![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৃষ্টিকর্তার উপর কারো বিশ্বাস থাক বা না থাক সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যপার। যে যেধর্মেরই হোক সবাই বিশ্বাস করে ধর্মের মাঝেই আছে আত্মার প্রকৃত শান্তি।
সে বিশ্বাস হয়ত নাস্তিকদের না থাকতে পারে। সেটা হয় তারা মূর্খ আর নয় অতিশিক্ষিত। আমি জানি নাস্তিকরা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস রাখেনা, তারা তাদের নিজস্ব যুক্তির মাধ্যমে চলে। কাউকে আক্রমন বা কোন নির্দিষ্ট ধর্মকে আক্রমন, কটাক্ষ, বা ব্যঙ্গ করেনা।
কিন্তু একে কি বলব? নাস্তিক নাকি ইসলাম ধর্মের বিরোধী। দুঃখিত বিরোধী বললে ভুল হবে সে ইসলামের শত্রু।
আপনি যেমন মুসলিমই হন না কেন হাতজোড় করে বলি প্লীজ একবার তার প্রোফাইলে ঘুরে আসুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন, নিজের ইমানী দায়িত্ব থেকে কি রিপোর্ট করবেন নাকি ফ্রেন্ডলিস্টে এড করবেন।
অভিযোগ ক্রীত ফেসবুক আইডিটা হলঃ সাদিয়া সুমি উজ্জা
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
অণুষ বলেছেন: এতাতো ফেইক আইডি সবাই জানে রিয়েল আইডি দিয়া এইসব লেখার সাহস তো কারো নেই।
আমাদের উচিৎ রিপোর্ট করে আইডিটা বন্ধ করা।
২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: ইসলামের শত্রু যারা নিজেদের নাস্তিক বলে পরিচয় দেয় আর তাদের আসল পরিচয় গোপন করে,
এ্ই সব বর্ণ চোরদের নতুন একটা সহজ নাম দেয়া উচিত।
কার মনে কি কি নাম আসছে?
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২
অণুষ বলেছেন: হাজারটা নাম দিলেই বা লাভ কি?
নাম নয় বরং কে রিপোর্ট করছি সেইটা জানাই।
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: কোন প্রয়োজন বোধ করছি না। যার যার বিশ্বাস তার তার থাক তবে কেউ যদি অন্যের ধর্মের উপর কটুক্তি করে সেটা সত্যিই দোষনীয় এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা কমপ্লিন্ট করতে পারি। তবে কী দরকার নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
অণুষ বলেছেন: আমি জানিনা আপনি কোন ধর্মের, আপনার যদি ধর্মের প্রতি আন্তরিকতা থাকে আর আপনার ধর্মকে যদি কটাক্ষ করা হয়, সেক্ষেত্রে আপনার মনুষ্যত্ব বোধ থেকেই যা করার করতে হবে।
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: কোন প্রয়োজন বোধ করছি না। যার যার বিশ্বাস তার তার থাক তবে কেউ যদি অন্যের ধর্মের উপর কটুক্তি করে সেটা সত্যিই দোষনীয় এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা কমপ্লিন্ট করতে পারি। তবে কী দরকার নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো।
৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
পালের গোদা বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলি (এই প্রশ্ন অসংখ্যবার আস্তিক ভাইদেরকে করতে শুনেছি), নাস্তিক মানেই কোনো ধর্মকে সরাসরি আক্রমন করা নয়। তবে নাস্তিক হলে ধর্ম আক্রমন করা যাবেনা এমন কোনো কথা নেই। যেমন ধরুন আমি যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করি, মুসলিম মানেই কি ভাত খাওয়া? আপনার উত্তর হবে মুসলিম হলেই ভাত খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই, তবে মুসলিম হলে ভাত খাওয়া যাবেনা এমনও কোনো কথা নেই। নাস্তিকদের ব্যাপারটাও ঠিক তেমনি।
