নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ মহান সর্বশক্তিমান

লেখতে ভালো লাগে ...

রাশীদ মাহদি

আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন সব কোলাহল থেমে যাবে। থাকবে না রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। আমরা স্বাধীন জাতি, গোলামির শৃঙ্খল ভেঙে আমরা হবো মুক্ত। আমাদের প্রতি যার দয়া, আমরা হবো কেবল তারই ভৃত্য...

রাশীদ মাহদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মুসলিমের প্রথম সিফাত বা গুণ হচ্ছে "ঈমান"

০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১১:৩২

আল্লাহ তাআলা মানুষের বাহ্যিক ধন-দৌলত এবং আকার আকৃতি দেখেন না, তিনি দেখেন মানুষের আমাল এবং অন্তর। নিজের আমাল সুন্দর করার জন্য কিছু সিফাতের (গুণ) প্রয়োজন, আর সেই সিফাতগুলোর মাঝে সর্ব প্রথম সিফাত হলো ঈমানের সিফত। কারণ যার ঈমান নাই তার কোনো আমালই আল্লাহ নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।



১. ঈমানঃ

ঈমান হলো, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস থাকার কারনে আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে তিনি যে সকল খবর (বাণী) নিয়ে এসেছেন তা বিনা দ্বিধায় মেনে নেয়া।

ঈমানের কালিমা হল, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।" অনুবাদ: নেই কোনো ইলাহ আল্লাহ ছাড়া, মুহাম্মাদ স. আল্লাহর রাসূল।

এটা ঈমানের কালিমা; ঈমান নয়। কালিমা পড়লে মানুষ মুসলমান হতে পারে; মুমিন নয়। ঈমান মেহনত করে অর্জন করতে হয়। আর এ জন্যই আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে ঈমান অর্জনের মেহনত করা। মেহনত ছাড়া কোনো কিছুই হাসিল হয় না। আবার ঘরে বসেও মেহনত করা যায় না। প্রত্যেকটি জিনিসের জন্যে আলাদা আলাদা জায়গা আছে। সাঁতার শিখতে হলে পানিতে নামতে হবে, সাইকেল চালানো শিখতে হলে রাস্তায় নামতে হবে, একইভাবে ঈমান শিখতে হলে মসজিদের পরিবেশে আসতে হবে। ইমাম বুখারী রহঃ বুখারী শরিফে বাব কায়েম করেছেন, "ঈমান বৃদ্ধি হয় মসজিদে ঈমানী হালকা কায়েম করার দ্বারা।" এবং সেখানে বেশ কয়েকজন সাহাবীর ঘটনাও বর্ণনা করেছেন।



ঈমানের উদ্দেশ্যঃ

ক) দিলের ইয়াকীন শুদ্ধ করা।

মাখলুক থেকে কিছুই হয় না। যা হয় একমাত্র আল্লাহ থেকেই হয়। চাকরি আমাকে খাওয়ায় না, ব্যবসা আমাকে পালে না, ক্ষেত আমাকে ফসল দেয় না। এ সবই আল্লাহ তাআলা দেন। আগুন আমাকে পোড়াতে পারে না, যেমন ইব্রাহিম আ. কে পুড়তে পারে নি। পানি আমাকে ডুবাতে পারে না, যেমন মূসা আ. কে ডুবাতে পারে নি।

খ) তরীকার ইয়াকীন শুদ্ধ করা। মুহাম্মাদ সা. এর তারীকা অনুযায়ী চললেই সফলতা। আল্লাহ তাআলা বলেন, "যদি তোমরা মুহাম্মাদ স. -এর অনুসরণ করো হেদায়াত পাবে।"

গ) জযবার ইয়াকীন সহীহ করা;

১. মনের টান মাখলুক থেকে খালেকের দিকে ফিরানো।

২. মাল থেকে আ’মাল দিকে ফিরানো।

৩. দুনিয়া থেকে আখেরাতের দিকে ফিরানো।



# ঈমানের ফযিলতঃ

১. ঈমান দিয়েই তো বান্দা এবং আল্লাহ মাঝে সম্পর্ক স্থাপন হবে।

২. অনু পরিমান ঈমান নিয়ে যে ব্যাক্তি দুনিয়া থেকে যাবে, তাকে ১০ দুনিয়ার সমান জান্নাত দেয়া হবে।

৩. একজন ঈমানওয়ালা মানুষ যতদিন দুনিয়াতে থাকবে আল্লাহ তার বদৌলতে দুনিয়ার সমস্ত ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখবেন।



