![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তেমন কিছু লিখবোনা নিজেকে নিয়ে কারণ লিখতে গেলে সেটা এতো বিশাল হবে যে কেউ পড়বেনা; অবশ্য লিখলেই যে অনেকে পড়বে তাও না। যাই হোক আসি মূল বিষয়ে, আমি হচ্ছি সেই ব্যক্তি যে জীবনে চলার পথে একটি সুন্দর সেতু পেয়েছিলাম, মজবুতও ছিলো। সেতুটির পাশেই ছিলো একটি বাঁশের সেতু। আমি অনায়াসেই সুন্দর আর মজবুত সেতু দিয়ে ওপারে চলে যেতে পারতাম যেখানে খুব সুন্দর একটি পৃথবী আছে। আমি বোকার মতো নিজের খামখেয়ালিপনার কারণে বাঁশের সাঁকোতে উঠে পড়লাম যেটা ছিলো খুবই ভয়ানক এবং জায়গায় জায়গায় ত্রুটি অর্থাৎ নড়বড়ে আর খুবই গভীর। বাতাস দিলেই সেতুটি দুলতে থাকে ভয়ানক ভাবে।
এক আন্টি আর আংকেলের Marriage Anniversary তে হঠাৎ দাওয়াতে গতরাতে একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়া করছিলাম।
খাওয়াদাওয়া, গল্পগুজব চলাকালীন একটি পরিচিত গানের কলি আমার মনোযোগ কেড়ে নেয়। কোথায় জানি বাজছিলো "চোখে চোখ রেখে বল, বুকে হাত দিয়ে বল, কোনো অন্যায় আমি করি নাই, কোনো অন্যায় আমি করি নাই ও ভাই" গুরু জেমসের বেশ পুরানো গানটি।
মনে মনে আফসোস করলাম, আহা বছরের প্রথম দিনটি বেচারাকে কেউ ছ্যাকাটেকা দিল নাকি আল্লাই জানে। নীচে উকি দিয়ে দেখলাম, মিনি হ্যান্ড স্পিকারে একটা ছেলে গানটা বাজাচ্ছে ফুল সাউন্ডে।
যাইহোক তখনকার মতো ব্যপারটা ভুলে গিয়ে খানাপিনা শেষ করলাম। আরো কিছুক্ষন বিভিন্ন বিষয়ে আলাপালোচনা করে আমরা রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে নীচে নেমে এলাম।
নীচে নামার পর একটা দৃশ্য দেখে আমি প্রায় বিমূঢ় হয়ে যাই। রাস্তার অপর পাশে কোনো এক রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্যরা জম্পেশ আড্ডা দিচ্ছে, চা টা খাচ্ছে এমন ছিলো সে দৃশ্যটা। পরক্ষণেই আপনাআপনি কেন জানি আমার চোখ হন্যে হয়ে খুজতে শুরু করলো অপরিচিত সেই যুবককে যে কিনা " চোখে চোখে রেখে বল, বুকে হাত দিয়ে বল, কোনো অন্যায় আমি করিনাই" বাজাচ্ছিলো। কিন্তু তাকে আর পেলামনা। ততক্ষণে সে হয়তো তার ছাইচাপা অভিমান কিংবা অব্যক্ত কোনো যন্ত্রণা নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
ঐ মূহুর্তে আমার মাথায় প্রথমেই যে কথাটা আসলো তা হচ্ছে, "জাতি হিসেবে সত্যি আমরা বাঙালিরা বড় কিউট"।
এখানে কেউ গানের ভাষায় নিজের অভিমান ঢেলে দেয় পিচ সড়কে, কেউ কবিতার ছন্দে প্রতিবাদের বেগে উড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষকে, কেউ প্যারডির সুরে উগলে দেয় চরম ঘৃণা আবার কেউ আকারে ইঙ্গিতে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় অসামঞ্জস্যতা।
জাতি হিসেবে আমাদের কিউটনেসের অভাব নেই, আছে পর্যাপ্ত প্রতিভা কিংবা সৎ সাহসিকতা ইত্যাদি। অসম্ভব রকমের অভাব উপলব্ধি হয় যেটার সেটা শুধু একটুখানি উদ্বেলিত বিবেক। স্বার্থের কাছে মাথা নত করে পড়ে থাকা সে বিবেক, অন্ধ প্রেমের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা সে বিবেক, সময়ের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে বুকে আত্মসমালোচনার আড়ালে চেপে রাখা সে বিবেক।
আমি আশাবাদী,একদিন এই বিবেকের জাগরণ ঘটবেই, আজ নয়তো কাল কিংবা পরশু। সেদিন নির্লজ্জ আহাজারীতে কান ঝালাপালা হবে প্রকৃতির। উদ্বেলিত বিবেক তখন আহাজারিরত কণ্ঠগুলিকে বুকে টেনে নিয়ে বলবে, ভয় নেই, আমরা আমরাই তো আর বাংলাদেশ তো আমাদের ই।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৩৯
মাহফুজ বলেছেন: নারে ভাই আমি দাওয়াত টাওয়াত খাইনা, পার্টি ফার্টিতে আমি বেমানান, গতরাতেরটা অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। এনিওয়ে খেয়ে খেয়ে বুদ্ধির ঢেকি হয়ে সে বুদ্ধি খরচ করবো কোথায়?
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১০
রাজীব নুর বলেছেন: জাতি হিসেবে আমরা কিউট না। বদ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৩৮
মাহফুজ বলেছেন: বদকিউট নাকি
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫
অবনি মণি বলেছেন: দাওয়াত টা তবে কাজেই লেগেছে!!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৩৮
মাহফুজ বলেছেন: তা বলা যায়।
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮
বিবেকবান জড় বলেছেন: বাংগালি কি আসলেই কিউট! নাকি স্বার্থপর!
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৪০
মাহফুজ বলেছেন: স্বার্থপরতার মাঝেও আমরা কিউটনেস এনেছি।
৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮
বিবেকবান জড় বলেছেন: বাংগালি কি আসলেই কিউট! নাকি স্বার্থপর!
৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়লাম
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৪১
মাহফুজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আরেকটা দাওয়াতের চেষ্টা করেন, ভালো খেলে বুদ্ধি বাড়ে