ন মাত্রায়... প্রসারিত হতে থাকা মহাবিশ্বের চারিদিক থেকে ছুটে আসা নিউট্রিনো স্রোত শরীর ফুঁড়ে চলে যেতে থাকে... হয়তো অস্ফুট চিহ্ন প্রোথিত করে যায় জিনের মধ্যে...

...

অবাক হয়ে ভাবি...

"মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল মাঝে

আমি মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে..."

...

কোথায় এই যাত্রা শুরু?

কোথায়ই বা যাত্রার শেষ?

...

অনেক উঁচু একটা টাওয়ারের উপর উঠে বিস্মিত হয়ে দেখি আমার বড্ড প্রিয় নীল গ্রহের অগণিত প্রাণের সম্ভার...

এইচ টু ও আর অক্সিজেনের সমুদ্রে ছোট্ট এমিবা থেকে বুদ্ধিমান মানুষ...

...

দুই হাত বাড়িয়ে দেই সব্বার দিকে...

ফিসফিস করে বলি, ভালোবাসি ভালোবাসি, বড্ড ভালোবাসি এই প্রাণ...

...

সামহোয়ার ইন ব্লগের সকল বাসিন্দাদের জানাই শুভকামনা, অকুন্ঠ ভালোবাসা...

আরো সুন্দর হোক প্রাণের এই যাত্রা...

ভালো থেকো সব্বাই...





মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:৫৩

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
খুব সুন্দর একটা নিক.............মহাবিশ্ব

খুব প্রিয় একটা গান,
"মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল মাঝে
আমি মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে"...

খুব ভালোলাগলো লেখাটা।
আশাকরি মহাবিশ্বর কাছে অনেক ভালো ভালো লেখা পাবো এই ব্লগবাড়িতে।
শুভকামনা।
শুভ ব্লগিং।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৪

মহাবিশ্ব বলেছেন: সাজি!

কি সৌভাগ্য আমার...
এক সুমধুর সমাপতন...
প্রথম লেখার প্রথম কমেন্টটাই সাজির...
সত্যি ভাবা যায় না...
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ...

কোষে কোষে সাজানো যে এডেনিন, থাইমিন, গুয়ানিন আর সাইটোসিন একসাথে মিলে ম্যাজিক করে সাজিকে সাজি করে তুলেছে তাদের জন্য রইল শুভকামনা!

ডি এন এ ডাবল হেলিক্স জিন্দাবাদ...
খুব ভালো লাগলো...

ভালো থাকার জন্য মহাজাগতিক শুভেচ্ছা!

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:০০

নস্টালজিক বলেছেন: মহাবিশ্বে- র ব্লগ ভ্রমন শুভ হোক।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৪

মহাবিশ্ব বলেছেন: "হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল, মিঠে কুয়াশায় ভেজা আস্তিন..."

মাঝে মাঝেই নস্টালজিয়া গ্রাস করে নেয়... বহু বছর আগে হয়তো এক অন্ধকার ঝড় জলের দুর্যোগময় রাত্রে উত্তাল সমুদ্রে জন্ম নেওয়া প্রথম প্রাণ, একরত্তি মিষ্টি প্রোটিনের জন্য! যে না আসলে মহাবিশ্বে আমরা কেউই আজ থাকতাম না...
নস্টালজিকের আস্তিন ভিজে থাকুক এই নীলগ্রহের জীব বৈচিত্রের মিঠে ভালো লাগার কুয়াশায়...
অনেক ধন্যবাদ আসার জন্য...

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৬

অজন্তা তাজরীন বলেছেন: বিশ্ব মানব জাতিকে যেমন করেছে দান,
ঠিক তেমনি ভাবে মহাবিশ্বের কাছে
আমাদের আহ্ববান !

আমরা অপেক্ষায় থাকলাম। সাথে থাকলো শুভকামনা ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৯

মহাবিশ্ব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ...
খুব সুন্দর, অজন্তা কেমন গাছ আর মানবী দুই মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে...
এই নীল গ্রহের প্রাণের স্পন্দন মূলতঃ কার্বন দিয়ে গড়া যা সরাসরি বিভক্ত গাছ আর জন্তুর প্রজাতিতে... একজনের ক্লোরোফিল আর অপরের হিমোগ্লোবিন... প্রকৃতির কি বিচিত্র বিবর্তন, এই দুই অণুর গঠনে আশ্চর্যজনক মিল রয়েছে, হিমোগ্লোবিনের কেন্দ্রে লোহা আর ক্লোরোফিলে ম্যাগনেসিয়াম... অজন্তা যেন এই Fe আর Mg-র অণুশব্দমালায় গড়ে ওঠা একটা কবিতা... যেখানে সব প্রাণ এক হয়ে যায় ছায়াপথের আলোয়!
ছায়ামানবের পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে ভাল লাগা খুঁজে পাওয়ার শুভকামনা রইল.....