# হাসিল করার তরীকাঃ

ক. দাওয়াত।

খ. মশক।

গ. দোআ।



ক. দাওয়াতঃ

১. আল্লাহ থেকেই সমস্ত কিছু হয় মাখলুক থেকে কিছুই হয় না, এবং একমাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাতে ১০০% শান্তি ও কামিয়াবী অন্য কোনো তরীকা'তে শান্তি আর কামিয়াবি নেই, এ কথার দাওয়াত দেয়া।

২. দুনিয়ার হায়াত ক্ষণস্থায়ী আর আখেরাতের হায়াত চিরস্থায়ী। তাই পরকালের সফলাতাই আসল সফলতা, পরকালের পরাজয় আসল পরাজয়। দুনিয়ার সফলতা আসলে মরিচিকা, দুনিয়ার পরাজয় আসলে ধোকা। এই কথা মানুষ কে বলা।



কাকে দাওয়াত দেব? কোথায় দাওয়াত দেব?

উম্মতকে দাওয়াত দেব। যেখানে যেখানে উম্মত আছে সেখানে সেখানে দাওয়াত দিতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে পঁচিশ বার দাওয়াত দিতে হবে৷



কী বলে দাওয়াত দিব?

যেখানে যেখানে বস্তু থেকে হওয়ার কথা আলোচনা হয়, সেখানে সেখানে গিয়ে আল্লাহ থেকে হওয়ার কথা আলোচনা করবো। যেখানে মুহাম্মাদ স. -এর সুন্নাত ব্যতীত অন্য তরীকার কথা আলোচনা করা হয় সেখানে গিয়ে রাসুলুল্লাহর সুন্নাহর প্রতি দাওয়াত দিবো। যেখানে মানুষের আগ্রহ অল্প সময়ের দুনিয়ার প্রতি সেখানে গিয়ে ­ চিরস্থায়ী আখেরাতের দাওয়াত দিবো। নিজের জীবনে আনার জন্যই দাওয়াত দিতে হবে। আমরা সবাই হেদায়াতের কাণ্ডারী। আমরা তো দাওয়াত দেই নিজের ঈমান-আমল শুদ্ধ হওয়ার জন্য। যাকে দাওয়াত দিলাম সে যদি গ্রহণ করে, তাহলে তো আমি সওয়াব পেয়েই যাবো। আর যদি গ্রহণ না করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা যে আমার উপর দাওয়াতের কাজ ফরজ করেছিলেন সেই দায়িত্ব তো আদায় হয়ে গেলো। আল্লাহ তাআলার বড়ত্বের, আজমতের, একত্ববাদের দাওয়াত দিতে হবে। এভাবে দাওয়াত দেয়ার দ্বারা ঈমান মজবুত হবে; এই ঈমানকে মজবুত করার জন্যই ঈমানের মশক করতে হবে।



২) মশকঃ

ঘরে ও মসজিদে ঈমানি মজলিস কায়েম করে ৪ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।

ক) আল্লাহ তাআলার কুদরতের কথা আলোচনা করতে হবে। আর তা হলো, আল্লাহ তাআলা আপন শক্তিতে সব কিছু সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টির মধ্যে শক্তি নাই, শক্তি আর কুদরত তো আল্লাহ তাআলার সত্বার সাথে। তাই কিছু চাইতে হলে একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাইবো, মাখলুকের কাছে আমাদের কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। এভাবে দাওয়াত দেয়ার দ্বারা অন্তরে আল্লাহ পাকের আজমত বসবে, ধারনা পরিস্কার হবে।

খ) আল্লাহ তাআলা নবীদের সাথে সাধারণ নিয়মপরিপন্থী যে সব সাহায্য আর মদদ করছেন তা বেশি বেশি আলোচনা করা। যেমন, ঈব্রাহিম আ. কে আগুনের মধ্যে জীবিত রাখা, ইউনুস আ.-কে মাছের পেটে বাঁচিয়ে রাখা, মূসা আ.-কে ফেরাউন লা. থেকে মুক্তি দেয়া ইত্যাদি।

গ) ইয়াকিনের বুনিয়াদের উপর সাহাবাদেরকে সাধারণ নিয়মপরিপন্থী যে সকল মদদ আল্লাহ তাআলা করেছেন সেগুলো আলোচনা করা। ওমর ফারুক রা. কতৃক নীলনদে পানি প্রবাহিত হওয়া, তামিম দারি রা. কতৃক আগুন আগ্নেয়গিরিতে দাবিয়ে দেয়া ইত্যাদি

ঘ) ঈমানের লক্ষন সমূহের ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে যে সব আয়াত ও হাদীস আছে সেগুলো আলোচনা করা। যেমন, - মুমিন সেই ব্যক্তি, যার ভালো কাজ তাকে শান্তি দেয় এবং মন্দ কাজ কষ্ট দেয়। - মুমিন সেই ব্যক্তি, যার মধ্যে আমানতদারী আছে ইত্যাদি। আর এ সবকিছু তখনই সম্ভব যখন আল্লাহ তাআলা তাওফিক দিবেন। নিজের বাহুবলে, টাকার ক্ষমতায় কোনো কিছু করা অসম্ভব। তাই আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। আর সে জন্যই বেশি বেশি দুআ করা।



