![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয় ।মরণ একদিন মুছে দিবে দেবে সকল রঙ্গীন পরিচয় ।
ল্যাম্বরগিনি সম্পর্কে অজানা ০৭ টি তথ্য যা আপনাকে বিস্মিত করবে!
আমরা যারা একটু আধটু গাড়ির খবরা খবর রাখি তাদের মধ্যে ল্যাম্বরগিনির নাম শুনেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বর্তমান সময়ের সুপার কার বানায় যে কয়েকটি ব্র্যান্ড তার মাঝে ল্যাম্বরগিনি একটি। যাদের রেসিং গেম খেলার অভ্যাস আছে তারা অবশ্যই নানা রেসিং গেম এ এই ব্যান্ডের Aventador বা Gallardo গাড়িটি ব্যবহার করেছেন। জেমস বন্ড খ্যাত তারকা পিয়ার্স ব্রসনেন, কিম কার্দাশিয়ান, জাস্টিন বিবার বা ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যার কথাই বলুন না কেন সকলেই ল্যাম্বরগিনির ব্যান্ডের কোন না কোন সিরিজের গাড়ির মালিক। তাহলে চলুন বর্তমান সময়ের সবথেকে জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত এই ব্যান্ড এর কিছু অজানা তথ্য জেনে নেই।
ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি হচ্ছেন সত্যিকারের টনি স্টার্কঃ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি ইতালিয়ান বিমান বাহিনীরতে একজন মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। এ কাজের জন্য তাকে রোডস নামক একটি নির্জন দ্বীপে থাকতে হয়েছিল, যেখানে তিনি নানা বিমান ও অন্যান্য ধ্বংসপ্রাত যানবাহনের মেরামতের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। সেখানে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্নত যানবাহনের পরিত্যক্ত যন্ত্রাদি ছিল যা দিয়ে তাকে ধ্বংসপ্রাপ্ত যানবাহনগুলোকে মেরামত করতে হত। ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি কিছুদিনের মাঝেই এই কাজে এতোটাই দক্ষ হয়ে গেলেন যে তিনি সেখানকার সবথেকে সেরা মেকানিক হয়ে উঠলেন এবং সেখান থেকেই তিনি ল্যাম্বরগিনি ট্রাক্টর তৈরির সিধান্ত নিলেন।ট্রাক্টর কথাটি শুনে নিশ্চই অবাক হচ্ছেন। তাহলে পড়তে থাকুন। আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন! এখানেই আয়রন ম্যান সিনেমার টনি স্টার্ক এর সাথে তার মিল, টনি স্টার্ক যেমন আয়রন ম্যান সিনেমায় কিডন্যাপ হয়ে গোহাতে থাকা অবস্থায় নিউক্লিয়ার রিয়েক্টর বানিয়ে ফেলেছিলেন যা কিনা কেবল মুভিতেই স্বম্ভব, তেমনি ল্যাম্বরগিনি ও নির্জন দ্বীপে থাকা অবস্থায় গাড়ি নির্মাণে তার হাতে খড়ি করেছিলেন।
প্রথম ল্যাম্বরগিনিটি ছিল একটি ট্রাক্টর এবং যা কিনা আজও তৈরি হয়!
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি মেকানিক হিসেবে যে অভিজ্ঞতা বানিয়েছিলেন তা যুদ্ধের পর বাড়ি ফিরে এসে কাজে লাগাতে শুরু করেন। যুদ্ধের পর তিনি নানা পরিত্যক্ত যানবাহনের নানা যন্ত্রাংশ জোগাড় করে শুরু করে দিলেন তার নামের ব্র্যান্ডের ট্রাক্টর বানানো। যা বাজারে তখনকার সময়ে প্রচুর নামডাক করে।আর অল্প সময়ের মাঝেই ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনির ভাগ্য খুলে যায়। শুরু হয় ল্যাম্বরগিনি ব্র্যান্ডের ।
ল্যাম্বরগিনি প্রতিষ্ঠার পিছনে আরেক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফেরারীর ভূমিকা ছিল
তখনকার সময়ে বিখ্যাত ব্র্যান্ড ফেরারীর ২৫০জিটি মডেলের একটি গাড়ির মালিক ছিলেন ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি । তার গাড়িতে সমস্যা হওয়ায় সে একদিন তার গাড়িটিকে মেরামত করারনোর উদ্দেশে ফেরারীর হেড কোয়ার্টার এ নিয়ে যান। সেখান থেকে গাড়িটি মেরামত করে পাঠানোর পর তিনি দেখলেন যে তার গাড়িটিতে যে পার্টসটি বদলিয়ে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে তা তিনি নিজের কোম্পানির ট্রাক্টর বানাতে ব্যবহার করেন। এটা দেখে তিনি এঞ্জো ফেরারীকে পার্টসটি বদলিয়ে দেয়ার জন্য বিনীতভাবে বলেন । এতে এঞ্জো ফেরারী ক্ষেপে যায় এবং ক্ষেপে গিয়ে তাকে বলে “ তুমি একজন ট্রাক্টর নির্মাতা তুমি কি বুঝব স্পোর্টস কার এর!” এ কথাতেই কেল্লা ফতে! ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি এই অপমান ম্যানে নিতে পারেননি ।বাড়িতে এসেই শুরু করলেন নিজের কোম্পানির জন্য স্পোর্টস কার এর এর ডিজাইন। আর মাত্র চার মাসের মধ্যেই বানিয়ে ফেললেন নিজের কোম্পানির প্রথম স্পোর্টস কারটি। তার বানানো প্রথম ল্যাম্বরগিনি গাড়িটির মডেল ছিল “ল্যাম্বরগিনি৩৫০জিটিভি” !
