নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর সমার্থক

১০ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৪৪

নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার, নারী নির্যাতন ইত্যাদি নারী সংক্রান্ত কতো কিছু চোখে পড়ে প্রতিদিন। নারী আন্দোলন তো খুবই কমন একটা বিষয় এখন।

দু:খের বিষয়, কোন নারী বুদ্ধিজীবী, নারীনেত্রী কিংবা নারী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কোন নারীকে আজ পর্যন্ত দেখলামনা বাংলা ডিকশনারিতে নারীর যে আপত্তিকর সমার্থকগুলি দেয়া আছে সে বিষয়ে কোন কথা বলতে। নারীর অবমূল্যায়ন, অমর্যাদা কিংবা অসম্মান সবকিছুইতো সমার্থগুলিতে বিদ্যমান। একটি শিশু হোক সে ছেলে বা মেয়ে, যখন জানে যে নারী মানে ললনা, অবলা, রমণি ইত্যাদি তখন সে কি ভাবে? শিশুকাল থেকেই তো সে শিখছে নারী মানেই অবলা, নারী মানে রমণি!

পাঠ্যপুস্তকের লেখাগুলো মানুষের মনে বেশী প্রভাব ফেলে। ছোটবেলায় একটি মেয়ে শিশু নারীর মানে যখন জানতে পারে তখন থেকেই শুরু হয় তার হীনমন্যতা আর ছেলে শিশু ধরে নেয় নারী মানেই তো ফেলনা। তাহলে কেন হবেনা নারীর অমর্যাদা? অমর্যাদা, অবমূল্যায়নের শিক্ষা তো পাঠ্যপুস্তকেই দেয়া। আসলেই কি সেই প্রাচীন কালের মতো নারীরা এখনো অবলা, নারী কি শুধুই রমণি? নারী কি মা, বোন, স্ত্রী নয়?

তাহলে কেন মহলে বসবাসকারী বলা হবে নারীদের, যেখানে চাঁদে পর্যন্ত নারীর পদচিহ্ন পৌঁছে গেছে! বাংলা একাডেমী বছর বছর নতুন বানান রীতি তৈরি করতে পারে আর নারীর সমার্থকগুলো চ্যাঞ্জ কিংবা মডিফাই করতে পারেনা? নারীদের সব আন্দোলন ভুলে গিয়ে আগে তাদের নামকরণের দিকে দৃষ্টিপাত করা উচিৎ, অবলা, রমণি মহিলা ইত্যাদি অপমানজনক শব্দ এবং অর্থের পরিবর্তন কিংবা সংযোজনের জন্য দাবি জানানো উচিৎ। আগামী প্রজন্ম যাতে শুরু থেকেই নারীকে ঘরের শোভাবর্ধনকারিণী, মহলে বাসকারী কিংবা সঙমের উপাদান হিসেবে না জানে সেজন্য কিছু করা উচিৎ।


নারী তুমি এত কিছু করতে পারো অধিকার আদায়ের জন্য, শুধু পারনা নিজেদের নামের লজ্জাজনক অর্থগুলো সরানোর জন্য কিছু করতে। কেন? কেন এই উদাসীনতা, কেন এই নির্বাক ভূমিকা? তাহলে কি নারীরাই তাদের ভীত শক্ত করার প্রধান অন্তরায়?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.