| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পবিত্র রমজানের দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পানাহারের সুযোগ দান ও খাদ্য বিক্রয়ের অভিযোগে একটি রেস্টেুরেন্টে অভিযান চালিয়েছে জর্ডানের নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানের ভিডিও করেছে নিরাপত্তা বাহিনীরই একজন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছেড়ে দেওয়ায় পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযানের পক্ষের লোকেরা বলছেন, “এটি হচ্ছে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে যে আইন রয়েছে তার যথাযথ প্রয়োগ। রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে ও রোজাদারদের সম্মানার্থে রোজাকালীন সময়ে অর্থাৎ ইফতারের পূর্বে পর্যন্ত প্রকাশ্যে সব প্রকার পানাহার বন্ধ রাখা উচিত।” আর বিরোধীরা বলছেন, “এতে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং রেস্টুরেন্টের কর্মচারীদের মনহানি করা হয়েছে।”
প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা কর্মীদের অভিযানের সময় অভিযানের ও সরঞ্জামাদির ভিডিও করার এবং পরে তা বীরত্বের ভঙ্গিতে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার বৈধতা নিয়ে। কারণ, ভিডিওটিতে দেখা যায় নিরাপত্তাকর্মীরা হোটেল-কর্মী ও কাস্টমারদের ধমকাচ্ছেন।
কেউ কেউ এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন এবং ভিডিও করা ও পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়াকেও সমর্থন করেছেন। তারা বলছেন, রমজানে যারা প্রকাশ্যে পানাহার করে তাদের জন্য এটি শিক্ষনীয়। রোজা আল্লাহর সঙ্গে বান্দার একটি নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করে। সেখানে প্রকাশ্যে পানাহার করা রোজাদারদের অনুভূতিতে চরম আঘাত হানার শামিল। আর যেহেতু দেশটির রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। তাই ইসলামি বিধানকে সম্মান দেয়া উচিত।
নিরাপত্তাকর্মীরা অবশ্য আত্মরক্ষার জন্য জর্ডানের দন্ডবিধির 274 ধারার প্রসঙ্গ টানেন। ওই আইনে বলা হয়েছে, “রমজানে প্রকাশ্যে পানাহার করলে একমাস কারাদন্ড কিংবা পনের দিনার অর্থ দন্ডে দন্ডিত হবে।”
এই আইনের বিরোধীরা মনে করেন, এতে মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। এতে অন্যায় করার রাস্তা খুলবে বলেও মনে করেন তারা। তারা এই অভিযানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বলেন, যে রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে তা ছিল অনেক দুরে, রোজাদারদের নজরের বাইরে। তারা এই অভিযানকে প্রত্যাখ্যান করে সরকারকে আহবান জানিয়েছে, হাসপতালে অভিযান পরিচালনার জন্য, যেখানে রুগীদের প্রতি অবহেলা করা হয় এবং যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয় না। যেসব ব্যবসায়ী পণ্য কুক্ষিগত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে তাদের আস্তানায় হানা দেয়ারও পরামর্শ দেন তারা।
পরে অবশ্য জানা যায় যে, রেস্টুরেন্টটি রমজানে খাবার বিক্রির জন্য পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্স নিয়েছিল। অবশ্য মন্ত্রণালয় রেস্টুরেন্টটিকে দিনের বেলায় দরজা-জানালা বন্ধ রাখার শর্ত আরোপ করেছিল, যা অমান্য করেছে রেস্টুরেন্টটি।
সূত্র : আল আরাবি আল জাদিদ
©somewhere in net ltd.