![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ মাটি ছিনিয়ে নিতে কত বার ঝড় উঠেছে এ মাটি ভাসিয়ে দিতে কত বার বান ডেকেছে কত যে বুকের পাজর আড়াল করে রুখল সে ঝড় কত যে শোণিত ঢেলে ঊষর মাটি প্রাণ পেয়েছে মাটিতে জন্ম নিলাম মাটি তাই রক্তে মিশেছে
ঝুড়িতে কান্টকাপূর্ণ ফলের মতো কি যেন সাজিয়ে বসে আছে বিক্রেতা আর তাকে ঘিরে রয়েছে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা, সাথে বয়স্করাও আছে দু’এক জন। স্বভাবতই নতুন এই জিনিষটি দেখে আমার ও আগ্রহ হলো জানার। কাছে গিয়ে দেখি বিক্রেতা কাঠির চিমটা দিয়ে ধরে খুব সাবধানে ছুরি দিয়ে খোসা ছাড়াচ্ছে ফলটির। নাম জানতে চাইলাম। বলল, এর নাম ফুকল। নামটি পরিচিত মনে হল। কোথায় যেন শুনেছি! হ্যাঁ, মনে পড়ল , গত বছর অফিসে জয়েন করার পরই এসাইমেন্টএর একটা অংশ ছিল হাওর অঞ্চলে ১০-১৫ বছর আগে কি কি প্রজাতির মাছ ও জলজ উদ্ভিদ ছিল যা এখন পাওয়া যায়না কিংবা খুবই কম পাওয়া যায় তার তালিকা তৈরি করা। এই সুবাদে এই নামটি শোনা হয়েছে বহুবার, তবে তা বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি হিসাবে। আর তার দেখা মিলল এই এক বছর পর। বিক্রেতার কাছেও জানতে পারলাম এটি জন্মে হাওরে। তবে সব হাওরে এখন পাওয়া যায় না। তারা এগুলো যাদের কাছ থেকে কেনে তারা নাকি খরচার হাওর থেকে এগুলো তুলে আনে। অর্থাৎ সুনামগঞ্জে শুধু খরচার হাওরেই নাকি এটা পাওয়া যায়, অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
ফুকল আসলে শাপলা গোত্রেরই একটা বড় প্রজাতি। শাপলার ফুল থেকে পরে যেমন ঢ্যাপ হয়, ফুকল ফলটি ও আসলে ঐ প্রজাতির ঢ্যাপ। এই ফুকল গাছের পাতা ও কান্ড কণ্টকাকীর্ণ। ফুলের রং বেগুনী। ফুকলের ভিতরে থাকে অসংখ্য বীজ (ছোট ছোট গোলাকার)। যখন পেকে যায় তখন এ গুলো অনেকটা কালো বর্ণ ধারণ করে। বীজের শক্ত খোসার ভেতরে থাকা সাদা জিনিষটিই মূলতঃ খাওয়া হয়। ক্ষেত থেকে ছেড়া ধান খেতে যেমন লাগে স্বাদ অনেকটা সেরকমই। মূলতঃ বাচ্চাদের খুব প্রিয় এটি। বিক্রেতার কাছে দেখলাম তাদের ভীড়ই বেশী। বিক্রেতার সাথে কথা বলছি আর মাঝে মাঝেই দেখছি দু’একজন এসে বলছে, একটা ফুকল দেন ছাই। কথার ফাঁকে ফাঁকেই সে সাবধানে খোসা ছাড়িয়ে তার ক্ষুদে খরিদ্দারদের হাতে তুলে দিচ্ছে ফুকল।
পাশের এক মুরুব্বীগোছের একজন লোক আমাকে বলল যেখানে ফুকলের গাছ জন্মাত সেখানে আগে অনেক মাছ পাওয়া যেত। জিজ্ঞেস করলাম, কেন বলুন তো? উত্তর, এই গাছ মাছের আশ্রয়ের জন্য খুব ভাল। আমিও পড়েছি মাছের আশ্রয়স্থল নষ্ট হচ্ছে, বিলুপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, গাছ। মনে হতে লাগল, কি কপাল আমাদের। যে তথ্য একজন অতি সাধারণ লোকে জানে আমাদের তা জানতে হয় নেট ঘেটে, বই পড়ে। এই মানুষ গুলোর অভিজ্ঞতা কত বেশী। কত দেখেছে তারা। আর আমরা কত কম দেখি, আমাদের আগামী প্রজন্ম দেখবে আরো কত কম!! ফুকলের স্বাদ নিতে আমার ও ইচ্ছে হল। যাওয়ার সময় আমিও বললাম- আমাকে একটা দেন ছাই।
(পাতা ও ফুলের ছবি দুটো নেট থেকে)
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:০৪
মহলদার বলেছেন: ঠিকই বলেছেন
২| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:০১