আরেকটা বিষয় মুসলিম ভাইরা কিছুতেই বুঝতে চাননা। সেটা হলো নাস্তিকসহ অন্য যে কারো অধিকার আছে নিজের মতামত প্রকাশ করবার। আসল প্রশ্ন হচ্ছে নাস্তিকেরা ঠিক কিভাবে আপনাদের ধর্মকে আক্রমন করছে? কেউ আমার ব্যাপারে কটুক্তি করা মানেই কিন্তু এই নয় যে আমাকে সে আক্রমন করছে। রূপক অর্থে বলতে পারেন যে সেটা ভাষাগত আক্রমন। তবে সেটা করার অধিকার মানুষের আছে। যেটা করার অধিকার নেই, তা হচ্ছে শারীরিক আক্রমন। ঠিক তেমনি যে কোনো ব্যক্তির বা মতবাদের ব্যাপারেও কটুক্তি করার বা ভাষাগত আক্রমন করার জন্মগত অধিকার রয়েছে যে কারো। গায়ের জোরে সেটাকে আপনারা আটকে রাখতে পারবেন না। যদি দেখতাম ইসলাম কে কেউ শারীরিক আক্রমন করেছে (যেমন ধরুন মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা কিনবা মুসলিমদের উপর শারীরিক আক্রমন, ইত্যাদি) তাহলে অবশ্যই তার বিরোধিতা ও নিন্দা করতাম। কিন্তু মত প্রকাশ ও ভাষাগত আক্রমন করবার অধিকার তো আপনারা কাউকে deny করতে পারেননা। পৃথিবীর উন্নত বিশ্বের সকল দেশ ও সমাজ এই অধিকারটি বোঝে ও স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু বিশেষ করে মুসলিম ভাইরা এই বিষয়টা কিছুতেই বুঝতে চাননা। যেমন ধরুন youtube এ সেই আমেরিকা তে ইনোসেন্স অফ মুসলিমস নামে ছবিতে নবীকে কটাক্য করা হয়েছে দেখে এই বাংলাদেশী মুসলিম ভায়েরা হইচই ভাংচুর শুরু করলেন। কিন্তু এই youtube এই খ্রীষ্টানদের নবী এবং ঈশ্বরকে কটাক্য করে প্রচুর কার্টুন রয়েছে। হিন্দুদের দেবতাদেরকে কটাক্য করেও ভিডিও রয়েছে। কোনদিন শুনেছেন কোনো খ্রীষ্টান বা হিন্দু প্রধান দেশে এসব নিয়ে হইচই হয়েছে বা youtube ব্যান হয়েছে?
ইসলাম আপনাদের ভালো লাগে আপনারা মন ভরে পালন করুন। কিন্তু অন্য কারো যদি মনে হয় ইসলাম একটি জঘন্য মতবাদ, তার মত সে কেন প্রকাশ করতে পারবে না? অন্য কারো যদি মনে হয় ইসলামের নবী ভালো মানুষ ছিলেননা, সেই মত সে কেন প্রকাশ করতে পারবে না? আপনাদের যদি মনে হয় নাস্তিকতা একটি জঘন্য ব্যাপার, আপনাদের সেই মত প্রকাশে তো কেউ বাধা দিছে না। যেমন একটু আগেই আপনি নাস্তিকদের সম্পর্কে বললেন "সেটা হয় তারা মূর্খ আর নয় অতিশিক্ষিত"। নাস্তিকেরা কিন্তু কেউ এসে বলছেনা যে নাস্তিকদের ব্যাপারে এমন কটুক্তি করার আপনার অধিকার নেই। কারণ আপনার অবশ্যই সেই অধিকার রয়েছে, যেহেতু সেটাই আপনার অপিনিয়ন। আপনার এই অপিনিয়ন পড়ে যদি কোনো নাস্তিকের খারাপ লাগে, কিছু করার নেই। আপনার মত আপনি প্রকাশ করার অধিকার রাখেন। ইসলাম সম্পর্কে কটুক্তি করবার ব্যাপারটিও তেমন। গায়ের জোরে বা চাপাতির জোরে হয়ত কিছু জায়গায় মানুষের কন্ঠ রোধ করা যাবে, কিন্তু এসবে কারো মত বা অপিনিয়ন পরিবর্তন করা যাবে না। আর মানুষের যেটা অপিনিয়ন, সেটা স্বনামে না বেনামে কোনো না কোনো ভাবে প্রকাশ পাবেই। মাঝখান থেকে ইসলাম ও মুসলিমদের ব্যাপারে অমুসলিম মানুষের এই ধারণা আরো পাকাপোক্ত হবে যে মুসলিমরা পরমতসহিষ্ণু হতে জানেনা। তারা একটি intolerant জাত। তাহলে আপনারাই বলুন এরকম প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে বা অন্যের অপিনিয়ন এর প্রতি intolerance দেখিয়ে কি আদৌ আপনারা ইসলামের ভালো করছেন? এসব আচরণের কারণেই উন্নত বিশ্বে ইসলাম একটি intolerant ধর্ম হিসেবে পরিচিত।
৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৩
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: @পালের গোদা :
ইসলাম ইসলামবিদ্বেষীরা সরাসরি কোরআন -হাদীস থেকে কোন কিছু না জেনেই ইসলামের বিপক্ষে কথা বলে। তাই আমার মনে হয় এই ক্ষেত্রে তারা মূর্খ আর নয় অতিশিক্ষিত।
আমি ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করি এবং অন্যান্য ধর্ম বিশ্বাস করি না। সেটা আমি বলতেই পারি।
কিন্তু আমি অন্য ধর্মের বিপক্ষে কোন কটুক্তি করি না বা মিথ্যা কথাও বলিনা।
তাহলে ইসলাম ইসলামবিদ্বেষীরা কেন ইসলাম সম্পর্কে কটুক্তি বা মিথ্যা কথা বলবে।
মুসলিম হিসেবে এর জন্য আমরা সর্বচ্চ প্রতিবাদ অবশ্যই করব কারণ এটা একটা আদর্শ।
যে কোন ধর্মের বিষয়ে সত্যি কথা যত তক্তই হোক না কেন সেটা বলা যায় ।
সত্য না জেনে কোন ধর্ম সম্পর্কে অন্যের কাছ থেকে শুনা কটুক্তি বা মিথ্যা কথা যারা বলে তাদেরকে
মূর্খ আর অতিশিক্ষিত ছাড়া আর কি বলা যায়।
৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
পালের গোদা বলেছেন: আপনার যুক্তিগুলোর উত্তর নিচে দেবার চেষ্টা করছি।
"ইসলাম ইসলামবিদ্বেষীরা সরাসরি কোরআন -হাদীস থেকে কোন কিছু না জেনেই ইসলামের বিপক্ষে কথা বলে। তাই আমার মনে হয় এই ক্ষেত্রে তারা মূর্খ আর নয় অতিশিক্ষিত।"
আপনি কিভাবে জানলেন যে সব ইসলাম বিদ্বেষীরা কোরান হাদিস কিছু না জেনে ইসলামের বিরুধ্যে কথা বলে? কারণ কি এই যে আপনি ধরেই নিয়েছেন যে কোরান হাদিস সম্পর্কে জানলে কেউ ইসলামের বিরুধ্যে কথা বলতে পারেনা? এমন তো না যে ইসলামের বিরুধ্যে কোরান হাদিসের আলোকেই বিরুদ্ধাচরণ করবার মত যুক্তির কোনো অভাব আছে (নেট ঘটলে নিজেই অসংখ্য পাবেন, অভাব হবে না)। তাহলে কি ব্যাপারটা এই দাড়ালোনা যে আপনি নিজেই ইসলাম বিদ্বেষীদের সম্পর্কে না জেনে তাদের বিপক্ষে একটা বাক্য বললেন?
"আমি ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করি এবং অন্যান্য ধর্ম বিশ্বাস করি না। সেটা আমি বলতেই পারি।
কিন্তু আমি অন্য ধর্মের বিপক্ষে কোন কটুক্তি করি না বা মিথ্যা কথাও বলিনা।"
বলেন না সেটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু বলার অধিকার রাখেন। শুধু অন্য ধর্মের ব্যাপারে নয়, নাস্তিকদের ব্যাপারেও। একমাত্র যেটা করতে পারেন না তা হলো কোনো গোষ্ঠির বিরুদ্ধে ঘৃনা ছড়াতে। যেমন ধরুন, আপনি ছড়ালেন মালাউন মাত্রই ভারতের চর। তাতে তাদের সরাসরি বাস্তব ক্ষতি হলো। তারা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বাড়ল। কাজেই সেটা নিন্দনীয়। কিন্তু এমনকি সেক্ষেত্রেও আপনার ফাসি হওয়া উচিত আমি তা বলব না (যেমনটা আপনারা বলেন ইসলাম বিদ্বেষীদের ক্ষেত্রে)। কিন্তু আপনি যদি বলেন মাটির দেবদেবী পুজো করাটা আপনার কাছে ছাগলামি মনে হয়, সেটা তো আপনার অপিনিয়ন। সেটা আপনি প্রকাশ করতে পারবেন না কেন? অথবা যদি আপনার মনে হয় নাস্তিকরা ছাগল কারণ তারা মনে করে মহাবিশ্ব হওয়া থেকে সৃষ্টি হয়েছে, সেটাও আপনার অপিনিয়ন। সেটা প্রকাশ করলে আপনাকে জেলে ভরতে হবে বা ফাসি দিতে হবে এমন দাবি যদি কেউ করে, তাহলে তা কি বাকস্বাধীনতা হরণ নয়?
