নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুব সাধারন এজন ছেলে!\nঅসাধারন হবার চেষ্টা মোটেও করে না! শুধু মানুষের বুকে একটু তার ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে চায়! _ রনি

মেহেদী হাসান রনি

ভালোবাসার লেখক

মেহেদী হাসান রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

১ টি ভালোবাসা আর একটি সুইসাইড -- ভালোবাসার লেখক

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সকাল ৫ টা হহবে।
চারিদিকে ভীষণ ঘন কুয়াশা।
সামনে ১ হাত পর্যন্ত দেখা যায়না।
এতো কুয়াশা ঢাকায়ও পড়ে?
সেই কবে দেখেছিলাম গ্রামে এমন কুয়াশা!
সেদিন আমার জীবনটা অন্যরকম ছিলো!
আর আজ অন্যরকম, কিন্তু প্রকৃতি বদলাইনি!
আমরা মানুষরা বদলে যাই!
অনেকে খারাপ থেকে ভালো হই আবার অনেকে আমার মতো ভালো থেকে খারাপ হয়।
আচ্ছা কুয়াশাদের মধ্যে কি ভালো মন্দ আছে?
এই ধরা যাক যেগুলো কালো ধোয়ার সাথে মিশে কালো হয় সেগুলো খারাপ কুয়াশা আবার যেগুলো সাদা কুয়াশা সেগুলো ভালো কুয়াশা!
তাহলে তো আমার সামনের কুয়াশা গুলো ভালো কুয়াশা!
নিজের পাগলামির ভাবনাতে সত্যি অনেক দিন পর জোরে হেসে উঠলাম!
হাসির শব্দ দূরে থেকে দূরে মিলিয়ে গেলো!!
শব্দটা মিলে গেলে আবার শুধুই নীরবতা নেমে এল চারিদিকে!
এতো কুয়াশা থাকাতে ভালোই হলো!
অন্তত নিচে কিছু দেখা যাচ্ছে না!
নিচে দেখা গেলে হয়তো কাজটা করা সহজ হতো না!
আমি সিগারেট ধরালাম!
প্রথম বারেই ধরে গেলো যদিও হাত কাপছিলো শীতে!
এখন আমার কথা বলা যাক!
আমি এক ২০ বছর বয়সী ছেলে!
আমার নাম নীল!
অনেক সুন্দর নাম তাইনা???
হ্যা নূপুরও তাই বলতো!
মাঝে মাঝে দুষ্টুমি করতো! নামটা নাকি মেয়ে মেয়ে!!!
যাহোক!
আমি এখন একটা বিল্ডিংএর উপর আছি!
১৬ তলায়!
নির্মান কাজ চলতেছে!
এজন্যই ফাকা !
আজ ২৯ ডিসেম্বর!
আমার জীবনের শেষ সকাল!
হ্যা! আমার জীবন আগে এমন ছিলো না!
দুষ্টুমি ভরা জীবন ছিলো!
খুব চঞ্চল ছিলাম !সবাই আদর করতো! সবার প্রিয় ছিলাম আর একজনের কাছে বিশেষ কে্উ একজন ছিলাম!
সেদিনটাও ছিলো ২৯ ডিসেম্বর!
ক্লাস সেভেনে পড়ি।
আমি স্কুল থেকে ফিরতেছিলাম!
পিছনে ব্যাগ ধরে টান দিলো কেউ একজন। তাকালাম বিরক্তি ভরা মুখে।
কিন্তু জানতাম না যে এমন করে কেউ হাসবে আমার বিরক্তিতে