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০৬

রক্তিম কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটা।

হ্যাপি ব্লগিং।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২৭

মহাবিশ্ব বলেছেন: ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।
"তোমার কাছে ফাগুন চেয়েছে কৃষ্ণচূড়া......"
ফাগুন আর কৃষ্ণচূড়ার আগুন ভীষণ প্রিয় আমার
সুন্দর এই ফুল, চারটে পাপড়ি একরকম, পঞ্চমটি আবার আলাদা ভাবে সাজানো।
কি করে যে এমন অসাধারণ প্রোগ্রামিং করা থাকে জানি না।
সবসময়ের জন্য রক্তিম থাকুক কৃষ্ণচূড়া মন, এই শুভকামনায়

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২৬

উধাও ভাবুক বলেছেন: রাতের জন্যে অপেক্ষায় থাকি সারাটা দিন। রাতের আকাশে তাকিয়ে ভাবি কোথা থেকে এলাম আমি ? যাবোই বা কোথায় ? কেন এই জন্ম ? কেন এই বেঁচে থাকা ! অথবা ভাবি এত নক্ষত্রপুন্জের মাঝে আর কোথাও কি আছে পৃথিবীর মত এমন একটা সজীব গ্রহ ! যেখানে মানুষ আছে, প্রেম আছে, দুঃখ আছে আবার সুখের আশায় হাতরে মরা আছে ! প্রশ্নগুলো যেমন কঠিন উত্তর ও তেমনই। উত্তর ধরা দেয়না, রাত কখন যে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায় কোন এক সরিসৃপ প্রানীর মত, দিনের দিকে।

আবারো অপেক্ষা...
রাতের জন্যে।


ভাল লাগল আপনার ভাবনা।
নিশ্চয়তা - অনিশ্চয়তার দোলাচলে ভাল কাটুক আপনার সময় সেই প্রত্যাশাই রইল।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫২

মহাবিশ্ব বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ভাবুককে পেয়ে! আমার লেখাগুলো আপনি পড়েছেন মন দিয়ে, এতে আমি কৃতজ্ঞ। একটা ভাবনার রেশ ধরে অনেকগুলো ভাবনার জন্ম হয়, আপনার মন্তব্য পেয়ে সত্যি খুব ভালো লাগছে। কখনো শহর থেকে দূরে গিয়ে আলোর দূষণ মুক্ত রাতের আকাশ দেখি, যেখানে লক্ষ লক্ষ তারা জ্বলে থাকে মাথার উপর। নিজেকে সত্যি ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র মনে হয়, সেই প্রশ্ন, কোথা থেকে এলাম, কোথায়ই বা গন্তব্য। কোথা থেকে এলো এই মহাবিশ্ব, কেনই বা এলো। মানুষ বুদ্ধিমান প্রাণী, প্রথমে দর্শন, তারপর ক্রমশঃ বিজ্ঞান দিয়ে এর উত্তর খুঁজে চলেছে নিরন্তর। শুরুর সেদিন খুঁজে পাওয়ার জন্য লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার বানানো, একসিলারেট করা কণাদের, চলবে... যতটা পারা যায়। নতুন নতুন থিওরি, নতুন অংক। তার প্রমাণের চেষ্টা। হয়তো কোনদিনও জানা যাবে না, হয়তো যাবে। তবুও রাতের আকাশের দিকে চেয়ে প্রশ্নরা উথালি পাথালি হবে বুকের মধ্যে। সম্ভবত মহাবিশ্বে মানুষের মত প্রাণী নেই, থাকলেও যোগাযোগের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। প্রোবাবিলিটি তাই বলছে। এই নিয়ে লেখার ইচ্ছা রয়েছে ভবিষ্যতে।
আশা রাখি এই নীল গ্রহের আমরা সবাই ভালো থাকবো, এই আকালেও!

শুভকামনা রইল, যতই ভাবুক হয়ে যান, উধাও হবেন না, আবার আসলে খুব ভালো লাগবে।

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৩১

উধাও ভাবুক বলেছেন: আমাকে পেয়ে আপনার ভাল লাগল এটা জেনে আমার ও ভাল লাগছে। এই ভাল লাগাটুকুই হয়তো জীবনের একমাত্র পাথেয় এবং সম্বল।

মহাকাশ এবং সাইকোলজী এই দুটো বিষয়ের প্রতি আমি খুবই আগ্রহী। এই দুটো বিষয়ের মাঝেই বিলীন হয়ে হয়তো খুঁজে ফিরি সেই অমোঘ সত্য, যার টিকির নাগাল পাওয়াটা খুবই দুস্কর।