অপ্সরা বলেছেন: ফলটার নাম সজারুফল হলেই ভালো হত বেশী মনে হয়।
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:০৫
মহলদার বলেছেন: মন্দ বলেন নাই।
ধন্যবাদ।
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:০৭
ইমরান মামা বলেছেন: ফ দিয়ে কী ডিজুসরা ফাক অফ বলবে মামা?
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:১০
মহলদার বলেছেন: ছি ছি বলে কি, ডিজুস পোলা নাকি?
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:১০
বিডি আইডল বলেছেন: না মামা@ফাটাফাটি বলবে
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:১২
মহলদার বলেছেন: ঠিক ।
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:১০
আশিক মাসুম বলেছেন: হুমম আগামি প্রজন্ম কি পাবে?
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:১৩
মহলদার বলেছেন: ভাববার বিষয়!!
৬| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:২০
মানুষ বলেছেন: কখনো নাম শুনিনি। খাওয়াতো দূরের কথা।
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:২৩
মহলদার বলেছেন: আমার ও প্রথম দেখা ও খাওয়া।
৭| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৩২
নূহান বলেছেন: খেয়েছি এই ফল
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৩৬
মহলদার বলেছেন: তাই নাকি? কোথায় বলুন তো? আমার ঠিক জানা নেই বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলে এটা পাওয়া যায়।
৮| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৪৭
আমি এক যাযাবর বলেছেন: পুরান ঢাকায় এটাকে বলে মাকনা। অনেক ধন্যবাদ - তথ্যের জন্য। খাওয়ার পর মুখে লেগে থাকে চুনের মত। সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে।
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:১০
মহলদার বলেছেন: ঠিক ধরেছেন, খাওয়ার পর মুখে লেগে থাকে চুনের মত। তাহলে দেখছি এটা এখনও কোথাও কোথাও পাওয়া যায়। তবে আমি আগে কোথাও দেখিনি।
ধন্যবাদ আপনাকে, এর আরেকটা নাম জানা গেল।
৯| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:২৭
গুরু ভাই বলেছেন: পেলাচ +++
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:৪৪
মহলদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:৩৭
কৃষক বলেছেন: আমার একটা প্রিয় ফল এটি
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:৪৬
মহলদার বলেছেন: বলেন কি? আপনি কি ছুডু কৃষক নাকি?
১১| ৩১ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৪৮
অধর বলেছেন: সুন্দর
৩১ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ৮:৩৭
মহলদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:১৬
...অসমাপ্ত বলেছেন: এটাকে পানিফল বলে সম্ভবত আমাদের এলাকায়।
০৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:১৮
মহলদার বলেছেন: অঞ্চলভেদে বিভিন্ন নাম হতে পারে। তবে পানিফল হলো সিংরা এর অন্য নাম। সিংরা ও খাওয়া হয়। (নিচে সিংরার ছবি দিলাম)
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:০১
বিডি আইডল বলেছেন: আগামি ডিজুষ প্রজন্ম তো ফুকল উচ্চারণই করতে পারবে না...ফ দিয় কি বইলা বসবে ঠিক নাই!