![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।
"বাংলাদেশে কোনো ফকির মিসকিন নাই" সংবাদটি সত্য এবং ভেরিফাইড। দেশের জাতীয় টেলিভিশন কোনো মিথ্যা সংবাদ বা গুজব প্রকাশ করেনা। যারা মিথ্যা বলে হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন বা তৈলমর্দন বলছেন তারা অবশ্যই জামায়াত শিবির, বিএনপির আদর্শ অনুসারী, দেশদ্রোহী। তারা কখনোই বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করতে পারেনা।
এইসব অনুসারীরা হাসতে হাসতে প্রশ্ন উঠায়, ফকির মিসকিন না থাকলে রাস্তা-ঘাটে, গাড়ীতে, মার্কেটে কিংবা বাসা বাড়িতে কারা ভিক্ষে করে?
সেইসব ঈর্ষাকাতর লোকেদের আমি বলতে চাই, ভিক্ষাবৃত্তি এখন একটি পেশা, লাভজনক পেশা। অভাব অনটনে জর্জরিত হয়ে এই পেশা বেছে নেয়া লোকসংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পেতে চলেছে। সুতরাং যারা ভিক্ষে করে তাদের ফকির মিসকিন ভাবার নোংরা মানসিকতা পরিত্যাগ করুন। ভিক্ষে করার পেশাটি ইউরোপ আমেরিকা সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের চাইতে সেসব দেশের মানুষ অনেকটা স্মার্ট পদ্ধতিতে যেমন কেউ গান গেয়ে, কেউ নেচে কেউ স্পোর্টস রিলেটেড দক্ষতা ইত্যাদি দেখিয়ে এই পেশার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে যেহেতু সবেমাত্র ফকির মিসকিন নেই বলে ভিক্ষাবৃত্তিকে একটি সাধারণ উপার্জনের মাধ্যম বা পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে সেহেতু আমরাও ইউরোপ আমেরিকানদের মতো অবস্থানে ধীরে ধীরে পৌঁছে যাবার ব্যপারে চরম আশাবাদী। আমরা ক্রিকেট, ফুটবল, সিনেমা সবকিছুতেই শুরুতে অনেকটা পিছিয়ে ছিলাম। পরে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার সামর্থ্য অর্জন করেছি। ভিক্ষাবৃত্তি পেশায় অবশ্য আমরা অতি শিগ্রী শক্ত অবস্থান করে নেবো বলে বিশ্বাস কারণ আমাদের দেশে এই পেশায় নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর আছে অসাধারণ আসলে ভয়ানক প্রতিভা ও সৃষ্টিশীল ভাবনা। এতোদিন পেশাটিকে অসম্মানের চোখে দেখা হতো তাই সেইসব সম্ভাবনাময় প্রতিভাবান ব্যক্তিরা অনেকটাই নীরবে কার্যক্রম চালিয়েছে। এখন ভিক্ষেবৃত্তি পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় তারা দ্বিগুণ উদ্যমে এগিয়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস এবং এই পেশাকে বেছে নিতে আগ্রহী হবে দেশের লক্ষকোটি বেকার জনগোষ্ঠী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন অভূতপূর্ব চিন্তাভাবনার জন্য জাতি আজীবন তার কাছে ঋণি থাকবে। কারণ তিনি সময়োপযোগী চিন্তা করেছেন। দিনকে দিন যে হারে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আকাশচুম্বী হচ্ছে দ্রব্যমূল্য সেক্ষেত্রে ভিক্ষা পেশায় নেমে পড়া সময়ের দাবী। তাইতো বুঝেশুনে ফকির মিসকিন নেই বলে প্রচারণা চলছে দেশের মহান সংবাদ ও বিনোদন বান্ধব জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশনে।
এইযে দরোজায় এক ফকির থুক্কু ভিক্ষুক ডাকছেন বেশ জোরে জোরে। জোরে ডাকারই তো কথা কারণ ভিক্ষা তো পেশা এখন, লজ্জার কিছু নেই। আহ কি শান্তি এই দেশে ফকির মিসকিন নেই আছে সরকার অনুমোদিত ভিক্ষাপেশাজীবি বিরাট জনগোষ্ঠী।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫৭
মাহফুজ বলেছেন: অর্থ ও জনসংখ্যার আধিক্য তাই হয়্তো।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পুরো --- টাই তো ভিখারী!
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ৪০ সাল ধরে পালাক্রমে দেশ চালাচ্ছে গাঁজাখোর'রা। ভিক্ষাবৃত্তি করে একটা অংশ বেঁচে থাকতে পারছে; এটাও অনেক বেশি।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫৮
মাহফুজ বলেছেন: অনেক বেশী।
৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: অনেক সুন্দর বলেছেন।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০১
মাহফুজ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: "বাংলাদেশে কোনো ফকির মিসকিন নাই" সংবাদটি সত্য এবং ভেরিফাইড। দেশের জাতীয় টেলিভিশন কোনো মিথ্যা সংবাদ বা গুজব প্রকাশ করেনা। যারা মিথ্যা বলে হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন বা তৈলমর্দন বলছেন তারা অবশ্যই জামায়াত শিবির, বিএনপির আদর্শ অনুসারী, দেশদ্রোহী। তারা কখনোই বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করতে পারেনা।
আম আওয়ামীলীগার হতে চাই
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৩
মাহফুজ বলেছেন: চেষ্টা করুন, হয়ে যাবেন।
৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
ল বলেছেন:
শিরোনাম সব কিছু বলে দিল ----চমৎকার লেখা
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৬
মাহফুজ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের মধ্যে ঢাকা শহরে ভিক্ষুক সবচেয়ে বেশি।