![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ মাটি ছিনিয়ে নিতে কত বার ঝড় উঠেছে এ মাটি ভাসিয়ে দিতে কত বার বান ডেকেছে কত যে বুকের পাজর আড়াল করে রুখল সে ঝড় কত যে শোণিত ঢেলে ঊষর মাটি প্রাণ পেয়েছে মাটিতে জন্ম নিলাম মাটি তাই রক্তে মিশেছে
এটা সবার জানা যে বাংলাদেশের নববর্ষের দিন আগের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ছিল চৈত্র সংক্রান্তি। এখনো হিন্দু ধর্মের প্রায় সমস্ত ধর্মানুষ্ঠাই চলে আগের ক্যালেন্ডারের তিথি নক্ষত্র ও তারিখ অনুযায়ী। তাই আগের চৈত্র সংক্রান্তি হিসাবে এবারের নববর্ষের দিন ছিল চড়ক পূজা। এই পূজা দেশের বিভিন্ন হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলের একটি প্রাচীন ঐতিহ্য যদিও এটা বর্তমান সময়ে অনেকটা বিলুপ্ত। সুনামগঞ্জ আসার পরে জানতে পেরেছি এখনো এই অঞ্চলে অনেক পুরাতন বেশ কছু আচার-অনুষ্ঠান টিকে রয়েছে যার মধ্যে এই চড়ক পূজা অন্যতম। জানার পর থেকেই চিন্তা করে রেখেছিলাম সুযোগ পেলে এটা দেখব। অবশেষে এল সেই কাঙ্খিত দিন। সকালে শহরে উদিচীর আয়োজিত (দায়সারা গোছের) বর্ষবরণ অনুষ্ঠান কিছুক্ষণ দেখে সুনামগঞ্জ থেকে বাইক নিয়ে রওনা দিলাম বিশ্বম্ভর পুর উপজেলার উদ্দেশ্যে। যদিও জেনেছিলাম অনুষ্ঠান শুরু হবে দূপুরের পর তবুও কিছুটা আগেই রওনা দিলাম, পথে ঘাটে থেমে কিছু গাঁও-গেরামের ছবি তোলার ইচ্ছা নিয়ে। ওদিকে আমার অফিস কলিগ ও আরো কিছু পরিচিত জনদের পরিবার সহ নববর্ষের দিন সুরমায় নৌকাভ্রমনে না থাকায় সবাই আমার উপর রাগান্বিত। তবে সবাইকে আশ্বস্ত করলাম রাতে খাওয়া-দাওয়ার অনুষ্ঠান মিস করবো না।
নির্দিষ্ট সময়ের বেশ আগেই পৌঁছে গেলাম অনুষ্ঠান স্থলে। জানতে পারলাম তিন জায়গাতেই নাকি এই অনুষ্ঠান হচ্ছে। তবে আমি ওখানেই থাকলাম। সবে লোক সমাগম শুরু হয়েছে। আবহাওয়া মোটামুটি ভাল। তবে আকাশে কিছুটা মেঘের আনাগোনা। একটু চিন্তায়ই ছিলাম। রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ার মধ্যেও ১৫-২০মিনিটের মধ্যেই বর্ষা নামতে পারে এখানে। বৃষ্টি হলে সুনামগঞ্জ ফেরা কঠিন হয়ে যাবে, তাছাড়া ক্যামেরার ভাল ব্যাগও সাথে নিইনি।
বাইরে নির্দিষ্ট স্থানে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সেরে খোল, করতাল আর ডঙ্কা সহযোগে সন্ন্যাসীরা(এই পূজায় যারা অংশগ্রহণ করেন তাদের সন্ন্যাসী বলা হয়) মাঠে প্রবেশ করলেন দল বেঁধে। পরনে তাদের গেরুয়া রংয়ের কাপড়, গলায় গামছা, কারো গায়ে গেঞ্জি কিংবা কেউ খালি গায়ে। সাথে লাল কাপড় পরিহিত দু'জন তান্ত্রিক সন্ন্যাসী কে দেখতে পেলাম। শুরু হল গান- "তোমরা বাহির হয়ে দেখরে কে আইল নদীয়ায়"। গোল হয়ে সারি বেঁধে ঘুরে ঘুরে