"তাহলে ইসলাম ইসলামবিদ্বেষীরা কেন ইসলাম সম্পর্কে কটুক্তি বা মিথ্যা কথা বলবে।"
দেখুন, ইসলাম সত্য তার যেমন কোনো প্রমান নেই, ইসলাম বিদ্বেষীদের কথার অধিকাংশই আপনি মিথ্যা হিসেবে প্রমান করতে পারবেন না। আর মতামতের কোনো সত্য মিথ্যা হয় না। ধরুন কেউ বলল তার মতে ইসলাম একটি জঘন্য মতাদর্শ, এবং ইসলামের নবী একজন খারাপ মানুষ ছিলেন। এখন এটাই তার মত। এখানে তো সত্য মিথ্যার কিছু নেই। এটা তার অপিনিয়ন। এটা সেই প্রকাশ করতে পারবে না কেন? আর অনেক কিছুই বিতর্কিত থাকে যার ব্যাপারে একেকজন মানুষ একেকরকম অপিনিয়ন ফর্ম করে। যেমন ধরুন আমার মতে জিয়া ভালো লোক হতে পারে আপনার মতে জিয়া খারাপ লোক হতে পারে। আমার এই মতের পক্ষে আমি যতই যুক্তি দেই আপনার মত পরিবর্তন নাও হতে পারে। তাহলে কার কথাটা সত্য ধরে নিতে হবে? অনেকে যেমন মনে করেন জিয়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, অনেকে মনে করেন জিয়া আসলে স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন এবং বাঙালিদের চাপে পড়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। দুই পক্ষই তারা যা মনে করে সেটাকেই সত্য হিসেবে দাবি করে। এখন কোনো এক পক্ষ যতই যুক্তি দিক অন্যপক্ষের কাছে তা গ্রহনযোগ্য নাও হতে পারে। তাহলে এই দুই পক্ষের যেই পক্ষে আপনি অবস্থান করছেন, আপনার মতে তার অপর পক্ষ কে জোর করে মুখবন্ধ করানো উচিত? যদি বলেন হ্যা তাহলে আমি বলব আপনি বাকস্বাধীনতা এবং পরমতসহিষ্ণুতায় বিশ্বাস করেন না।
এমনকি পরিষ্কার মিথ্যা কথাও মানুষ সত্য বলে মনে করে এবং অবলীলায় বলে যায়। যেমন ধরুন চাদে সাইদীর মুখ দেখা যাওয়ার গল্প অনেক মানুষ আজও বলে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে কি জেলে নেওয়া বা ফাসি দেওয়া সমর্থন করেন?
