নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পরিচয় লেখার মাঝেই

ঘাসফুল

ঘাসফুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধুতা ও বন্ধুত্ব

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২২

Man needs company
মনের আবেগ অনুভূতি শেয়ারের জন্য বন্ধু প্রয়োজন হয়। বন্ধু ছাড়াও কোম্পানি সম্ভব না যে তাও কিন্তু না।
তবে আমি বলছি বন্ধু নিয়ে।
মানুষ মাত্রই মনের অধিকারী
আর মনে থেকেই আসে মানবিকতা। দুঃখ - সুখ, কষ্ট - আনন্দ এগুলো মানবিকতার অংশ। সব মানুষেরই এই অনুভূতি একইভাবে কাজ করে, তবে ভিন্ন ভিন্ন কারনে। এজন্য অন্যের কষ্ট দেখে আমরা সমব্যথী হই, আনন্দে হাসি। নিজের মতো কাউকে দেখলে তাকেও আপন ভাবী। আর এভাবেই গড়ে উঠে বন্ধুতা। বন্ধুত্বে লিঙ্গভেদে গড়ে উঠে। তবে বিপরীত লিঙ্গ হলে তা শেষ পর্যন্ত অন্যদিকে গড়াতে পারে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এমনই হয়, কেননা দুজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মধ্যে কখনো স্বাভাবিক বন্ধুত্ব হতে পারেনা। তখনি সম্ভব হবে, যখন তাদের বিশেষ মানুষ থাকে, আর যদি বিশেষ মানুষ থাকেই তবে সেখানে আর বন্ধুর প্রয়োজনীয়তা থাকা উচিৎ না। কেননা আপনার জীবন সঙ্গীই হতে হবে আপনার সেরা বন্ধু। নইলে সেখানে আপনার গুরুত্বের অভাব আছে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
বন্ধু হলে সেখানে শত্রুতাও অস্বাভাবিক নয়। শত্রুতা শুরু হয় ঝগড়া থেকে। ঝগড়া যখন বড় আকার ধারন করে, তখন হয় শত্রুতা। আর বড় ঝগড়া হয় ছোট ছোট মনোমালিন্য থেকে। সেজন্য শুরু থেকেই এরকম সমস্যাগুলো সমাধান করে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ।
এখানে সমাধানের কথা বলছি, এড়িয়ে যাওয়া নয়। কোন কিছু এড়িয়ে গেলে তা তখন আরো প্রকট আকার ধারন করবে। পরে ছোট ঝামেলা থেকেই বড় বিরোধ সৃষ্টি হবে।
দুজন মানুষের একসাথে চলা শুরু হলে সেখানে একইসাথে ছোটখাটো মনোমালিন্যও যাত্রা শুরু। কারন প্রত্যেক মানুষ আলাদ। তাদের চিন্তাধারা, জীবনযাপনের ধরনও আলাদা। তাই চলার পথে বিপরীত্য তৈরি হবেই। এজন্য সবচেয়ে ভালো হল সেগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে চলা।
কিন্তু যখন দেখা যায়, অন্যজন আপনাকে বুঝতে পারছেনা কিংবা বোঝার চেষ্টা করছেনা, তখন সেখানে বারবার বুঝিয়েও কোন লাভ হয়না।
কিন্তু কথা না বলে থাকলেও দুরত্ব বাড়বে।
তাই ভালো উপায় সেগুলো খোলাখুলি বলে ফেলা। কেননা এগুলো নিজের মধ্যে জমিয়ে রাখলে অস্বস্তি আরো বাড়বে, যেটা আরো খারাপ।
আর যদি তাতেও লাভ না হয়, তাহলে আমার সমাধান ডায়েরি।!
এরকম পরিস্থিতিতে আমি পরামর্শ দিবো ডায়েরিতে নিজের মনে জমে থাকা অভিমান গুলো লিখে ফেলা। এতে আপনার মনে হবে নিজের কথাগুলো আপনি বলে দিয়েছেন, ফলে নিজের কাছেও শান্তি লাগবে। আবার অপরজন জানতে পারছেনা বিধায় ঝগড়া হবারও কোন সম্ভাবনা নাই। এতে সম্পর্ক থাকবে ঝামেলা মুক্ত।