৩) দোআঃ

আমাদের ঈমান যেন সাহাবাদের ঈমানের মত ঈমান হয়ে যায় সে জন্য দুআ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন,

# হে লোকসকল, তোমরা ঈমান আনো যেমন সাহাবারা এনেছে।

# যদি মানুষেরা ঈমান আনে যেমন তোমরা (সাহাবা) এনেছ, তাহলে তারা হেদায়াত পেয়ে যাবে।



ঈমানের ইখলাস হলো, "ঈমান মানুষকে হারাম কাজ থেকে ফিরাবে।"



সারা বিশ্বজুড়ে দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনত চলছে। আমেরিকা, বৃটেন, ইউরোপসহ এমন কোনো দেশ নেই যেখানে এই মেহনত চলছে না। হাজারো অমুসলিম মুসলিম হচ্ছে হাজারো মুসলিম সঠিক ঈমানের দিশা পাচ্ছে।



কী বলেন, ঈমানের দাওয়াত দেয়ার জন্য সারা বিশ্বে সফর করার নিয়্যাত আছে তো? ইনশাআল্লাহ আমি তৈরি আছি........।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ১:৩১

সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: ঈমান কি? ঈমানের রুকোন কয়টি, শুধু কি আল্লাহর থেকে সব হয় এটা বিশ্বাস করলে ঈমান হয়ে যাবে।

২| ০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ৮:১৮

রাশীদ মাহদি বলেছেন: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম বলেছেন, ঈমানের ৭০ এর অধিক শাখা রয়েছে। সর্বোত্তম শাখা হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও সর্বোনিম্ন শাখা রাস্তা হতে কষ্টাদায়ক বস্তু সরিয়ে দেয়া। লজ্জাও ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। (মুসলিম শরীফ)

সুতরাং, আমরা প্রথমে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। সব তাঁর থেকেই হয় এবং তিনিই সর্বশক্তিমান। এই বিষয়ে নিজের মধ্যে বদ্ধমূল করার প্রয়াস পেতে প্রাথমিকভাবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ নিয়ে মেহনত করি। কারণ, এটি ঈমানের সবচেয়ে বড় একটি শাখা।

যে এই বিষয় মেহনত করে মজবুত হতে পারবে আশা করা যায় এরচেয়ে ছোট রুকনগুলোয়ও সে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে এবং ভালো করবে।

আপনাকে ধন্যবাদ। শুকরিয়া

৩| ০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬

সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: হযরত! অামি অাপনাকে ঈমানের শাখার কথা বলিনি। ঈমানের রুকোন বোজাতে চেয়েছি যেটাকে অারকানূল ঈমান ও বলা হয়েথাকে। আরবের কাফেররাও বিশ্বাস করতো যে সবকিছু অাল্লাহর থেকে হয় (কোরআনে অগনিত স্থনে বলাঅাছে) এবং এটাও বিশ্বাস করতো যে কিছুর একমাত্র রব অাল্লাহ। তাহলে কেন তাদের কাফের বলা হল। এবং কেন তাদের ঈমানের দাওয়াত দেয়াহল? ঈমান কি? না জানলে অামরা ঈমান শিখবো কি ভাবে? যাইহোক অামাদের সমাজে ঈমানের রুকোন গুলি নিয়েও এক বড় বিভ্রান্তি কেউবলে ৫টি কেউ ৬টি কেউ অাবার ৭টি কিন্তু অাসলে কয়টি? এবং শেখার পদ্ধতি কি? ঊৎস কি?

৪| ০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

রাশীদ মাহদি বলেছেন: ঈমানের রুকন ৭টি। অবশ্য একসাথে ৭ টি পাওয়া যায় না। হাদীসে জিবরাঈলে ৬ টি পাওয়া যায়। কুরআনের অন্যান্য আয়াতে বা হাদীসে ৭ম টি পাওয়া যায়।

আর হ্যাঁ, মক্কার কাফেররা এক আল্লাহ সব করেন এতে বিশ্বাসী ছিল না। তারা অগণিত উপাস্যের উপাসনা করত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম যখন এক ইলাহের দাওয়াত দিলেন তখন তারা বলল, এ সবকিছুর নিয়ন্ত্রক একজন? এটা অসম্ভব! আশ্চর্যকথা!