নূপুর! এতো সুন্দর করে হাসতে পারে মেয়েটা! ওকে আমার অনেক ভালো লাগে। জানিনা আমার সব চঞ্চলতা ওকে দেখেই থেমে যায়! নেমে আসে এক বিশাল নীরবতা! শুধুর ওর কথাগুলোই শোনা যায়।
অমি কি ওকে ভালোবাসি? নিজের মনে ভাবলাম।
ওকে বলবো? কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না!
দুজনে পথ চলা শুরু করলাম। ও অনবরত কথা বলে যাচ্ছিলো।
ওর সাথে হাটতে খুব ভালো লাগতেছিলো!
আমার কি হলো জানিনা!
আমি রাস্তায় একজায়গায় দাড়িয়ে ওকে প্রপোজ করে ফেললাম!
ও কোন কথা না বলে চলে গেলো!
আমি দুইদিন স্কুলে গেলাম না!
সেদিন ছিলো রবিবার আমি ভয়ে ভয়ে ক্লাসে ঢুকলাম!
সবাই মিলে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলো " নূপুর এসে গেছে!"
নূপুরকে দেখতে পেলাম না। লজ্জায় লুকিয়েছে। আমারও খুব লজ্জা করতে লাগলো। ওরা একটু বাড়াবাড়িই করলো মনে হয়। আমাদের দুজনকে ক্লাসে রেখে সবাই বাইরে গেলো। আমি নূপুরের কাছে গেলাম। ওর হাত ধরলাম তারপর ভালোবাসি বললাম। সেই দুনগুলো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন ছিলো!
খুব খুব ভালোবেসে ফেললাম দুজন।
১ বছর পরের কথা!
নূপুর আর আমি অনেক ভালোবাসি দুজনকে!
আমাদের ক্লাসের একটা ছেলে ছিলো ও একদিন আমার কাছে এসে বললো আচ্ছা তোরা কি ওসব করেছিস?
আমি তেমন একটা বুঝলাম না।
ও সারা ক্লাস আমাকে বুঝালো।
আমি জানতাম না প্রেম এ এসবোও হতে পারে। তবে এটা জানতাম নূপুর জানলে খুব মন খারাপ করবে।
কিছুদিন গেলো ক্লাসের সবাই প্রেম করে। সবাই অনেক ক্লোজ শুধু আমরা ছাড়া।
আমার কেমন যেনো লাগতো।
নূপুর টাচও করতে দিতো না ওর শরীরর!
দেড় বছর চলে গেলো রিলেশন শিপের শুধু হাত ধরেছি মাত্র!
আমার মনে হলো নূপুর আমাকে বিশ্বাস করেনা।
আমি তবু মনকে মানিয়ে চলতে থাকলাম।
বুধবারে আমি একা ফিরছিলাম কলেজ থেকে।
তখন আমাদের ক্লাসের নীলা আমাকে প্রপোজ করলো ও জানতো আমার আর নূপুরের কথা।
আমি ওকে না বলে দিয়ে চলে আসলাম।
পরদিন থেকে কলেজে সেই মেয়েটি শুধু তাকিয়ে থাকতো।
আমি জানিনা ও কি চায়।



একদিন বিকালে নূপুরের সাথে বসে আছি। আমি।ওর কোমড়ে হাত দিলাম।
নুপূর রাগ করলো অনেক।

সেদিন রাগ করে ফোন ভেঙ্গে ফেললো।
ও কলেজেও যায় না।
আমি ওদের বাসার সামনে গিয়ে বসে থাকতাম।
ও আমাকে জানালা থেকে দেখলেই পর্দা টেনে দিতো!
আমি কি ভূল কিছু করেছি!
২ দিন পর এক রাতে নুপুর ফোন দিলো

এতো কান্না করলো।
মাফ চাইলো।আমি কি করবো বুঝতে পারতেছিলাম না। এতো পাগলি হয় কেউ।
আমাদের ভালোবাসা আবার শুরু হলো!

একদিন রাতের কথা!
নূপুর ফোন করলো!
আমাকে অনেক গালি দিলো!
আমি নাকি কলেজের ঐ মেয়েটার সাথে খারাপ কিছু করেছি।
কিন্তু আমি প্রমান করতে পারলিম না যে আমি নির্দোষ!
মেয়েটা নূপুরকে বলেছে এসব নাকি।
আমি পরদিন ওদের বাসার সামনে গেলাম!
নূপুর আমার সাথে ব্রেকাপ করলো!
আমি তারপর ২ মাস টানা চেষ্টা করলাম কিন্তু প্রমান করার উপায় নেই!
নূপুরের একটা বয়ফ্রেন্ড হলো!!!




আমার বুক ভেঙ্গে গেছে তখন থেকে!
তখন থেকে আমি মদ, গাজা খাওয়া শুরু করলাম!
চেহারা নষ্ট হয়ে গেলো দ্রুত।




আমি নূপুরকে অনেক ভালোবাসি এখনও!
ও যদিও ঘৃনা করে।
তবুও তো ঘৃনা বশত একটু হলেও মনে করে আমার কথা।
ওর প্রতি আমার কোন অভিমান বা অভিযোগ কোনদিন জন্মায় নি।
শুধুই ভালোবাসি!
জানিনা নিষ্ঠুর পৃথিবীতে এমন দুঃখ কারো আছে কিনা!
আজ সেই ২৯ এ ডিসেম্বর।
আমি সেই দিনটায় দাড়িয়ে।
জীবনের কাছে পরাজিত হয়ে বসে আছি রেলিংএর উপর।
সিগারেট পুড়ে হাতে তাপ লাগলো!
কুয়াশা কাটে নি।
নাকাটলেই ভালো।
মনে হবে কোন স্বর্গে আছি। রথে চড়ে কোথাও হারিয়ে যাচ্ছি।
আমার খুব কন্না আসছে।
আমি দাড়ালাম উঠে। পা কাপছিলো। শেষ একবার চোখে জল নিয়ে পৃথিবীটাকে দেখলাম। কুয়াশার ধোয়ায় ঢাকা তোমাদের এই পৃথিবী যেখানে আমি পরাজিত।










গল্পটা সময় নিয়ে লিখতে পারিনি।
আমার নিজের লেখা।
আপনাদের ভালো লাগলে আমাকে অনুসরন করতে পারেন।
আমি ভালোবাসার জগতে সখের লেখক! কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.