সাধারণত কারো উপর প্রচণ্ড রাগ বা অভিমান হলে আমি তখন তা অন্য কাউকে না বলে কোথাও লিখে ফেলি। এতে মনের মধ্যেও কোন অস্বস্তি থাকেনা। রাগটাও চলে যায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তার সাথে মেশা যায়।
আমি প্রচণ্ড রাগী মানুষ। কিন্তু সাধারণত কেউ আমার রাগ দেখেনা। নিজের রাগ গুলোকে আমি খুব ভালোভাবে আড়ালে রাখতে পারি।
কারন, বলা হয়ে থাকে, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।।
যাদের বন্ধু নেই, তাদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হল বই। বই কখনো ঝগড়া করেনা। তার সাথে মনোমালিন্য হবার কোন সম্ভাবনা নেই। বরং সবচেয়ে ভালোতো এটাই বইয়ের সাথে বন্ধুত্ব করা আর নিজের চিন্তাগুলো ডায়েরী বন্দী করা। একাকী মানুষগুলো এভাবেই নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কেউ একবার বইয়ের প্রেমে পড়লে তার বিরহ কাটানো মুশকিল। বই সারাজীবন আপনার সাথে থাকবে।
বইয়ের নির্জনতার যে মোহ, তা আপনার একাকী জীবনকেও করবে কোলাহলময়। তবে অনেকে আছে নিজের শখ নিয়েও পড়ে থাকে সারাক্ষণ। কেউ মুভি দেখে, কেউ ঘুরেবেড়ায়।
তবে একা থাকতে পারাটা অনেক নড় গুন। যেটা আমার খুব ভালোভাবেই আছে।
এবং এটাও বলা হয়ে থাকে, যে একবার একাকীত্বের প্রেমে পড়ে, সে সাধারণত দ্বৈত হতে চায়না। কারন এটাও তার স্বভাববিরুদ্ধ। এবং এই বিরহটাও কম মারাত্মক না!!
এত কিছুর পরেও মানসিক যন্ত্রণা কাটানোর জন্য আমার আরেকটি ভালো পদ্ধতি আছে। সেটা হল ময়ুরাক্ষী থিওরি।
যখনি কোন অসহ্য যন্ত্রনার মুখোমুখি হই, বিশেষ করে যদি শারীরিক কোন ব্যথা প্রকট হয়, তখনি আমি চলে যাই ময়ুরাক্ষীর তীরে।
যারা হুমায়ুম আহমেদ পড়েছেন, তারা এই নদীটাকে ভালো চেনার কথা।
এই নদীটা সার্বজনীন। নদীর পাড়ে একটা বট গাছ আছে।
আমার নদীতে গাছের নিচে একটা ঘাট আছে। ওই ঘাটে কোন নৌকা থাকেনা।
আমি কিছুক্ষণ এক একা বসে থাকি। হঠাৎ একটা নৌকা আসে। নৌকায় কোন মাঝী থাকেনা। আমি নৌকায় চড়ে বসি। নৌকা এগুতে থাকে সাম্নের দিকে। অনেকদূর এগিয়ে মাঝনদীতে চলে যায়। এরপর হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড় আসে । বড় বড় ঢেউ নৌকাকে দোলাতে থাকে। নৌকায় কোন মাঝী নেই। আমি ভয়ে কাঁপতে থাকি। এক্টুপর দূর থেকে একটা মেয়ের কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়। সে পানিতে ভেসে আমার নৌকার কাছে চলে আসে। নৌকায় উঠার জন্য হাত বাড়ায়। আমিও তাকে ধরতে যাই। ঢেউয়ের দোলায় সে এদিকওদিক চলে যায়। এভাবেই চলতে থাকে....
কোন বড় যন্ত্রিত মাথায় ভর করে থাকলে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমার সমাধান হল তারচেয়ে বড় সমস্যা নিয়ে চিন্তা করতে থাকা।
ময়ুরাক্ষী এচাবেই প্রতিবার আমাকে উদ্ধার করে মাঝনদীতে একা ছেড়ে দেয়....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.