নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গড়ব মৌলবাদ , জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস মুক্ত দেশ

এম এম রহমান টিয়া

সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল । সবার উপর মানুষ

এম এম রহমান টিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

#হুজুগনির্ভর_ধর্মোন্মাদনা_ইসলামে_নেই -

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

#হুজুগনির্ভর_ধর্মোন্মাদনা_ইসলামে_নেই -
.
বে-আক্কেলের মতো সওয়াবের আশায় করা আমল অর্থহীন। ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন- আল্লাহর রসুল (দ.) বললেন- ‘কোনো মানুষ নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত, ওমরা [ইবনে ওমর (রা.) উল্লেখ করছেন যে ঐগুলি তিনি একে একে এমনভাবে বলতে লাগলেন যে, মনে হলো কোন আমলের কথাই তিনি (দ.) বাদ রাখবেন না] ইত্যাদি সবই করল কিন্তু কেয়ামতের দিন তার ‘আকলের’ বেশি তাকে পুরস্কার দেয়া হবে না (ইবনে ওমর (রা.) থেকে- আহমদ, মেশকাত)।
.
রসুলাল্লাহ (দ.) শব্দ ব্যবহার করেছেন ‘আকল’, যে শব্দটাকে আমরা বাংলায় ব্যবহার করি ‘আক্কেল’ বলে, অর্থাৎ মানুষের বুদ্ধি, সাধারণ জ্ঞান, যুক্তি ইত্যাদি, আবু দুজানা (রা.) যেটা ব্যবহার করে নবীকে (দ.) প্রশ্ন করেছিলেন তলোয়ারের কী হক? অর্থাৎ বিচারের দিনে মানুষের আমলের সওয়াবই শুধু আল্লাহ দেখবেন না, দেখবেন ঐ সব কাজ বুঝে করেছে, নাকি গরু-বকরীর মতো না বুঝে করে গেছে এবং সেই মতো পুরস্কার দেবেন, কিম্বা দেবেন না। অর্থাৎ কারণ ও উদ্দেশ্য না বুঝে বে-আক্কেলের মতো নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত, ইত্যাদি সব রকম সওয়াবের কাজ শুধু সওয়াব মনে করে করে গেলে কোন পুরস্কার দেওয়া হবে না।
.
এই হাদিসটাকে সহজ বাংলায় উপস্থাপন করলে এই রকম দাঁড়ায়- ‘বিচারের দিনে পাক্কা নামাজীকে আল্লাহ প্রশ্ন করবেন- নামাজ কায়েম করেছিলে? মানুষটি জবাব দেবে-হ্যাঁ আল্লাহ! আমি সারা জীবন নামাজ পড়েছি। আল্লাহ বলবেন-ভালো! কেন পড়েছিলে? লোকটি জবাব দেবে- তুমি প্রভু। তোমার আদেশ, এই তো যথেষ্ট, তুমি হুকুম করেছ তাই পড়েছি।
.
আল্লাহ বলবেন- আমি হুকুম ঠিকই করেছি। কিন্তু কেন করেছি তা কি বুঝেছ? তোমার নামাজে আমার কি দরকার ছিল? আমি কি তোমার নামাজের মুখাপেক্ষী ছিলাম বা আছি? কী উদ্দেশ্যে তোমাকে নামাজ পড়তে হুকুম দিয়েছিলাম তা বুঝে কি নামাজ পড়েছিলে?” তখন যদি ঐ লোক জবাব দেয়- না। তাতো বুঝি নি, তবে মহানবীর (দ.) কথা মোতাবেক তার ভাগ্যে নামাজের কোন পুরস্কার জুটবে না।
.
আর যে মানুষ আল্লাহর প্রশ্নের জবাবে বলবে- ”হ্যাঁ আল্লাহ, আমি বুঝেই নামাজ পড়েছি। তোমার রসুলকে (দ.) তুমি দুনিয়ায় পাঠিয়েছিলে সমস্ত মানব জাতির উপর তোমার দেয়া জীবন-ব্যবস্থা, দীনকে সর্বাত্মক সংগ্রামের মাধ্যমে জয়ী করে পৃথিবী থেকে সব রকম অন্যায়, শোষণ, অবিচার, যুদ্ধ ও রক্তপাত দূর করে শান্তি (ইসলাম) প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দিয়ে।
.
তাঁর একার পক্ষে এবং এক জীবনে এ কাজ সম্ভব ছিল না। তাঁর প্রয়োজন ছিল একটা জাতির, একটা উম্মাহর, যে জাতির সাহায্যে এবং সহায়তায় তিনি তাঁর উপর দেয়া দায়িত্ব পালন করতে পারেন এবং তাঁর তোমার কাছে প্রত্যাবর্তনের পর যে উম্মাহ তার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়, যে পর্যন্ত না তাঁর দায়িত্বপূর্ণ হয় এবং ইবলিস তোমাকে যে দুনিয়ায় ফাসাদ আর রক্তপাতের চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল, তাতে তুমি জয়ী হও।
.
সৌভাগ্যক্রমে, তোমার অসীম দয়ায়, আমি সেই উম্মাহর অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। তোমার আদেশ নামাজের উদ্দেশ্য ছিল আমার সেই রকম চরিত্র সৃষ্টি করা, সেই রকম আনুগত্য, শৃঙ্খলা শিক্ষা করা যে চরিত্র ও শৃঙ্খলা হলে আমি তোমার নবীর (দ.) দায়িত্ব সম্পাদনে তাঁর সাহায্যকারী হয়ে সংগ্রাম করতে পারি। তাই আমি বুঝেই নামাজ পড়েছি।” এই লোক পাবে তার নামাজের পূর্ণ পুরস্কার।
.
আজকের মুসলিমরা যে অন্ধভাবে উদ্দেশ্য না বুঝে দিন-রাত নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি হাজারো রকমের এবাদত-উপাসনা নিয়ে ব্যস্ত আছেন তাদের এই আকিদাহীন, উদ্দেশ্যহীন, সামগ্রিক ধারণাহীন আমলের কতটুকু দাম তারা আল্লাহর কাছে থেকে পাবেন তা এখন ভাববার সময় এসেছে। কিন্তু আমাদের কাছে ভাবাটাই যেন একটি বিরাট কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে

ধন্যবাদ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.