![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন সব কোলাহল থেমে যাবে। থাকবে না রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। আমরা স্বাধীন জাতি, গোলামির শৃঙ্খল ভেঙে আমরা হবো মুক্ত। আমাদের প্রতি যার দয়া, আমরা হবো কেবল তারই ভৃত্য...
আল্লাহ তাআলার ভাণ্ডার থেকে সরাসরি নেয়ার মাধ্যম হলো আমাল। আর আমালের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে নামায।
নামাযের উদ্দেশ্যঃ
১. আল্লাহ তাআলার ভাণ্ডার থেকে সরাসরি নেয়ার এক যোগ্যতা অর্জন করা।
২. বস্তু থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে এক আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরি করা।
৩. আমার সারা জীবনের সব অবস্থা যেন নামাজের ভিতরে যেমন আছি এমন হয়ে যায়।
ফজিলতঃ আল্লাহ তাআলা বলেন, সেই মুমিন হয়েছে, যে ভীত হয়ে নামায পড়ে।
মুহাম্মাদ স. বলেন, যে ব্যক্তির এক ওয়াক্ত নামাজ ছুটে গেল, তার যেন পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ সমস্ত কিছু লুঠ হয়ে গেল।"
কীভাবে আমরা এমন নামায অর্জন করব, যে নামাজের প্রতি আল্লাহ তাআলা খুশি আছেন?
তিন স্তরের মেহনতের দ্বারা এমন নামাজ হাসিল হবে-
ক দাওয়াত।
খ মশক।
গ দুআ।
ক) দাওয়াতঃ
১। আমার নামায কীভাবে পুর্ণাঙ্গ নামায হয়, সাহাবাওয়ালা নামায হয়, সে জন্য উম্মতের মধ্যে চলাফেরা করে কামেল নামাযের দাওয়াত দিতে হবে। কারণ দাওয়াত দেয়ার সবচে' কম লাভটি হলো দ্বায়ীর ভিতর আমলের স্পৃহা তৈরি হয়। আল্লাহ তাআলা দ্বায়ীকে প্রথমে আমল করার তাওফিক দান করেন। তাই আমরা যখন অপরকে কামেল নামাযের দাওয়াত দিব, আল্লাহ তাআলা আমাদের নামাজ কামেল করে দিবেন।
২। নামাযের ফাজায়েল জেনে অপরকে দাওয়াত দিতে হবে। অর্থাৎ, নামাযে কুরআন তেলাওয়াতের নেকী, তাকবির বলার নেকী, কাওমা, জলসা ও কিয়ামের সওয়াব কী। এগুলো উলামায়ে কেরাম থেকে জেনে অপরকে দাওয়াত দেয়া।
৩। নামাযের আনুসাঙ্গীক অন্যান্য মাসায়েল যেমন: তিন জিনিসে পবিত্রতা অর্জন করা:- কাপড়, শরীর, জায়গা। নামাযের ওয়াক্ত, কোন দিকে ফিরে নামাজ পড়বে, সতর কী পরিমান ঢেকে রাখবে, নিয়্যাত কীভাবে করবে এ বিষয়গুলি নিজে জানা, অপরের কাছে পৌছে দেয়া। এরপর রয়েছে কেরাত শুদ্ধ করা। ভুল কেরাত পড়লে কী ক্ষতি, ঠিক মত রুকু-সেজদা না করলে, কিয়াম কু'উদ না করলে কী ক্ষতি তা নিজে জানবে অপরকে জনাবে।
৪। আল্লাহর ধ্যানে নামায পড়তে হবে। এবং আল্লাহর বড়ত্বের কথা বেশি বেশি বলে নিজের ভিতর আল্লাহর ভয় তৈরি করতে হবে।
৫। কেরাত, রুকু, সেজদা, জলসা, কওমা ইত্যাদি শান্ত ভাবে আদায় করতে হবে এবং অপর মুসলিম ভাইকে শান্তভাবে নামায আদায় করার দাওয়াত দিতে হবে।
খ) মশকঃ মুহাম্মাদ স. যেভাবে নামায পড়েছেন সেভাবে আমাদের নামায হয়ে যায় এ জন্য বেশি বেশি নামাযের মশক করতে হবে।
আমরা মশক বা অনুশীলন দু'ভাবে করব।
১. জাহেরি বা বাহ্যিক।
২. বাতেনি বা ভিতরগত।
—বাহ্যিক অনুশীলন:
ক. সুন্দরভাবে মেসওয়াক করে সুন্নাত অনুসারে ওযু করা। ওযুতে পানি অপচয় না করা। তিনবারের বেশি কোনো অঙ্গে পানি না ঢালা। কারণ অপচয় গুনাহের কাজ, আর যে নামাযের ভিত্তি গুনাহের ওপর; সে নামায আল্লাহর দরবারে কতটুকুই বা গ্রহণ হবে? আর এমন নামায নামাযীকে অশ্লীল এবং মন্দ কাজ থেকে ফিরাবেই বা কী করে?
