নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পরিচয় লেখার মাঝেই

ঘাসফুল

ঘাসফুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সফলতায় সিজিপিএ নয়, দক্ষতাই মূখ্য

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

কয়েদিন আগে মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে চাকুরি পেয়েছেন রুয়েট এর শিক্ষার্থী আবু আসিফ খান চৌধুরী।

এক বন্ধুর কাছ থেকে ‘নিটন এর সি’ নামের একটি বই পাওয়া, এরপর প্রথম ‘হ্যালো ওয়ার্ল্ড’ প্রিন্ট করা দিয়ে প্রোগ্রামিং জীবন শুরু।

ছোট বেলা থেকেই কম্পিউটারের সাথে জীবন গড়ার স্বপ্ন তাকে জায়গা করে দেয় রুয়েটে সিএসই পড়ার। স্কুলজীবন থেকেই ম্যাথ অলিম্পিয়াডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আসিফ। প্রবলেম সলভিং শুরু করেন ২০১১ সালে। পড়াশোনার পাশাপাশি প্রবলেম সলভিংকে যেমন গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি, তেমনি সমানতালে অংশগ্রহণ করেছিলেন বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায়। এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আসিফের ঝুলিতে যুক্ত হয়েছিল নানা ধরনের অভিজ্ঞতা।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সেলিস রকিং সফটওয়্যার এর চাকুরি মেলায় ভালো পারফর্মেন্স তাকে এনে দেয় জুনিয়র সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হবার অফার।
এরপর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আসিফ পাড়ি জমান সুইডেনে। যোগদান করেন এডফেনিক্স এবিতে। সেখান থেকে পরবর্তীতে যোগদান করেন ন্যাসডাকে। ন্যাসডাকে যোগদানের পরপরই ১ মার্চ, ২০১৮ মাইক্রোসফটের একজন ডেভেলপার আসিফকে কল দিয়ে জানান যে তারা আসিফের একটি সাক্ষাত্কার নিতে চান। অতঃপর ২১ মার্চ কোপেনহেগেনে আসিফের সাক্ষাত্কার গ্রহণ করা হয়। সেখানে তাকে বেশ কয়েকটি প্রবলেম সলভিং করতে দেওয়া হয়। একটা বাদে সব কয়টি প্রবলেমই সলভ করতে সক্ষম হন তিনি। তার ভাষায়, তবে মজার ব্যাপার হলো, পুরো সাক্ষাত্কারে কেউই আমাকে আমার সিজিপিএ কত, তা জিজ্ঞাসা করেননি। তারা যা দেখেছেন, তা হলো আমার দক্ষতা ও সক্ষমতা।’ এরপর ২৩ মার্চ মাইক্রোসফট থেকে তাকে চাকরির ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৫ জুন মাইক্রোসফটে যোগদান করবেন আসিফ।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পড়াশোনা সম্পর্কে তরুণদের উদ্দেশে আসিফ বলেন, ‘শুধু পড়াশোনার মাঝেই নিজেকে সীমাবদ্ধ করে রাখা যাবে না। পড়াশোনার পাশাপাশি পছন্দের ক্ষেত্রগুলোতে দক্ষতা অর্জনের দিকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।’ কথার প্রসঙ্গে জানা গেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন আসিফ। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সমানুপাতিক ও অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড সায়েন্স সোসাইটি অব রুয়েট। এছাড়া রুয়েট অ্যানালিটিক্যাল প্রোগ্রামিং ল্যাব প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।

আসিফের ঘটনা থেকে বেশ কিছু ব্যাপার লক্ষ্যণীয়, সবখানে একটা কথা বলা হয় সিজিপিএ কোন ব্যাপার না, কিন্তু এ কথাটা যাদের সিজিপিএ খারাপ তাদেরকে উৎসাহ দেয়ার জন্য বলা হলেও, বেশীরভাগ ক্ষেত্রে অন্যরাও এটাকে ধারণ করেই এগুতে থাকে। ফলে একাডেমিক ক্ষেত্রে তাদের সিনসিয়ারিটি কমে যায় এবং প্রথম থেকেই রেজাল্ট খারাপ হতে থাকে। আর একবার খারাপ রেজাল্ট নিয়ে হতাশা শুরু হলে সেটা কাটানো মুশকিল।

বেশীরভাগ ক্ষেত্রে আমি দেখেছি, যারা বলে সিজিপিএ ব্যাপার না, তারা প্রায় সবাই উচ্চ বা উচ্চ মাঝারি সিজি ধারী। তাই এসব কথা বেশী গুরত্ব না দিয়ে নিজেকে কিভাবে বেশী উন্নত করা যায়, সেই চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

আর সেসাথে নিজের প্যাশনের জায়গাটায় অবশ্যই নিজেকে শীর্ষে রাখতে হবে। তাহলেই সফলতা সম্ভব !!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.