![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৫
আজ ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১।
কনকনে ঠান্ডায় উঠোনের এক কোণে শূন্য দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন রাহাতের মা। পাশেই নিরব হয়ে দাঁড়িয়ে বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট্ট শুকনো নদীটির দিকে তাকিয়ে আছে রাহাতের বন্ধু আবদুল। তার চোখ মুখ ভাবলেশহীন।
ক্ষাণিক পরেই রাহাতের মা আবদুলকে জিজ্ঞেস করলেন, "বাবু কি শনিবারেই এসে যাবে?"
নিজেকে বহু কষ্টে সামলে আবদুল বলল, "রাহাতের একটা চিঠি আছে খালাম্মা।"
"কেন? চিঠি কেন? বাবু তো কাল বাদে পৱশু এসেই যাচ্ছে|"
কোনো কথা না বলে জামার পকেট থেকে জীর্ণশীর্ণ একটা চিঠি বের করল আবদুল্লাহ।
ভাঁজ খুলে তার চোখের সামনে মেলে ধরলো। অনেক জায়গায় লেখনির কালিও উঠে গেছে চিঠিটার। মনে হয়, কখনো পানিতে ভিজেছে চিঠিটা।
এক ঝাঁক আগ্রহ আর আতংক নিয়ে রাহাতের মা আবদুল্লাকে বললেন, "কি লিখেছে?"
অনিচ্ছা সত্ত্বেও চোখের পানি চেপে ধরে চিঠিটা শব্দ করে পড়া শুরু করলো আব্দুল্লাহ।
"১৪ আগস্ট, ১৯৭১
ভৈরব বাজার,
মোমেনশাহী।
শ্রদ্ধেয় আম্মা,
প্রথমেই আমার লাখো কোটি সালাম নেবেন। জানি না আপনি কেমন আছেন। ছেলেকে শত্রুর মুখে ঠেলে দিয়ে জানি আপনারা ভালো থাকতে পারবেন না। তবুও আল্লাহ আপনাদের ভালো রাখুক।
আম্মা, প্রত্যেকটা নিশ্বাসে আপনার কথা আমার মনে পড়ে। কিন্তু উপায় নেই, কুরুক্ষেত্রের মাঠে আমি তরবারি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। মাঠ ছাড়বার জো টুকু নেই আমার নিকট। মানুষ নামক পাকিস্তানি জানোয়ার গুলোর সাথে আমার যুদ্ধ।
আজও মনে ঐ সন্ধ্যার কথা, যেদিন টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছিলো। মনে পড়ে আজও, ঢাকা থেকে এসে যখন আপনার হাতে মাছের ডিমের ভোনা দিয়ে ভাত খাচ্ছিলাম, ঘরের প্রদীপের শিখাটা তখন বাইরের বাতাস খানিকটা ঘরে ঢোকায় কাঁপছিলো। হন্তদন্ত আব্বা ঘরে ঢোকে বললেন আমাকে যে মুক্তিযোদ্ধে যেতে হবে। তখনই যেন কি এক অজ্ঞাত কারণে বিষম খেয়ে যাই। আপনার মনে আছে মা, আপনি যখন পানিটা আমাকে খেতে দেন......to be continued... the next part will be written on my next post..
©somewhere in net ltd.