ভাল থাকবেন আরও সুন্দর লেখা পোষ্ট করবেন সেই প্রত্যাশাই রইল।
আসবো অবশ্যই আসবো আপনার উঠোনে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১১

মহাবিশ্ব বলেছেন: মহাকাশ এবং সাইকোলজি, কোথাও একটা সূত্রে গাঁথা রয়েছে। মহাশুন্যে ভেসে বেড়ানো গ্যাস ক্রমশঃ ঘনীভূত হয়ে পৃথিবী, সেখানে প্রাণ, আর এই প্রাণের সেরা সম্পদ মানুষের মস্তিষ্ক, যাকে ঘিরেই আবর্তিত হয় সাইকোলজি।
আপনার ভালো লাগা নিয়ে ভাবছিলাম, মহাবিশ্বে মানুষ কি একা? আমরা কি পৃথিবীর নিঃসঙ্গ ভেলায় চেপে অনির্দিষ্টের দিকে ভেসে চলেছি? আর কেউ কি আছে কোথাও আমাদের মত?
এই নিয়ে একটা লেখার বীজ অংকুরিত হল। রসদ সংগ্রহ করি। দেখা যাক কতটা পারা যায়।
ভালো থাকবেন ভাবুক, শুভকামনা মহাবিশ্ব জোড়া।

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৫

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাল লিখেছেন +

যা হয়তো সারা মহাবিশ্বে এক এবং অদ্বিতীয়...???

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:২৪

মহাবিশ্ব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহফুজশান্ত, আপনি যে লেখাটা পড়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার প্রাঙ্গনে আপনাকে স্বাগত জানাই।
খুব খারাপ লাগে যখন দেখি যে মহাশুন্যে ভেসে বেড়ানো এই নিঃসঙ্গ নীল গ্রহের একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণীটি হিংসা, দ্বেষ, হানাহানি আর স্বার্থপরতায় ভরিয়ে তুলছে তার বাসস্থান।
শুভকামনা রইল ভালো থাকার। আবার আসবেন।

৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৫৮

মাহফুজশান্ত বলেছেন: সত্যের সন্ধানে ও শান্তির প্রত্যাশায় আপনার সাধনা সফল হোক---

হিংসা, দ্বেষ, হানাহানি আর স্বার্থপরতার কারনগুলোকে অবশ্যই খুঁজে দেখা দরকার-----এটি তো একতরফা নয়------বরং দুই, তিন বা বহু তরফার ফসল

আবার আসব---আপনাকেও আমন্ত্রণ

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:১৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্টটা তো দারুন, অনেক মিনিং ফুল..........

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৪২

মহাবিশ্ব বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ রেজোওয়ানা খুঁজে নিয়ে পড়ার জন্য। সব কিছুর মধ্যে যদি কিছুটা হলেও ভাবাতে পারি ভালো লাগে।

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১৯

চন্দ্রগ্রহণ বলেছেন: প্রলয়। মহাশূন্য থেকে মহাবিশ্ব, মহাকাল। প্রলয়ে শুরু, প্রলয়ে শেষ। ভাবনার যেখানে শেষ, সেখানেই প্রলয়। চিন্তার যেখানে শেষ, সেখানেই ধ্বংস। এলোমেলো বু্দ্ধির জট। যুক্তি সাজিয়ে সান্তনা। তরপরও অতৃপ্ত মন। প্রশ্ন অনেক প্রশ্ন। প্রাণের জন্যে দেহ নাকি দেহের জন্যে প্রাণ। কোটি কোটি কোষ, কোটি কোটি প্রাণ। তারপর কোষ থেকে কার্বন, কার্বন থেকে তেল, তেল থেকে যুদ্ধ....
প্রেসার কুকারের হিস হিস শব্দ, ভাত টা বোধ হয় গেছে, ভাবনায় ছেদ।

মহাবিশ্ব, আপনার লেখা ভাল লাগল অনেক। উপরের অবান্তর অনর্থক কথায় কিছু মনে করবেন না আশা করি। মনটা বিক্ষিপ্ত।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪২

মহাবিশ্ব বলেছেন:
হা হা হা
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, প্রেসার কুকারের হিস হিস শব্দ না হলে পেট ভরে না, খালি পেটে কঠিন চিন্তা হয় না।
আর চিন্তাও ছুটে চলে এমন ভাবেই।
লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ বন্ধু, এইসব প্রশ্ন থাকবে আর তার উত্তর খোঁজার জন্য বিজ্ঞানীদের প্রয়াস চলবে দিবানিশি।
ভাতটা সেদিন খাওয়া গেছিল কি না জানাবেন। না হলে মনটা অস্বস্তিতে থাকবে, আমার লেখাটাই পড়ছিলেন কিনা!