খ. শান্ত পরিবেশে নামায পড়ার চেষ্টা করা। যেখানে হৈচৈ বেশি হয়, সেখানে যতটুকু সম্ভব নমাজ না পড়া। এমন স্থানে না দাঁড়ানো যেখানে বেশি গরম বা বেশি ঠাণ্ডা। এমন কোন কিছু সামনে না থাকা যা নামাযে নামাযীর অমনোযীর কারণ হতে পারে। এ সবগুলোই নামাযীর মনকে অশান্ত করে তোলে।
গ. নামাযের মধ্যে আমলে কাসির বা এমন কাজ না করা যার কর্তাকে "নামায পড়ছে না" বলে মনে হয়।
_ ভিতরগত অনুশীলন;
ক. একমনে নামায পড়া।
খ. আমি আল্লাহকে দেখছি বা আল্লাহ আমাকে দেখছেন, এই চিন্তা প্রতি রুকুনে অন্তত তিনবার করা।
গ. হারামখাদ্য থেকে পরিপূর্ণ বেচে থাকা, কার হারামখাদ্য দিয়ে যে শরীর লালিত হয় সে শরীর আমল আল্লাহর নিকট আমলই না।
ঘ. নিজের যত প্রয়োজন আছে, যত পেরেশানি আছে সব কিছু নামাযের মাধ্যমে সমাধান করার জোর চেষ্টা করা। একবার না হলে বারবার চেষ্টা করা। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "তোমরা নামায এবং ধৈর্যের মাধ্যমে আমার নিকট সাহায্য চাও।"
আর এ সব কিছু তখন-ই সম্ভব যখন আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফিক দিবেন। তাই আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি বেশি দুআ-ও করা চাই।
গ. দুআঃ এখানে আমরা আল্লাহর নিকট তিন বিষয়ে দুআ করব:-
১. হে আল্লাহ, তুমি আমাকে মুহাম্মাদ স. -এর মতো নামায পড়ার তাওফিক দান করো। এমন নামায দান করো, যে নামায তোমার সাথে আমার সম্পর্ক বৃদ্ধি হওয়ার কারণ হয়।
২. হে আল্লাহ, সমস্ত উম্মতকে তুমি নামাযী বানিয়ে দাও। সমস্ত মসজিদকে তুমি মুসল্লী দ্বারা আবাদ করে দাও সমস্ত উম্মতকে কবরপূঁজা সহ অন্যান্য শিরকি কার্যকলাপ থেকে ফিরিয়ে নামাযের দ্বারা তোমার থেকে নেয়ার যোগ্যতা দান করো।
৩. হে আল্লাহ, আমাকে তাওফিক দাও, যেন আমি আমার পরিবার, প্রতিবেশী এবং সারা বিশ্বের মানুষকে নামাযের দিকে আহ্বান করতে পারি; সকল মানুষের নিকট যেন দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছাতে
*একদিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়া ফরজ। সূর্য উদয়ের পূর্বে ফজর নামায, সূর্য ঢলে যাওয়ার পর যোহর নামায, সব কিছুর ছাঁয়া তার দ্বিগুন হও পর আসর নামায, সূর্য অস্তের পর মাগরিব না পশ্চিম আকাশে সূর্যের লালিমা এবং অল্প যা আলো থাকে তা চলে যাওয়ার পর ইশার নামায, ইশার নামায আদায়ের পর বিতর নামায পড়া ওয়াজিব। এছাড়াও জানাযা নামায পড়া ফরযে কেফায়া। দু'ঈদের নামায পড়া ওয়াজিব।
আর এক প্রকার নামায আছে সুন্নাতে মুআক্কাদা: ফজর নামাযের পূর্বে দুই রাকাত, যোহর নামাযের আগে চার ও পরে দুই রাকাত, মাগরিব নামাযের পর দুই রাকাত, ইশা নামাযের পর বিতরের আগে দু'রাকাত।
এছাড়াও আছে, সূর্য উদয়ের পর ইশরাক, উজ্জল হওয়ার পর দু'হা, ওযুর পর তাহিয়্যা, মসজিদে প্রবেশের পর তাহিয়্যা, আসরের আগে, ইশার আগে যায়েদা, মাগরিবের পর আওয়াবিন। আছে সালাতুল হাজাত, ইস্তেখারা, শুকর, তাওবা, ইস্তিসকা, তাসবিহ সহ আরও অনেক নামায, যা নফলের পর্যায়ে।*
নামাযের ইখলাস হলো:- নামায মানুষকে অশ্লীল এবং মন্দ কাজ থেকে ফিরাবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমারা আমার ধ্যানে নামায কায়েম করো। তাই অমনোযোগীর নামায নামাযই না। এ অবস্থায় নামাযকে পুরানো কাপড়ের ন্যায় পেঁচিয়ে নামাযীর দিকে নিক্ষেক করা হয় এবং নামায বদদুআ করে— হে আল্লাহ, তুমি তাকে এমনভাবে ধ্বংস করো যেভাবে সে আমাকে ধ্বংস করেছে।
নামায সুন্দর করার জন্যই আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া উচিত। আমার নিয়্যাত আছে। আপনি কী বলেন? নিয়্যাত করেন, তাওফিক আল্লাহ দিবেন।
২| ০৩ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১১
রাশীদ মাহদি বলেছেন: আপনাকেও শুকরিয়া
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭
সোয়েব সালেহীন বলেছেন: জাযাকাল্লাহু খাইরান