| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এম এম রহমান টিয়া
সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল । সবার উপর মানুষ
বাঙালির উৎসব ও ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি
.
আল্লাহর শেষ রসুল আরবে এসেছেন, তাঁর আসহাবগণও আরবের মানুষ। প্রতিটি এলাকার যেমন নিজস্ব একটি সংস্কৃতি থাকে, নিজস্ব পোষাক, ভাষা, আচার-আচরণ, রুচি-অভিরুচি থাকে তেমনি তাঁদেরও ছিল।
.
আমাদের দেশের একজন নেতা বাংলাতে কথা বলবেন, বাংলাদেশের পোশাক পরবেন এটাই স্বাভাবিক। তেমনি রসুলাল্লাহ ও তাঁর সাহাবীরা আরবীয় পোশাক পরেছেন, আরবীতে কথা বলেছেন, আরবীয় খানা-খাদ্য খেয়েছেন। এর দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় না, যে সারা দুনিয়ার মানুষকেই ঐভাবে আরবীতে কথা বলতে হবে, আরবীয় জোব্বা, পাগড়ি পরিধান করতে হবে, খোরমা-খেজুর খেতে হবে। কেউ করলে সেটা তার অভিরুচি।
.
প্রতিটি জনপদের মানুষের সংস্কৃতি তাদের ভৌগোলিক ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিশীল, যা গড়ে ওঠে হাজার বছরের ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে। আল্লাহ তাঁর নাজেলকৃত জীবনবিধানে এ সকল সংস্কৃতিকে কোথাও নিষিদ্ধ করে দেন নি, তিনি কেবল নিষিদ্ধ করেছেন আল্লাহর অবাধ্যতা, অন্যায়, অবিচার, অপচয়, মিথ্যা ও অশ্লীলতা।
.
কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ, চৈত্র সংক্রান্তি ইত্যাদি উৎসবকে হারাম বলার কোনো কারণ দেখছি না। বরং আল্লাহ ফসল তোলার উৎসবের দিন ফসলে গরীবের অধিকার যেন পুরোপুরি বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেটা বাধ্যতামূলক করেছেন (সুরা আনআম ১৪১)। এর দ্বারা উৎসবকে অর্থশালীদের মধ্যে সীমিত না রেখে সার্বজনীন করার নির্দেশই আমরা পাই।
.
তবে যদি যে কোনো সংস্কৃতি বা উৎসবকে কোনো গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ারে পরিণত করে তা দিয়ে সমাজের ক্ষতি বয়ে আনে তাহলে সেটা যে কোনো ব্যবস্থাতেই নিষিদ্ধ হওয়ার উপযুক্ত ।
সকলের মতামত কাম্য
©somewhere in net ltd.