বিশেষ ঢংয়ে বাদ্যের সাথে গান। কতদিন যে এইজাতীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিইনি। পুরুষানুক্রমে আবর্তিত কোন সুপ্রাচীন উৎসবের চিরায়ত মহড়া দেখে সত্যিই ভাল লাগছিল আমার। ইতোমধ্যে মাঠের চারিদিকে লোকে লোকারণ্য হয়ে গেল। আমি কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করলাম এবং ছবি তোলার ইচ্ছার কথা জানালাম। তারা আমাকে স্বাগত জানালেন। আমি ভেতরে ঢুকে পড়লাম।
গান শেষে শুরু হলো বাদ্যের তালে তালে নৃত্যের মাধ্যমে অসুর-দবতাদের যুদ্ধ (মহিষাসুর বধ পালা) এর উপস্থাপন। চারিদিক দাঁড়ানো হাজার হাজার মানুষ উপভোগ করছে। ওদের সাজ-সজ্জা, অভিনয় দেখে কখনো কখনো উচ্ছসিত করতালি, হাসির রোল কিংবা হর্ষধ্বনিতে মুখরিত চারিদিক। ওদিকে কিছুক্ষণের মধ্যেই সূর্য মেঘে ঢেকে চারিদিক অন্ধকার হয়ে এল। আমার ছবি তোলার আশার গুড়ে বালি। এক্সট্রা ফ্লাসের অভাব টের পেতে লাগলাম। ছবি কালো কালো। ওদের খুব কাছে যেয়েও ছবি তোলার উপায় নেই, অসুর দেবতাদের যুদ্ধ বলে কথা। সবাই দ্রুত বেগে ছোটাছুটি করে যুদ্ধ করছে। যাই হোক আমার নিরাশার মাঝে শেষ হলো অসুর দেবতার যুদ্ধ পর্ব। কোন ভাল ছবিই ধারণ করতে পারলাম না। তবে উপভোগ করলাম সম্পূর্ন অপেশাদার শিল্পীদের নিজস্ব সাজ-সরঞ্জাম সহযোগে প্রত্যন্ত বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতি প্রত্যক্ষ করার খানিকটা নির্মল আনন্দ।
এর পর আরো একাধিক পর্ব চলল বিভিন্ন বিষয়ের। যেমন-তন্ত্র শক্তির সাহায্যে(যেটা স্থানীয়রা গভীর ভাবে বিশ্বাস করে) অজ্ঞান করে ফেলা, উন্মাদ করে ফেলা, ভাঙ্গা কাঁচের উপর দিয়ে হাঁটা, হাতে দা দিয়ে কোঁপানো, ধারাল দায়ের উপর দাঁড়ানো ইত্যাদি। এর অধিকাংশই বাদ্যের তালে তালে নেচে। সব শেষে শুরু হল এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণীয় পর্বের, যেগুলোর জন্য সম্ভবত বেশী লোক জড়ো হয়। শুরু হল টিউব লাইট চিবানো, লোহার ফলা দিয়ে চামড়া ফুটো করা, জিহ্বা ফুটো করা, লোহার আংটায় মানুষ গেঁথে চরকীর মত ঘুরানো। আমি কাছে যেয়ে ছবি তোলার সুযোগ পেলাম। চলুন দেখি কয়েকটি ছবি-
মানুষের চামড়া যে এত শক্ত হয় আমার জানা ছিলনা। আর ওই ফলা গুলো ঢুকানোর সময় কেউই কোন আহ্-উহ্ পর্যন্ত করছিলনা দেখে অবাক হচ্ছিলাম। অন্যদের বক্তব্য তন্ত্রবলে নাকি ব্যথামুক্ত ভাবে করা হয় সবকিছু। তান্ত্রিককেও দেখলাম লোহার ফলা, আংটায়, টিউব লাইটে মন্ত্র পড়তে। কিন্তু আমার মত যারা তন্ত্রমন্ত্রে বিশ্বাসী নয় তারা কিভাবে মেলাবেন হিসাবটা! যে লোকগুলো এতক্ষণ ধরে কত কষ্ট করে গান-বাজনা, অভিনয় করে অনেকটা কান্ত হয়ে পড়ার কথা, অথচ তারাই আবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে