![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন সব কোলাহল থেমে যাবে। থাকবে না রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। আমরা স্বাধীন জাতি, গোলামির শৃঙ্খল ভেঙে আমরা হবো মুক্ত। আমাদের প্রতি যার দয়া, আমরা হবো কেবল তারই ভৃত্য...
কাবা ঘরের দক্ষিণে মাতাফের শেষে মসজিদে হারামের শুরুতে উম্মে হানীর ঘর। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম মাঝে মাঝে এখানে আসতেন। তেমনি কোনো একরাতে তিনি এই ঘরে ঘুমুচ্ছিলেন। রূহুল কুদুস জিবরাঈল এসে হুজুরকে নিয়ে যান বাইতুল মুকাদ্দাস মসজিদে। সেখান থেকে সপ্তম আকাশে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম সেদিন আরশে আজীমে গমন করেন। জান্নাত-জাহান্নাম ভ্রমণ করেন। জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি ও জান্নাতের অফুরন্ত নেয়ামত অবলোকন করেন। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তায়ালা জীবিতাবস্থায় জান্নাত-জাহান্নাম, আরশ-কুরসি দেখিয়েছেন। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, রাসুলদের সর্দার মুহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম।
দিনটি কবে তা নিয়ে ইতিহাসবিদদের রয়েছে দারুণ মতানৈক্য। যেদিনই হোক, মেরাজের এই দিনটির তাৎপর্য অনেক। সাহাবাদের কেউ বলেন, এই দিনের চেয়ে অধিক খুশির দিন আমাদের জন্য আর ছিল না। কারণ, এদিনে আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য নামাজ ফরজ করেছেন। নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সঙ্গে কথা বলতে পারবো। আল্লাহর কাছে আমাদের সমস্যার সমাধান চাইতে পারবো। ইসলামের মূল ভিত্তি পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। নামাজ হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলাম এবং কুফুরের মাঝে পার্থক্যকারী বিষয় হচ্ছে নামাজ।
তবে, মেরাজের এই দিনে বিশেষ কোনো আমল সাহাবা, তাবেঈন ও তবে তাবেঈনদের যুগে প্রমাণিত নেই। আমাদের সলফের কেউ এই দিনে বিশেষ কোনো আমল করতেন না। "শবে মেরাজের নামাজ" বলতে ইসলামে কোনো নামাজ নেই। এটি ইসলামের বাহিরের কোনো আমল। এর বদলা আল্লাহর কাছে আশা করা যায় না। বরং ইসলাম বহির্ভূত কাজকে ইসলামের অংশ মনে করে করার অপরাধে পরকালে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
হ্যাঁ, যেহেতু মেরাজের দিনে আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর নামাজ ফরজ করেছেন তাই এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হোক, আজ থেকে আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে সময়মত আদায় করবো।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বেদাত থেকে দূরে থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন
©somewhere in net ltd.