![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয় ।মরণ একদিন মুছে দিবে দেবে সকল রঙ্গীন পরিচয় ।
আড়িখোলা স্টেশনে কন্টেইনার ট্রেন থেকে চুরি হচ্ছে তেল
জড়িত একটি সংঘবদ্ধ চক্র, অনেককে ‘ম্যানেজ’-এর অভিযোগ
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনে প্রায়শই মালবাহী কন্টেইনার ট্রেন থেকে তেল চুরির ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনের চালক, গার্ড ও স্টেশন মাস্টারদের যোগসাজশে এবং থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবত্ আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে তেল চুরি করে চলেছে স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র। মাঝে-মধ্যে কোনো চালক রাজি না হলে তাকে মারধর করে দুর্বৃত্তরা এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ইঞ্জিনের তেল লুটে নিয়ে যায়। যেমনটি ঘটেছে সপ্তাহখানেক আগে।
গত বুধবার রাতে তেল চুরিতে বাধা দেওয়ায় ট্রেন চালক হেমায়েত হোসেনের উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে ওই চালক বাদি হয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। একই ঘটনায় নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার গোলাম নবী ভৈরব রেলওয়ে থানায় আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ ও নরসিংদী ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম।
ট্রেন চালক হেমায়েত হোসেন জানান, বুধবার রাত ১০টার পর কমলাপুর থেকে চট্টগ্রামগামী তেলবাহী কন্টেইনার ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের চার নম্বর লাইনে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি স্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়ে ট্রেন ছাড়ার সময় জানতে চান। স্টেশন মাস্টার তাকে জানান, পেছন থেকে মহানগর এক্সপ্রেস যাওয়ার পর তার ট্রেন ছাড়া হবে। এ কথা জেনে তিনি ইঞ্জিনে প্রবেশ করতেই দুই পাশ থেকে ৮-১০ জন দুর্বৃত্ত তাকে টেনে-হিঁচড়ে ইঞ্জিন থেকে নামায় এবং মারধর করে। দুর্বৃত্তরা তাকে বলে ‘ইঞ্জিন থেকে তেল নামানো হবে। তুই কোনো কথা বলবি না।’ কিন্তু তিনি এ কাজে বাধা দিলে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। এ সময় তিনি প্রাণরক্ষার্থে দৌড়ে স্টেশন মাস্টারের কাছে আশ্রয় নেন এবং ঘটনার কথা জানান। কিন্তু স্টেশন মাস্টার বলেন, তিনি নিরুপায়। পরে রেলের নিরাপত্তা কর্মী ও কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় চালক হেমায়েত ইঞ্জিনে ফিরে দেখেন প্রায় ২৮০ লিটার তেল লুট হয়ে গেছে।
আড়িখোলা স্টেশনের কর্তব্যরত মাস্টার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মালবাহী কন্টেইনার ট্রেনের তেল লুটের ব্যাপারে প্রথমে জিআরপি ও বেঙ্গল থানায় সহযোগিতা চেয়ে ফোন করেন তিনি। রেলওয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ জানান, ঘটনা তদন্তে তারা মাঠে কাজ করছেন। জানা গেছে, ট্রেনের তেলকে কেন্দ্র করে ওই চক্রটি উপজেলার কাপাসিয়া মোড়ের সড়কসহ কালীগঞ্জের আনাচে-কানাচে গড়ে তুলেছে বেশ কিছু খোলা তেলের দোকান।
তথ্যসূত্রঃ ইত্তেফাক ।
http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/others/2016/12/06/160788.html
©somewhere in net ltd.