নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের প্রয়োজনে সবকিছু

লেখালেখির প্রতি আকর্ষন ছোটবেলা থেকেই

মাহাবুব মাসফিক

লেখালেখির প্রতি আকর্ষন আমার ছোটবেলা থেকেই। ছোটবেলা যখন আমার বয়স ৭ কিংবা ৮ তথন গুনগুনিয়ে কত অজানা গান গেয়েছি! সেই সব দিনের কথা আজও মনে পড়ে। পড়ালেখা এখনো শেষ হয়নি। চলছে আর সেই সাথে চলছে স্বপ্নের ক্যারিয়ার সাংবাদিকতা।

মাহাবুব মাসফিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসছে চামড়া তৈরি গাড়ি, প্লেনও!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪২



চামড়া দিয়ে কী হয় আর কী হয় না, তা তো নতুন করে বলার নেই। জুতো থেকে ব্যাগ, হয় সবকিছুই। তা বলে বিমানও চামড়া দিয়ে! ভাববেন না যেন খেলনা বিমান। আসল বিমানের কথাই বলা হচ্ছে।

কী মনে হচ্ছে, একেবারেই অসম্ভব? ভাবছেন তো, চামড়া দিয়ে বিমানের বডি তৈরি আসলে আকাশকুসুম কল্পনা? আপনার আমার কাছে অসম্ভব মনে হলেও, চেন্নাইয়ের সেন্ট্রাল লেদার রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিএলআরআই)-এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা কোনও কঠিন কাজ নয়। অলীক কল্পনাও নয়। শুধু কল্পনার স্তরে নেই, অনেক দূর এগিয়েও গিয়েছেন তাঁরা।

সিএলআরআই-এর এই গবেষকরা জানান, চামড়ার কঠিন বর্জ্য থেকে বিশেষ ধরনের ন্যানো-কম্পোজিট মেটিরিয়াল তাঁরা তৈরি করেছেন। সেই যৌগটি যথেষ্টই শক্তপোক্ত। অনায়াসে গাড়ির বডি তৈরি হতে পারে। বাইকের তো পারেই। এমনকী প্লেন বা বিমানের বডিও তৈরি করা যাবে এই যৌগে।

এসবের বাইরেও দৈনন্দিন ব্যবহার্য আরও অনেক কিছুই তৈরি হতে পারে চামড়ার বর্জ্য থেকে। বৈদ্যুতিক স্যুইচ থেকে কম্পিউটার ক্যাবিনেট এমনকী শক্তপোক্ত দড়িও তৈরি হতে পারে।

বাতিল চামড়ার সঙ্গে কিছু পলিমার ও ন্যানোপার্টিকেল মিশিয়ে বিশেষ এই যৌগটি তৈরি করা হয়। শক্তির বিচারে এই যৌগটি ধাতব পদার্থের সঙ্গেই তুলনীয়। তাঁরা জানান, যে পলিমারটি ব্যবহার করা হয়, তা সিন্থেটিক রাবারের মতোই কাজ করে।
সিএলআইআর-এর সিনিয়র বিজ্ঞানী ভি শিবাকুমার জানান, ওই যৌগটিতে তাপ দিলেই ধাতুর মতো কঠিন হয়ে যায়। যৌগটি তৈরি করতে তিন ধরনের উপাদানকে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় মেশাতে হয়। কতটা মোটা হবে বা কতটা শক্ত করতে হবে, তার ওপর নির্ভর করে যৌগটিতে কোন উপাদান কতটা থাকবে।

যৌগে যে ডাস্টটি ব্যবহার করা হয়, তাতে ক্রোমিয়াম, সিন্থেটিক ফ্যাট, তেল, ট্যানিং এজেন্ট ছাড়াও কিছু রাসায়নিক থাকে। জানা গিয়েছে, ১০০০ কেজির কাঁচা চামড়াকে প্রসেস করার সময় প্রায় সাড়ে সাতশো কেজির মতো কঠিন বর্জ্য তৈরি হয়। প্রতি টন এই বর্জ্য থেকে ২ থেকে ৬ কেজির মতো ‘বাফিং ডাস্ট’ বেরোয়।

সিএলআইআর-এর বিজ্ঞানীরা জানান, চামড়া তৈরির সময় এই যে বর্জ্য পদার্থ উত্‍পন্ন হয়, তাতে নানা রাসায়নিক থাকায় দূষণও ছড়ায়। ধাতব কঠিন এই যৌগটি তৈরি হলে, সেই দূষণ আর থাকবে না। তাঁরা জানান, জার্মানিতে পলিমার মেটেরিয়াল দিয়ে বিমান তৈরি হলেও, কেউ ‘বাফিং ডাস্ট’ দিয়ে বিমান বানায়নি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫১

প্রামানিক বলেছেন: চমক লাগা খবর। ধন্যবাদ

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৪

মাহাবুব মাসফিক বলেছেন: আপনাকে স্বাগতম। আশা করি আমার লেখাগুলো পড়বেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.