নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুব সাধারন এজন ছেলে!\nঅসাধারন হবার চেষ্টা মোটেও করে না! শুধু মানুষের বুকে একটু তার ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে চায়! _ রনি

মেহেদী হাসান রনি

ভালোবাসার লেখক

মেহেদী হাসান রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবং একটি সুইসাইড নোট

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০২


আকাশে তারার মেলা!
অনেক গুলো তারা আকাশে!
আমি যদি একটা তারা হতাম! তবে কতো ভালোই না হতো!
বহুদীনের প্রতীক্ষার শেষে কেউ একজন প্রিয়জনের সাথে কথা বলতে বলতে হয়তো আকাশের দিকে তাকাতো!
আমি তারা হলে অনেক দূর থেকে পৃথিবীর দিকে তাকাতাম!
দুঃখ কষ্টের। এই পৃথিবীটাকে চেয়ে চেয়ে শুধু দেখতাম!
কিছু করার থাকতো না দেখা ছাড়া!
এখনই বা কি করার আছে আমার!
মানুষ হয়েও চেয়ে চেয়ে শুধু দেখি কষ্ট গুলো!
হাত পা শেকলে বাধা!
জীবনটা কে আর কেনো যেনো সহ্য হয় না!!!!


আমার ভাবনার এইখানে একটা লোকের গলা শোনা গেলো!
লোকটি চা দিয়ে গেলো!
আমি নীরব!
২১ বছর বয়স!
জীবনের এক তৃতীয়াংশ পার করেছি!!!
আমি এখন পদ্মার বুক চিড়ে ছুটে চলা এক লঞ্চের ছাদে!
প্রচন্ড শীতের জন্য!
লঞ্চের ছাদে কেউ নেই আমি ছাড়া!
চারপাশে চাদের আলো!
কুয়াশাও অনেক!
সবকিছু মিলিয়ে একটা স্বপ্নপুরীর মতো!
এই এতো রহস্যময় চিরর আকর্ষী পরিবেশ দেখে কি কল্পনা করা যায় যে পৃথিবী কতো নিষ্ঠুর হতে পারে!
লোকটি হাতে চায়ের কাপ ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলো!
গরম চায়ে ধোয়া উঠছে!
কিন্তু চা এতো গরম হবার কথা ছিলো না!
নাকি আমি অনেকক্ষণ ধরে ঠান্ডায় থাকায় এই ইষৎ গরম চা আমার কাছে অনেক গরম মনে হচ্ছে!
কে জানে!
চায়ের কাপে চুমুক দেবার আগে
একটা সিগারেট ধরালাম!
প্রথমে চায়ের কাপে চুমুক দিলাম!
এতো ভালো চা!
নিজের মনে চায়ের প্রশংসা না করে পারলাম না!
সেই অনেক দিন আগে গত বছর নীলা দের বাসায় এমন চা খেয়ে ছিলাম!
সেদিন নীলা একটা কালো রংএর শাড়ী পড়েছিলো!
টেবিলে ছিলো অনেক গুলো গোলাপ!
গোলাপ গুলো এতো সুন্দর লাগতেছিলো যেন মনে হচ্ছিলো সেদিনের মুহূর্তটা রঙ্গিন করারর জন্যই এগুলোর সৃষ্টি!
নীলা খুব সুন্দর করে হাসতে পারতো!
আর সেই হাসিটা আমাকে ওর মায়ায় ফেলে দিয়েছিলো!
দুজন দুজনকে ভালো বাসতাম!
সেদিন সন্ধ্যায় দুজনের মনের কথা বললাম!
আজ নীলার সাথে আমার বিয়ে হবার কথা ছিলো কিন্তু...!
১ মাস আগে রোড় একসিডেন্ট এ নীলাকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হলো!
আচ্ছা ও কি আমার মায়াও ত্যাগ করতে
!
সেদিন জানলাম পৃথিবী খুব নিষ্ঠুর!
অন্তত আমার কাছে!

চায়ে দ্বিতীয় বার চুমুক দিলাম!
হাতে সিগারেরটায় ঠোটে নিয়ে একরাশ ধোয়া টেনে নিলাম ভেতরে!
সিগারেটের নিকোটিন আমার রক্তের প্রতিটা কনার সাথে মিশে গেলো!
রহস্যময় এই পৃথিবী আরো রহস্যময় মনে হচ্ছে!
আচ্ছা সিগারেরটা কি জানে যে আজ আমার জীবনের শেষ মুহূর্ত এটা??
যদি ওর প্রাণ থাকতো ও কি কাদতো?
সিগারেটটার জীবন শেষ হলে আমার জীবনেরো অন্ত হবে
নিচে পদ্মার কালো পানি ডাকছে আমাকে!
আমাকে যেতেই হবে!
চায়ে কয়েকবার চুমুক দিলাম!
ডেকএ একটা ৫০০ টাকার নোট রেখে কাপটা দিয়ে চাপা দিয়ে রাখলাম!
জীবনের শেষ সম্বল!
আর সম্বল দিয়ে কি হবে!
জীবনই তো থাকবে না!
আচ্ছা যখন চাওয়ালা এসে আমাকে দেখতে পাবেনা কিন্তু কাপের নিচে টাকাটা দেখে সে কি খুশি হবে না?
আমার জন্য বুকে হয়তো একটু মায়া তৈরি হবে!
সে তার বাচ্চার জন্য টাকা দিয়ে খেলনা কিনে নিয়ে যাবে!
বাচ্চাটা খেলনা পেয়ে অনেক খুশিতে বাবাকে জড়িয়ে ধরবে! এসব ভাবতে ভালো লাগে খুব!
আমারো স্বপ্ন ছিলো!
আমার একটা বেবি থাকবে!
তার চোখের ভেতরে সারা পৃথিবী আমি দেখতে পাবো!
সে বাবা বলে ডাকলে আমি হারিয়ে যাবো এক অজানা পৃথিবীতে!!!!!
কিন্তু আমার বেবিটা কি দোষ করেছিলো?

হাতের সিগারেট দ্রুতো ফুরিয়ে যাচ্ছে!
হাতে ফিল্টার পোড়ার তাপটা লাগছে! আমি
চারিদিকে তাকালাম!
কুয়াশায় ঢাকা এক রহস্যময় চাদনি রাত
একটা গান মনে হলো
" ও কারিগর দয়ার সাগর ওগো দয়াময়
চাদনি পশর রাইতে যেনো আমার মরন হয়"


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.