এক এক জন নিজেকে গেঁথে নিতে আগ্রহী লোহার ফলায়। কোন রক্তপাত নেই, কোন ব্যথাও নেই যেন ওদের। সত্যিই অবাক হয়েছি। পিঠে লোহার আংটায় গেঁথে ঘোরানোর কথা দু’জনকে। অথচ আগ্রহী ৫ জন। তান্ত্রিক গুরু কাকে রেখে কাকে বিঁধবেন এই নিয়ে মহা ঝামেলা। একজন আবার বলে বসল খবরের কাগজে ছাপা হবে, আমাকে বিঁধতেই হবে। আমি এগিয়ে গিয়ে বললাম, আমি কোন খবরের কাগজের নই, এমনি ছবি তুলছি। তখন সে তার ইচ্ছা প্রশমিত করল। তবে তার পিঠ দেখাল, দেখলাম পিঠে অনেক দাগ। আগে বেশ কয়েকবার সে করেছে। যাই হোক এই অনুষ্ঠানের প্রথম অংশ বেশ উপভোগ করলেও শেষ এইসব কান্ড কারখানা দেখে খারাপ অনুভূতি হল আমার। এই যুগে এখনো এইসব কেমন যেন বেমানান ঠেকছিল। শুনলাম রাতে আছে আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান, আগুনের উপর দিয়ে হাঁটা। কিন্তু তা যে দেখা সম্ভব হবে না। সাড়ে পাঁচটা বেজে গেছে ইতোমধ্যে। মেঘ আরো গাঢ় হচ্ছে। বর্ষা নামতে পারে। আমাকে যে এখনি রওনা দিতে হবে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫৮
মহলদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৪৮
মাহমুদহাসান বলেছেন: ভয় পাইসি!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫৯
মহলদার বলেছেন: ভয় পাওয়ার মতোই বটে!
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫১
হাসান বৈদ্য বলেছেন: দারুণ
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০২
মহলদার বলেছেন: হায় হায় পুচকে ছেলেটা বলে কি!! ভয় ডর কিছুই নেই!!
মজা করলাম। ধন্যবাদ জানবেন।
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫২
টুকুমনা বলেছেন: ডর লাগে, দেখিনাই
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১৬
মহলদার বলেছেন: ডর করলে কেমনে দেখবেন
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫২
ধানসিঁড়ি বলেছেন: ছবিগুলো ব্যবহার করতে চাই।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০৯
মহলদার বলেছেন: ছবির কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে ব্যবহার করতে বাধা নেই। প্রয়োজনে বিস্তারিত সহকারে যোগাযোগ করতে পারেন [email protected] ভাল কপি পাঠিয়ে দিব।
৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১০
জাতি জানতে চায় বলেছেন: খাইছে, অনেকটা আফ্রিকান স্টাইলে!!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪২
মহলদার বলেছেন: একেবারে খারাপ বলেন নাই।
৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১২
সব্যসাচী প্রসূন বলেছেন: অদ্ভুত !!!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৪
মহলদার বলেছেন: অদ্ভুদ বটে!
৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১২
ধানসিঁড়ি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অনুমোদন প্রদানের জন্য। অবশ্যই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেই ব্যবহৃত হবে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৮
মহলদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১৮
শয়তান বলেছেন: ওরে খাইছে
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৫১
মহলদার বলেছেন:
১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১৮
বিপ্লব কান্তি বলেছেন: টেকনিক্যাল কথা যদি বলি , তাহলে এরা হল শক্তি উপাসক । হিন্দু ধর্মে শ্রী শ্রী চন্ডির নাম শুনেছেন ।
এরা শক্তির উপাসনা করে । এদের রাজ্য হল ভারতের আসামের রাজধানী গুয়াহাটির কাছে কামরুপ কামাখ্যা । ইনজেকশন দিয়ে যেভাবে একটি জায়গাকে অচেতন করে ফেলা হয় । ঠিক তেমনি শক্তি উপাসকরা
জায়গাকে অচেতন করে ফেলে , ঐ জায়গা দিয়ে বরশি ঢুকালে কোন ব্যাথা হবে না। আপনার শরীরে ও ঐ মন্ত্র পড়ে বরশি ঢুকিয়ে দেয় তাহলে আপনি টেরই পাবেন না।
শুধু এটা নয় , এ শক্তি উপাসকরা আগে নরবলি দিত। মাথা কেটে জোড়া দিয়ে দিতে পারত। এদের মন্ত্রের শক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে। আজ থেকে ২৫-৩০ বছর পর বরশি দিয়ে ছিদ্র করার এই মন্ত্র সাকসেকফুলি পড়ার লোক খুজে পাওয়া যাবে না।
কামরুপের আসল নেংটারা অবশ্য লোক সম্মুখে আসে না। আপনি যাদের দেখেছেন ওরা ছিটেফোটা শিখে এখান আসে। ওদেরকে আবার পেলে ওদের মন্ত্রের উৎস সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলে কামরুপের কথা বলবে ।
ধর্মের কিছু খারাপ জিনিস নিয়ে এরকম খেলা ঠিক নয় । আমি শক্তি উপাসকদের ঘৃনা করি । যারা শক্তি আরাধনায় পশু বলি দেয় তাদেরকে পছন্দ করি না।
কারন আমি : গান- "তোমরা বাহির হয়ে দেখরে কে আইল নদীয়ায়"। নদীয়া , ভারতের নদীয়া ।এই গানটি যাকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে তার ভাবশিষ্য । উনার নাম শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু । উনি ও এক সন্নাস্যি বেশধারী ঈশ্বর । পনাতীর্থতে উনার সন্নাস্যের গুরু অদ্ধ্যেত মহাপ্রভুর আশ্রম । আপনার মেলাস্হল থেকে বেশি দূরে নয় । আর শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর পূর্বপূরুষের বাড়ি সিলেট শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকাদক্ষিনে ,
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৯
মহলদার বলেছেন: আসলে পৃথিবীতে হাজার হাজার ধর্মের আছে হাজার হাজার মত। প্রত্যেকেই যার যার ধর্মে বিশ্বাসী। ধর্মের অনেক কিছুই তো সম্পূর্ণ বিশ্বাসের উপরই নির্ভরশীল। কাজেই সব সময় সব কিছুর টেকনিক্যাল বিষয়াদি খুঁজতে গেলেও তা পাওয়া যায় না। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন ধর্ম বা ধর্মানুসারীদের ঘৃণা করি না, আবার সব ধর্মের সবকিছু বিশ্বাস করতে হবে এমনটাও মনে করি না। প্রত্যেকের কাছে তার নিজের ধর্মই বড়, তাই বিশ্বাস অবিশ্বাস সব নিজের মধ্যে রাখাই ভাল। না হলে সমাজে অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।
এনিওয়ে, পনতীর্থ ধামে বারুণীস্নানের দিন গিয়েছিলাম। অদ্বৈতচার্যের জন্মস্থান ওখানে আগে জানতাম না। যাওয়ার পর জেনেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:২২
ভাইয়া বলেছেন: দূর্বল হৃদয়ের কারো না ঢোকাই ভাল হবে
১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৩১
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: ভয় লাগে!