সর্বপ্রথম ল্যাম্বরগিনি গাড়িটির কোন ইঞ্জিন এই ছিলনা!
ল্যাম্বরগিনি৩৫০ মডেলের গাড়িটি দিয়েই ল্যাম্বরগিনি কোম্পানির যাত্রা শুরু হলে ও মজার বিষয় হল এই গাড়িটির প্রথমদিকে কোন ইঞ্জিন ছিল না! কি অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। তাহলেই খুলেই বলা যাক, ল্যাম্বরগিনি গাড়ি বানানো শুরু করার কিছুদিনের মাঝেই টুরিং অটোশো নামে একটি গাড়ি প্রদর্শনিতে ল্যাম্বরগিনি৩৫০ মডেলটিকে তোলা হয়েছিল। তখন আসলে গাড়িটি বানানোই শেষ হয়নি । তো ল্যাম্বরগিনি এক বুদ্ধি বের করলেন তিনি ইঞ্জিন এর জায়গায় ইট ভরে গাড়ির হোডটি লাগিয়ে রাখলেন আর পোড়ো অনুষ্ঠানেই তিনি হোড লাগানো অবস্থাতেই গাড়িটিকে রেখে দিয়েছেলেন। লোকটা আসলেও প্রচণ্ড ডেস্পারেট ছিলেন!
মাত্র ২০ বছর পরেই ল্যাম্বরগিনি মিউরা মডেলটি ছিল জনপ্রিয়তার তুঙ্গে!
১৯৬০ সালের শেষের দিকে এসেই ল্যাম্বরগিনির মিউরা মডেলটি এতই জনপ্রিয় হয়ে যায় যে তখনকার সবথেকে প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা এটা ব্যবহার করা শুরু করে। অবস্থাটি এমন হয়ে যায় যে আপনি একটি ফেরারী গাড়ির মালিক ঠিক আছে, কিন্তু আপনি একটি ল্যাম্বরগিনি মিউরা গাড়ির মালিক আপনি এখন একজন বিশাল সম্পদশালী বা ক্ষমতাবান ব্যাক্তি। আর এমনটা হবেই না কেন?তখন যারা এ গাড়িটি চালাত তাদের মধ্যে ছিল তখনকার সৌদি আরবের রাজা কিং ফাহাদ এবং রাজপুত্র ফইসাল, ডিন মার্টিন, ফ্রাং সিনাত্রা সহ নামকরা ধনী ব্যক্তিরা!
ল্যাম্বরগিনি অ্যাভেনটাডর মডেলের গাড়িটি একটি পোকার আদলে তৈরি!
জি হা। আপনি ঠিকই পড়েছেন ল্যাম্বরগিনি অ্যাভেনটাডর মডেলের গাড়িটির ডিজাইন এর অনুপ্রেরণা নেয়া হয়েছে একটি পোকা থেকে। আর পোকাটিকে আপনারা সবাই চিনেন। আমাদের দেশে এটিকে আমরা প্রই দেখে থাকি। সবুজ এক ধরনের পোকা যাকে আপনি যদি পিষে ফেলেন তাহলে একটি বাজে ঘ্রাণ বের হয়। নিশ্চয়ই বুঝেছেন আমি কোন পোকাটির কথা বলছি !
ল্যাম্বরগিনি ব্রান্ডের লোগো ষাঁড় কেনো হল?
ল্যাম্বরগিনি ব্র্যান্ডের লোগো ষাঁড় হওয়ার পিছনে নির্মাতা ল্যাম্বরগিনির ভাগ্য রাশির প্রভাব রয়েছে। লাইনটি পড়ে হাসছেন তো। তাহলে শুনুন ল্যাম্বরগিনি নিজে ছিলেন একজন বৃষ রাশির জাতক আর বৃষ রাশির সাইন হচ্ছে ষাঁড় । সেখান থেকেই ল্যাম্বরগিনি ব্র্যান্ডের লোগোতে ষাঁড় এর উদ্ভব !
আপনি চাইলে এখনই ঘুরে আসতে পারেন ল্যাম্বরগিনির মিউজিয়াম থেকে !
কথাটি বিশ্বাস হচ্ছেনা তো ! তাহলে চট করে নিচের লিঙ্ক থেকে দেখে নিন। আসলে ল্যাম্বরগিনির মিউজিয়াম থেকে আপনি ভার্চুয়ালি ঘুরে আসতে পারবেন নিচের লিঙ্কটি ব্যবহার করে ! তাহলে আর দেরি কেন ঘুরে আসুন একদম ফ্রিতে !
তথ্যসূত্রঃhttp://itibritto.com/fact-lamborghini/
©somewhere in net ltd.