নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মাহফুজ

তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।

মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গরুচাণ্ডালী

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৪৫

ছোট বেলা থেকেই মস্তিষ্ক ধারণ করে আসছে "গরু একটি নিরীহ প্রাণী" বাক্যটি। গরুর উপকারিতার তো শেষ নাই। কিন্তু এই নিরীহ উপকারী গরুই এখন মানুষে মানুষে হানাহানি খুনোখুনি সৃষ্টি করছে। এই গরুই এক জাতির ধর্ম সুদৃঢ় করছে আরেকজাতির ধর্মকে করছে অসম্মান।

এই গরুর প্রতি যারা শ্রদ্ধায় নতজানু তারাই আবার গরুর চামড়ার জুতো পড়ে গোমাতাকে ভক্তি দিতে যান। কি অমায়িক গোমাতৃ ভক্তি।। সেখানে অবশ্য আমার আপত্তি নাই। প্রত্যেকের ধর্মই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য এবং যুক্তি তর্ক নিয়ে চলে।

যে জন্য লিখা গরু নিয়ে; ভারতের মুসলমান গরু খাওয়ার জন্য এতো মরিয়া কেন? গরু না খেলেও তো মানুষ বেঁচে থাকে। ছাগল, ভেড়া, উট, পাখি, মোরগ এতো কিছু থাকতে গরু নিয়ে হানাহানি না করলেই কি নয় ভারতীয় মুসলমানদের?

যদি ভারতীয় মুসলমান মাত্র ছয়মাস/একবছর গরু না খেয়ে থাকতে পারে তাহলে ভারত সরকার সারাজীবন মুসলমানদের গরুর মাংস খাওয়া কিংবা ক্রয় করা বাধ্যতামূলক করে দিতে বাধ্য হবে বলে আমার বিশ্বাস। কেনো? ভারতের হাজার হাজার কর্মসংস্থান এই গরুকে ঘিরেই আবর্তিত। তাই ভারতীয় মুসলমানদের সুযোগ পেলে আমি চিৎকার করে বলতাম, হে গরুপ্রিয় ভাইবোনেরা আপনারা ছয়মাস থেকে একবছর আল্লাহর ওয়াস্তে নিজেদের জিহ্বাকে সংযত রাখুন, গোমাংস খাওয়া, গোদুগদ্ধ পান বন্ধ করুন। গরু দিয়ে যাদের জীবিকা আসে তারা তখন অর্থকষ্টে ভোগে সকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে, মুসলমানদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরুর মাংস আর দুধ সরবরাহ করবে দেখবেন। অযথাই কেনো এই রক্তারক্তি, ধর্মীয় সংঘাত আর সাম্প্রদায়িক দাঙা তৈরি করছেন সবাই মিলে?
বি:দ্র: ভারতের অবশ্যই গরুর চামড়া দিয়ে তৈরি সকল পণ্য নিষিদ্ধ করা উচিৎ কারণ গোহত্যা ব্যতিত গো-চামড়ার তৈরী জুতা কিংবা অন্যান্য দ্রব্যাদি তৈরী সম্ভব নয়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:২৮

জাহিদ হাসান মিঠু বলেছেন: তারাতো গোমাতার এবং গোপিতার উভয়ের চামড়ার জুতোই পরে, নারী পুরুষ সমান অধিকার মনে হয় ! (অন্তত এখানে নারীবাদীরা সবাই একমত)
তবে তারা মাতা পিতার চামড়ার জুতা পরার কারন আজও জানা যায়নি,
হয়ত প্রতিশোধ হতে পারে, যেমন গোমাতা গোপিতা হয়েও তারা তাদের সন্তানদের মানুষ কেন বানালো ?

যাই হোক কেউ কেউ চামড়া দিয়া ডুগডু....... বাজায়,
আবার কেউ কেউ জুতা বানায় !

ধন্যবাদ

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:১০

প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: পৃথিবীতে গরু মাংস রপ্তানিকারক দেশ ১ নাম্বারে ব্রাজিল ২য় ভারত। তারা মুসলিমদের গরুর মাংস খেতে দেবেনা সেটাই কথা।

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৬

মাহফুজ বলেছেন: সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া পৃথিবীর কোন সমস্যার সমাধান হয়না। আসলে হিন্দু মুসলমান কারোরই নিজেদের ঐক্য শক্তিশালী না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.