"মুসলিম হিসেবে এর জন্য আমরা সর্বচ্চ প্রতিবাদ অবশ্যই করব কারণ এটা একটা আদর্শ।"
এখন কথা হলো সর্বোচ্চ প্রতিবাদ বলতে কি বোঝাচ্ছেন? জেল? ফাসি? প্রতিবাদ তো অবশ্যই করবেন, তবে কথার উত্তর কথা দিয়ে। চাপাতি দিয়ে নয়। কারণ তাদের মতই আপনারও মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কিন্তু আপনার সাথে মত মিললনা বলে আপনার মত কারো ওপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া কিনবা গায়ের জোরে কারো মত প্রকাশে বাধা দেয়া, সেটা কি কোনো সভ্য দেশের সভ্য মানুষের কাজ? উন্নত বিশ্বের কোনো দেশে অন্তত নয়, এবং এইজন্যই তারা উন্নত হতে পেরেছে। বাংলাদেশের ৯০% লোক মুসলিম বলে আপনারা ইসলামের বিপক্ষে যায় এমন কারো মত জোর করে আটকে রাখতে পারছেন হয়ত। কিন্তু তাতে ইসলাম সম্পর্কে মানুষের কি ধারণা হচ্ছে তা কি ভেবে দেখেছেন? এই বিষয়ে অন্যান্য ধর্মের সাথে তুলনা করে দেখুন একবার আমার পূর্ববর্তী পোস্টএর youtube উদাহরনটাই ভেবে দেখুন। আরেকটি উদাহরণ, গ্যালিলিও যখন প্রথম বলেছিল যে পৃথিবীটা গোল, এবং তা সুর্যের চারপাশে ঘরে, রোমানরা সেটা পছন্দ করেনি কারণ তার এই কথা তাদের খ্রীষ্টান ধর্মের বিরুদ্ধে যায়। তারা গ্যালিলিও এর এই theory প্রকাশ করা ban করেছিল। এমনকি জগ্যালিলিওর প্রাণনাশের আশংকা ছিল (খ্রীষ্টানদের বিরুদ্ধে heresy অর্থাত "ধর্মের সাথে মতবিরোধ" করার কারণে) এমন কথাও শোনা যায়। এই ঘটনা থেকে প্রমান হয়, মেজরিটি সবসময় সঠিক নয়। এবং ধর্মের বিরুধ্যে গেলেই তা প্রকাশে বাধা দিতে হবে এমন notion মানবজাতির জন্য মঙ্গলকারক নয়।
"যে কোন ধর্মের বিষয়ে সত্যি কথা যত তক্তই হোক না কেন সেটা বলা যায় ।
সত্য না জেনে কোন ধর্ম সম্পর্কে অন্যের কাছ থেকে শুনা কটুক্তি বা মিথ্যা কথা যারা বলে তাদেরকে
মূর্খ আর অতিশিক্ষিত ছাড়া আর কি বলা যায়।"
আপনি অবশ্যই তা বলতে পারেন, কারণ আপনার মতে তারা মুর্খ আর অতিশিক্ষিত। একথা প্রমান ছাড়া বলতে পারেন না, এমন কথা কেউ বললে তা নিশ্চই হাস্সকর বলবেন? কারণ মানুষ প্রতিটা কথা প্রমান সহ বলে না। অনেক সময় তাদের মতে যেটা ঠিক সেটাই বলে। (যেমন আবুল হাসান যে চোর , তা কিন্তু এখনো কোনো আদালতে প্রমান হয়নি, তারপরেও সবাই সমানে বলে যাচ্ছে। এখনকি সরকার প্রমান ছাড়া কথা বলার কারণে এমন যারা বলছে তাদেরকে আটক করা সমর্থন করবেন?) আর ঐযে বললাম সত্য মিথ্যা বিশেষ করে ধর্মের ক্ষেত্রে তর্কসাপেক্ষ ব্যাপার। পৃথিবীতে প্রচুর লোক কোরান হাদিস ভালো করে জেনেই ইসলাম বিরোধিতা করে। তারা ইসলাম সম্পর্কে যা জানেন তা ভুল আর আপনি যা জানেন তাই ঠিক, সেটাই বা সিওর হচ্ছেন কিভাবে? আপনার উত্তর আমিই দিচ্ছি, আপনি শিওর কারণ আপনি বিশ্বাস করেন ব্যাস। এবং যেটা বিশ্বেস করেন তা প্রকাশ করছেন। এবং আমার মতে আপনার এই বিশ্বাস প্রকাশে কারো বাধা দেবার অধিকার থাকা উচিত না। তেমনি ইসলাম বিরোধীরাও তারা যা বলে তা বিশ্বাস করে, এবং প্রকাশ করে। তাদের সেই প্রকাশকে কি গায়ের জোরে বাধা দেবার অধিকার কারো থাকা উচিত? জোর করে তাদের মুখ বন্ধ করলেই কি তারা যা বিশ্বাস করে তা বদলে যাবে?
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
নতুন বলেছেন: এটা মনেহয় ফেক আইডি...
আর সৃস্টিকতায় বিশ্বাস না করছে ধম`কে আক্রমন কেন করতে হবে বুঝিনা...
যার যার বিশ্বাস তার তার কাছে.... যুক্তি দিয়ে বোঝানো যেতে পারে কিন্তু বাজে শব্দ কালো মনের মানুষই ব্যবহার করে...