১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৩৫
সিএইচকে বলেছেন: আপনার শরীরে ও ঐ মন্ত্র পড়ে বরশি ঢুকিয়ে দেয় তাহলে আপনি টেরই পাবেন না।
শক্তি উপাসকরা আগে নরবলি দিত। মাথা কেটে জোড়া দিয়ে দিতে পারত। এদের মন্ত্রের শক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে।
জটিল কইসেন তো!
বিংশ শতাব্দীতেও গাজাখুরি বিশ্বাস করার মতো লোকের অভাব নাই দেখছি!!
১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৫
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন:
১৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৭
বিপ্লব কান্তি বলেছেন: @ সিএইচকে
ধরুন , আপনি ১৯৯০ সালে আছেন । এখন ১৯৯০ সাল । আপনাকে কেউ বলল বছর ছয়েক পরেই পৃথীবির এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ভিডিও, ছবি, চিঠি এক মিনিটের মধ্যেই পাঠানো যাবে ? আপনি তো তাকে গাজাখোর বলতেন ? তাই না । নিজের জায়গা থেকে সবকিছু পরিমাপ করতে যাবেন না। নিজের সময় থেকে অন্য সময়কে পরিমাপ করতে যাবেন না। ধারনা ও করতে পারবেন না , কি সম্ভব ? কি সম্বব নয় । আমি আধ্যাত্নিক অনেক কিছু দেখেছি । যারা দেখেছে তাদের কাছ থেকে গল্প ও অনেক বিষয় নিয়ে শুনেছি । আবার বিজ্ঞান ও দেখেছি । বিজ্ঞান দিয়ে পেটের ভাত রোজগার করি , করতেছি । মাইক্রস্কোপে আনুবিক্ষনিক প্রানী নিয়ে নাড়াচাড়া করে করে মাইক্রোস্কোপ কিনার শখ ও জেগেছিল ।
আবার ও বলছি , নিজের অবস্হান থেকে , নিজের সময় থেকে পৃথীবিকে
পরিমাপ করতে যাবেন না। অনেক সময় অনেক কিছু ঘটে গেছে । বর্তমান থেকে তা চিন্তা করা যাবে না। হা করে শোনা ও দেখা ছাড়া !
১৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৯
বিজয় কেতন বলেছেন: অবাক হলাম। এর আগে জানতাম এসব ভায়ানক কাজ আফ্রিকানরা আর মিশরীয়রা করে থাকে। কিন্তু হিন্দু ধর্মেও যে এরকম ভায়ানক সংস্কৃতি বিদ্যমান আছে তা জেনে সত্যিই অবাক হলাম আর ভয়ও পেলাম। আর এসব শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৭
মহলদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
১৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৫২
বিপ্লব কান্তি বলেছেন:
একটি দিয়ে গেলাম । আর আপনারগুলো নিয়ে গেলাম । আমার আবার ক্যামেরা কুমারা, টিভি, ক্যামেরাওয়াল মোবাইল নাই , যাই দেখি চোখ ছাড়া আর কোথাও ধারন থাকে না।
১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১০
অলস_আমি বলেছেন: খাইছে..........................
১৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:২৩
ফেরারী... বলেছেন: আমারও এগুলা দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার কোন এক প্রতত্ন গ্রামে...ব্যপারগুলো আমাকে যতটা আশ্চার্যান্নিত করেছে তার চেয়ে বেশি মনে হয়েছে অমানবিক।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৩৩
মহলদার বলেছেন: হ্যাঁ, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগে এই অনুষ্ঠানটার প্রচলন ছিল। তবে দিন দিন এটা হারাতে বসেছে।
২০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৪৩
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: আফ্রিকাতে একটা গোত্র আছে, যারা বিশেষ উপলক্ষে মুখের মধ্যে তীর বিধিয়ে দিয়ে এফোড় ওফোড় করে দেয়। ছবি পেলাম না। তয় আরেকদলের ছবি পেয়েছি। এরাও কম যায় না।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৩১
মহলদার বলেছেন: মুখের মধ্যে তীর ফোঁটানোর ছবি কোথাও দেখেছি যেন, সম্ভবত টিভিতে। ধন্যবাদ জানবেন।
২১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫২
সিএইচকে বলেছেন: @বিপ্লব কান্তি
আদিম হোক বা আধুনিক যুগ ....মানতে রাজি নই মন্ত্র দিয়ে শরীর বশ করা যায় অথবা কেটে ফেলা মাথা জোড়া দেয়া যায়। আপনি বিজ্ঞান দিয়ে পেটের ভাত জোগাড় করেন ঠিকই, কিন্তু পুরোপুরি বিজ্ঞানকে পুরোপুরি বিশ্বাস করেন না। অন্যের কাছে গল্প শুনে বিশ্বাস করেছেন অবৈজ্ঞানিক ব্যাপার!!!
আমিও ভূতের গল্প শুনেছি, কেউ কেউ চাক্ষুস দেখেছে বলেও জানি। তাই বলে কি ভূতকে বিশ্বাস করতে হবে??
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২
মহলদার বলেছেন: সহমত।
২২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩৩
সায়েম মুন বলেছেন: ভয়ঙ্কর দৃশ্য
২৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৬
বোবাবৃক্ষ বলেছেন: @বিপ্লব কান্তি - একটা গেয়ো ভুত...হিন্দু মৌলবাদী...যুদ্ধিবুদ্ধিহীন আবাল......
@মহলদার চড়ক পূজার একটা প্রতীকি ব্যাপার আছে, সেইটা হলো পৃথিবীর সকল মানুষের যন্ত্রণা নিজের দেহে ধারণ করার চেষ্টা...শিবের মতো...গরল পানে নীলকন্ঠ হওয়ার মতোন বিষয় আশয়...এইগুলান আরেকটু বিস্তারিত দেয়া যাইতো...
চৈত্রসংক্রান্তির দিন বাংলায় শিবকেন্দ্রিক একটি বিশেষ উৎসব পালিত হয়। এটি চড়ক উৎসব নামে পরিচিত। এটি পৌরাণিক উৎসব নয়, লোকউৎসব। গাজন এই উৎসবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
View this link
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:২৫
মহলদার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এই চড়ক পূজা শিব কেন্দ্রিক উৎসব এটা জানতাম, কিন্তু গায়ে লোহার ফলা ফুটানোর তাৎপর্য সম্পর্কিত এই ব্যাখ্যাটা কিন্তু আমার জানা ছিলনা। আপনার দেওয়া লিঙ্ক থেকেও শিব সম্পর্কিত অনেক নতুন কিছু জানতে পারলাম। আবারো অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
নীল_পদ্ম বলেছেন: ভয় পাই নাই। ছোটবেলায় দেখেছি অনেক।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৩৯
মহলদার বলেছেন: আমি আগে গল্প শুনেছি, তবে এটাই প্রথম দেখা।
২৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৫১
নষ্ট ছেলে বলেছেন: ডরাইছি..........
২৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:১৮
প্লাস_মাইনাস বলেছেন: আমি প্রথম আলোর অন্যআলো পাতায় একবার পরছিলাম এমন একটা রিপোর্ট। সেখানে আরো ভয়ংকর কিছু ছবি ছিল। একটা থালায় মানুষের কাটা মাথা রাখা, মাথায় গেথে থাকা কুড়াল সহ বসে আছে এমন ছবিও ছিল। রিপোর্ট টা পড়ে বিরাটি ভয় পাইসিলাম তখন।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৪
মহলদার বলেছেন: বলেন কি কাটা মাথা থালায় রাখা, কিভাবে সম্ভব? এতো আরো কঠিন কথা শুনালেন!!
২৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৫০
গুরু তুমি মহান, তোমারে করি প্রনাম বলেছেন: এগুলা ধর্মের কোনো অংশ না, ধর্মীয় ভাবধারায় প্রচারিত কিছু কর্মকান্ড বিশেষ। (শাস্ত্রের কোথাও এগুলা করার কথা বলা হয় নাই।)
আইন করে এগুলা বন্ধ করা উচিৎ।
মানুষ কতটা যে অন্ধ হয় এগুলা না দেখলে বুঝা মুশকিল।
২৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৫১
গুরু তুমি মহান, তোমারে করি প্রনাম বলেছেন: এগুলা ধর্মের কোনো অংশ না, ধর্মীয় ভাবধারায় প্রচারিত কিছু কর্মকান্ড বিশেষ। (শাস্ত্রের কোথাও এগুলা করার কথা বলা হয় নাই।)
আইন করে এগুলা বন্ধ করা উচিৎ।
মানুষ কতটা যে অন্ধ হয় এগুলা না দেখলে বুঝা মুশকিল।
২৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৪৬
পারভেজ বলেছেন: ছবির জন্য +
৩০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০১
মধ্যবিত্ত বলেছেন: ভালো লাগলো।
গতবছর মনেহয় ব্লগার সৌম্য এমন একটা ছবি পোস্ট দিয়েছিলেন, ধামরাইয়ের চড়ক পূজা নিয়ে।
যদ্দুর মনে পড়ে তাতে উনি বলেছিলেন চড়কে ওঠার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন মাদক জাতীয় দ্রব্যাদি সেবন করা হয়। যাতে শরীরে ব্যথার অনুভুতি ভোঁতা হয়ে যায়।
৩১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১৮
বিপ্লব কান্তি বলেছেন: @ বোবাবৃক্ষ
আবাল
তোর পিট দিয়া একটা বরশি ঢুকাইয়া দেহি কেমন লাগে তোর ? এগুলো তন্ত্র-মন্ত্রের ব্যাপার । তারপর ও সাহস /।
এসবে কোন ম্যাসেজ আসে না কারো কাছে । হিংস্রতা করে কোন ম্যাসেজ কারো কাছে পৌছানো যায় না। কিছু আলোচনা ছাড়া ।
যেমন , খা-পু তুই কেমনে বুঝলো আমি মৌলবাদি , তোরে দুইটা ফাপ্পড় দেয়া দরকার ।
৩২| ২৫ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:১৮
কবির চৌধুরী বলেছেন: ছবি ব্লগে ছবি বিষয়ক আলোচনা থাকাই কাম্য! (যেমন আপনার ফ্রেমিং ভাল লেগেছে)
+
৩৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৫
আমি রিফাত বলছি , , , , , , , , , , , , , , , বলেছেন: সেই এপ্রিলের লেখা । এখনো দেখলে যে ভয় লাগে !
৩৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: কত যুগ পরে এ ধরনের দৃশ্য দেখলাম। ৮০ দশকেও সিলেট শহরে চৈত্র সংক্রান্তির বড় উৎসব হতে দেখেছি। বাসার কাছেই একটি বড় ডোবার মত জায়গা ছিলো। ওখানে বিসাল একটি বট গাছ ছিলো। চৈত্রে ঐ ডোবা শুখনো খটখটে থাকতো। ওখানেই মেলা হত। এখন সেখানে পেট্রল-পাম্প।
৩৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:২৩
িনদাল বলেছেন: ঢাকার আশেপাশে কোথাও হয় কিনা বলতে পারবেন ? ছবি তুলতে যাবার ইচ্ছা
১৬ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:২৩
মহলদার বলেছেন: না, সেটা জানা নেই তবে প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিতে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে এটা হয়ে থাকে। এবছর মিস করলাম। কর্মসূত্রে সুনামগঞ্জ ছেড়ে এসেছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৪৩
রাইডার বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অসাধারন এই ছবিগুলো শেয়ার করা জন্য