![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসার লেখক
বাস্তবতা
তুমি যেদিন পৃথিবীতে এলে সেদিন থেকে তোমার মা বাবার পৃথিবি অন্য সাজে সাজলো।
আধার ঘন ধরায় সূর্যের আগমন যেমন প্রানদায়ী অনুভূতি জাগায় তেমনি তোমার পিতামাতার পৃথিবীতে তোমার আগমন যে কিরুপ প্রানদায়ী প্রভাব ফেলে তা বোঝার ক্ষমতা হয়তো তখন তোমার নেই।
তখন যে ক্ষমতাটা তোমার আছে সেটা হলো দুচোখ ভরে বাইরের পৃথিবী দেখে নেয়া!
সেই থেকে পৃথিবীকে দেখা শুরু।
একদিন তুমি হাটতে শেখো।
তোমার প্রতিটা পদক্ষেপে শুধু তুমিই এগোও না, তার সাথে এগোয় পৃথিবী।
সে সময় হয়তো পৃথিবী তোমার কাছে কোমল। হয়তো হেসে খেলে কাটাবার জায়গা।
ছোট্ট একটা জায়গায় কোটি কোটি প্রাণের বেচে থাকার এক নিষ্ঠুর লড়াই, যেখানে যারা পিছিয়ে পড়ে তাদেরকে স্থান দেওয়া হয়না এখানে।
সময়ের সাথে সাথে তাদের চিহ্ন মুছে দেওয়া হয়।
বাইরের পৃথিবীর এই কঠোর বাস্তবতার ছোয়া লাগতে দেয় না তোমার বাবা।
তুমি বড় হতে থাকো।
একসময় তুমি কিশোর বয়সে পা দাও।
একদিন যে পৃথিবী তোমার কাছে শুধু হেসে খেলে বেড়াবার জায়গা ছিলো তা অতি দ্রুত বদলাতে থাকে।
তোমার জীবন জুড়ে আসে কোন এক রমনীর রঙ্গিন ছায়া।
ডুবে থাকো তুমি তার নেশায়।
একদিন সেই রমনী অন্যের কাছে চলে যায়।
একেবারে চলে যায়না। কিছুটা গন্ধ রেখে যায় বাতাসে।
সে বাতাসে তার গন্ধটাও একদিন ফিকে হয়ে আসে!
তখন তোমার মনে হয় তুমি অনেক বড় হয়ে গেছো!
তোমার বয়স যেনো হাজার বছর বেড়ে গেছে!
পৃথিবী আর তোমার কাছে কোমল থাকে না।
নিষ্ঠুরতায় ভরা এই পৃথিবীতে যখন তুমি একা বোধ করো তখন একাকীত্ব কাটাতে একজন সঙ্গীনি তোমার প্রয়োজন হয়।
দিন যায়।
একদিন তোমার ঘর আলো করে আসে সেই সূর্যের আলো।
একটা ছোট্ট প্রান।
সেই প্রানটাকে পৃথিবীর কঠোরতার থেকে দূরে রাখতে তোমার বাকিটা জীবন কেটে যায়।
একদিন যেমন এসেছিলে একা আবার ফিরে যেতে হয় একা।
তফাতটা শুধু এই যে এবার যাবার সময় তোমার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায় ।
পৃথাবীটাকে খুব সামান্য জিনিস মনে হয়। তার টেয়েও তুচ্ছ লাগে নিজেকে,!
হতাশা মিশে থাকে তোমার শেষ অশ্র্রুবিন্দুতে।
যা তোমার আগমনের সময় ছিলো না!
তুমি চলে গেলেও পৃথিবী তার নিজ গতিতে চলতে থাকে।
এটাই তো বাস্তবতা।
কঠোর বাস্তবতা!
ভালো লাগলে আমাকে অনুসরন করবেন দয়া করে।
ভুল ত্রুটি মার্জনীয
#_মেহেদী_হাসান_রনি
©somewhere in net ltd.