১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪৭

চন্দ্রগ্রহণ বলেছেন: জ্বি বন্ধু, ভাতটা ঠিকমতই পেটে গিয়েছিল। আপনার আন্তরিকতার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৫৭

জুন বলেছেন: আপনি আমার পোষ্টে ইতিহাস বিষয়ে লেখার জন্য যে প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে আমি অত্যন্ত খুশী হয়েছি। তবে কথা হচ্ছে আমি তো কোনো বড় মাপের লেখিকা নই সুতরাং আপনি ভেবে দেখুন, আমার আপত্তি নেই।
লেখার আগ্রহ নিয়েই সামুতে পদার্পন, জানিনা কতদিন দিন এখানে লিখতে পারবো।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫০

মহাবিশ্ব বলেছেন: শুনে খুব ভালো লাগলো জুন। সময় সুযোগ করে প্রোফাইলে দেওয়া ঠিকানায় একটা মেইল ড্রপ করে দেবেন। দেখা যাক কতদূর কি করা যায়।

১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৫২

anisa বলেছেন: ছোট্ট একটি প্রাণী এমিবা আর তা থেকে মানুষ
আমি ভাবছি আসলে কি ঘটেছিল সেইদিন এমন কি অদ্ভুত বিস্ফোরণ যা থেকে সৃষ্টি হলো.........মানব জাতির.......

ফিস ফিসিয়ে নয় জোর গলায় বলুন আমি এসেছি তোমাদের মাঝে............
সত্তি আনন্দিত আর খুব খুশি হলাম আপনার মতন একজন লেখক এর পদের্পনে
আপনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা..............
সব শেষে বলব আমরা কোথায় শেষ কোথায় শুরু জানি না............
শুধু জানি পথ চলতে হবে এটাই জানি
আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ্দ
আর চলার পথে সবাই বন্ধু হবে..............
আর আপনার পথ হোক সুন্দর মসৃন............

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫৬

মহাবিশ্ব বলেছেন:
জানিস আমিও তাই ভাবছি, কি ঘটেছিল সেইদিন, কে যে পটকায় আগুনটা দিল, আর দুড়ুম করে মহাবিস্ফোরণ!!!
ওরে বাবা ফুলেল শুভেচ্ছা? আচ্ছা গ্রহণ করিলাম কোমর নুইয়ে!
ভালো থাকিস রে উদাসী পাখিটা।
শুভরাত্রি।

১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৫৯

সৈয়দা আমিনা ফারহিন বলেছেন: এত্ত সুন্দর আগমনী বার্তা..!! মনে হচ্ছিল আমার প্রিয় ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার হঠাৎ কবি হয়ে গেছেন। ওনার লেখার মতনই মমতা পেলাম। সাথে বিজ্ঞান। এই মানুষটা হলেন পৃথিবীর একমাত্র মানুষ যাকে আমি অন্ধভাবে বিশ্বাস করি। যদিও জানি স্যার কবিতা লেখেন না।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:০৬

মহাবিশ্ব বলেছেন:
এই পুরোনো লেখা খুঁজে নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ ফারহিন।
আমার ভাবনা কিছুটা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি এখানে। ভালো লাগলো প্রথম পোস্টে আপনাকে দেখে।
আপনার প্রিয় স্যারের জন্য শ্রদ্ধাপূর্ণ শুভকামনা রইল।
ভালো থাকবেন।

১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৭

জুন বলেছেন: অপুর্ব এক ভালোলাগার অনুভূতি ছড়িয়ে গেল মনের ভেতরে মহাবিশ্ব।
সত্যি ভাবতে কি বিস্ময়কর লাগে! এই বিশ্বের এক কোনায় পড়ে থাকা আমরা সত্যি কি একা! আমাদের কি কোনো সাথী নেই এই বিশাল মহাকাশ জুড়ে !!
আমি মনে মনে ভেবে যাই অনেক সময়।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০২

মহাবিশ্ব বলেছেন:
বিলম্বের জন্য মার্জনা চাইছি জুন।
আপনি এই প্রথম লেখাটা যে পাঠ করেছেন আমি অভিভূত।

আমরা রয়েছি ঠিক এই মহাবিশ্বের কোণায় নয়, আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কি ওয়ে যাকে বাংলায় বলা হয় দুধ গঙ্গা, তার এক প্রান্তে। ছুটে চলেছি প্রতিনিয়ত শূন্য থেকে শূন্যান্তরে।

জানা জায়নি এখনো আমাদের কোনো সাথী আছে না নেই। থাকলেও হয়তো কখনোই যোগাযোগ করা সম্ভব নয়। তারও অনেক কারণ রয়েছে।

শুভকামনা আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.