![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭১ সালে আমার জন্ম হয়নি। তাই মুক্তিযুদ্ধ করতে পারিনি। ১৯৭১ নিয়ে অনেক বই পরেছি। নির্যাতনের বর্ণনা যখনি পড়েছি আমার প্রচণ্ড কান্না পেয়েছে, আবার পরক্ষনেই শরীরের সমস্ত শক্তি যেন বাহুতে চলে এসেছে আর শরীরের সমস্ত রক্ত যেন টগবগ করে ফুটেছে, মনে হয়েছে এই মুহূর্তে যদি ওদের কোন একজনকে পেতাম! সবচাইতে নিষ্ঠুরতম উপায়ে তাকে হত্যা করতাম।
ওদের রক্ত কোন বীর মুক্তিযোদ্ধার পায়ের তলায় ঢেলে দিতাম,
রায়েরবাজার যেখানে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল ওরা, সেখানে ছিটিয়ে দিতাম কিছু রক্ত, যাতে শহীদের রক্তের তৃষ্ণা মিটে যেত।
আবারও যখন দেখি স্বাধীনতার মিত্র শক্তি ভারত আমাদের ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছে তখন ইচ্ছা করে মিত্রতাকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখি, হত্যা করি সেই পশুদের আর রক্ত ঢেলে দেই ফেলানীর কবরে। ঠিক তার পায়ের কাছে। সীমান্তে ২০১১ সালে বিএসএফ-এর গুলিতে ৩১ জন মারা গেলেও ২০১২ সালে নিহতের সংখ্যা ৩৮ জন। সুত্র- বিবিসি বাংলা
১৯৭১ এর সংগ্রাম হয়েছিল অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে,
আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি।
কিন্তু আজ ২০১৩ সালে এসে যখন দেখি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দুর্নীতির কারনে বাঙ্গালী আজও তার অধিকার পায়নি, পায়নি অর্থনৈতিক মুক্তি, তখন আমার মাথা নত হয়ে যায়, নত হয়ে যায় ত্রিশ লক্ষ শহীদের প্রতি, যারা বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে একটি সুখি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল।
আমারা ব্যর্থ, আমারা ব্যর্থ, আমরা ব্যর্থ।
আজ শিল্পী হায়দার হোসেনের সাথে গলা মিলিয়ে বলি-
মুক্তিযোদ্ধারা কোথায় আছো লুকিয়ে
কেন এত অভিমান,
মুক্তিসেনারা তোমাদের চোখে নোনা জল
বড় বেশি বেমানান,
ক্ষমা করো মোরে রাখতে পারিনি ধরে
তোমাদের সন্মান।
ক্ষমা করো মোরে রাখতে পারিনি ধরে
তোমাদের সন্মান।
আমায় মুক্তি দাও
স্বস্তি দাও
নিঘিরিত এই দলাদলির করো অবসান,
আমায় মুক্তি দাও
স্বস্তি দাও
ক্লান্ত শ্রান্ত পরিশ্রান্ত এই প্রান।
আমরা সেই সে জাতি জয় করে ভয়ভীতি
আমার আমিকে করে নি:শেষ
বিধাতার অনুরাগে লক্ষ প্রানের ত্যাগে
ছিনিয়ে এনেছি বাংলাদেশ,
আমরা সেই সে জাতি জয় করে ভয়ভীতি
আমার আমিকে করে নি:শেষ
বিধাতার অনুরাগে লক্ষ প্রানের ত্যাগে
ছিনিয়ে এনেছি বাংলাদেশ।
তবে কি ম্লান সেই সৃতি
কোথায় সেই সম্প্রিতি
আজ কেন হানাহানি
হিংস্রতা দিবাযামি
একে অপরের যেন চক্ষুশুল।
মুক্তিযোদ্ধারা… কোথায় আছো লুকিয়ে
কেন এত অভিমান
মুক্তিসেনারা… তোমাদের চোখে নোনাজল
বড় বেশি বেমানান,
ক্ষমা করো মোরে রাখতে পারিনি ধরে
তোমাদের সন্মান
ক্ষমা করো মোরে রাখতে পারিনি ধরে
তোমাদের সন্মান।
আমায় মু্ক্তি দাও
স্বস্তি দাও
নিঘিরিত এই দলাদলির করো অবসান,
আমায় মুক্তি দাও
স্বস্তি দাও
ক্লান্ত শ্রান্ত পরিশ্রান্ত এই প্রান।
মন বলে বারে বারে
তোমরা আসবে ফিরে
শেখাবে দেশপ্রেম কারে কয়
কেমনে সাম্যডোরে
ভুলে গিয়ে আপনারে
দুষ্টের করবো পরাজয়,
মন বলে বারে বারে
তোমরা আসবে ফিরে
শেখাবে দেশপ্রেম কারে কয়
কেমনে সাম্যডোরে
ভুলে গিয়ে আপনারে
দুস্টের করবো পরাজয়।
একি বড় বেশি চাওয়া
না মানবোনা ফিরে যাওয়া
থেকো নাকো নিশ্চুপ
ফিরিয়ে নিও না মুখ
তোমাদের আগমনে ভাংগবে ভুল।
মু্ক্তিযুদ্ধারা… কোথায় আছো লুকিয়ে
কেন এত অভিমান
মুক্তিসেনারা… তোমাদের চোখে নোনাজল
বড় বেশি বেমানান
ক্ষমা করো মোরে
রাখতে পারিনি ধরে
তোমাদের সন্মান।
ক্ষমা করো মোরে
রাখতে পারিনি ধরে
তোমাদের সন্মান।
আমায় মুক্তি দাও স্বস্তি দাও
নিঘিরিত এই দলাদলির করো অবসান
আমায় মুক্তি দাও স্বস্তি দাও
ক্লান্ত শ্রান্ত পরিশ্রান্ত এই প্রান..।।
গানটির অডিও লিঙ্ক
ভিডিও লিঙ্ক
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
রঁমাকান্তকামারঁ বলেছেন: আমরা ব্যর্থ। আবেগের কোন স্থান নাই। এটাই সত্য।
চলুন এমন একটি প্রজন্মের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করি আগে। যারা হবে পরিচ্ছন্ন চিন্তা চেতনার অধিকারী, দুরদর্শী, সহনশীল, ক্ষমাশীল, সুবিবেচনা বোধ সম্পন্য সু-শিক্ষিত একটা প্রজন্ম। যাদের দৃষ্টি সংকীর্ণ নয় বরং প্রসারিত হবে। তারা আমাদের মত কট্টরপন্থী, একগুঁয়ে, প্রতিহিংসাপরায়ন হবেনা। শুধুমাত্র তারাই পারবে আপনি যেই মুক্তির স্বপ্ন দেখেন তার বাস্তবায়ন ঘটাতে।
আমাদের মত ভন্ড শাহাবাগী মার্কা দেশপ্রেমীদেরকে দিয়ে মুক্তি সম্ভব নয়।