আমরা বলি না যে, ঈমানের রুকন শুধু কালিমা বা শুধু এক আল্লাহে বিশ্বাস করা। বরং এর কয়েকটি রুকন রয়েছে। যদি শুধু ১ রুকন বলতাম তখন প্রশ্ন হতো।

৫| ০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৫

সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: হাদীসে জিবরাঈলের বর্রনায় জিবরাঈল (আঃ) যখন প্রশ্ন করলেন ঈমান কি তখন রাসুল্লা (সাঃ) ৬ টি বল্রেন আমরা কেন ৭ টি বলবো অর্থাৎ আখেরাতি কে ২ ভাগ করে বলবো? আমাদেরকে রাসুল্লা (সাঃ) এর মত ৬ টি বলা উচিত।

কুরআন ও হাদীসের অগণিত বিবরাণের আলোকে আমরা বুজতে পারি যে, আল্লাহর একেত্বে বিশ্বাসের একাধিক পর্যায় বা স্তর রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন (সুরা ১২, ইউসুফ: ১০৬ আয়াত) "তাদের অধিকাংশ আল্লাহতে বিশ্বাস করে। কিন্তু তারা শরীক করে।"
এ আয়াত থেকে স্পষ্ট যে আল্লাহর প্রতি ঈমানের পর্যায় রয়েছে, যে কারনে ঈমানের সাথে শিরক একত্রিত হতে পারে।

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় সাহাবী ইবনু আব্বাস (রা) বলেন (তাবারী, তাফসীর জামিউল বায়ান) ১৩/৭৭-৭৮ বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৫ হি) "তাদের ঈমান হলো, যদি তাদের বলাহয়, আকাশ কে সৃষ্টি করেছে? পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছে? পাহাড় কে সৃষ্টি করেছে? তারা বলেঃ আল্লাহ, অথচ তারা শিরক করে..,এরপরও তারা আল্লাহর সাথে শিরক করে, আল্লাহকে ছাড়া অন্যের ইবাদত করে আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে সাজদা করে।

প্রসিদ্ধ তাবিয়ী মুফাসসির মুজাহিদ ইবনু জাবর (মৃত্যু ১০৪ হি) বলেন: (তাবারী, তাফসীর জামিউল বায়ান) ১৩/৭৮ বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪০৫ হি)
”তাদের ঈমান হল তারা বলে আল্লাহই আসাদের সৃষ্টিকর্তা, তিনিই আমাদের রিযকদেন এবং তিনিই আমাদের মৃত্যুদেন। এ হলো তাদের ঈমান, এর সাথে তারা তাদের ইবাদতে গাইরুল্লাহর ইবাদত করে শিরকে লিপ্ত হয় “

অনুরূপ সাঈদ ইবনু জুবাইর ( ইন্তেকাল ৯৫ হি), আমির ইবনু শারাহীল শা’বী ( ইন্তেকাল ১০৪ হি), ইকরিমাহ মা্ওলা ইবনু আব্বাস( ইন্তেকাল ১০৫ হি) আতা ইবনু আবী রাবাহ ( ইন্তেকাল ১৫৫ হি), কাতাদাহ ইবনু দি’আমাহ ( ইন্তেকাল ১১৭ হি), আবদুর রহমান ইবনু যাইদ ইাবনু আসলাম ( ইন্তেকাল ১৭০ হি)ও আরো অনান্য তাবিয়ী ও তাবি-তাবিয়ী মুফাসসিরগণ বার বার উল্লেখ করেছেন যে, সকল কাফিরেই আল্লাহকে একমাত্র স্রষ্টা, প্রতিপালক, রিযকদাতা ও সর্বশক্তিমান বলে বিশ্বাস করত।

সারকথা হল এই যে, তাওহীদের অন্তত দুটি পর্যায় রয়েছে এর্ং কাফিরগণ একটি বিশ্বাস করতো এবং একটি অস্বীকার করতো।

৬| ০৩ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

রাশীদ মাহদি বলেছেন: আরেকটা কী?

৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১:৪০

সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: ঈমানের বিষয়গুলি এত ছোট পরিসরে বলা কঠিন তারপর আমার মত অলস ব্যক্তিদের জন্য তো আরো কঠিন বটে। ঈমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর "আল ফিকহুল আকবার " পড়ার অনুরোধ রইল সম্প্রর্তি বাংলায় ব্যাখ্যা সহ বেরিয়েছে শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলবী (রহঃ) এর হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগার আদলে। আসলে ঈমান না শিখলে সবকিছু বরবাদ হয়ে যাবে । দেখবেন আপনার দাওয়াতের কাজ আরো সহজ ও সঠিক হবে মহান আল্লহ আমাদের সহায় হোন, আমাদের ঈমানের সাথে মৃত্যু দান করুক এবং আমাদের গুনাহগুলো ঢেকে দিক-আমিন।

৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৮:৩৯

রাশীদ মাহদি বলেছেন: আমীন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.