নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পরিচয় লেখার মাঝেই

ঘাসফুল

ঘাসফুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুপ্রেরণা নাকি স্বার্থপরতা?

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

অনুপ্রেরণা দিতে গিয়ে সবচেয়ে বড় যে ভুলটা শেখানো হয়, তা হল - হু কেয়ারস??
অর্থাৎ অন্যরা আপনাকে নিয়ে কী ভাবছে তাতে কি আসে যায়।
কিছু ক্ষেত্রে কথাটা যৌক্তিক। কারন নিজের পছন্দকে গুরত্ব দিতে গেলে প্রায়শই অন্যদেরকে অগ্রাহ্য করতে হয়। তা না হলে এগিয়ে যাওয়া কঠিন।
কিন্তু সমস্যা তখনি, যখন আপনি সব ক্ষেত্রেই এই কথাটা মেনে চলেন। কারণ, যারা আপনার ভালো খারাপ নিয়ে কথা বলে, তারা কেউই আপনার খারাপ চায়না। আপনাকে নিয়ে চিন্তা করে বলেই তারা আপনাকে উপদেশ দেয়। আপনার সাফল্য ব্যর্থতা নিয়ে আরেকজন ভাবছে, এটাও কম সার্থকতা নয় কিন্তু! যে প্রতিবেশী ঘর থেকে বের হবার পর দেখা হলে খবর নেয়, সে নিজ থেকেই বলে দেয়, বৃষ্টি হতে পারে, ছাতা নিয়ে যাও। আবার আপনার কোন সমস্যা হলে সেই আগে খবর নেয়। আপনার রেজাল্ট নিয়েও তারা ভাবছে। এটা স্বাভাবিক।
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজব্যবস্থা বলে একটা ব্যাপার আছে। সেখানে আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেননা। অন্যদের পছন্দ অপছন্দ গুলোও আপনাকে তখন মানতে হবে। কারন এতে কারো অমঙ্গল হয়না। প্রতিবেশীরা সমালোচনা করলেও, তার ভালো দিকগুলো মাথায় নিতে পারলেই আপনার জন্য ভালো। আপনাকে কথা শুনতে হবে, এই ভয় নিয়ে কাজ করলেও আপনার মধ্যে ভালো করার স্পৃহা স্বতঃ চলে আসবে।

বরং আপনি যখন শিখবেন, কি আসে যায়, তখনি আপনার মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা সৃষ্টি হবে। কারন আপনার ভালো মন্দ তখন শুধু আপ্নারি।
ঠিক তখনি দেখা যায়, আপনার পরিবারের মধ্যেও আপনি আর দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছেন না। আপনি তখন যা খুশী করাকে নিজের স্বাধীনতা ভাবছেন। বাবা মার কথা শোনো আপনার জন্য স্বাধীনতা হানী মনে হচ্ছে। বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি, আড্ডাবাজি, সিগারেট, নেশা, এসব করছেন সহজেই। কারন আপনার মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ নামক ব্যাপার নেই। আপনার বাবার কথাও ভাবছেন না। কারন আপনার মাথায় আছে, হু কেয়ারস?
কিন্তু কেয়ার করে এবং করতে হয়। কারন আপনার পরম বন্ধুটাও আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী। যদি বলেন আমার রেজাল্ট খারাপ হল, এতে প্রতিবেশীদের এতো মাথাব্যথা কেন হবে?
তারা মাথাব্যথা প্রকাশ করছে। কারন আপনার সবচেয়ে ভালোটাই তারা চেয়েছে। এসব বিপত্তি অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়াটাও কিন্তু অনেক বড় সাফল্য।
কিন্তু আপনার বন্ধু যে আপনাকে এতো কিছু বলছেনা, সে কিন্তু আপনার বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। আপনি যদি হু কেয়ারস বলে ফার্স্ট হয়ে যান, আরেকজন কিন্তু সেকেন্ড হবেই। সেও হু কেয়ারস বলে পড়াশোনা করে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সে সফল হতে পারেনি। আপনি তাকে শান্তনা দিবেন। কিন্তু তার প্রধান শত্রু কিন্তু আপ্নিই।
সে কখনওই এটা মানবেনা। কারন তার মধ্যেও হু কেয়ারস ব্যাপারটা আছে। একজন ফার্স্ট হলে আরেকজনকে যে সেকেন্ড হতে হবে এই কথাটা তাকে কেউ শেখায়নি। ওই যে অন্যের সমালোচনা সহ্য করা, পরমতসহিষ্ণুতা ব্যাপারটা কিন্তু মোটিভেশন এ নেই।
আমার এক বন্ধু আছে যে সেমিস্টার ফাইনালে. ১ এর জন্য দ্বিতীয় হয়ে দু সপ্তাহ চিল্লাচিল্লি করেছে। কারন ঐ সামাজিকতা ব্যাপারটা তার মধ্যে নেই।
আপনি কি কখন কি করবেন না করবেন, তাতে আপনার একার স্বার্থ দেখলে হবেনা। কারন আপনার দ্বারা সবচেয়ে বেশী প্রভাবিত হবে আপনার পাশের মানুষ। তাই তাদের পছন্দকেও গুরুত্ব দেয়া শিখতে হবে।
এই সহিষ্ণুতার শিক্ষাটা আপনাকে প্রয়োগ করতে হবে সব ক্ষেত্রেই। আপনার পরিবারে মা বাবার পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারন আপনাকে কোন কাজে সবচেয়ে ভালো লাগবে সেটা ওনারাই সবচেয়ে ভালো বুঝবেন, তাছাড়া আপনার কাছেও তাদের কিছু চাওয়া থাকতে পারে।
আপনার পোষাক আশাকেও তারা প্রভাব ফেলবেন। কারন তারা কখনওই চাইবেন না আপনি খারাপ থাকুন, আপনাকে দেখতে খারাপ লাগুক। এতে আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ব্যাপারটাও থাকে।
একইভাবে দ্বৈত জীবনের ক্ষেত্রেও আপনাকে, আপনার সাথের মানুষ্টার পছন্দ অপছন্দকে গুরুত্ব দিতে শিখতে হবে। সে আপনাকে যে কোন একধরনের পোষাকেই দেখতে চাইতেই পারে। এতে সে নিশ্চয় আপনার খারাপ চাইবেনা। আপনি কখন কি করবেন না করবেন, এরকম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেও সে প্রভাব রাখতে চাইবে। কারন সে আপনাকে তার পছন্দমত দেখতে চাইবে। এবং চাইবে এতেই আপনি সুখী থাকেন। আপনার কার্যকলাপে সে অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত বাতলে দিবে।
ঠিক এই শিক্ষাটাই আপনি পাবেন, আপনার প্রতিবেশী এবং পরিবারের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেয়া থেকে।
কারন, মোটের উপর সবকিছুই একটা সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.