![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনওই মোটিভেশন পছন্দ করিনা। বিশেষ করে মোটিভেশনাল লেখাগুলো।
কারণ আমি মনে করি প্রত্যেকের মোটিভেট হতে হয় নিজ থেকে। অন্যের সফলতা দেখে শুধু হিংসা এবং হতাশাই বাড়ে, মোটিভেট হওয়া যায়না।
ফেসবুক এ যতগুলা মোটিভেশনাল লেখা পাওয়া যায়, লাইক কামানো ছাড়া প্রকৃতভাবে তাতে আর কোন লাভ হয়না। পাঠক লেখগুলো পড়েন, একটা চাপা উত্তেজনা অনুভব করেন, স্ক্রল করে পরের পোস্ট এ যান এবং পরের গল্পে মনোনিবেশ করেন।
কারণ যাকে দেখে আমি সফল হবার চেষ্টা করব, সে আর আমি এক না।
তার সাইকোলজি আর আমারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের।
তাই , তার সফলতার সূত্র আমার মতো হবেনা।
২.
তবে মোটিভেশন এর ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে যে ব্যাপারটাকে আদর্শ ধরা হয়, তা হল টাকা। যে যত বেশী ধনী, সমাজে তাকে তত সফল হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং অন্যদেরকে তার মতো হবার জন্য উৎসাহিত করা হয়।
যার মানে দাঁড়াচ্ছে, আমার যত বেশী টাকা থাকবে, আমি তত সফল ব্যক্তি।
যেটা আমাদের নৈতিকতাকে মারাত্মকভাবে খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
একটা সময় ছিল যখন মানুষ সম্মানের জন্য কাজ করতো। এখন মানুষ টাকা আয় করার জন্য কাজ করে, কারণ যার বেশী টাকা, তার সম্মান বেশী।
অসৎ পথে পদার্পণ তো এখান থেকেই হয়।
৩.
মোটিভেশন এ আরেকটা মারাত্মক ভুল ব্যাপার হল, যাকে দেখিয়ে আপনি অন্যকে মোটিভেট করার চেষ্টা করেন, তার সাথে আমার পার্থক্যটা ভুলবশত আমাকে দেখিয়ে দেন না।
যেমন, প্রায়শই বলা হয় বিল গেটস বিশ্ববিদ্যালয় এর সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারেনি। ডিগ্রী লাভের আগেই তাকে বের করে দেয়া হয়েছে।
যেটাকে তিনি নিজেই বলেছেন হার্ভার্ড মোস্ট সাকসেসফুল ড্রপ আউট।
সবাই বলে থাকে গেটস যদি পড়া শেষ না করেই এত কিছু করতে পারে, তবে অবশ্যই তুমিও পারবে।
কিন্তু এটা কেউ বলেনা যে, বের করে দেয়ার আগে গেটস হারভার্ড এ চান্স পেয়েছিলেন নিজ যোগ্যাতায়। তারপর তাকে বের করা হয়েছিল।
তাই আমাকে গেটস এর উদাহরণ দেখিয়ে লাভ নাই।কারণ আমি হার্ভার্ড এর মতো কোন বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রনা।
তাই আমি সফল হওয়ার পথ আমাকেই খুঁজে বের করতে হবে। স্কুল পালিয়ে রবীন্দ্রনাথ আমি হতে পারবোনা।
( এখানে "আমি"টা আসলে আপনি, যিনি পড়ছেন।)
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়ার কেউ ই মোটিভেশন ধরে রাখতে পারে না। অল্প কিছুক্ষণ মোটিভেশন থাকার পরে আবার কমে যায়।